- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

সাকিব অধ্যায়ের ইতি, নতুন অধিনায়ক শান্ত

নিউজ ডেক্স: ২০১৭ সালের এপ্রিলে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ। এর প্রায় ৬ বছর পর গত আগস্টে সেই সাকিবের হাত ধরেই তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে যায় টাইগাররা। এবার এক সঙ্গে তিন ফরম্যাট থেকে দায়িত্ব ছাড়ায় সাকিবের নেতৃত্ব অধ্যায়ের ইতি ঘটলো।

আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির বোর্ড সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অন্তত আগামী এক বছরের জন্য তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন শান্ত।

পাপন বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। কালকে পর্যন্ত যেটা কথা হয়েছে; ওর চোখের সমস্যা এখনও যায়নি। কাজেই আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে, তারপর আরেকটা সিরিজ আছে; বিশ্বকাপ আছে। আসলে তাকে পাবো কিনা আমরা নিশ্চিত না। ’

‘অবশ্যই ও আমাদের প্রথম পছন্দ অধিনায়ক হিসেবে সবসময়ই ছিল, এখনও আছে। দুর্ভাগ্যবশত যেহেতু একটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, এটার মধ্যে আমরা থাকতে চাচ্ছি না। কাজেই আমরা সিদ্ধান্ত আর দেরি করতে চাইনি। এখন থেকে বিশ্বকাপের খুব বেশি দেরি নেই, এই সময়ে যেন ভালোভাবে দলটা চলতে পারে; সেজন্য এই নামটা (শান্ত) আমরা ঘোষণা করে দিয়েছি।’-আরো যোগ করেন পাপন।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান।

এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। আর গত বছরের ১১ আগস্ট তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। ৭ মাস পর এবার অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের ইতি টানলেন সাকিব।

সাকিবের রেখে যাওয়া চেয়ারটা এখন শান্তর জন্য বরাদ্দ। এবারই প্রথমবারের মতো স্থায়ীভাবে অধিনায়কত্ব পেলেন শান্ত। তবে এর আগেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিক সময়ে লাল-সবুজের হয়ে টস করেছেন শান্ত। সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়! এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত।

সাদা পোশাকে তার অধিনায়কত্বে মোট ২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে এক টেস্টে হারের বিপরীতে একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে শান্তর নেতৃত্বে ৬ ম্যাচ খেলে ৫ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হার অধিনায়ক শান্তর। অপর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স: নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় গোলশূন্য ড্র ছিল। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটেই কেঁপে উঠল কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারি। শেষ বেলায় ভারতের জালে বাংলাদেশের গোল উৎসব। সাগরিকার একমাত্র গোলে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। 

চার দলের টুর্নামেন্ট চার দলই দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে হারলেও সমস্যা নেই বাংলাদেশের। নেপাল ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দল হবে আরেক ফাইনালিস্ট। বাংলাদেশের আজকের জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হয়েছে ভুটানের।

আজ শুরু থেকেই ম্যাচের গতিবিধি ছিল ড্রয়ের। এই ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশকে ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। সেই অপেক্ষায় রাখেননি সাগরিকা। ইনজুরি সময়ে অধিনায়ক আফিদা খন্দকারের বাড়ানো বলে সাগরিকা দারুণভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

সাগরিকা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেরও জয়ের নায়ক ছিলেন। নেপালের বিপক্ষে ৩ গোলের মধ্যে ২ গোল তার। স্কোরলাইন ২-১ হলে তখন সাগরিকার গোলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। টানা দুই ম্যাচ জয়ের নায়ক এই নারী ফুটবলার। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৬ ফেব্রুয়ারী। ভুটানের বিপক্ষে সেই ম্যাচ শুধু নিয়মরক্ষার। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৮ ফেব্রুয়ারী।

মুমিনের একমাত্র সম্পদ আল্লাহর রহমত

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

ইসলাম ডেস্ক: মানুষ একটু বেশি আমল করলে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবতে শুরু করে। কোনো ক্ষেত্রে তারা অন্যদের খুব খাটো নজরে দেখতে শুরু করে। এটা মোটেই ঠিক নয়। কারণ মানুষ শুধু আমলের ওপর ভর করে জান্নাতে যেতে পারবে না।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকজন প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকেও নয়? তিনি বলেন, আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তার করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা গ্রহণ করো এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে।

