- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

সৌদিতে সড়ক দূর্ঘটনায় লোহাগাড়ার প্রবাসীর মৃত্যু

এলনিউজ২৪ডটকম : সৌদি আরবের মক্কায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত আবদুল আজিজ (৫০) নামে লোহাগাড়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মক্কার আল নুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আবদুল আজিজ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গোলাম নবী হাজি পাড়ার মৃত রমজান আলীর পুত্র। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

নিহতের ভাগিনা মো. রাসেল জানান, পনের দিন পূর্বে মক্কা নগরীর জায়দি এলাকায় রাস্তা পার হবার সময় পানিবাহী গাড়ি তার মামা আবদুল আজিজকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরতর আহত হয়ে মক্কার আল নুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. নাজমুল আজিজ রিসফাত পিতার মৃত্যুর সংবাদ পরিবারের কাছে নিশ্চিত করেছেন। নিহত আবদুল আজিজ দীর্ঘদিন যাবত সৌদির বাড়িতে কেয়াটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে, আবদুল আজিজের মৃত্যু সংবাদ পরিবারে পৌঁছলে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নাতির জন্মের আগেই টাকা নেন নানি, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বিক্রি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অন্তঃসত্ত্বা তানিয়া বেগমকে বাড়ি থেকৈ তাড়িয়ে দেন স্বামী। বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় বাবা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে তানিয়ার গর্ভে থাকা সন্তান বিক্রির পরিকল্পনা করেন তার মা (নবজাতকের নানি) রাবেয়া খাতুন।

ভূমিষ্ঠ হলেই মেয়ে তানিয়ার সন্তানটি দেওয়ার কথা বলে হাটহাজারীর উত্তর মাদার্সার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ হারুন ও তার বোন মনোয়ারার কাছ থেকে অগ্রিম ৫৭ হাজার টাকা নেন রাবেয়া।

গত ২ অক্টোবর নিজ বাড়িতে তানিয়া বেগম সন্তান জন্ম দেন। নবজাতক কিছুটা অসুস্থ হলেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) মেয়ের অনুপস্থিতিতে নানি রাবেয়া কৌশলে হারুন ও মনোয়ারাকে নবজাতকটি দিয়ে দেন।

কিছুক্ষণ পর তার মা তানিয়া এসে নিজের সন্তানকে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। এসময় নবজাতকের নানি সবাইকে জানান, ‘হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটি চুরি হয়ে গেছে।’

এদিকে, নবজাতক চুরির ঘটনায় মা তানিয়া বেগম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে বুধবার (৬ অক্টোবর) তিনজনকে গ্রেফতার করে।

তাদের মধ্যে নবজাতকের নানি রাবেয়া খাতুনও রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত অন্য দুজন হলেন, হাটহাজারীর উত্তর মাদার্সার মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ হারুণ (৫৫) ও তার বোন মনোয়ারা বেগম (৩৮)। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গর্ভে থাকা সন্তান বিক্রি ও চুরির পুরো বিষয়টি জানতে পারেন।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাবেয়া টাকার বিনিময়ে হারুণ ও মনোয়ারার কাছে নবজাতক বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। নবজাতকের মায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের তিনজনকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়।’ জাগো নিউজ

আগামী বছরের এসএসসির সিলেবাস আর সংক্ষিপ্ত হবে না : শিক্ষামন্ত্রী

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ‘আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তার ওপর পাঠদান শেষে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই সিলেবাস আর সংক্ষিপ্ত করা হবে না।’

আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত চক্ষু চিকিৎসা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর ও আগামী বছরের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সেই সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আরো সংক্ষিপ্তকরণের জন্য কেউ আন্দোলন করলে তা আমলে নেওয়া হবে না।’ তার চেয়ে ক্লাসে পাঠদানের প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও দুর্নীতি প্রতিবেদন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এ বিষয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআইবির প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে এ বিষয়ে তুলে ধরা হবে।’

