- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আমিরাতগামী প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষা সরকারি খরচে

নিউজ ডেক্স : সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার ফি এক হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধ করবে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীরা আমাদের দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে রেমিটেন্স প্রেরণ করেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকারও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সদা তৎপর। এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার এক হাজার ৬০০ টাকা ফি মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।

ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন বেড়েছে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : এ বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশে ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনায়, এ নয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনে, ক্রসফায়ার, গুলিবিনিময় বা কথিত বন্দুকযুদ্ধে অনেক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় গুলিতে এক সাংবাদিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৪ সাংবাদিক।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ ও নিজেদের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এতে একাধিক ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। জাগো নিউজ

এরমধ্যে গত ৩ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মো. লিটন (৪০) নামের এক ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়। পুলিশ লিটনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করলেও পরিবারের সদস্যসহ ট্রাক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে থানা হেফাজতে নির্যাতনের কারণে লিটনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

আসকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও গুমের ঘটনার পাশাপাশি ‘নিখোঁজ’র ঘটনাও ঘটছে। মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ছাত্র রিজওয়ান হাসান রাকিন তার স্ত্রীর বড় ভাই মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে গত ৪ আগস্ট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।

রিজওয়ানের নানা সেলিম সারোয়ার আসক প্রতিনিধিদের জানান, প্লেন থেকে নামার পর মাহফুজ ফোনে তাকে পৌঁছানোর খবর জানান। এরপর তিনি বিমানবন্দর এলাকায় তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। ওই দিন (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাহফুজকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় নামিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় অপহরণকারীরা।

বাসায় ফিরে মাহফুজ পরিবারের লোকদের জানান, বিমানবন্দরের ভেতরে অভিবাসন ডেস্ক পার হওয়ার পর তাদের দুজনকেই (সঙ্গে থাকা রিজওয়ানসহ) চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। এরপর অপরিচিত জায়গায় নিয়ে তাদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিজওয়ানের রাজনৈতিক পরিচয় এবং কোনো অপরাধকর্মে জড়িত কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা রিজওয়ানের এখনো কোনো সন্ধান পাননি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে ঘটে চলেছে। এছাড়া মতপ্রকাশের অধিকার হরণ ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গণমাধ্যমকর্মীসহ ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার অনেক ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষত, দুর্গাপূজা সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে।

আসকের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে সংগ্রামরত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।

ধর্ষণ ও হত্যা
চলতি বছরের নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৮৫ জন নারী, এরমধ্যে একক ধর্ষণের শিকার হন ৮৭৯ জন এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২০৩ নারী। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন ৩৯ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন আট নারী। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ২৫৬টি। গত বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ৯৭৫ নারী।

যৌন হয়রানি ও সহিংসতা
চলতি বছর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১০১ জন নারী। এরমধ্যে ১০ নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন তিন নারী। এছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন পুরুষ, খুনের শিকার ৪ জন।

পারিবারিক নির্যাতন ও হত্যা
চলতি বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫২৭ নারী। এরমধ্যে স্বামী, স্বামীর পরিবার এবং নিজ পরিবারের মাধ্যমে হত্যার শিকার হন ৩০৩ নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১১৮ নারী। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৩২ নারী।

যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতন-হত্যা
এ বছর নয় মাসে যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১৮২ নারী। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯৮ জন।

গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যা
বাসাবাড়িতে কাজ করতে গিয়ে এ বছর ৩৮ জন গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ১২ জন এবং ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৬ গৃহকর্মী।

সালিশ ও ফতোয়া
চলতি বছর সালিশ ও ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ১২টি। এছাড়া এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন ১৯ নারী।

শিশু নির্যাতন-হত্যা
শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন সংক্রান্ত পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। এ বছরের নয় মাসে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৬৩৬ শিশু। এর মধ্যে হত্যার শিকার হন ৪৭১ জন এবং শারীরিক ও যৌন নির্যাতনসহ নানাভাবে সহিংসতার শিকার হয় এক হাজার ১৬৫ জন শিশু। এই এক হাজার ১৬৫ জনের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ৬৪৮ শিশু এবং বলাৎকারের শিকার হয় ৬৪ জন শিশু। গত বছরের এ সময়ে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এক হাজার ৫২৩ শিশু।

বিচারবহির্ভূত হত্যা-হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ
সংবাদমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে আসক জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে এবং ‘ক্রসফায়ারে’ ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘ক্রসফায়ার’/‘বন্দুকযুদ্ধ’/‘গুলিবিনিময়’/‘অ্যানকাউন্টারে’ নিহত হন ৩৪ জন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নয় জন ও নির্যাতনে চার জন মারা যান। এছাড়া গ্রেফতারের পরে হার্ট অ্যাটাকে (পুলিশের ভাষ্যমতে) একজনের মৃত্যু হয়।

কারা হেফাজতে মৃত্যু
বছরের নয় মাসে কারাগারে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ৬৭ জন। এরমধ্যে কয়েদি ২৫ জন এবং হাজতি ৪২ জন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে অপহরণ
সংবাদমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে আসক জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে এ বছরের নয় মাসে অপহরণ বা গুমের শিকার হয়েছেন মোট ছয় জন। এর মধ্যে পরবর্তীতে তিন জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিন জন।

সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানি
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এ বছরের প্রথম নয় মাসে একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৪ সাংবাদিক। নির্যাতিত সাংবাদিকদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আট জন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মীদের মাধ্যমে ১৪ জন, স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ১৩ জন, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে ১৩ জন সাংবাদিক আহত হন। এ সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও সন্ত্রাসীদের হাতে ১০৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হন।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন
এ বছর নয় মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০২টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমা, মন্দির ও পারিবারিক পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৭৮টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন সাত জন। জমি ও বাড়িঘর দখল এবং উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে সাতটি। এছাড়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পরিবার ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে একটি। গত বছরের এ সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাতটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ৪৮টি প্রতিমা, মন্দির ও পারিবারিক পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সীমান্ত সংঘাত
বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ভারত সীমান্তে ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নয় জন, শারীরিক নির্যাতনে এক জন এবং বিএসএফের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে এক জন নিহত হন। এছাড়া আহত ছয় জন ও অপহরণের শিকার হয়েছেন তিন জন।

রাজনৈতিক সংঘাত
এ বছরের নয় মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৩২১টি। এতে নিহত ৬৪ জন এবং আহত হয়েছেন চার হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা ও সংঘর্ষের ১৬৭টি ঘটনায় আহত এক হাজার ৯৪২ জন এবং নিহত হন ৩০ জন।

গণপিটুনি
গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে সারাদেশে গণপিটুনির ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর একই সময়ে গণপিটুনিতে মারা যান ৩০ জন।

ভরাডুবির শঙ্কায় নির্বাচনে আসছে না বিএনপি : কাদের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপির আন্দোলনের হাতিয়ারে মরিচা ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির কথিত জোয়ার এখন ভাটায় পরিণত হয়েছে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা বিএনপিকে আগেই পেয়ে বসেছে। তাই তাদেরই হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। শনিবার (২ অক্টোবর) বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

‘বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ারে সরকারের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব সৃজনশীল কথামালার চাতুরিতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর আত্মতৃপ্তি বোধ করতে পারেন। কর্মীদের রোষানল থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য কল্পনার ফানুস ওড়াতে পারেন। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তাদের বক্তব্যে বৈপরিত্য আছে, তা দেশের মানুষ ঠিকই জানেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন আর মাঝে মাঝে তার বাকচাতুর্য কল্পনাকেও হার মানায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভয়ে কাঁপে না, চ্যালেঞ্জ আর লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি। সেই রাজনীতিই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজপথ জানে আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের বীরত্বগাথা আর সমৃদ্ধ ইতিহাস। জনগণ বিএনপির হঠকারিতা, গণতন্ত্র হত্যা, ষড়যন্ত্র, লুটপাট আর সুবিধাবাদী রাজনীতির কথাও জানে।

বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ার তো গত ১৩ বছরে কোনো নির্বাচনে দেখা যায়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভরাডুবির ভয়ে এখন নির্বাচনবিমুখ। তাই রাজপথ আর ভোটের ময়দান ছেড়ে গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।

শেখ হাসিনা সরকার আর আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধামকি দিয়ে লাভ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে অপচেষ্টা করছেন তা আমাদের অজানা নেই।

বিএনপির সবকিছুতেই শর্ত এবং মামার বাড়ির আবদার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে নাকি তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। আসলে বিএনপি ভালো করেই জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি একটি মীমাংসিত বিষয়।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে বাতিল করেছে?

উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে, এ পদ্ধতি ছিল একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা, দীর্ঘমেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চলতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্র যখন এগিয়ে যায়, তখন সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরতে শুরু করে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বহুদলীয় তামাশা আর সুবিধাবাদ চালু করেছিল, যাদের দলের অভ্যন্তরে নেই গণতন্ত্রের চর্চা, আজ তারাই গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন করে বলেন, আপনি নির্বাচিত হয়েও কেন সংসদে গেলেন না? এটা কোন গণতন্ত্র? ভোটাধিকার নিয়ে তো আপনারাই ছিনিমিনি খেলেছিলেন।

‘কারা হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসন করেছিল? কারা সেনাপ্রধান পদ থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিলেন? কারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলেন? কারা ১ কোটি ২৭ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে জনগণের অধিকার হরণ করতে চেয়েছিলেন? এতসব প্রশ্নের জবাব আশা করি বিএনপি মহাসচিব দেবেন।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সময় মতো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মীমাংসিত বিষয় নিয়ে অযথা মাঠ গরম না করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পরে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের চিত্র দেখতে যান ওবায়দুল কাদের।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং কোনো ধরনের লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করতে হবে।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় সব প্রার্থীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ৬ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা প্রদান করতে হবে।

বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে বদ্ধপরিকর। সরকার সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

ওবায়দুল কাদের আবারও হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কোনো মদত ও প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে। দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য আগামী ২ থেকে ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা প্রদান করতে হবে।

মুহিবুল্লাহ হত্যায় আরও দুই রোহিঙ্গা আটক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়ার লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আরও দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২ অক্টোবর) ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।তারা হলেন- আব্দুস সালাম ও মোহম্মদ জিয়াউর। বাংলানিউজ

এর আগের দিন শুক্রবার (১ অক্টোবর) কুতুপালংয়ের ৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবির এলাকা থেকে মো. ছলিম (২৭) ওরপে লম্বা ছলিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি ঘর থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এপিবিএনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ অভিযান চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় অবস্থিত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস্ অফিসে একদল অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের শীর্ষ স্থানীয় নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ ও সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।