- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়, বাড়ছে নিরাপত্তা-নজরদারি

নিউজ ডেক্স : মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। অক্টোবরের শুরুতে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। পর্যায়ক্রমে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। সম্ভাব্য এসব সংকট মোকাবিলায় উপাচার্যদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো (শিক্ষার্থীদের পদচারণা বেশি হয়) সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনবে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের কড়া নজরদারি থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও চলাচলের স্বাধীনতা যাতে বিঘ্ন না হয়, সেদিকেও নজর রাখবে কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের নিজেদেরও নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেসব বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।’

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে যেকোনো সময় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এদিকে, ইউজিসি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু হওয়ার পর যেন কোনো ধরনের ‘অরাজক পরিস্থিতি’ তৈরি না হয়, সেজন্য এ চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে।

একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য ইউজিসিকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পাঠদান করা হবে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ জাগো নিউজ

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খোলার পর যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্যাম্পাসে গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন হতে পারে। আমরা চাই না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে কোনো ধরনের আন্দোলন ও সংকট সৃষ্টি হোক। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে গত সপ্তাহের শেষদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

সৌদিতে ১৩৭ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশের ১৩৭টি পণ্য সৌদি বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা প্রদানে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আল কাসাবিকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সৌদি আরব সফররত সালমান এফ রহমান ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ অনুরোধ জানান। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলানিউজ

বৈঠকে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সৌদি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এ সময় সালমান এফ রহমান সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।

তিনি বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ ও সৌদি রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে আগামী দিনে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন লাভজনক খাতে সৌদি বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত ও প্লাস্টিক পণ্য, হিমায়িত মাছ ও ওষুধ আমদানি করা হয় উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, সৌদি আরব চাইলে বাংলাদেশ হালাল মাংস রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য অসমতা দূর করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের ১৩৭টি পণ্য সৌদি বাজারে প্রবেশের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়ে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। বর্তমানে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বছরে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে।

সালমান এফ রহমান ২০১৯ সালে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের সময় দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করে কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার অনুরোধ জানান।

এ সময় তিনি ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবিকে জানান, তার দেশ চাইলে বাংলাদেশ সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করে বিশেষ সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

দু’দেশের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) বিষয়ে ২০১৮ সালে প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকটি দ্রুত স্বাক্ষরের বিষয়ে সালমান এফ রহমান সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলে, বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি কোম্পানির সরাসরি বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হবে। তিনি সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেন।

এ তহবিলের আওতায় তিনি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ ও কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সালমান এফ রহমান সৌদি সরকারের গৃহীত ‘অ্যান্টি কনকেলমেন্ট ল’ উল্লেখ করে বাংলাদেশি যেসব অভিবাসী সেখানে ব্যবসা করছেন তাদের সহায়তার জন্য সৌদি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তার দেশে বিদেশিদের বৈধভাবে ব্যবসা করার বিষয়ে সরকার সুযোগ দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিবন্ধনের মাধ্যমে বৈধভাবে সৌদি আরবে ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছেন। সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশিদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

এছাড়া সালমান এফ রহমান ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহকে প্রতিনিধি দল নিয়ে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে, তিনি তা গ্রহণ করেন। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে সেখানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও বাংলাদেশ সরকারি- বেসরকারি অংশিদারীত্ব কর্তৃপক্ষের সিইও সুলতানা আফরোজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই ডজনের বেশি কর্মকর্তা বিভাগীয় ও বহিরাগত তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তদন্তের সময় দুদক কর্মকর্তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং কিছু কর্মকর্তা দুদক ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন। বাংলানিউজ

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নেতৃত্ব সম্প্রতি পুনঃগঠিত কমিশনের অনুরোধের সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ২৫ কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। দুদকও আলাদাভাবে এসব কর্মকর্তার অধিকাংশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, ৩ জন পরিচালক, ১০ জন উপ-পরিচালক, ৮ জন সহকারী পরিচালক ও ৫ জন উপ-সহকারী পরিচালক অভ্যন্তরীণ ও সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানের মুখোমুখি হয়েছেন।

সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের মুখোমুখি হওয়াদের মধ্যে সম্প্রতি অবসরে যাওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং কয়েকজন বহিরাগতও আছেন। যাদের সঙ্গে দুদকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে তাদেরকেও অনুসন্ধানের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দুদক আশা করছে, সরকারের ওই গোয়েন্দা সংস্থা খুব শিগগিরই এসব কর্মকর্তার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সাবেক সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।