এর আগে চক্ষু চিকিৎসা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা খুললেই শুধু নেগেটিভ নিউজ চোখে পড়ে। এতে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সে কারণে নেগেটিভ নিউজের পাশাপাশি পজিটিভ নিউজকে গুরুত্ব দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে পজিটিভ নিউজ পড়লে তার দিনটি ভালো কাটবে, দিনে ভালো একটি কাজ করার উৎসাহ তৈরি হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আর্কিটেক্ট নিখিল চন্দ্র গুহ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ। 

নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণের সেবক ভাবি : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আইন ও প্রশাসন কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী উন্নয়ন প্রশাসন গড়ে তুলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন।

আজ বুধবার সকালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ১১৯ এবং ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাহবাগস্থ বিসিএস প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর বিচার যাতে না হয়, সে জন্য ইনডেমনিটি (অর্ডিন্যান্স জারি) দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ বিচারের হাত থেকে তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের (১৫ই আগস্ট স্বজনহারাদের) কোনো অধিকার ছিল না একটা মামলা করার বা বিচার চাওয়ার। ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাঁর সরকার সেই কালো আইন বাতিল করে এবং পরবর্তীতে খুনিদের বিচার সম্পন্ন এবং বিচারের রায়ও কার্যকর করতে সমর্থ হয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বক্তৃতা করেন। প্রতিষ্ঠানের রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাগত বক্তৃতা করেন। ১১৯ এবং ১২০তম ব্যাচের শীর্ষস্থান অর্জনকারী এবং রেক্টর পদকপ্রাপ্ত স্বীকৃতি প্রামাণিক ও উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

তিনি নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছেও আমি এটা চাই, আপনারা জনগণের সেবক হিসেবেই কাজ করবেন। কারণ, আজকে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, এই বিশ্বায়নের যুগে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা কিছুতেই পিছিয়ে থাকতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি আপনারা আপনাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান, মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সম্মিলিতভাবে দেশের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমিও আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেখি। আমি মনে করি, এই দায়িত্ব আমার জনগণের সেবা করার। আপনাদের কাছেও আমি এটা চাই—আপনারাও জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম বড় প্রণোদনা হলো তাদের পদোন্নতি। ২০০৯ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে সকল ব্যাচকে তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে তাদের উদ্যমী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে আমরা একাধিক পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছি। জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে কর্মচারীদের উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ-নির্মাণ-ঋণ, গাড়ি ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা হচ্ছে এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসিক আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। এ ছাড়া ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা শহরে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নতুন আবাসনব্যবস্থা। যাতে করে ভালোভাবে বসবাসের পাশাপাশি দেশের সেবায় আরো মনোযোগী হতে পারেন এবং আত্মনিয়োগ করতে পারেন।

বিসিবি নির্বাচনে আবারও পাপন-সুজনের জয়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। আর ক্যাটাগরি-৩ এ জয় পেয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বুধবার বিসিবির নির্বাচন শুরু হয় সকাল ১০টায়। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয় বিকাল ৫টায়। যেখানে ১৪টি পরিচালক পদে লড়াইয়ে নেমেছিলেন ১৯ জন। 

ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি পেয়েছেন ৫৩ ভোট। তার সঙ্গী হয়েছেন গাজী গোলাম মুর্তজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ৫৩ ভোট), নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ৫১ ভোট), মাহবুব আনাম (মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব, ৪৭ ভোট), ওবেদ রশীদ নিজাম (শাইনপুকুর ক্লাব, ৫১ ভোট), সালাউদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ, ৪৯ ভোট), ঈসমাইল হায়দার মল্লিক (শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, ৫২ ভোট), এনায়েত হোসেন (আজাদ স্পোর্টিং,৫২ ভোট), মঞ্জুর হোসেন কাদের (ঢাকা এসেটস, ৪৯ ভোট), এবং মনজুর আলম (আসিফ শিফা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ৪৬ ভোট), ফাহিম সিনহা (সূর্যতরুণ, ৫১ ভোট), (মিঠু, ৫০ ভোট)।

