- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

বড়হাতিয়ায় পুকুর থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় পুকুর থেকে জনি চন্দ্র দাশ (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুসাঙ্গের পাড়া মহবোধি বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

জনি চন্দ্র দাশ একই ওয়ার্ডের ভবানীপুর ধুপি পাড়ার সুনীল চন্দ্র দাশের পুত্র ও মধ্যম বড়হাতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। এছাড়া প্রায় এক মাস পূর্ব থেকে বড়হাতিয়া মনুফকির হাট বাজারে জনি লন্ড্রি নামে এক কাপড় ধোলাইয়ের দোকান পরিচালনা করত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুকুরে একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পান তারা। এরপর জনৈক শিমুল বড়ুয়া জনি চন্দ্র দাশের পরিবারকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের পিতা সুনীল চন্দ্র দাশ জানান, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা তার ছেলে জনি চন্দ্র দাশকে মোবাইলে ফোন করে দোকান থেকে বের হতে বলে। এরপর থেকে তার ছেলে আর বাড়ি কিংবা দোকানে আসেনি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে তিনি মনে করেন জনি তার বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে গেছে। পরদিনও ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয় কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রায় তিন মাস পূর্বে তার মা বীণা বালা দাশও জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

নিহতের ছোট ভাই জনি চন্দ্র দাশ জানায়, সেও মধ্যম বড়হাতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বড় ভাইয়ের কাপড় ধোলাইয়ের দোকানে সহযোগিতা করত। ঘটনার দিন শনিবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা ফোন করে তার ভাইকে ব্রিজের পাশে যেতে বলে। তবে কোন ব্রিজের পাশে যেতে বলে তা সে জানে না। কিছু না বলে তার ভাই দোকান থেকে বের হয়ে যায়। রাত ১০টায়ও ফিরে না আসায় সে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে একটি ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরে পচন ধরেছে। মরদেহের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

চকরিয়ায় গলা কেটে মুয়াজ্জিনের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের চকরিয়ায় অটোরিক্সা উল্টে টিন ছিটকে গলা কেটে মাওলানা রুহুল কাদের (৩২) নামের এক মোয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

রুহুল কাদের পৌরসভার পূর্ব নিজাপানখালী এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ভাঙ্গারমুখ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড়ের কাউন্সিলর মো. বেলাল উদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ি থেকে ভাঙ্গারমুখ এলাকায় যাচ্ছিলেন রুহুল কাদের। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ছাদের উপর করে টিন নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভাঙ্গারমুখ এলাকা পৌঁছলে অটোরিক্সাটি উল্টে গিয়ে টিন ছিটকে রুহুল কাদেরের গলায় গিয়ে পড়ে। এ সময় তার গলার অর্ধেকাংশ কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাতকানিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সালমা আকতার। আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ভোয়ালিয়াপাড়া মাঝের মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশু সালমা চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ফুলতলা এলাকার আফসার উদ্দিনের কন্যা।

জানা যায়, সাতকানিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়াপাড়া মাঝের মসজিদটি শতবর্ষী। এই মসজিদে অনেকেই আসেন মানত পূরণের লক্ষ্যে। তেমনই আজ সোমবার দুপুরে চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার ফুলতলা এলাকার আফসার উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরাও আসেন আগের করা ১টি মানত পূরণের জন্য। তাদের সাথে আসে শিশু সালমাও। একসময় শিশু সালমা সবার অগোচরে মসজিদের পুকুর ঘাটে নামলে হঠাৎ পা পিছলে পুকুরে পড়ে গিয়ে তলিয়ে যায়।

পরে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আরফাত উল্লাহ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। আজাদী অনলাইন

দলিল জালিয়াতি : তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকের পক্ষে রায় এসিল্যান্ডের

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় দলিল জালিয়াতি করে দীর্ঘদিন যাবত অন্যের জমি ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে মুহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের গোলাম নবী হাজির পাড়া এলাকার মৃত তজু মিয়ার পুত্র। ভূক্তভোগী মুহাম্মদ নজির আহমদ একই ইউনিয়নের আমিরাবাদ কিল্লার আন্দর এলাকার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র।

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত মোহাম্মদ হোসেন একটি জায়গার দলিল জালিয়াতি করে নামজারি করে নেয়। পরে উক্ত দলিলের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান ভূক্তভোগী মুহাম্মদ নজির আহমদ গং। বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী তদন্ত করেন। এতে দলিলটি জালিয়তি প্রমাণ হলে ২০২১ সনের ২৫ আগষ্ট প্রকৃত মালিকের পক্ষে রায় দেন।

ভুক্তভোগী মুহাম্মদ নজির আহমদ জানান, আমার জায়গার দলিল জালিয়াতি পূর্বক প্রতারণা করে নামজারী করেছিল মুহাম্মদ হোসেন। আমি সেটার বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি। এসিল্যান্ড তদন্তপূর্বক জায়গার প্রকৃত মালিকের পক্ষে রায় দেন। এজন্য এসিল্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদান করেন তিনি। এছাড়া এলাকায় মুহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত মুহাম্মদ হোসেন জানান, উপজেলার জনৈক এক ব্যক্তিকে নামজারী করতে দিয়েছিলাম। সে আমাকে একটি দলিল তৈরী করে দেন। সেটা অনেক দিন আগে। তবে, আমি কোন ধরণের দলিল জালিয়াতি করি নাই। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র। দলিল জালিয়াতি ব্যাপারে আমি জড়িত নয় বলেও তিনি জানান।

লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, মুহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি দলিল জালিয়াতি করে হয়রানীর চেষ্টা করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে জায়গার প্রকৃত মালিক নজির আহমদের পক্ষে রায় দেয়া হয়েছে। কেউ দলিল জালিয়াতি করে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, ভয়ংকর এলাকা পাহাড়তলী-সীতাকুণ্ড

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : যানজট এড়িয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনে ভ্রমণকেই বেছে নিতে চান যাত্রীরা। কিন্তু এই ভ্রমণ এখন ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।পাথর নিক্ষেপে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, রোধ করা যাচ্ছে না বিকৃত রুচির মানুষগুলোকে।  

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও সীতাকুণ্ড এলাকায় প্রায়ই চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। ২০১৩ সালে ভাটিয়ারীতে চলন্ত ট্রেনে বাইরে থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে নিহত হন প্রকৌশলী প্রীতি দাশ (২৪)। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ছোড়া ঢিল থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ১৩ মাস বয়সী শিশু।

রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে কারও শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই।

এমন ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও মনোবিকৃতি ঘটা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। জিআরপি সূত্রে জানা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িত ৮০ ভাগই বস্তির শিশু-কিশোর এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি। বস্তির শিশুদের আটক করা হলেও প্রমাণের অভাবে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত নয় মাসে রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে ১১০টি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাথর নিক্ষেপের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯ জন যাত্রী। ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙেছে ১০৩টি। চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় পাহাড়তলী এবং সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে।  

পাহাড়তলী ও সীতাকুণ্ডের রেলপথে দুইপাশে অনেক বস্তি ও জঙ্গল ঘিরে দিন-রাত চলে বখাটেদের আড্ডা, মাদক সেবন সহ নানান অসামাজিক কার্যকলাপ। ফলে এসব এলাকা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ট্রেন যাত্রীদের জন্য।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ছে, তারা সেটাকে অপরাধ বলে মনে করে না। শুধু আনন্দ পেতে অনেকে এই কাজ করছে। আবার অনেকে হয়তো ভাবে, পাথর ছোড়া হলে ট্রেন থামবে কিংবা কিছু জিনিসপত্র কুড়িয়ে পাওয়া যাবে। মূলত, এটা করে  তারা অসুস্থ আনন্দ পাচ্ছে।

জানা গেছে, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে আরও দেড় হাজার জনবল চেয়েছে রেলপথ বিভাগ। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্যমান জনবলের সঙ্গে আরও ১ হাজার ৫০০ জনবল বাড়ানো হলে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে।  এ ঘটনা এড়াতে ট্রেনের জানালায় তারের জাল (নেট) বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন রেলপথের যে জায়গাগুলো থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় সেগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ এবং নরসিংদী সদর, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা।  

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে আমরা কাজ শুরু করেছি। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে আমাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে মানুষকে বুঝাচ্ছি পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে। শিক্ষকদেরও বলছি, যাতে তারা পাঠদানেও এ বিষয়টি তুলে ধরেন। জুমার দিনেও আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার মসজিদে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছি। এলাকার লোকজনকে সচেতন করছি।

তিনি আরও বলেন, পাথর নিয়ে কেউ হাঁটলেও তাকে আটক করছি। বাচ্চা হলে মা বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। এছাড়া কিছু কিশোর যখন চলন্ত ট্রেনে উঠতে চায় তখন যাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পাথর নিক্ষেপ করে।  

