- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ওসি পরিচয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩

নিউজ ডেক্স : নগরের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিচয়ে আসাদগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন (২৭), মো. আরিফ হোসেন (৩০) ও  মো. তারেক (২২)। বাংলানিউজ

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমানের কাছে কল করে কোতোয়ালী থানার ওসি বলে পরিচয় দেয় মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন। ব্যবসায়ীকে কারখানা চালানোর বিষয়ে আয়কর না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। আয়করের টাকা বাবদ এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে দেবে না বলে হুমকি দেন। মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন ২ ঘণ্টা পর তার কাছ থেকে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একটি নগদ নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা বলে অন্যথায় জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। মো. আরিফ হোসেনের নগদ নম্বরে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশে পাঠান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর   সকাল ১১টার দিকে মো. আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন পুনরায় নগদে টাকা পাঠাতে বললে তিনি বিষয়টি টহল পুলিশকে অবহিত করেন।

ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে আসাদগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজনই কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও  ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। বিভিন্ন মোবাইল নম্বরের ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোতোয়ালী থানা, পাঁচলাইশ থানা, পতেঙ্গা থানার এসআই মিজান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করেন। তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল সেট জব্দ করে।  

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা কখনো রিকশাচালক, কখনো দিনমজুর হিসেবে কাজ করে। তারা বিভিন্ন সময়ে সেবাপ্রার্থী সেজে বিভিন্ন থানায় গিয়ে থানার ওসি, তদন্ত ও অফিসারদের নাম সংগ্রহ করে ও থানায় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়। তাৎক্ষণিক উক্ত ঘটনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের নাম ব্যবহার করে আসল বাদী, বিবাদীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। আবার কখনো থানার ওসি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। কেউ কেউ টাকা দেয় আবার কেউ মোবাইল বন্ধ করে রাখে।

সাতকানিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া থানার দেউদিঘীর পূর্ব পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় গোলাম মোস্তফা মিশু (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা মিশু একই থানার কাঞ্চনা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঞ্চনা বকশিরখীল এলাকার কামাল পাশার ছেলে।  

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে নিজে নিজে হঠাৎ করে পড়ে আঘাত পান মিশু। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ যাওয়ার আগে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইলে চলানো অবস্থায় স্ট্রোক করেছেন মিশু। বাংলানিউজ

আলুরঘাট রোডের সংস্কারবিহীন অংশেই যতো দূর্ভোগ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া সদরের আলুরঘাট রোডের বটতলী স্টেশন থেকে টিএন্ডটি অফিস এলাকা পর্যন্ত ২৭০ মিটার পুরোটাই ঝরাজীর্ণ। গাড়ি চলে হেলেদুলে। এ নিয়ে চলাচলকারীদের আর অভিযোগ নয়, দানা বাঁধছে ক্ষোভের। এই দূরত্বেই যেন নরকের ভোগান্তি। কোন অজোপাড়া গাঁয়ে নয়, খোদ ব্যস্ততম বটতলী ষ্টেশনের অভ্যন্তরেই সড়কটির অবস্থান।

জানা যায়, আলুরঘাট রোড দিয়ে পশ্চিম আমিরাবাদ, আলুরঘাট, ডলুকুল, বড়হাতিয়ার সেনেরহাট ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ও গারাঙ্গিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও সড়কের এই অংশে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ হয়নি। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এছাড়া সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয় ময়লার স্তুপ। ফলে পায়ে হেঁটে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে অনেক সময় গাড়ির কারণে ময়লা পানি ছিটকে এসে পড়ে গায়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলুরঘাট রোডের বটতলী স্টেশন থেকে ২৭০ মিটার অংশে পুরোটাই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। সড়কের এ অংশে উভয় পাশে রয়েছে বহু বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবন, মসজিদ ও দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে থাকে পানি। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়া মাত্রই ডানে-বামে দোল খাচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। যার ফলে গর্ভবতী মহিলা ও বৃদ্ধরা অনেক ঝুঁকিতে সড়কের এই অংশ পার হতে হচ্ছেন।

স্থানীয় জহিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সংস্কারবিহীন আলুরঘাট রোডের ২৭০ মিটার অংশটুকু মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন এ ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। গুরুত্বর্পূ এই সড়ক মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারণ, শিক্ষার্থী ও ছোট-বড় যানবাহনের চালকদের দূর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে।

আলুরঘাট রোডের ব্যবসায়ী কবির আহমদ জানান, বাণিজ্যিক দিক দিয়ে আলুরঘাট রোড একটি ব্যস্ততম সড়ক। এ সড়ক অসংখ্য বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন পণ্যবাহী শত শত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কের এই অংশটুকু সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনার পথ সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।

সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম জানান, আলুঘাট রোডে সংস্কারবিহীন অংশে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সড়কে ঝাঁকুনিতে দুই-একদিন পর পর গাড়িতে সমস্যা দেখা দেয়। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে যাতায়াতের পথ সুগম করার দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনির জানান, মহাসড়ক থেকে আলুরঘাট রোডের ২৭০ মিটার অংশে শীঘ্রই আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। আপাতত বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

মাইক্রোবাসে ২১ লাখ টাকার ইয়াবা, চালক গ্রেপ্তার

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : মাইক্রোবাসে করে পাচার করছিল ৭ হাজার পিস ইয়াবা। যার আনুমানিক মূল্য ২১ লাখ টাকা। এ সময় মো. ইসমাইল (৩১) নামে মাইক্রোবাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. ইসমাইল পটিয়া থানার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গোরনখাইন এলাকার মৃত মো. মনির আহম্মদের পুত্র। জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাস যোগে ইয়াবাগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ তল্লাশী করে ইসমাইলের কাছ থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়। রোববার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা মানলেও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অধিকাংশ জায়গায় অভিভাবকেরা সেটা মানছেন না জানিয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আমরা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। প্রতিষ্ঠানের কোথাও দৃশ্যমান আবর্জনা বা লক্ষণীয় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডেঙ্গুর বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। জাগো নিউজ

ডা. দীপু মনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে। সংক্রমণের হার কমে এলে সব ক্লাসই নেওয়া যাবে। তবে সংক্রমণের হার যদি বেড়ে যায়, তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বরের পর যে কোনো দিন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এ প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকা নিতে পারবেন। স্থানীয় টিকাকেন্দ্রেও টিকা নেওয়া যাবে। টিকা দেওয়া শেষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়েও আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে উপাচার্যদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে যাত্রাবাড়ী তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাদের কারণেই দল আজ এতদূর এসেছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে দলের দুর্দিনে, বিশেষ করে ২০০৭ সালে যখন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় তখন আমাদের অনেক নেতা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, অনেক নেতা ভিন্ন সূরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপস করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও অবিচল ছিলেন। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের নেত্রী কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।

আজ তাদের কারণেই আওয়ামী লীগ সফলতার সঙ্গে এতটা পথ পারি দিতে পেরেছে। প্রত্যেককে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে অতীতের মতো আগামী দিনেও দলকে আরো এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা গিনি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উত্তরাঞ্চল সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন, পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহামুদ হ্সান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এরপর দুপুর ১২টায় সদরের রাধাকৃষ্ণপুর এসকেএসইন-এ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এর আগে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় তিনি সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সড়ক পথে সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি গাইবান্ধা এসে পৌঁছান।  

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়লো

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স :‌ ‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- আগের মতো এই দুটি শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে যে জামিন পেয়েছেন, চিকিৎসা করাচ্ছেন সেই সময়টা বর্ধিত করার জন্য তার পরিবার মানে তার ছোট ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। আমরা সেই আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দিয়েছি। একই শর্তে তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়ানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি নিজ বাসায় থেকে, যেভাবে চিকিৎসা নিতে চান, সেভাবে চিকিৎসা নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর সঙ্গে আগে যেসব শর্ত ছিল, সেসব শর্ত বহাল থাকবে। খালেদা জিয়ার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রাক্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আবেদনের বিষয়ে মতামত জানিয়ে দেয় আইন মন্ত্রণালয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।

প্রথম দফা মুক্তির মেয়ার শেষ হয়ে আসলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

৫৯টি অবৈধ আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অনুমোদন ব্যতিরেকে আইপিটিভি সম্প্রচার অনৈতিক এবং টেলিযোগাযোগ আইনের ব্যত্যয়। এজন্য ইতোমধ্যে এরূপ ৫৯টি অনিবন্ধিত অবৈধ আইপিটিভি কমিশন থেকে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, স্যাটেলাইট টেলিভিশনে প্রচারিত কন্টেন্টসমূহ ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রচার করার প্রক্রিয়া হলো ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপিটিভি)। বিটিআরসি কেবলমাত্র লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহকে আইপিভিত্তিক ডাটা সার্ভিস (যেমন- স্ট্রেমিং সার্ভিস, আইপি টিভি, ভিডিও অন ডিমান্ড) এর অনুমোদন দিয়ে থাকে। বাংলানিউজ 

বিটিআরসি কর্তৃক আইপিটিভি সার্ভিসের অনুমোদন প্রাপ্ত আইএসপি অপারেটররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার শুধুমাত্র তাদের গ্রাহকদেরই প্রদর্শন করতে পারবে। তবে প্রতিটি চ্যানেল বা প্রোগ্রাম বা কন্টেন্ট প্রচারে প্রয়োজনীয় চুক্তি/অনুমোদন/ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করতে হবে।  

সাম্প্রতিককালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ডোমেইন ক্রয়/ফেসবুক/ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জনগণকে আইপিটিভি প্রদর্শন করছে, যার কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। অনুমোদন ব্যতিরেকে উক্ত সম্প্রচার অনৈতিক এবং টেলিযোগাযোগ আইনের ব্যত্যয়। এজন্য ইতোমধ্যে এরূপ ৫৯টি অনিবন্ধিত অবৈধ আইপিটিভি কমিশন থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রমের সহিত বিটিআরসি কর্তৃক আইপিভিত্তিক ডাটা সার্ভিসের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত আইএসপি প্রতিষ্ঠানসমূহের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

নগরে দিনে ভাঙছে ১৫ সংসার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চার বছরের সংসার মিথিলা-শহীদ (ছদ্মনাম) দম্পত্তির। দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তানও আছে তাদের। বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকুরি করেন শহীদ। সকালে বের হলে ফিরেন রাতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও প্রায় মিটিং অথবা অন্য কোনো সেমিনার থাকে। ফলে ব্যস্ততার জন্য ঠিকমত সময় দিতে পারেন না স্ত্রী-সন্তানকে। গত বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে লকডাউন শুরু হলে হোম অফিসের সুযোগ পায় শহীদ। খুশি হন স্ত্রী। আশা, এবার অন্তত স্বামীকে কাছে পাওয়া যাবে। স্বামীও ভাবে, স্ত্রীকে সময় না দেয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলবে। অথচ দুই মাস না যেতেই মনোমালিন্য শুরু হয় তাদের। কারণ, বাসায় থাকলেও সারাক্ষণ মোবাইল-ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে শহীদ। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উল্টো ধমক খেতে হয় মিথিলাকে। এক পর্যায়ে স্বামীর অবহেলা সহ্য করতে না পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় সে। সর্বশেষ গত মাসে শহীদকে তালাকের নোটিশ পাঠায় মিথিলা।

গত দেড় বছরের বেশির ভাগ সময় করোনা পরিস্থিতির জন্য ঘরবন্দী ছিল মানুষ। তার আগের বছরগুলোতে ব্যস্ত থাকা লোকগুলোর কাছে সুযোগ আসে পরিবারকে সময় দেয়ার। কিন্তু টানা ঘরে থাকতে থাকতে হিতে বিপরীত হয়। অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায় সাংসারিক নানা জটিলতা। ফলে মিথিলার মত অনেকেই বেছে নেন বিচ্ছেদের পথ। এর মধ্য দিয়ে ভাঙছে সংসার। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই সারা দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছিল বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। ব্যতিক্রম ছিল না চট্টগ্রামও। তবে করোনাকালের কঠিন সময়ে বৃদ্ধির গতি ছিল বেশি। যেমন চলতি বছরের প্রথম সাড়ে আট মাসে নগরে দৈনিক ১৫টি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সালিসি আদালতে। যা ২০২০ সালে ছিল ১৩টি। ওই বছরও করোনার জন্য বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দী থাকতে হয়েছে লোকজনকে। এর আগে ২০১৪ সালে দৈনিক ৮টি, ২০১৫ সালে ৯টি, ২০১৬ সালে ও ২০১৭ সালে ১০টি করে, ২০১৮ সালে ১১টি এবং ২০১৯ সালে ১২টি আবেদন জমা পড়েছে।

চলতি বছরের এখনো সাড়ে তিন মাস বাকি। ধারণা করা হচ্ছে, এ সংখ্যা আরো বাড়বে। করোনাকালে বাধ্য হয়ে ঘরবন্দী থাকার সময় স্বামী-স্ত্রীর দোষ-ত্রুটি সহজেই একে অপরের চোখে পড়ছে। অন্য ব্যস্ততা না থাকায় পরষ্পরের দোষ-ত্রুটি ভুলে থাকার মাধ্যমে সমাঝোতার পথও এসময় সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে বেড়েছে বিচ্ছেদের ঘটনা। অবশ্য মানসিক চাপের পাশাপাশি করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক চাপও সংসার ভাঙার জন্য দায়ী।

সংসার ভাঙা কারণ : পারিবারিকভাবে ২০২০ সালের ৪ মার্চ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সাথে বিয়ে হয় ফৌজিয়ার (ছদ্মনাম)। বিয়ের চতুর্থ মাসে চাকরি হারায় তার স্বামী মিনহাজ (ছদ্মনাম)। এতে সংসারে দেখা দেয় অভাব-অনটন। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক কথা কাটাকাটি। এমনই কথা কাটাকাটির পর অক্টোবর মাসে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায় ফৌজিয়া। সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি স্বামীকে তালাক নোটিশ পাঠায় সে। যা কার্যকরও হয়েছে। ফৌজিয়ার অভিযোগ, বেকার স্বামী সংসার চালাতে না পেরে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়েছিল।

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে প্রতিষ্ঠানের আয় কমে যাওয়ার অজুহাতে চাকুরিচ্যুৎ করা হয় মিনহাজকে। পরে অনেক চেষ্টা করেও অন্যত্র চাকরি পায়নি। যার কারণে সংসারও টিকিয়ে রাখতে পারেনি সে। অর্থাৎ করোনার প্রভাবে সৃষ্ট অভাবও এ সময়ের বিবাহবিচ্ছেদগুলোর জন্য দায়ী।

গত বছরের নভেম্বর মাসে ভালোবেসে বিয়ে করেন ইপিজেডের একটি গার্মেন্টেসে কর্মরত শাহেদা ও করিম। বিয়ের দ্বিতীয় মাসে এসে চাকুরি ছেড়ে দেয় করিম। তার বক্তব্য শাহেদার আয়ে সংসার চলবে। সেটা মেনে নিতে না পারে করিমকে তালাক দেয় সে।

এ ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের একাধিক আবেদন পর্যালোচনা করে জানা গেছে, নানা কারণ রয়েছে সংসার ভাঙার। এর মধ্যে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বিরুদ্ধে অভিন্ন অভিযোগ ছিল- পরকীয়া, স্মার্ট ফোনের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, বদমেজাজ ও সংসারের প্রতি উদাসীনতা।

আবার শুধু মাত্র স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ হচ্ছে- মাদকাসক্তি, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে, স্ত্রীর আয়ে সংসার চালানোর মানসিকতা, চাকুরি করতে না দেয়া বা স্বাবলম্বী হতে বাধা দেয়া ও শারীরিক অক্ষমতা।

স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর অভিযোগ হচ্ছে- যৌথ পরিবারে থাকতে না চাওয়া, স্বামীর মা-বাবাসহ নিকাটাত্মীয়ের প্রতি সম্মান না দেখানো, ধর্মীয় রীতিনীতি না মানা ও সন্তান না হওয়া। ব্যতিক্রম কিছু অভিযোগও পাওয়া গেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। দেনমোহরের লোভেও বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই স্ত্রী স্বামীকে তালাক নোটিশ পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে চসিকের সালিসি আদালতে তালাকের নোটিশগুলোর ৫৫ শতাংশের বেশি ছিল স্ত্রীদের পক্ষে। অর্থাৎ নারীরাই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বেশি নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে করোনাকালে নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধিরও দাবি আছে। গত জুন মাসে এনএইচ জার্মানি এবং বেসরকারি সংগঠন সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) অনলাইন সংলাপে বলা হয়, করোনাকালে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। এই সময়ে ৯১ শতাংশ নারীর বাসায় কাজের চাপ বেড়েছে।

সাত বছরের ব্যবধানে সংসার ভাঙার হার দ্বিগুণের পথে: সিটি কর্পোরেশনের সালিসি আদালতে ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ৩ হাজার ২৬৮ জন আবেদন করে। চলতি বছর প্রথম আট মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৫৭২ জন আবেদন করেন। অর্থাৎ গড়ে প্রায় ১৫টি আবেদন পড়েছে। ওই ধারা অব্যাহত থাকলে সাত বছরের ব্যবধানে বিয়ে ভাঙার হার প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

এছাড়া ২০১৫ সালে তিন হাজার ৪৮৬ জন, ২০১৬ সালে তিন হাজার ৯৬১ জন, ২০১৭ সালে তিন হাজার ৯২৮ জন, ২০১৮ সালে চার হাজার ৩৩১ জন, ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৫৫০ জন এবং ২০২০ সালে চার হাজার ৮৫৪ জন আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, বিবাহবিচ্ছেদে ইচ্ছুক স্বামী বা স্ত্রীকে প্রথমে লিখিতভাবে চসিক মেয়রকে জানাতে হয়। এটা এক ধরনের নোটিশ। একইসঙ্গে যাকে তালাক দিচ্ছেন তাকেও ওই নোটিশ পাঠাতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর মেয়র নোটিশটি সালিসি আদালতে পাঠিয়ে দেন। আদালতে মেয়রের পক্ষে নিযুক্ত থাকেন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ)। বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর করার আগে স্বামী-স্ত্রী দুই পক্ষকে তিন মাসে তিনবার নোটিশ দেয় চসিক। দুই পক্ষের কোনো পক্ষ বা দুই পক্ষই হাজির হলে সমঝোতার চেষ্টা চালান আদালত। কিন্তু সমঝোতা না হলে আইন অনুযায়ী ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

যা বললেন সালিসি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট : চসিকের সালিসি আদালতে নিযুক্ত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস বলেন, সব স্তরের মানে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত লোকজনই বিচ্ছেদের আবেদন করেন। অপ্রিয় হলেও সত্য করোনাকালে বিচ্ছেদের হার বেড়ে গেছে। এর অনেকগুলো কারণ হতে পারে। হয়তো অনেকগুলো মানুষ একসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে কলাপস (আর্থিক সক্ষমতা হারনো) হয়েছে। আবার করোনার জন্য দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে হয়তো একে অপরের দোষ-ত্রুটি আর মেনে নিতে পারছে না। বলা যায়, সহনশীলতা কমে গেছে।

তিনি বলেন, খুব হৃদয় বিদারকও অনেক কেস দেখেছি। যেমন ছোট বাচ্চাকে রেখে মা চলে গেছে। অনেক মাকে দেখেছি প্রতিবন্ধী সন্তানের দায় নিচ্ছে না। আবার বিয়ের দুইদিনের মাথায়ও বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।

সামগ্রিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রায় সবগুলোই প্রায় অভিন্ন। যেমন স্মার্ট ফোনে আসক্তি, অতিরিক্ত রাগ, পরকিয়া এবং উচ্চ মাত্রার দেনমোহর। আবার চাকুরিজনিত জটিলতাও আছে। যেমন মেয়ে চাকুরি করতে চাইলে ছেলে বাধা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় মেয়ে চাকুরি করলে ছেলে তার আয় দিয়েই সংসার চলুক সেটা চায়, তাই ছেলে আর কিছু করে না।

জাহানারা ফেরদৌস বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে এখন সবার মধ্যে সহনশীলতা কমে গেছে। যেমন একটা সময়, স্বামী বা তার আত্মীয়স্বজন কিছু বললে বউ চুপ করে থাকতেন। ইদানিং সেটা হচ্ছে না। এখন পাল্টা উত্তর করে। আবার অনেক সময় স্বামী রাগের মাথায় একটা চড়-থাপ্পড় দিলে সেটা ইস্যু হয়ে সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত মামলা করার প্রবণতাও রয়েছে। আছে যৌতুকপ্রথাও।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে প্রবাসীর সংখ্যা বেশি। বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তারও প্রভাব পড়ে। প্রবাসে অবস্থানরত স্মামী হয় মায়ের কথা বিশ্বাস করে নয়তো স্ত্রীর। মানে মা এবং বউয়ের মধ্যে যে ব্যালেন্স করা দরকার তা করতে পারে না। পরে দেখা যায় এ কারণে সংসারও ভেঙে যাচ্ছে।

অনেক সময় তালাকের আবেদন করলেও বুঝিয়ে সর্ম্পক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার হার খুব কম। চিকিৎসকগণ আইসিইউ’তে যাওয়া রোগীর কত শতাংশ বাঁচাতে পারেন। এখানেও তেমন। সাফল্যের হার দুই থেকে পাঁচ শতাংশ। যদি কখনো ২০ শতাংশ হয় তখন সাফল্য বলব। অনেক সময় দেখা যায়, সংসারের বয়স ২০-২৫ বছর হয়ে গেছে। এরপরও তালাকের আবেদন করেন। এক্ষত্রে দেখা যায়, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে গ্রুপিং হয়ে গেছে। তারা হয়তো মায়ের বা বাবার পক্ষ নিচ্ছেন। ওই জায়গায় কাউন্সিলিং করলে ফেরানো যায়। দৈনিক আজাদী

রেলে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ এখন আর স্বপ্ন নয়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন।

নিউজ ডেক্স : একসময় দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল রেলে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন। দীর্ঘদিনের সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।মহাসড়কের যানজটের বিরক্তি কাটবে ভ্রমণ পিপাসুদের। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

এই প্রকল্পে কাজ করছে চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। এছাড়া বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত।  

প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে চারটি বড় সেতুসহ ২৫টি সেতু। বড় সেতুগুলো তৈরি হচ্ছে মাতামুহুরী নদী ও শাখা নদী, শঙ্খ এবং বাঁকখালী নদীর ওপর।  

এরই মধ্যে কক্সবাজার অংশে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত বসানো হয়েছে রেল ট্র্যাক। সেই সঙ্গে এগিয়ে চলছে আইকনিক স্টেশন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণকাজও। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে স্টেশন থাকবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, সদর ও উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে।  

এ পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। পর্যটনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কক্সবাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। এখনও কয়েকটি কালভার্টের কাজ বাকি আছে।

রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ আমরা এখনও শুরু করতে পারিনি। প্রকল্পটি যে এলাকা দিয়ে যাবে, সেখানে রোহিঙ্গা বসতি থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করবো। ’

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে রেল লাইনটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজারের রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ ও অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।

জানা গেছে, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করে সরকার। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। পুরোদমে কাজ চালিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই সম্পন্ন হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজ।

প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড়, ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। স্টেশনগুলো নির্মিত হবে- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম এলাকায়। এর বাইরে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে তিনটি বড় সেতু। রেললাইনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেললাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা সংযোজন এবং কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার রেললাইন তৈরির জন্য মাটি ভরাট কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য দুটি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ৩৯টি সেতুর মধ্যে সবগুলোর স্প্যান ও পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার অংশের ২০টি সেতুতে গার্ডার বসানো প্রায় শেষের পথে। দোহাজারী অংশের ১৮টি সেতুর স্প্যান ও পিলার নির্মাণ শেষে ১২ এপ্রিল থেকে গার্ডার বসানো শুরু হয়েছে। নির্মাণাধীন আছে প্রকল্পের সাতটি স্টেশন বিল্ডিং এবং কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণে গিয়েছিলাম। রাস্তা আর জ্যামের কারণে খুব বিরক্তবোধ করেছি। যদি কক্সবাজার ট্রেনযোগে যাওয়া যেত খুবই ভালো হতো। এখন যে প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটি শেষ হলে আমাদের দুঃখটা কমবে। -বাংলানিউজ