ক্যাটাগরি-১ এর ঢাকা বিভাগ থেকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়েছেন এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি (মানিকগঞ্জ) ও তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়নগঞ্জ)। এই ক্যাটাগরিতে সিলেট বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আকরাম খান ও আ জ ম নাসির পরিচালকের চেয়ারে বসছেন।

খুলনা বিভাগ থেকে পরিচালক হয়েছেন শেখ সোহেল। এই বিভাগের প্রতিনিধি হয়েছেন কাজী ইনাম আহমেদ। বরিশাল বিভাগ থেকে আলমগির খান এবারও পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। রংপুর বিভাগ থেকে আনুয়ারুল ইসলাম। রাজশাহী বিভাগে ভোটের লড়াইয়ে হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তাকে হারিয়ে আবার পরিচালক পদে বসেছেন সাইফুল আলম স্বপন।

ক্যাটাগরি-৩ থেকে বাজিমাত খালেদ মাহমুদ সুজনের। সাবেক এই অধিনায়ক হারিয়েছেন ক্রিকেট সংগঠক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।

সিঙ্গাপুরে ‘আসছে’ করোনার ট্যাবলেট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মুখে খাওয়ার করোনার ট্যাবলেট মলনুপিরাভ বিক্রি ও সরবরাহের জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মেরেক। নির্দিষ্ট কিছু মাইলফলক অর্জিত হলেই সিঙ্গাপুর মলনুপিরাভ ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের অনুমতি পাবে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মেরেক। তবে কী ধরনের মাইলফলক অর্জন করতে হবে সে ব্যাপারে মার্কিন এই ওষুধ প্রস্তুতকারক  সংস্থাটি বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এ ব্যাপারে মেরেকের বানিজ্যিক শাখা এমএসডির সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্যাং লাই লি এক বিবৃতিতে জানান, মহামারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের দূরদর্শী কৌশল এবং মহামারি মোকাবেলায় উদ্ভাবনী ওষুধ ও ভ্যাকসিনে বিনিয়োগে সরকারের অঙ্গীকারের আরেকটি উদাহরণ এই চুক্তি। বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মেরেকের তৈরি মুখে খাওয়ার কোভিড ট্যাবলেটের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।

মলনুপিরাভের ব্যবহারিক প্রয়োগে দারুণ সাফল্যের পর এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা দাবি করেছিল মুখে খাওয়ার এই ওষুধ করোনার মৃত্যুর ঝুঁকি ও হাসপাতালে ভর্তির হার অন্তত ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবে।

কয়েকদিন আগে মেরেক জানিয়েছিল, তাদের তৈরি মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখেছেন তারা। এছাড়া ওই ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার হার কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও সাফল্য পেয়েছে মেরেক।

অংশীদার প্রতিষ্ঠান রিজব্যাকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এ ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে বলে এর আগে জানিয়েছিল মেরেক। এছাড়া মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের জন্য অন্যান্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থার কাছেও অনুমতি চাইবে মেরেক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাফল্য পাওয়ার পর ওই ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমাপ্তি ঘোষণা করে মেরেক ও রিজব্যাক।

চরম তাপমাত্রার শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা : গবেষণা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত গতিতে জনসংখ্যা বাড়ছে শহরগুলোতে। এ দুটির প্রভাবে মারাত্মক হয়ে উঠছে সেখানকার তাপমাত্রা। এই চরম উষ্ণতার কারণে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় আশঙ্কাজনক এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা, ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে। গত সোমবার (৪ অক্টোবর) বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ ওই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

চরম তাপমাত্রায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর ঢাকা প্রসঙ্গে গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সালে এ শহরের জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। কিন্তু এখন ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করছে বাংলাদেশের রাজধানীতে।

চরম তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়র উপরের দিকে ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশের। এ তালিকায় শীর্ষস্থানে ভারত, এরপরই বাংলাদেশ।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চরম উষ্ণতার কারণে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা দেখেছেন, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোতে বসবাসরত দরিদ্র মানুষ নাগরিক সুবিধার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত।

jagonews24

গবেষকরা ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩ বছর বিশ্বের ১৩ হাজার শহরে উষ্ণতা ও আর্দ্রতা পর্যবেক্ষণ করেছেন। যেসব শহরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকে, তাদেরই চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এরপর অন্য শহরগুলোর বাসিন্দাদের তথ্যের সঙ্গে সেগুলো তুলনা করা হয়।

