নিউজ ডেক্স : উপাচার্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বে প্রক্টরসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন দফতরের ১৬ জন শিক্ষকের পদত্যাগের একদিন না পেরুতেই আরও ৪টি পদ থেকে ৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগকারীরা হলেন- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না। তবে আমি আদর্শিকভাবে নতুন প্রক্টরের বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। আমাদের জানা মতে, তিনি বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে উনার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাওকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি’।
এর আগে রোববার (১২ মার্চ) চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৮টি পদ থেকে মোট ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে। এছাড়া শিক্ষক হওয়ার এক মাসের মাথায় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের নতুন প্রভাষক সৌরভ সাহা জয় এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। -বাংলানিউজ