নিউজ ডেক্স : পিঠে জমাট বাঁধা রক্ত। সজোরে বেত্রাঘাতের দগদগে ক্ষত।এ ছবি দেখলেই শিউরে উঠবেন যে কেউ। বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির কক্ষে শিক্ষকের পিটুনিতে এমন দশা হয়েছে সাইদুল হকের (১৫)। রোববার (২২ মে) সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফ হোসেন বোয়ালখালী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সাইদুল হক ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি বোয়ালখালী পৌরসভা এলাকায়।
সাইদুলকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সঞ্জয় সেন। তিনি বলেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফ জামালপুর জেলার মেসকা ইউনিয়নের পূর্ব কলতাপাড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. গোলাম রব্বানীর ছেলে। তিনি বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী সালাম মার্কেটে ভাড়া থাকেন।
বিদ্যালয়, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, পাঠ চলাকালীন শ্রেণিকক্ষের পেছনের বেঞ্চে বসা সাইদুল হক উচ্চৈঃস্বরে হাসাহাসি ও গল্পগুজব করছিলো। তাকে ডেকে অন্য শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা জানালে সে শিক্ষকের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে জানায় ‘আমি হাসাহাসি করলে আপনার কী সমস্যা!’ তার জন্য শিক্ষক মারধর করেছেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষককের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে সাইদুলের সহপাঠীরা। এসময় তারা বিদ্যালয়ের সামনে কানুনগোপাড়া ডিসি সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল আবেদীন নাজিম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খণ্ডকালীন শিক্ষক সাইফ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। -বাংলানিউজ