এলনিউজ২৪ডটকম : গত ২ জুলাই সোমবার দিনগত রাত থেকে অতি বর্ষণ ও উজার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে লোহাগাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকার নদী ও খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে খাল পাড়ের মানুষ আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বেশ বসতঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মল্লিক ছোবহান সংলগ্ন তেওয়ারীখিল হিন্দু পাড়া এলাকা, ঘোনার পাড়া ও মহুরী পাড়া এলাকায় টংকাবতী নদীর বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে প্লাবিত হয়েছে। মল্লিক ছোবহান মমতাজ ছোবহানী সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সর্বসাধারণের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন আমিরাবাদ ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম ইউনুছ। কলাউজান ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়া সংলগ্ন এলাকায় টংকাবতীর ঢলের পানিতে ৫ বসতঘর বিলীন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। পদুয়া ইউনিয়নের পেঠান শাহ’র পুরাতন বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হাঙ্গর খালের পানিতে ২৫/৩০টি বসতঘর হুমকীর মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও আধুনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া সংলগ্ন এলাকায় হাতিয়ার খালে পূর্বে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাল পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অপরিকল্পতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ও খালের গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী ও খালের পাড় ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং জনবসতি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার আমিরাবাদ, চরম্বা, পদুয়া, পুটিবিলা ও আধুনগর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোহাগাড়ায় ভারী বর্ষণে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। ইতোমধ্যে লোহাগাড়ার কলাউজান, পদুয়া, চরম্বা, বড়হাতিয়া ও চুনতি এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদেরকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাহাড় বেষ্টিত এলাকার মসজিদগুলো থেকে এ আদেশ মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে।