নিউজ ডেক্স : জামায়াত নেতাদের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হবে জানলে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতাম না বলে দাবি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি জানতাম জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবেন, তাহলে আমি এতে যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যৎ সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোনও ভূমিকা থাকে, তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকবো না।’
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন নেতার বিএনপি’র প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
কামাল হোসেন আরো বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলতে হচ্ছে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াটা বোকামি। আমি লিখিত দিয়েছি যে, জামায়াতকে কোনও সমর্থন দেওয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না।’
ভারতের সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্কের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ভারতকে বিএনপি বলেছে, তারা ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি তাদের এটা বলেছেন। এটা তাদের ভুল উপলব্ধির প্রক্রিয়ার অংশ, খালেদা জিয়া নিজেদের অবস্থান সংশোধন শুরু করেছেন।’
ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন জানান, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে কোনো পদ ও বেতন ছাড়াই তিনি কাজ করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি, হ্যাঁ বা না বলবো না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনও পদ ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে আগ্রহী।’
দেশের পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণের অভিযোগ প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে দেখুন, তারা কী করছে? পুলিশ এখন দলীয় লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণকে বুঝতে হবে দেশের আসল মালিক তারা।’
এবারের নির্বাচনকে রাষ্ট্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।’
সূত্র : দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস