নিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নরসিংদী-২ পলাশ আসনের বিএনপি প্রার্থী ড. আব্দুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় মঈন খানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হলেও তিনি অক্ষত আছেন। রবিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় মঈন খানের ড্রাইভার, সহকারী, ছাত্রদল নেতা মো. মাসুদ খান, মো. রাসেল মিয়া, আল মাহমুদ সনেট, পথচারী, বাজারের দোকানী এবং দলীয় নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন জানান, দুপুরে নরসিংদী-২ আসনের পাঁচদোনা বাজারে মঈন খান গণসংযোগ করছিলেন। এসময় পুলিশের সামনেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন হামলা চালায়। হামলাকারীরা মঈন খানের গাড়ি ভাঙচুরসহ নেতাকর্মীদের গুলি ও কুপিয়ে জখম করে। তখন পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছিলো। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের খন্দকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সরেজমিনে তদন্ত করে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও হামলার পর পাঁচদোনা মোড়ে হকিস্টিক ও লাঠি হাতে কিছু যুবককে ‘জয় বাংলা’ এবং নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
নরসিংদী-২ আসনে মঈন ধানের শীষ প্রতীক একাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল আশরাফ খান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচদোনা বাজারে গণসংযোগ করতে যান মঈন খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে কিছু যুবক।
মঈন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজারের একটি চালের দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। পরে সেখান থেকে চলে যান তিনি।