এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নে সাতগড় নয়া পাড়ায় আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি বনবিভাগের জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০/১৫ জন শ্রমিক পাহাড় কেটে তড়িঘড়ি করে বাড়ি নির্মাণের দৃশ্যটি পরিলক্ষিত করেন। বনবিভাগের স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে এ বসতি নির্মাণ করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনকে জানিয়ে বসতি নির্মাণ করছেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক আবুল কালাম। তিনি বলেন,আমার নিকট আত্মীয় মঞ্জুকে নিয়ে স্থানীয় ফরেস্ট অফিসের বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে। কোন কথা থাকলে চেয়ারম্যান ও মঞ্জুরের সাথে দেখা করুন। তবে বিষয়টি সংবাদকর্মীদের কাছে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ সংবাদকর্মীদের জানান, সরকারি রিজার্ভ জায়গায় সাতগড় বিটের আওতাধীন চুনতি সাতগড় নয়াপাড়া এলাকায় আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি পাহাড় কেটে পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি। কাজ বন্ধ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন সংবাদকর্মীদের জানান, বনবিভাগের সরকারি সংরক্ষিত জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণ সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। আবুল কালামের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
এছাড়া উপজেলার চুনতি সাতগড় নয়া পাড়ায় অবস্থিত বনবিভাগের সংরক্ষিত এ জায়গায় মাটি ও পাঁকা ঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বসতি স্থাপন করেছে। বেদখল করা জায়গাগুলো পুনরুদ্ধারে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। অভিযোগ উঠেছে, বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তাঁরা এখানে বসতি স্থাপন করেছেন।
দখলকৃত এসব জায়গায় সামাজিক বনায়নের আওতায় বাগান যদি বাগান করা যায়, তাহলে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি জমিও উদ্ধার হবে জানান স্থানীয়রা।