নিউজ ডেক্স : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের তানজিল হৃদয় (১৪-১৫) ও উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পরিসংখ্যান বিভাগের সায়ন অমিত। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে জীব বিজ্ঞান অনুষদের সামনে নাছির গ্রুপের তানজীদ নামের এক কর্মীকে থাপ্পড় মারে নওফেলের অনুসারী সাদ নামের এক কর্মী। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে বিকেলে নাছির অনুসারীরা একত্রিত হয়ে অপর পক্ষকে ধাওয়া দেয়। পরে নওফেল অনুসারীরা পাল্টা হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দও শুনতে পাওয়া যায় বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয় এবং উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে দুই পক্ষ হলের ভেতরে ঢুকে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে বারবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে পুলিশের একটি সূত্র টিয়ারশেল নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। বর্তমানে কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে গুলি বিনিময়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।