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ঠেকাতে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিযানের পাশাপাশি আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালাচ্ছি। বাংলানিউজ

ঘরে ঘরে বোবা কান্না, সংসার চালানোই এখন দায় : রিজভী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো রকম যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দয়ামায়া নেই। তাই আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। 

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। -যুগান্তর

বিএনপির এ নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে এক শাসরুদ্ধকর দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন। রাষ্ট্রীয় লুটেরা দস্যুদের পায়ের তলে অশ্রুপাত করছে মানবতা

রিজভী বলেন, করোনার অভিঘাতে মানুষের আয় রোজগারে যখন টানাপড়েন অবস্থা তখন হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, তরিতরকারি, মাছ-মাংস, পোলট্রি মুরগি, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন এবং ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ অসম্ভব হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য। 

‘পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বৃদ্ধি করা হয়েছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেট।’ 

তিনি আরও বলেন, বর্গীরা যেমন আগে বাংলাদেশে আসত, লুট করত আর চলে যেত। এরাও ঠিক একইভাবে লুট করছে। বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে এবং সেখানে দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।

মারা গেলেন সৌদি রাজপুত্র আবদুল্লাহ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : সৌদি আরবের রাজপুত্র আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ বিন ফয়সাল আল-সৌদ আর নেই।

সৌদি রয়েল কোর্ট এক ঘোষণায় তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। 

স্থানীয় সময় সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানী রিয়াদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র: খালিজ টাইমস।

মহামারীতে মানসিক সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪.৬% শিক্ষার্থী

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নিজে কিংবা পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছেন বলে একটি জরিপে উঠে এসেছে। সামাজিক সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের প্রভাব’ শীর্ষক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংগঠনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

আঁচল ফাউন্ডেশন জানায়, শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান কারণ। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২ হাজার ৫৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহামারীকালে জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ বা ২ হাজার ১৬০ জন মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ার তথ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বেশি সংখ্যায় এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, যা জরিপে মোট অংশগ্রহণকারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এদের কোভিডকালীন মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার দ্বিতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে সঠিক সময়ে না ঘুমানোর কথা উঠে এসেছে জরিপে।

তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় দিনের বড় একটা সময় তাদের স্ক্রিনের সামনে অতিবাহিত করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এর মধ্যে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, মাথা ব্যথা, কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটা অন্যতম। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির আরেকটি বড় কারণ এটি বলে জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া জরিপ থেকে মানসিক সমস্যার আরও যেসব কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে সেগুলোর শীর্ষে রয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, দ্বিতীয় স্থানে আছে একাকীত্ব। অপরদিকে সেশনজটকে মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে তৃতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আঁচল ফাউন্ডেশন জানায়, ধারাবাহিক জরিপ কাজের অংশ হিসেবে পরিচালিত এবারের জরিপটির মূল লক্ষ্য ছিল কোভিড-১৯ মহামারির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, সে বিষয়ে বিশ্লেষণ করা।

জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, মহামারীকালে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মন খারাপ থাকা, ঠিকমত ঘুম না হওয়া, নিজেকে তুচ্ছ ভাবা ইত্যাদির সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯৯৯ জন পুরুষ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ১ হাজার ৫৫২ জন নারী শিক্ষার্থীর ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

কোভিডকালীন অবস্থান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী মহামারীকালে শহরে অবস্থান করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী শহরে এবং ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ গ্রামে অবস্থান করেছেন। এদের মধ্যে যারা বিষন্নতায় ভুগেছেন তাদের মধ্যে শহরে ছিলেন ৮৪ শতাংশ ও গ্রামে ছিলেন ৮৬ দশমিক ২ শতাংশ। এ হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে অবস্থানরতদের মানসিক সমস্যায় ভোগার হার তুলনামূলকভাবে বেশি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জরিপে উঠে আসে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী মোট ৭৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯১ জন বা ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। জরিপের তথ্য বিশ্লেষণের পর ধারণা করা যায়, অনলাইনে ক্লাশ চলমান থাকায় এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক সমস্যার হার তুলনামূলক কম বলে গবেষকরা মনে করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মানসিক ঝুঁকি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের লিডার সাজিয়া ইফফাত বলেন, ‘এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে এটি শিক্ষার্থীদের অগ্রসরের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী হই, তবে শিক্ষার্থীরা এ মানসিক সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’