কেননা সে ভালো লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৩)

উপরোক্ত হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে মানুষ নিজের যোগ্যতা ও আমল নয়, বরং আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহেই নাজাত পেতে পারে। মুমিনের একমাত্র সম্পদ আল্লাহর রহমত।

আল্লাহর রহমতের আশাই আমাদের পাথেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ! আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। সন্দেহ নেই, আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনিই ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা : জুমার, আয়াত : ৫৩)

তবে মনে রাখতে হবে, নিজের সাধ্যটুকু বিলিয়ে দিয়ে আশা পোষণ করতে হবে।

বীজ বপন না করে চারাগাছের আশা করা যেমন নির্বুদ্ধিতা, তেমনি নেক আমল না করে এবং গোনাহ না ছেড়ে তওবা না করে পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহ পাকের রহমতের আশায় বসে থাকাও তেমনি বোকামি। আবার অনেক নেক আমল করে তা নিয়ে অহংকার করা আরও বড় বোকামি। কারণ সর্বপ্রথম অহংকার করেছিল অভিশপ্ত শয়তান। অহংকার করে সে চিরদিনের জন্য আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কাজেই মানুষের মধ্যে অহংকারী মনোবৃত্তি শয়তানি চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের চরিত্র মানুষের জান্নাতে যাওয়ার পথকে বন্ধ করে দেয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম) পরিমাণও অহংকার আছে, সে (প্রথম পর্যায়েই) জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম) পরিমাণ ঈমান আছে সে জাহান্নামে (স্থায়ীভাবে) প্রবেশ করবে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৯)

তাই আমাদের উচিত, নিজেদের সামান্য আমলেই অহংকারী না হয়ে সর্বদা আল্লাহর দরবারে তওবা করা। অন্যকে আমলের দিক থেকে ছোট না ভেবে নিজের আমলকে কলুষমুক্ত করার চেষ্টা করা। কারণ মহান আল্লাহ কাকে কোন অসিলায় নাজাত দেবেন তা তিনি নিজেই জানেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

চীনের পারমাণবিক ব্যাটারিতে চার্জ ছাড়াই ফোন চলবে ৫০ বছর

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

প্রযুক্তি ডেস্ক: পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি বানিয়েছে চীনা কোম্পানি বেটাভোল্ট। কোম্পানিটি দাবি করছে, এই ব্যাটারি আয়ুষ্কাল হবে ৫০ বছর। বেটাভোল্টের বিভি ১০০ নামে এই পারমাণবিক ব্যাটারি শিগগিরই বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে, নিকেল–৬৩ আইসোটোপ এবং হিরার সেমিকন্ডাক্টর উপাদান। 

বেটাভোল্ট বলছে, এই পারমাণবিক ব্যাটারি মহাকাশ, এআই ডিভাইস, চিকিৎসা, এমইএমএস সিস্টেম, এআই সেন্সর, ছোট ড্রোন এবং রোবটে ব্যবহারের উপযোগী করে তারা তৈরি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে এই ব্যাটারি চালিত স্মার্টফোন। এ ধরনের স্মার্টফোনে কখনো চার্জ দিতে হবে না।  একটি ইলেকট্রনিকস পণ্য কেনার পর ৫০ বছরের জন্য চার্জ নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে এটি নিঃসন্দেহে অভাবনীয় একটি ঘটনা।

অবশ্য বিভি ১০০ উৎপাদন এখন পাইলট পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া এ ব্যাটারি খুব বেশি চার্জ সরবরাহ করতে পারছে না। ১৫ x ১৫ x ৫ মিলিমিটার আকারের ৩ ভোল্টের এ ব্যাটারি মাত্র ১০০ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ডিভাইসের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে একাধিক বিভি ১০০ ব্যাটারি সিরিজ বা সমান্তরালে একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। বেটাভোল্ট জানিয়েছে, ২০২৫ সালে তারা ১ ওয়াট সংস্করণের পারমাণবিক ব্যাটারি বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছে।

