নিউজ ডেক্স : এবারের এসএসসি পরীড়্গায় পাশের হার কমে যাওয়ায় পুনঃনিরীড়্গণে বেশি আবেদন পড়বে অনুমান করা হয়েছিল। আর সেই অনুমানকে সঠিক প্রমাণিত করে শিড়্গাবোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানালো ২৩ হাজার ৩৮০ জন শিড়্গার্থী। তাদের আবেদনের প্রেড়্গিতে ৫৩ হাজার ৫১০টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীড়্গণ করতে হবে। যথারীতি সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে গণিতে ৫ হাজার ৭৮২টি। গত ৬ মে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশের পর ৭ মে থেকে ১৩ মে পর্যনত্ম টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে পুনঃনিরীড়্গণের আবেদনের সুযোগ পায় শিড়্গার্থীরা। এদের ফলাফল প্রকাশিত হবে ৩১ মে।
পুনঃনিরীড়্গণের আবেদন প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিড়্গাবোর্ডের পরীড়্গা নিয়ন্ত্রকের চলতি দায়িত্বে থাকা তাওয়ারিক আলম বলেন, গণিতে ফেলের হার যেমন বেশি ছিল, একইভাবে এবিষয়ে পুনঃনিরীড়্গণে আবেদনও বেশি পড়েছে। গণিতে ৭ হাজার ৭৫৫ জন শিড়্গার্থী মনে করেছে তারা যে নম্বর বা জিপিএ পেয়েছে এর চেয়ে বেশি পাবে। মোট ২৩ হাজার ৩৮০ জন আবেদন করেছে।
পরীড়্গা শাখা সূত্রে জানা যায়, আবেদনকারী শিড়্গার্থীদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রে ৩ হাজার ১৫৮ টি, বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১ হাজার ৯৯৭ টি, ইংরেজি প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৭৮২টি, দ্বিতীয় পত্রে ৩ হাজার ৬৫৪ টি, গণিতে ৭ হাজার ৭৫৫ টি, ইসলাম ধর্মে ২ হাজার ৮৮৫ টি, উচ্চতর গণিতে ২ হাজার ৭০৮ টি, বিজ্ঞানে ১ হাজার ৮৯৬ টি, রসায়নে ৪ হাজার ৮৬৬ টি, জীব বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬ টি, বিশ্ব পরিচয়ে ৫ হাজার ১৬৮ টি, আইসিটিতে ২ হাজার ২১০ টি, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এ ১ হাজার ৭৩৪ টি ও পদার্থ বিজ্ঞানে ২ হাজার ৬১৮ টি আবেদন জমা পড়েছে। একজন শিড়্গার্থী একাধিক বিষয়ে আবেদন করেছে বলে পরীড়্গার্থীর তুলনায় উত্তরপত্রের সংখ্যা বেশি।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, পুনঃনিরীড়্গণে উত্তরপত্র কখনো পুনঃমূল্যায়িত করা হয় না। শুধুমাত্র খাতায় নম্বর গণনায়, নম্বর পোস্টিংয়ে, বৃত্ত ভরাটে কিংবা কোনো প্রশ্নের উত্তর অমূল্যায়িত থাকলে তা মূল্যায়িত করা হয়ে থাকে।
উলেস্নখ্য, গত ৬ মে প্রকাশিত এসএসসি পরীড়্গার ফলাফলে চট্টগ্রাম শিড়্গাবোর্ডের পাশের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫। যা বোর্ডের ইতিহাসে ২০১০ সালের পর সর্বনিম্ন। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হারও কমেছে।