
নিউজ ডেক্স : নগরে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচাবাজারে আগের তুলনায় ভিড় কমেছে। স্বাভাবিক সময়ে বন্ধের দিন বাজারে উপচে পরা ভিড় থাকলেও শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি।
শীতের সবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বাড়তে থাকা দাম কমানোর লক্ষণ দেখছেন না ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম কমছে না। তবে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। নগরের চকবাজার, কাজীর দেউড়ী কাঁচাবাজার, বকশির হাট ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
নতুন করে এ সপ্তাহে বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১০৫ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হলেও এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, লেয়ার ২৩৫, সোনালী ২৭০ থেকে ৩শ ও দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পারিজা ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ টাকা, বাসমতি ৬৯ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এই সপ্তাহেও বাজারে মাছের দাম বাড়তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই-কাতলা ২৭০ থেকে ৩১০ টাকা, শোল ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ও টাকি ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজার কাঁচাবাজারে আসা গৃহিণী রিজিয়া বেগম বলেন, শুক্রবার হওয়ায় বাসায় একটু ভালো রান্না করার চেষ্টা করি। গত সপ্তাহে কেনা ডিমের দামের সঙ্গে আজ মিল নেই। ডজনপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। করোনার কারণে এক সপ্তাহের বাজার একসঙ্গে করতে হচ্ছে।
এদিকে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ও বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। -বাংলানিউজ