নতুন বিভি ১০০ ব্যাটারি দুটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছে বেটাভোল্ট। প্রথমত, ৫০ বছর পর্যন্ত কোনো ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে ক্ষুদ্রাকৃতির এই পারমাণবিক ব্যাটারি। দ্বিতীয়ত, বিশ্বে এটিই প্রথম বড় আকারের হিরার সেমিকন্ডাক্টর উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। কোম্পানিটি এখন তাদের চতুর্থ প্রজন্মের হিরার সেমিকন্ডাক্টর উপাদান ব্যবহার করছে।

বিভি ১০০ ব্যাটারির উন্নয়ন এবং উৎপাদন পরিকল্পনা সম্পর্কে বেটাভোল্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৯৬০–এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) যে পারমাণবিক ব্যাটারি বানিয়েছিল বিভি ১০০–এর সেলগুলো তা থেকে বেশ আলাদা। আগের পারমাণবিক ব্যাটারিগুলো আকারে বড়, বিপজ্জনক, গরম হয়ে ওঠে এবং ব্যয়বহুল। উদাহরণস্বরূপ, কিছু আগের প্রযুক্তির পারমাণবিক ব্যাটারিতে প্লুটোনিয়ামকে তেজস্ক্রিয় শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সে দিক থেকে বেটাভোল্টের বিভি ১০০ ব্যাটারি অনেক নিরাপদ। এতে শক্ত কিছু খোঁচা দিলে এমনটি গুলি করলেও বিকিরণ বেরিয়ে আসবে না।

বেটাভোল্টের ব্যাটারিতে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নিকেল–৬৩ আইসোটোপ। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ করে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এটি তামায় রূপান্তরিত হয়ে স্থিতিশীল হয়। হিরার সেমিকন্ডাক্টর উপাদান ব্যবহার করায় এই ব্যাটারি মাইনাস ৬০ থেকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে সচল থাকে। ইউরোপ–আমেরিকার প্রযুক্তির চেয়েও এই প্রযুক্তি আগানো বলে দাবি করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

দুটি ডায়মন্ড সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে নিকেলের আইসোটোপ দিয়ে তৈরি করা হয় এই ব্যাটারি। ছবি: বেটাভোল্টযেভাবে কাজ করে বিভি ১০০ 
বিভি ১০০ ব্যাটারিতে দুটি হিরার সেমিকন্ডাক্টর কনভার্টারের মাঝে একটি ২ মাইক্রন পুরু নিকেল–৬৩ পাতলা শিট রাখা হয়। বেটাভোল্টের ‘অনন্য একক–ক্রিস্টাল ডায়মন্ড সেমিকন্ডাক্টর’ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়। এই সেমিকন্ডাক্টর মাত্র ১০ মাইক্রন পুরু।

তবে বিভি ১০০–এর পরবর্তী সংস্করণ ১ ওয়াট শক্তির হবে বলা হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি শক্তিশালী ডিভাইসগুলোর জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। এ কারণে বেটাভোল্ট বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে এমন ডিভাইসের জন্য স্ট্রন্টিয়াম–৯০, প্রমিথিয়াম–১৪৭ এবং ডিউটেরিয়ামের মতো আইসোটোপগুলো যাচাই করে দেখছে। এগুলোর উচ্চ শক্তিস্তর আছে তো বটেই, এগুলোর আয়ুষ্কাল হতে পারে ২৩০ বছর পর্যন্ত।

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন তামিম

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : লন্ডন থেকে দিন কয়েক আগেই স্বস্তির খবর এসেছিল। কোমরের ব্যথার স্থায়ী সমাধান পেতে অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও, আপাতত সেই পথে হাঁটছেন না তামিম ইকবাল।

তবে কোমরের ডিস্কে সবমিলিয়ে ৫টি ইনজেকশন নিতে হয়েছে বাঁহাতি এই ওপেনারকে। সেখানে পর্যবেক্ষণ শেষে আজ সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন তামিম।

এদিন দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তামিম। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সোজা চলে গেছেন নিজ বাসার গন্তব্যে।

জানা গেছে, দেশে ফিরে আপাতত ১৪ দিনের বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে তামিমকে। এরপর ধীরে ধীরে অনুশীলনে ফিরবেন টাইগার এই ওয়ানডে অধিনায়ক।

এদিকে আজ থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্প। এরপর ৫-৬ আগস্টের মধ্যে ২১-২২ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা নির্বাচকদের।

আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জরুরি আলোচনার কথা রয়েছে তামিমের। সেখানেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করবেন তিনি। মাঠে ফিরলেও অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন কি না এমন সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে দুই পক্ষের সেই আলোচনা শেষে।

এমবাপ্পেকে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি!