দুদকের একজন কমিশনার বলেন, কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধিসহ বেশকিছু বিষয় সংস্কারের সুপারিশ করে সাত সদস্যের এ কমিটি সম্প্রতি কমিশনের কাছে একটি গোপনীয় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, কমিটি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ করেনি, কিন্তু কমিশনের কর্মকর্তাদের একাংশের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছে।

দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন, যেহেতু তদন্ত কর্মকর্তাদের কাজের অংশ হিসেবে যে কোনো ব্যক্তিকে তলব বা নোটিশ দেওয়ার অধিকার আছে। ফলে তদন্তকারীদের একটি অংশ মাঝে মধ্যে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে কিছু নিরীহ মানুষকেও নোটিশ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তিনি আরও বলেন, এভাবে তদন্তের অংশ হিসেবে নিরীহ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে তারা অনৈতিক সুবিধা দেয়।

এছাড়াও কিছু তদন্তকারী কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের ছাড় দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। চলতি বছরের ১২ আগস্ট এক আদেশে দুদক সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, কমিশন তার কর্মকর্তাদের  দ্বারা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকে দুর্নীতি হিসেবে বিবেচনা করবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, কমিশন অসম্পূর্ণ তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তদন্ত চলাকালীন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো তদন্ত বা তদন্ত কর্মকর্তা বা দল পরিবর্তন করা যাবে না। এতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা তাদের অদক্ষতার জন্য বিভাগীয় মামলার মুখোমুখিও হবেন।

কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ। তবে তিনি বলেন, কমিশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি দুদকের ভিতরে জবাবদিহিতা প্রয়োজন। কমিশনকে স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দুদকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, অন্য সংস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নজরদারি করার প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। এতে কোনো নিরীহ ও দক্ষ কর্মকর্তা হয়রানি হবেন না।

প্রস্তুত হচ্ছে সেন্টমার্টিন, বেহাল জেটি বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চলছে শরৎকাল। প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শারদ-স্নিগ্ধতা। ধীরে শান্ত হয়ে আসছে নীল জলরাশির বঙ্গোপসাগর। কিছুদিন পরই প্রকৃতিতে হেমন্তের পাতাঝরা গান বেজে উঠবে, সে পথেই আসবে কুয়াশা মোড়ানো শীত। শীতের আবহ শুরুর মধ্য দিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠবে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক পর্যটন বছর। এ মুহূর্তে সে প্রস্তুতিতেই সময় পার করছেন কক্সবাজারের পর্যটনসেবীরা।

কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের ভ্রমণের আরাধ্য স্থান প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। বরাবরের মতো এ দ্বীপে পর্যটক আনা-নেওয়া করতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ নামানোর উদ্যোগ শুরু করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সেন্টমার্টিন দ্বীপে নামতে স্থাপিত একমাত্র জেটির বেহাল দশায় এ বছর এখানে পর্যটকদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবহেলায় ভাঙছে দ্বীপের চারপাশ। সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে দ্বীপের একমাত্র কবরস্থানও। দ্বীপবাসীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

jagonews24

সেন্টমার্টিন নৌরুটে চালানো একাধিক জাহাজের পরিচালক পর্যটন উদ্যোক্তা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, গত ক’বছরে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবে সেন্টমার্টিন জেটির অনেকাংশ ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে পন্টুন। সবশেষ গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জেটিটি আরেক দফা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি জেটির পাশে ট্রলার ভেড়ানোর অংশ পর্যন্ত ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় জেটিটি অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী এখন।

অন্যদিকে দ্বীপ ঘিরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেছেন। হেমন্ত, শীত ও বসন্ত- এ তিন ঋতু সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটনের জন্য ভরা মৌসুম। ফলে হেমন্তের আগমন বার্তায় মৌসুম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বেহাল জেটির কারণে বিনিয়োগকারীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বাঁচাতে রক্ষা বাঁধসহ বিধ্বস্ত জেটিটি অবিলম্বে সংস্কার জরুরি বলে মনে করছেন তারা। অন্যথায় পর্যটন খাতে জড়িত অন্তত অর্ধলাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান অচিরেই ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

jagonews24

জেটি সংস্কারের দাবিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পদক্ষেপ বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক পারাপারে ৮-১০টি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, শতাধিক মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ ট্যুরিস্ট গাইড এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ অন্তত ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা সেন্টমার্টিনকে ঘিরে পরিচালিত হয়। এসব কর্মকাণ্ডের একমাত্র মাধ্যম সেন্টমার্টিন জেটি। অনেক দিন জেটির সংস্কার নেই। কিন্তু দ্বীপের প্রবেশদ্বার জেটি ছাড়া দ্বীপ একেবারে অচল। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জেটির মেরামত করা না গেলে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার বিপুল রাজস্ব হারাবে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এ খাতে সম্পৃক্ত অর্ধলক্ষ মানুষ।