উত্তরণের বিষয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, ‘সমস্যাটা এমন যে, এটা একপাক্ষিকভাবে সমাধান করা কঠিন। আমরা দেখতে পাই, যেসব শিক্ষার্থী ঠিকমত ঘুমাতে যান না, তাদের মাঝে বিষণ্নতা বেশি। যারা অতিমাত্রায় ডিভাইস ব্যবহার করেন তাদের ডিপ্রেশনের হার বেশি। পরিমিত ঘুম, সঠিক মাত্রায় ডিভাইস ব্যবহার, কোনও কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আফসানা বেগম, সাইকোলজিস্ট দীপন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

পাল্টে যাচ্ছে মাতারবাড়ি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, কন্টেনার টার্মিনাল, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে তোলা মাতারবাড়ি বন্দর আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের গভীর সমুদ্র বন্দরের চাহিদা পূরণ করতে শুরু করবে।

সূত্র জানিয়েছে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০০ মেগাওয়াট করে দুটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে মাতারবাড়িতে। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ জাপানের জাইকার সহায়তায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানির জন্য গড়ে তোলা বন্দরই গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে উঠছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

মাতারবাড়িকে একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাতারবাড়িতে ইতোমধ্যে আড়াইশ মিটার প্রস্থ এবং ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যানেলকে পাশে আরো একশ মিটার বাড়িয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর করা হবে। এখানে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো হবে। ইতোমধ্যে এই বন্দরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল নিয়ে একাধিক জাহাজ ভিড়েছে। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এই বন্দরে বাণিজ্যিকভাবে জাহাজ ভিড়ানোর কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাতারবাড়িতে শুধু কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা গভীর সমুদ্র বন্দরই নয়, এখানে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেওয়ার মতো নানা ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। এখানে এলএনজি আমদানি এবং সরবরাহের আরো বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। গভীর সমুদ্র বন্দরে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ যাতে অনায়াসে ভিড়তে পারে সেই ব্যবস্থা থাকবে। বন্দরের পাশাপাশি বড় ধরনের কন্টেনার টার্মিনালও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই বন্দরকে ঘিরে মাতারবাড়িসহ সন্নিহিত অঞ্চলে শিল্পায়নের বড় বলয় তৈরি হবে। এসব কর্মকাণ্ড যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য শুল্কায়ন, ওয়্যার হাউজ, পানি শোধনাগার, বিদ্যুৎ সরবরাহ, গ্যাস সরবরাহ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামো গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১০ বিলিয়ন বা ৮৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত হচ্ছে ৬৮টি প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মহেশখালী দেশের অর্থনৈতিক হাব হয়ে উঠবে।


মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা গতকাল বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম জোরেশোরে শুরু হয়েছে। চ্যানেল প্রশস্তকরণ এবং ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এই বন্দরে পুরোদমে বাণিজ্যিক জাহাজ হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আসছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০২৪ সালে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট এবং জুলাই মাসে ৬০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রায় ৫৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার আগেই গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। এর আগে সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজও সম্পন্ন হবে। ২০২৪ সালের আগেই মাতারবাড়ি দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। -আজাদী

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ নিহত ৩

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বগুড়ার শেরপুরে নিজ বসতবাড়ির উঠান পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাগো নিউজ

নিহতরা হলেন-উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুরকুটা গ্রামের বির্জন চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৬৫), তার ভাতিজা একই গ্রামের বিমল চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে পলাশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৩৫) ও প্রতিবেশী চাঁন চন্দ্র ভূঁইয়ার ছেলে ক্ষিতিশ চন্দ্র ভূঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নিজ বাড়ির উঠান পরিষ্কার করছিলেন ক্ষিতিশ চন্দ্র। একপর্যায়ে গ্রামের চুরকুটা দুর্গা মন্দির পূজামণ্ডপে নেওয়া বিদ্যুৎ লাইনের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান ভাতিজা পলাশ চন্দ্র ভূঁইয়া, ছেলে শ্রী রুবেল চন্দ্র ভূঁইয়া, প্রতিবেশী ক্ষিতিশ চন্দ্রসহ ছয়জন। এক পর্যায়ে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ওই তিনজন মারা যান।

আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত শ্রী রুবেল চন্দ্র ভূঁইয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ায় তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।