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

স্পোর্টস ডেস্ক: গত কয়েক মৌসুম ধরেই কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলদবলের সময় এলেই বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ফরাসি ফরোয়ার্ড নিজেও এবার ক্লাব ছাড়তে আগ্রহী।  

কিন্তু দলের সেরা তারকাকে কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। এজন্য ‘টাকার থলে’ উন্মুক্ত করে দিতেও রাজি ক্লাবটি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘দিফেন্সা সেন্ট্রাল [1]‘ দাবি করেছে, এমবাপ্পের জন্য ১০ বছর মেয়াদী অবিশ্বাস্য এক প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। যার অর্থমূল্য ১ বিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফুটবল ইতিহাসেই এমন চুক্তির নজির নেই।

চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হলে, ৩৪ বছর বয়স পর্যন্ত পিএসজিতে থাকবেন এমবাপ্পে। অর্থাৎ ক্যারিয়ারের বাকি সময়ের প্রায় পুরোটাই প্যারিসে কাটাবেন তিনি। সেই সঙ্গে ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের তকমাও যাবে তার ঝুলিতে। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এমবাপ্পে নিজে অর্থের লোভে পড়তে রাজি নন। এক মৌসুম পরেই রিয়াল মাদ্রিদে যেতে চান তিনি। যেখানে গেলে অন্তত ইউরোপ সেরার মুকুট পরতে পারবেন এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা। সেই সঙ্গে ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্নও পূরণ করতে চান তিনি।

এর আগে ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’ জানিয়েছিল, নতুন চুক্তিতে রাজি নন এমবাপ্পে। বরং আগামী গ্রীষ্মে ক্লাব ছাড়ার কথা পিএসজিকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে কাতারি মালিকানাধীন ক্লাবটি নাকি জবাবে জানিয়ে দিয়েছে, হয় নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে, নয়তো এই গ্রীষ্মেই তাকে বেচে দেওয়া হবে।

‘দিফেন্সা সেন্ট্রাল’ জানিয়েছে, এমবাপ্পেকে ধরে রাখতে ১ বিলিয়ন ইউরোর লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছেন পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল-খেলাইফি। এমনকি খোদ কাতারি আমির নিজেই নাকি এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। তবে যদি শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে হয়তো বেচে দেওয়ার পথেই হাঁটবে পিএসজি। সেক্ষেত্রে বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিতে হবে আগ্রহী ক্লাবগুলোকেও।

সান্ত্বনার জয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ওয়ানডেতে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুই দল। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা আফগানিস্তানের সামনে সুযোগ ছিল বাংলাদেশকে প্রথমবার ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করার। অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মান বাঁচানো। সেই মিশনে স্বাগতিক বোলাররা লেটার মার্ক তুলেছে। আর বাকি কাজটুকু সহজেই সেরেছেন ব্যাটাররা। ফলে সান্ত্বনার জয়ে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।  

আজ (১১ জুলাই) টস জিতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার ছিলেন শরিফুল। জবাবে ২৩ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৭ রান করেছেন লিটন দাস। এই ম্যাচ হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তামিমের বিশ্রামে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ আবারও ব্যর্থ। এবার ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারলেন না এই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ফারুকির লেন্থ বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাতে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টিকেছে কেবল ১৪ বল, স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে ২ রান।

নাঈম দ্রুত ফিরলেও লিটন-শান্ত জুটি আক্রমণাত্মকই শুরু করেছিল। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারুকিকে ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। একবল পর এই পেসারকে আরও একবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন শান্ত। কিন্তু পরের বলেই তার স্টাম্প উপড়ে গেছে। সোজা বলে লাইন মিস করে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১১ রান।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন সাকিব-লিটন। মনে হচ্ছিল, তারাই ম্যাচ শেষ করে আসবেন। সেটি আর হলো না। মোহাম্মদ নবির বলে ক্যাচ তুলে ফিরলেন সাকিব। শর্ট লেংথে দেখে টেনে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে যেদিকে চেয়েছিলেন, সেদিকে সেভাবে খেলতে পারেননি। ৩৯ বলে ৩৯ রান করে থেমেছেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথেই বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান আর ৬০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন।

