নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গত ১৭ নভেম্বর রবিবার গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় ওইদিনই মিলেছিল। আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে পড়ে থাকা সর্বশেষ অজ্ঞাত লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।
নিহত যুবক মাহমুদুল হক (৩০) লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেইল্যাকাটা সেনেরচর এলাকার আবুল কাশেম ও মমতাজ বেগমের পুত্র। তিনি নগরীর বাকলিয়ার ভেড়ামার্কেটের বেলাল কলোনিতে থাকতেন। পেশায় তিনি ছিলেন রিকশাচালক। তার সন্ধানে ছোট ভাই এসেছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি জানান, রবিবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিহত সাতজনের চারজনের সন্ধান পাওয়া গেলেও বাকি তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি। বিকালে আরও দুজনের পরিচয় মিললেও মাহমুদুলের খোঁজে কেউ আসেনি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার ভাই খুঁজতে আসলে বিস্ফোরণ ট্রাজেডির সর্বশেষ মৃতদেহটিরও পরিচয় জানা যায়।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনার নিহত সকলেই ছিল পথচারী। কেউ স্কুলে, কেউ কাজে আর কেউ তাদের বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো আজকেও জীবন চলার তাগিদে সবাই বেরিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল।
এ ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন পটিয়ার উনাইনপুরা গ্রামের পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী ও পটিয়ার মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এ্যানি বড়ুয়া (৩৮), চট্টগ্রাম আদালতের অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২) ও তার ছেলে স্কুলছাত্র আতিক (১০), রংমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩০), রিকশাচালক আবদুস শুক্কুর (৫০), ভ্যানচালক মো. সেলিম (৪০)।