Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীর গাড়িতে হামলা

ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীর গাড়িতে হামলা

নিউজ ডেক্স:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি মো. গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীর গাড়িতে হামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের টিএ রোডে এ হামলা হয়।

ভারতে মহানবী মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন আয়োজনের প্রেক্ষিতে শহরে এসেছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজক ছিল জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতারা কর্মসূচিটি বাতিল ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশের বিরোধীতা করে ‘সম্মিলিত কাওমি প্রজন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের একটি সংগঠন জেলা প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল।

জানা যায়, আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোডের ফকিরাপুল ব্রিজের ওপর সঙ্গীয় লোকজনকে নিয়ে গাড়িতে ওঠে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরী। সেখান থেকে কাউতলী এলাকায় যাওয়ার পথে টি এ রোডে উপস্থিত একদল মাদ্রাসা ছাত্র চারদিক থেকে ঘেরাও করে তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ছাত্ররা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীর গাড়িটি ভাঙচুর করে। তারা গাড়ি থেকে গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরীকে বের করার চেষ্টা করে। তবে দ্রুত গাড়ি নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন মাওলানা তাহেরী ও তাঁর সঙ্গীরা।

এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরী বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল (ঘোড়াপট্টিসেতু) থেকে কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোডের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার বরাবর পৌঁছলে মাদ্রাসাছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। গাড়ির ভাঙা কাঁচের কণা আমাদের গায়ে পড়ে। তারা আমাদের কোনো কথা শুনতে চায়নি। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। আমি দ্রুতই অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সম্মিলিত কাওমি প্রজন্মের সমন্বয়ক কাজী সাইফুর রহমান মুন্না বলেন, ‘প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ার পরও তারা এসেছিলে। মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতা বলতে চেয়েছিলে– আপনারা চলে গেলে ভালো হয়। এ নিয়ে ফকিরাপুলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’ মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাজী সাইফুর রহমান মুন্না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘টিএ রোড দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর (মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত্ব–তাহেরী) গাড়িতে ঢিল মারা হয়। গাড়ির সামনে ও সাইডে ঢিল পড়ে। তাঁর একটি প্রোগ্রাম ছিল। এ বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল– প্রোগ্রাম করতে এলে ঝামেলা হতে পারে। আমরা বলেছিলাম ডিসি সাহেবের অনুমতি ছাড়া যাতে প্রোগ্রাম না করে। তাহেরী সাহেব আমাকে ফোন করে গাড়িতে হামলার অভিযোগ জানিয়েছেন। বলেছি লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!