গত দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও শেষ ম্যাচে দলের মতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক লিটনও। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক। তাতে  ২৩ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এ জয়ে ৯ বছর দেশের মাটিতে ধবলধোলাই না হওয়ার রেকর্ডটা টিকে থাকল বাংলাদেশের।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথম বলেই উইকেট, তারপর তিনটি ডট। পঞ্চম বলে আবারো উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় আর শরিফুলের দ্বিতীয় ওভারের গল্প এটি। আগের ম্যাচে আফগান ওপেনিং জুটি থেকে এসেছিল ২৫৬ রান। তবে আজ তাদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে মাত্র ৩ রানেই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান আজ ফিরলেন ৬ বলে ১ রান করে। তার বিদায়ের তিন বল পর শরিফুলের বাড়তি বাউন্সে খোঁচা দিয়ে ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমত শাহও।

এরপর আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজও দ্রুত ফেরেন। তাসকিনের বাউন্সারে পুল করার চেষ্টা করেছিলেন এই ওপেনার, কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। দারুণ ক্যাচ লুফে নেন মুশফিক। ৬ রান করে এই ওপেনার ফিরলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা। কাকতালীয় ব্যাপার, এই তিনজনই মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন।

টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল আফগানিস্তান তখন উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নবি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ওপর গুরু দায়িত্ব ছিল দলকে এমন পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলার। কিন্তু সেটা তো পারলেনই না, উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। ফলে ১৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

পাওয়ার প্লেতে দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুলকে টানা ৫ ওভার করে ব্যবহার করেছেন লিটন। এগারোতম ওভারে মিরাজকে দিয়ে প্রথমবার স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে অপর প্রান্তে আসেন সাকিব। দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন আক্রমণেও সফলতা পান লিটন। অধিনায়ককে সাফল্য এনে দিতে এদিন সাকিব সময় নিলেন ১৮ বল। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে এই বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নজিবুল্লাহ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন তিনি। তবে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৫। ফলে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে উইকেট শিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষ দুইয়ে ওঠেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ভেট্টোরির থেকে ৬০ ম্যাচ কম খেলেই তার এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাকিব।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একটা প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। কিন্তু আফগান অধিনায়কের সেই চেষ্টা বৃথা গেছে বাজে শটে। তাতে দলে ফিরেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে আগে থেকেই রিভার্স সুইপ করবেন বলে হয়তো ঠিক করেছিলেন শাহিদি। পজিশনেও চলে যান আগেই। কিন্তু বল পাননি নাগালে। শেষ মুহূর্তে বদলাতেও পারেননি পজিশন, রিভার্স সুইপই করার চেষ্টা করেন। বল আঘাত করে স্টাম্পে।

নতুন বলে আফগানদের কাঁপন ধরিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসেও যেন শেষ থেকেই শুরু করলেন। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন এই পেসার। শরীর তাক করে আসা বাউন্সারে পুল করেন আব্দুল রহমান রহমানি। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি তিনি, বল রাখতে পারেননি নিচেও। ডিপ ফাইন লেগে কিছুটা দৌড়ে ক্যাচ নেন তাইজুল ইসলাম। এই উইকেটসহ ১৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শরিফুল ম্যাচে চার উইকেট নিলেন তৃতীয়বার।

ওমরজাইয়ের সঙ্গে জিয়ার জুটিটি একটু হলেও আশা জোগাচ্ছিল আফগানিস্তানকে, অন্তত বল খেলার দিক দিয়ে। তবে ৫৩ বল টেকার পর ভাঙল সেটি। ওমরজাইকে সঙ্গ দেওয়ার কাজ করা জিয়া বোল্ড হলেন তাইজুলের বলে। ব্যাকফুটে গিয়ে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন তিনি। জিয়া সাজঘরে ফেরার পর উইকেটে আসেন মুজিব।

৩২ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন ওমরজাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই যা টেনেছেন আফগানিস্তানকে। পেয়েছেন ব্যাক্তিগত ফিফটিও। ওমরজাইকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুজিব। কিন্তু তাড়া-হুড়া করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন। মিরাজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি।

উইকেটে আসার পর একও প্রান্তে দেয়াল হয়ে ছিলেন ওমরজাই। শেষ পর্যন্ত সেই দেয়াল ভেঙেছনে তাসকিন আহমেদ। ৪৬তম ওভারে এই অলরাউন্ডারকে ৫৬ রানে ফিরিয়েছেন এই পেসার। তাতে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ১২৬ রান করে।

‘কোনো চাপ কি তোকে বাধ্য করেছে’, তামিমকে মাশরাফির প্রশ্ন

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

স্পোর্টস ডেস্ক: কোনো ইঙ্গিত বা আভাস কিছুই দেননি। সিদ্ধান্তটা একদম হুট করেই জানালেন। যদিও তামিম ইকবাল বলেছেন, অনেকদিন আগে থেকেই এরকম কিছু করার কথা ভাবছেন। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসরের সিদ্ধান্ত ভাবাচ্ছে অনেক কিছুই।

বাকি সবার মতো মাশরাফি বিন মুর্তজাও অবাক। তামিমের সিদ্ধান্তকে শতভাগ সম্মান জানালেও, কিছু কিন্তু বিরাজ করছে সাবেক এই অধিনায়কের মনে। তাই প্রশ্নও জুড়ে দিলেন, কোনো চাপ কি তামিমকে অবসর নিতে বাধ্য করছে? ভক্তদের মতো মাশরাফি নিজেও খুঁজছেন সেই উত্তর। চাইলে অবশ্য তিনি এর ময়নাতদন্ত করতে পারেন। কিন্তু তামিমের সম্মানেই সেটা করবেন না মাশরাফি।

নিজ চোখে ছোট থেকে বড় হতে দেখা তামিমকে নিয়ে ফেসবুকে মাশরাফি তাই লিখলেন আবেগী বার্তা। এর পুরোটাই তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য-

‘তামিম, তোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই একান্তই তোর। এটা কারও ভালো লাগলেও তোর, ভালো না লাগলেও তোর। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই হবে। তবে সবচেয়ে ভালো কোনটা, সেটা তুই ছাড়া কেউই ভালো বুঝবে না। তাই তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি ব্যক্তিগতভাবে শতভাগ সম্মান জানাই।

তবে কিছু কথা জানতে মন চায়, মাত্র ৩৪ বছর ১০৮ দিনেই বিদায় কেন! আসলেই কি চালিয়ে যেতে পারছিস না? না কি কোনও চাপ তোকে বাধ্য করেছে! তোর অনেক ভক্ত হয়তো খুঁজে ফিরবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। আজ খুঁজবে, এমনকি ভবিষ্যতও আরও অনেকদিন খুঁজবে।

তোকে প্রথম দেখেছি চট্টগ্রামে তোদের বাসায়, হাফ প্যান্ট পরে খেলছিলি। তোর ভাই, আমার বন্ধু নাফিস ইকবাল তোকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। পরের বার দেখলাম জাতীয় লিগে ওপেন করতে, খুলনার মাঠে। তারপর ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তুই হয়ে গেলি বন্ধুর মতো। কত দিন কত রাত এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, একসঙ্গে খেতে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, দুষ্টুমি, মজা, তর্ক, খেলা নিয়ে কত কত আলোচনা করেছি, সেসবের কোনও হদিস নেই।

যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলাম, তখন তুই ছিলি আমার অন্যতম স্নাইপার। সেটা তুই নিজেও খুব ভালো করেই জানিস। যেদিন দল থেকে বের হয়ে এলাম, সেদিন তুই আমাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলি। পরে
সারারাত একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলাম। যে কোনও সিরিজ বা সফরে তুই ছিলি আমার রুমে আড্ডার অবধারিত সঙ্গী। আরও কত শত স্মৃতি এখন মনে পড়ছে!

তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে, তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত।

তোর মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি, সেই সঙ্গে এটাও বলছি যে, তুই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা কিছু দিয়েছিস, তা আমরা আজীবন মনে রাখব। একজন তামিম হয়ে উঠতে কতটা পরিশ্রম, কতটা সময়, কতটা মেধা আর কত ত্যাগ থাকতে হয়, তা সময় সব কিছু বুঝিয়ে দেবে। তোর প্রতি রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। পরবর্তী জীবন পরিবার নিয়ে দারুণ কাটাবি, সেই আশাই করছি।

আর একটা কথা, দলের ভেতর নানা পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্লেষণ নির্ভর আলোচনা এখন কে করবে, ঠিক জানি না। হয়তো কেউ করবে। তবে তুই এই জায়গায় সবসময়ই থাকবি সেরাদের সেরা।

গুড বাই মি. তামিম ইকবাল খান। একজন কিংবদন্তির বিদায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভ কামনা, এগিয়ে চলুক দুর্বার গতিতে। আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।’

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে পাকিস্তানের লক্ষ্যটা ছিল ৬০ রানের। শুরুতেই পাকিস্তানের মেয়েদের চেপে ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা। শেষ দিকে জিততে দুই ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে শেষ ওভারে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা। ফলে ৬ রানের জয়ে নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

হংকংয়ের টিন কং রোড রিক্রেয়েশন গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৯ ওভারে ৫৯ রান করে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল। জবাবে ৯ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান নারী ‘এ’ দল।

মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই হানা দেয় বৃষ্টি। যে কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৯ ওভারে। বৃষ্টিস্নাত উইকেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪ রানে সাথী রানিকে  বোল্ড করে টাইগ্রেস শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ফাতিমা সানা। সেই থেকে শুরু। এরপর আর ১২ রান যোগ করতেই প্রথম সারির আরও ৫ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।

১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল দল, তখন খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন নাহিদা আক্তার। তার ১৬ বলে ২১ রানের ইনিংসে বড় করে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল পাকিস্তান। শাওয়াল জুলফিকার এবং এমা ফাতিমার ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই প্রায় অর্ধেক রান তুলেছিল পাকিস্তান। ১৮ রান করে ফাতিমা সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে এরপরও পথা হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রানে থামে পাকিস্তান।

এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। টাইগ্রেসদের ১৪৮ রানের জবাবে মালয়েশিয়া ৮ উইকেটে মাত্র ৫১ রানেই থেমে যায়। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় সেই ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। ফলে দুদলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়।

তৃতীয় ম্যাচেও প্রকৃতির একই রূপ। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ম্যাচটি, আরেকটি নিষ্পত্তিহীন ম্যাচের অর্ধেক পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল: ৯ ওভারে ৫৯/৭ (সাথি ৪, দিলারা ৪, সোবহানা ০, লতা ০, মুর্শিদা ১, স্বর্ণা ৪, রাবেয়া ১০*, নাহিদা ২১, সুলতানা ৬*; ফাতিমা ২-০-১০-৩, আনোশা ২-০-৬-২, উম্মে হানি ১-০-১১-০, আরব ২-০-৮-০, তুবা ২-০-২২-১)

পাকিস্তান নারী ইমার্জিং দল: ৯ ওভারে ৫৩/৪ (জুলফিকার ১১, আইমান ১৮, সাদাফ ৮, নাটালিয়া ২, ফাতিমা ১০*, আরব ৩*; মারুফা ২-০-৯-১, সানজিদা ২-০-২০-০, নাহিদা ২-০-৮-১, রাবেয়া ২-০-১৩-২, সুলতানা ১-০-২-০)

ফল: বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল ৬ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: নাহিদা আক্তার।

মৃত্যুর গুঞ্জনে সাফা কবির বললেন, ‘আল্লাহর রহমতে ভালো আছি’

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে  ছড়িয়ে পড়ে অভিনেত্রী সাফা কবির মারা গেছেন! এই গুঞ্জনে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে পোস্ট দিয়ে ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী জানালেন, তিনি অক্ষত ও ভালো রয়েছেন।  

অন্যদিকে, গণমাধ্যম বলছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সংগঠক শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে সাফা কবিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই খবরের রেশ ধরেই গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই সাফা কবির নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানালেন, তিনি ঠিক আছেন।

সাফা কবির লেখেন, ‘হ্যালো এভ্রিওয়ান। সবাইকে ছুটির দিনের শুভেচ্ছা। একটি ভুল পোস্টে আমাকে অনেকেই ট্যাগ করছেন। নামের সাথে মিল থাকায় অনেকেই আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। না জেনে এভাবে প্যানিক ছড়ানোটা ঠিক না। এতে আমাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, বিব্রত হতে হয়েছে। ’

তিনি ভালো রয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি, ভালো আছি।
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ সবার ভালো করুক, আমিন। ’