নিউজ ডেক্স : বিশ্বকাপ জার্সি পরে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অফিসিয়াল ফটোসেশনের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই জেনে গিয়েছিল সেই জার্সির ডিজাইন এবং রঙ কি হতে যাচ্ছে।
অফিসিয়াল ফটোসেশনের পরই অবশ্য টাইগারদের বিশ্বকাপের জার্সি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। কেউ বলতে শুরু করে, এটা তো পাকিস্তানের জার্সির মতই হয়ে গেলো। আবার কেউ বলতে শুরু করেছে এই জার্সি তো দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা আয়ারল্যান্ডের জার্সির মত। অধিকাংশেরই মত, জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তের রঙই এখানে অনুপস্থিত। তাহলে এটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জার্সি হলো কেমনে?
সামাজিক মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার পর বিসিবিও নড়েচড়ে বসেছে, বাংলাদেশ দলের জার্সি নিয়ে। গতকাল রাতেই বিসিবি সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবর্তন করা হবে বিশ্বকাপের জার্সি। আজ দুপুরের মধ্যেই জাগো নিউজে প্রকাশ হয়ে গেছে, নতুন জার্সির ডিজাইন কেমন হতে পারে। তবে, সমস্যা হলো- পরিবর্তিত ডিজাইনের জার্সি আইসিসি অনুমোদন দেয় কি না।
তবে আজ ধানমন্ডিতে নিজের কার্যালয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, নতুন জার্সির বিষয়ে অনুমোদ দিয়েছে আইসিসি। এখন সেই পরিবর্তিত জার্সি পরেই বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘জার্সি নির্ধারণ করার পর আইসিসির কাছে পাঠানোর নিয়ম। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি জার্সি নির্ধারণ করার পর সেটি পাঠিয়েছিল আইসিসির কাছে। সেই জার্সিও ছিল সবুজ। এবার যেটা নিয়ে বিতর্ক এটাই। তবে ব্যতিক্রম ছিল, জার্সির বুকে বাংলাদেশ লেখাটি এবং পেছনে নাম্বার ও খেলোয়াড়ের নাম ছিল লাল। আইসিসি এই লাল নিয়ে আপত্তি জানায়। তারা বলে যে, লাল রঙয়ে নাম লেখা যাবে না। সাদা করতে হবে। সে কারণে, আমরা দেশের নাম, জার্সি নাম্বার এবং খেলোয়াড়ের নাম সাদা করে দিয়েছি। এটাই, আর কিছু না।’
জার্সি পরিবর্তনের বিষয়ে আইসিসির কাছে দুটি অপশন পাঠিয়েছিল বিসিবি। পাপন বলেন, ‘আমরা দুটি ব্যাপার পাঠিয়েছি। একটা হচ্ছে, আগের জার্সিটিকে, অর্থ্যাৎ যেটাতে লাল রঙয়ে নাম ও জার্সি নাম্বার লেখা ছিল সেটা কোনোভাবে অনুমোধন করা যায় কি না। যদি না যায়, তাহলে তো বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতাও আছে। কারণ, আইসিসি জার্সি বিক্রি করার জন্য হয়তো অনেককে দিয়ে দিয়েছে। এমন যদি হয়, তাহলে নতুন কোনো ডিজাইনে জার্সি পরিবর্তন করতে পারবো কি না। তাদের কাছে পাঠানোর পর, আজকে আমাদের জানিয়েছে যে, উই ক্যান চেঞ্জ (আমরা পরিবর্তন করতে পারি)।’
আইসিসির অনুমোদন পাওয়ার পরই নতুন ডিজাইনটা ঠিক করা হয়। পাপন বলেন, ‘আইসিসির অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা পুরনো ডিজাইনেই যেতে পারতমা, যেটাতে লাল রঙয়ে লেখা রয়েছে। তবে আমরা কোনো জটিলতায় যেতে চাই না। আকরামকে (আকরাম খান) বলেছিলাম নতুন ডিজাইন চাই। তো আজ আমাকের এই ডিজাইনটা (মোবাইলে নতুন ডিজাইন দেখিয়ে) দেয়া হলো। অথ্যাৎ, অ্যাওয়ে জার্সির সরাসরি উল্টোটা। বুকের ওপর লাল, তার ওপর সাদা রঙয়ে নাম লেখা। এছাড়া হাতায়ও কিছুটা লাল থাকবে। শুধু তাই নয়, ট্রাউজারেও সাইডে লাল স্ট্রাইপ থাকবে।’