এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বায় কৃষকের শস্যক্ষেতে বন্যহাতির দল তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বুধবার (১১ আগস্ট) রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের টংকাবতী বনবিট অফিসের সামনে ভরাচরে এ তান্ডব চালায়। হাতিরদল খেয়ে ফেলেছে ক্ষেতের শষ্য। একইদিন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, চরম্বা ইউনিয়নের নোয়ারবিলা এলাকার জাগির হোসেনের পুত্র আবদুল মান্নান (৩২), আবুল কাশেমের পুত্র রাজিব উদ্দিন (২৩), মৃত বাঁচা মিয়ার পুত্র জাগির হোসেন (৭০) ও রাজঘাটা এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র বেলাল উদ্দিন (৩৫)।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, টংকাবতী খালের চরে প্রায় ১০ কানি জমিতে তারা শষা, বরবটি ও তিতকরলা চাষ করেন। ঘটনার রাতে প্রায় ২০টি বন্যহাতির দল তাদের ক্ষেতে তান্ডব চালায়। এতে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তান্ডব চালিয়ে ভোরে ক্ষেতের অদূরে বনে হাতির দলটি অবস্থান করছে। হাতির দলটি ক্ষেতে পুণরায় তান্ডব চালানোর আশংকা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কয়েকদিন পরে তারা ক্ষেত থেকে শস্য বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বনবিট অফিসের সামনে হয়েও বনবিভাগের লোকজন তান্ডবকালীন হাতি তাড়াতে কোন সহযোগিতা করেন না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
কৃষক রাজিব উদ্দিন জানান, এনজিও থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিন কানি জমিতে বরবটি ও তিতকরলা চাষ করেছেন। ক্ষেতের ফসল বিক্রি করতে পারলে ঋণ পরিশোধ করে লাভবান হতে পারতেন। কিন্তু বন্যহাতির দল সব তছনছ করে দিয়েছে। এছাড়াও কৃষক জাগির হোসেন স্বর্ণ বন্ধক, ধান ও গরু বিক্রির টাকা দিয়ে ৪ কানি জমিতে শষা, তিতকরলা ও বরবটি চাষ করেছিলেন। বন্যহাতি তান্ডব চালিয়ে সব শেষে করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের পদুয়া রেঞ্জের আওতাধীন টংকাবতী বিট কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, গভীর রাতে বিট অফিসের সামনে বন্যহাতি আসার ব্যাপারে অবগত হয়েছেন। অফিসের সামনে টংকাবতী খালের চর বনবিভাগের জায়গা। তারা বনবিভাগের জায়গা দখল করে শস্যক্ষেত করেছেন। তিনি জানান, হাতির জায়গায় তারা চাষাবাদ করেছেন। বিট অফিসও হাতির জায়গা। হাতি এসে অফিসের আশপাশের গাছ থেকে ফল খেয়ে ফেলে। হাতির জায়গায় হাতি আসা-যাওয়া করবে এতে আমাদের করার কিছুই থাকে না।