গবেষণায় বলা হয়েছে, শহরগুলোতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অনেক জায়গায় জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে সেখানকার তাপমাত্রা চরম হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, গত কয়েক দশকে লাখ লাখ মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসায় সেখানে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রা।

গবেষক দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ ইউনিভার্সিটির আর্থ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাসকেড টুহলস্কি বলেন, চরম তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর। ফলে তাদের আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে।

চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরের তালিকায় ঢাকার পরই ভারতের দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই ও থাইল্যান্ডের ব্যাংকক। রয়েছে চীনের সাংহাই, গুয়াংজু, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। এসব শহরে গত ৩২ বছরে উষ্ণতা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব ৩৭ শতাংশ, বাকি ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী স্থানীয় কারণ। সূত্র: এএফপি, বিবিসি বাংলা

সেই ৩ বান্ধবীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিক্ষা সনদ নিয়ে উধাও হওয়া রাজধানীর পল্লবীর কলেজপড়ুয়া সেই তিন বান্ধবীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

বুধবার (৬ অক্টোবর) সকালে আব্দুল্লাহপুর বেরিবাধ এলাকা থেকে ওই ছাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৪)-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলানিউজ  
 
তিনি বলেন, নিখোঁজ ছাত্রীরা কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিল। বুধবার সকালে আব্দুল্লাহপুর বেরিবাধ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তিন কলেজছাত্রী নিজ নিজ বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, স্বর্ণ, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই তিন ছাত্রীর একজনের মা ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ২ অক্টোবর রাতে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিখোঁজ ছাত্রী কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ। মামলায় ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।

এভাবে চলতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পত্রিকার অবাস্তব, ভৌতিক প্রচারসংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ৷ 

বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্র বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টস’ ফোরাম (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া, বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ বিএসআরএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলানিউজ

প্রত্রিকা প্রচার সংখ্যা নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডিএফপিতে যে পত্র পত্রিকা প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। যাদের এক লাখ প্রচার সংখ্যা বলা আছে অথচ ছাপায় পাঁচ হাজার। এরকম প্রচুর আছে। আমরা সেখানেও শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রথমে টেলিভিশনের শৃঙ্খলা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হোক। তারপর পত্রিকায়ও শৃঙ্খলা বাস্তবতার কাছাকাছি আনতে হবে। এরকম অবাস্তব, ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে পারে না। সেখানে একটা শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি আশা করছি সেটা করতে পারব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু পত্রিকা যেগুলো বের হয় না হঠাৎ হঠাৎ বের হয়। বিজ্ঞাপন, কোরলপত্র পরে বের হয়। এসব পত্রিকার যিনি রিপোর্টার তিনিই সম্পাদক ও প্রকাশক। তাদের একটা ব্রিফকেস আছে। পত্রিকাও ব্রিফকেস-বন্দি। ব্রিফকেসে করে অফিস অফিসে বিলি করে বেড়ায়।  

মন্ত্রী বলেন, আমরা ব্রিফকেস-বন্দি পত্রিকাগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এমন ২১০টি পত্রিকার বিষয়ে সব ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরও ২০০টির বেশি রয়েছে এরকম পত্রিকা। সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় বলে থাকি সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। আর এই দর্পনের পেছনে যারা কাজ করেন তারা হচ্ছেন সাংবাদিক। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি পত্রিকায় কোনো কিছু লিখলে সেটিই সত্য। সেটা কখনো মিথ্যা হতে পারে না। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা এখন আর সে জায়গায় নেই। কেন নেই সেটা ভাবার বিষয়৷ 

পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা আগে যে জায়গায় ছিল এখন আর সেখানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটিই বাস্তবতা। সেটি কিন্তু দেশের জন্য, সামাজের জন্য ভালো নয়। গণমাধ্যম যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সঠিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র গঠন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।