এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে গত ১১ অক্টোবর রাতে চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দু’চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার ব্যাপারে আজ ১২ অক্টোবর সকালে ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার বাদী লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মজিদার পাড়ার আলহাজ্ব আব্দুস ছালামের পুত্র ও সোহান ট্রেডার্সের মালিক মোঃ কুতুব উদ্দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই লিটন চন্দ্র সিংহ।
মামলার আসামীরা হল ইউপি মেম্বার আবুল কাশেম ও গ্রেফতারকৃত দু’চোর যথাক্রমে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের জোনাবির পাড়ার সিরাজুল ইসলামের পুত্র আমান উল্লাহ (২৩) এবং গাইবান্ধার লক্ষীপুর ইউনিয়নের দুলার ভিটা মালি বাড়ির মোঃ শাহজাহানের পুত্র মোঃ রিয়াজ (১৯)।
মামলার এজাহার সূত্রে প্রকাশ, লোহাগাড়া সদরের জোনাবির পাড়াস্থ এনাম বিল্ডিং’র নিচে সোহান ট্রেডার্স প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় দোকান খুলে মালামাল এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান। দোকানের চারদিকে তাকিয়ে দেখতে পান উপরের চালের টিন একটি খোলা। পরে দোকানের কর্মচারীদের নিয়ে মালামাল পর্যালোচনা করে দেখতে পান ৬টি সামার্সি বল ওয়াটার পাম্প, ৪টি সুইচ বক্স, ২০টি মোবিং পিলার কক, ১২টি মোবিং সিং কক, ১০টি মোবিং মিক্সার, ২০টি মোবিং সাওয়ার, ১৩টি থ্রী-ফোর কক, ৭টি লাক্সারি সিল্ক রং, ১৩টি হেন্ডেল ডিজাইন, ১২টি এস এস হুক, ১১টি হ্যান্ডল লক ও ৭টি জেড পাম্প পাওয়া যাচ্ছে না। যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। গত ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কাশেম মেম্বারের বাসা থেকে কিছু চোরাইমাল চোরের বিক্রির জন্য নিয়ে যাবে। বিষয়টি লোহাগাড়া থানাকে অবহিত করলে এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দু’চোরকে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কাশেম মেম্বার পালিয়ে যায়। পুলিশ কাশেম মেম্বারের ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করে বলে এজাহার সূত্রে প্রকাশ।
এ ব্যাপারে কাসেম মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, চোরাইকৃত মালামাল চোরদের কাছ থেকে উদ্ধার করে তার বাসায় রেখেছেন। মালামালের মালিক পেলে তিনি বুঝিয়ে দিতেন।
আজ ১২ অক্টোবর শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।