দ্বীপের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিরাট একটা অংশ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তাদের জন্য দ্বীপে গড়ে উঠেছে দুশর বেশি হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ। রয়েছে শতাধিক রেস্তোরাঁ। শীত মৌসুমে দ্বীপবাসীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটন। এ খাতকে পুঁজি করে প্রচুর বিনিয়োগও রয়েছে। বছরে মাত্র পাঁচ-ছয় মাস ব্যবসার আয়ের টাকায় ১২ মাস চলেন দ্বীপের বাসিন্দা ও উদ্যোক্তারা। জেটিটি দ্রুত সময়ে সংস্কার না হলে বন্ধ হয়ে যাবে আয়ের প্রায় সব উৎস।

jagonews24

ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা এমএ হাসিব বাদল, এসএম কিবরিয়া খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তোহা, সহ-সভাপতি ইফতিকার আহমদ চৌধুরী, এসএ কাজল, নুরুল আলম রনি ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আল-আমীন বিশ্বাস তুষার। পর্যটন ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন সাহাব উদ্দিন জনি, জামাল উদ্দিন, জনি ভূঁইয়া, ফোরকান জুয়েল এবং বিভিন্ন পর্যটনসেবী প্রতিষ্ঠানের ট্যুর গাইডরাও উপস্থিত ছিলেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে জেটি ব্যবহার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফে যাওয়া কঠিন। দ্বীপবাসী তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা-নেওয়া করতে পারেন না। জেটির কারণে দ্বীপের লোকজন মারাত্মক ক্ষতি ও ভোগান্তির শিকার। এ পরিস্থিতিতে জেটি পারাপার কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকারি কাজগুলো করা না গেলেও রহস্যজনক কারণে বেসরকারি স্থাপনা ঠিকই উঠছে। অথচ এখানে নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নানা দপ্তর কাজ করে। জরুরি প্রয়োজনে আসা-যাওয়ায় এসব সংস্থায় নিয়োজিতরাও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

jagonews24

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, সেন্টমার্টিনের জেটিটি জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে প্রতি অর্থবছর নিলামের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়। এ বছরও নিলাম হয়েছে এক কোটি ২২ হাজার টাকায়। আগের বছরগুলোতে ৭০-৮০-৯০ লাখে নিলাম হয়। জেটিটি অনেক আগেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। অথচ এটি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় হলেও আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন জেটি স্থাপনে হাত দিতে পারছি না। এর পরও জরুরি চলাচলে বেহাল দশা কাটাতে জেটিটি সংস্কারে আদেশ পেতে চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। ৪২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নির্দেশনা এলে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু হবে।

‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে সেন্টমার্টিনে একটি অত্যাধুনিক জেটি নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেবো। এ সংক্রান্ত যথেষ্ট ফান্ড আমাদের রয়েছে’-বলেন এ কর্মকর্তা। জাগো নিউজ

অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেফতার শতাধিক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : অনুমোদন না নিয়ে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করায় অস্ট্রেলীয় পুলিশ মেলবোর্ন থেকে ২৩৫ এবং সিডনি থেকে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। মেলবোর্নে সাত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মরিচের গুঁড়া ছিটায়। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হন। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া পুলিশের কমান্ডার মার্ক গ্যালিয়ট গণমাধ্যমকে বলেন, একদল বিক্ষোভকারী এখানে এসেছে পুলিশের সঙ্গে লড়াই করতে, করোনা থেকে মুক্তির জন্য নয়। রাজ্যটিতে শনিবার নতুন করে ৫০০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

করোনার অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টার কারণে গত জুনের মাঝামাঝি থেকে সিডনি, মেলবোর্নের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতেও নতুন সংক্রমণ বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় জারি রয়েছে লকডাউন। শনিবার যে ১ হাজার ৮৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশই সিডনির।

jagonews24

এদিকে, বড় ধরনের বিক্ষোভ মোকাবিলায় সিডনির রাস্তায় দাঙ্গা স্কোয়াড অফিসার, হাইওয়ে টহল, গোয়েন্দা ও সাধারণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ মানুষই সরকারের টিকাদান ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সমর্থন করেন। এরপরও মাঝেমধ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউনবিরোধী সহিংসতা দেখা যায় সেখানে।

বান্দরবানে পর্যটকবাহী জিপে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ২

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বান্দরবানে পর্যটকবাহী জিপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরবাগ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাংঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থেকে ১৬ জনের একটি পর্যটকবাহী দল জিপ গাড়ি নিয়ে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বগালেক ঘুরতে যায়। সারাদিন বগালেক এলাকায় ঘুরে বিকেলে তারা বান্দরবান সদর হয়ে রাজস্থলী ফিরছিল। বিকেল ৫টায় জিপটি জাহাঙ্গীরবাগ এলাকায় পৌঁছালে পাহাড়ে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। তখন সন্ত্রাসীদের গুলিতে কেউ আহত না হলেও চাকায় গুলি লেগে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়ির ২ জন যাত্রী আহত হন। তাদের রাজস্থলী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।    

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সন্ত্রাসীদের কোনো একটি দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। বাংলানিউজ

পদুয়ায় ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়ায় ট্রাক চাপায় আব্বাস উদ্দিন (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় ইউনিয়নের নাওঘাটা সড়কের ডেইল্যা পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আব্বাস উদ্দিন একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ধলিবিলা আজাইন্যা বর পাড়ার রশিদ আহমদের পুত্র ও ধলিবিলা শাহ মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন মুহাম্মদ আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলের পেছনে বসে শিশুটি পদুয়া তেওয়ারীহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মোটরসাইকেল থেকে শিশুটি ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় বিপরীত দিতে আসা ইটবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশুটিকে চাপা দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত এক শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে আশংকা অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, ট্রাক চাপায় এক শিশু চমেক হাসপাতালে মারা যাবার খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চুনতিতে ৩৫ যাত্রী নিয়ে বাস উল্টে খাদে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে ৩৫ যাত্রী নিয়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার মোকতার হোসেন (৩০) গুরতর আহত হয়েছেন। বাসে থাকা অন্যরা অক্ষত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারমুখী স্টার লাইন পরিবহণের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকামেট্রো-ব-১৪-৯৩৮৮) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। বাসের ভিতর আটকে পড়া যাত্রীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে উদ্ধারের জন্য বলেন। খবর পেয়ে দ্রুত হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ততক্ষণে আটকে থাকা যাত্রীরা তাদের বুদ্ধিমত্তায় যে যার মতো অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান। তবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম বাসের মূল দরজায় আটকে পড়া সুপারভাইজার মোকতার হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রব জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। আটকে পড়া সুপারভাইজার ছাড়া বাসের অন্য কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি খাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি বর্তমানে হাইওয়ে থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রেপ্তার তিনজনই এক বাসের যাত্রী, পাচার করছিল ইয়াবা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : যাত্রীবাহী বাসে ইয়াবা পাচারকালে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, কক্সবাজারের উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার আবদুর রশিদের পুত্র মো. সাদেক (২১), একই থানার কুতুপালং এলাকার আবদুর শুক্কুরের পুত্র মোহাম্মদ উল্ল্যাহ (২২) ও নরসিংদী সদরের ভেলানগর এলাকার আবুল হাসেমের পুত্র মো. আরিফ (২৮)।

লোহাগাড়াা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশী চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ইয়াবাগুলো কক্সবাজার থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ঘুমধুমে যাচ্ছে না রেল, অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করতে হবে প্রকল্পের কাজ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনটি ট্রান্সএশিয়ান রেল রুটের আওতায় মিয়ানমারের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনে দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। দুই প্যাকেজে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য মিয়ানমারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। তবে মিয়ানমার তাতে এখনো অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ট্রান্সএশিয়ান রেল রুটে যুক্ত হতে মিয়ানমারেরও ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত মিয়ানমার এ ধরনের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে। ফলে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে না। আদৌ তা হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে অসমাপ্ত অবস্থাতেই শেষ করতে হবে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ২০১৭ সালে চুক্তি সইয়ের সময় তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২০ সালে দুই প্যাকেজের কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে নানা কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন বিলম্ব হওয়ায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হস্তান্তরে বিলম্ব, ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিলম্ব ও জমির বাস্তব দখল প্রাপ্তিতে বাধা, বনভূমি ডি-রিজার্ভকরণ ও বনভূমি ব্যবহারের অনুমতি পেতে বিলম্ব, প্রকল্প এলাকা থেকে বৈদ্যুতিক পোল (খুঁটি) স্থানান্তরে বিলম্ব এবং করোনার প্রভাবের কারণে বর্ধিত সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। এই কারণে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব এরই মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে ঢাকায় রেলভবনে পাঠানো হয়েছে। রেল ভবন থেকে এই প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। এতে প্রকল্পটি বিলম্বিত হওয়ার জন্য পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান জানান, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, ক্ষতিপূরণে বিলম্ব ও প্রকল্প এলাকায় থাকা বৈদ্যুতিক টাওয়ার/পোল অপসারণে বিলম্ব হওয়ায় ঠিকাদারকে জমি বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারির প্রভাব। এসব কারণে প্রকল্পটির মেয়াদকাল দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা আশা করছি বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও প্রকল্প ব্যয় কিন্তু বাড়ছে না। -আজাদী