- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

থানচিতে স্রোতে ভেসে পর্যটক নিখোঁজ

নিউজ ডেক্স : বান্দরবানের থানচিতে স্রোতে ভেসে ফজলে এলাহি (২৪) নামে এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানচির বড় পাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা ১২ পর্যটকের একটি দল শনিবার সকালে থানচি বাজার থেকে রেমাক্রী-তিন্দুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে দুপুরে ওই টিমের চার সদস্য বড় পাথর এলাকায় পানিতে নামলে ফজলে এলাহি সুমন স্রোতে ভেসে যান। এসময় অন্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। বিজিবির সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি জানান, পর্যটক নিখোঁজের খবর শুনেছি। এলাকাটি খুবই দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুবই খারাপ। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনে নাম এন্ট্রি করে না যাওয়ায় তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। জাগো নিউজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ শতাংশ স্নাতক পাস বেকার

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের ৬৬ শতাংশ চাকরি পাচ্ছেন না। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও তারা বেকার। ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি পাচ্ছেন। ৭ শতাংশ এখনও অন্য কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছেন কিংবা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ৩ শতাংশ নিজ উদ্যোগে কিছু করছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক জরিপে এসব তথ্য উঠেছে।

বিআইডিএস বলছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে যারা বেকার থাকছেন, তাদের অধিকাংশই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বাইরে অন্যান্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। অর্থাৎ ব্যবসায় প্রশাসনে পড়া শিক্ষার্থীরাই তুলনামূলকভাবে বেশি চাকরি পাচ্ছেন। নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করার ক্ষেত্রেও ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।

সরকারি গবেষণা সংস্থাটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের ৫৪টি সরকারি ও বেসরকারি কলেজের ২০১৭ সালে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর মুঠোফোনে জরিপটি চালানো হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা শ্রমশক্তিতে কতটুকু অবদান রাখছেন, তা জানতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপে এক হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী, ২০২ জন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৩৩ জন চাকরিজীবীর মতামত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে জরিপের সমন্বয়ক ও বিআইডিএসের গবেষক মিনহাজ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকছেন। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। এর সঙ্গে কলেজগুলোতে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

জরিপ বলছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, তাদের গড় বেতন ৩০ হাজার টাকা। যারা বেকার, তাদের ৬২ শতাংশই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বাইরে অন্যান্য বিভাগের। তবে করোনার সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো অনলাইন পাঠদানে বেশ ভালো করেছে। ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানান, করোনার মধ্যে তারা অনলাইনে ক্লাস করেছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, স্নাতক সম্পন্ন করে চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে তারা শিক্ষক কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পান না। মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানান, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি খোঁজার সুবিধা রয়েছে। ৮৪ শতাংশ স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজতে ইন্টারনেট বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্বীকার করেন, তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। সেদিকে সরকারের আরও নজর দেওয়া ও বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন তারা।

জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে এখন মোট শিক্ষার্থী ২০ লাখের মতো। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অধিভুক্ত কলেজ আছে দুই হাজার ১৫৪টি। এগুলোর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ। স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় এ রকম সরকারি-বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ৫৫৭টি। জাগো নিউজ

পুলিশের পেজে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য, গ্রেফতার যুবক ৩ দিনের রিমান্ডে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার রমজান আলী (২২) নামে এক যুবককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।  

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গতকাল শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে রমজানকে গ্রেফতার করা হয়।  

তার বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করছেন।

চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেশব চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাংলানিউজ

ফখরুলদের ওপর নিজ দলের কর্মীদেরই আস্থা নেই : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, নিজ দলের কর্মীদের দ্বারাই তারা সমালোচিত। যে দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিব হুইসেল বাজালেই মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার বক্তব্য হাস্যকর।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলানিউজ

তিনি বলেন,  বিএনপি কোনো একটি অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, উনি কিংবা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড় থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, আর সবাই রাস্তায় নেমে পড়বে। আসলে তিনি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন। প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলে, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তার এই বক্তব্য।  

চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  বলেন, বেতার কেন্দ্রটি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কালুরঘাটে যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এই ট্রান্সমিটারটি আগে যেখানে ছিল, সেখানেই স্থানান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেডিও যেমন অনন্য ভূমিকা রেখেছে একইভাবে দেশ গঠনেও রেডিও ভূমিকা রেখে চলেছে। রেডিও যাতে ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য রেডিও’র উন্নয়নে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ দুর্বিপাকের সিগন্যাল শুনতে রেডিও’র ওপরই নির্ভরশীল থাকে উপকূলের অনেক মানুষকে।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেতারের আবাসিক রেডিও প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপ বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।  

বাড়তে পারে মুক্তির মেয়াদ, বিদেশে যেতে পারবেন না খালেদা!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে তার বর্তমান মুক্তির মেয়াদ পুনরায় আরও ছয় মাস বাড়তে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে চায় না সরকার। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু ভাবছে না সরকার।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে ছয় মাস করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। বাসায় থেকে তিনি যেভাবে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন সেটা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে আপাতত সরকার এ অবস্থানেই থাকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানান তারা।  

এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, তার ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানাবে। বাংলানিউজ

খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য, এ বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা কী এবং আইন অনুযায়ী তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারে কি-না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, যে ধারায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের নির্বাহী আদেশ।  

এই মুক্তির মেয়াদ সরকার বর্ধিত করতে পারে। খালেদা জিয়া আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে সরকার দুইটি শর্তে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছে। এখন শুধু নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বর্ধিতই করা যাবে। কিন্তু তার বিদেশে যাওয়ার বিষয় যদি আসে, তাহলে তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শর্তে বর্তমানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে। তাকে পুনরায় কারাগারে গিয়ে নতুন করে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তখন সরকার কী করবে, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কিছু করার নেই।

মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। শর্ত দুই হলো তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিন দফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলে, ০৭ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, বিএনপিকে কাদের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের কোনও সাংবিধানিক পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপিকে নির্বাচনমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। তাই এদিক ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে গত এক যুগ ধরে কোনও লাভ হয়নি। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বাংলানিউজ

আন্দোলন শুরু হলে মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন ৷ জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়া তো দূরের কথা, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারাই ঝাঁপ বন্ধ করে ঘরে অবস্থান নেয়। হিন্দি সিরিয়াল দেখে আর জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে। ১৩ বছর ধরে বিএনপির কথিত আন্দোলনের ডাক রাজপথে কোনও কম্পন তুলতে পারেনি। তাই জনগণ মনে করে এসব হাঁক-ডাক আষাঢ়ে গল্পের মতো ৷ ফেসবুক আর মিডিয়ায় যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।

আন্দোলনের জন্য জনসংশ্লিষ্ট ইস্যু প্রয়োজন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও গণমুখী রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো ইস্যুর খরায় ভুগছে। এজন্যই এ মুহূর্তে দেশে বিএনপির কথিত আন্দোলনের অবজেক্টিভ কোনও অবস্থা নেই। করোনা মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন নিজের অবস্থার উন্নয়নে প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্নে বিভোর বিএনপি। তারা ভাবছেন আন্দোলনের ডাক দিলেই মানুষ হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসবে। প্রকৃতপক্ষে এসব তাদের আকাশকুসুম ভাবনা। বিএনপি নেতারা যা বলেন নিজেরা তা বিশ্বাস করেন বলে জনগণ মনে করে না।

কাদের বলেন, গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থতা থেকে বিএনপি কোনও শিক্ষা নিতে পারেনি। বিএনপি নেতারা সরকারের বিরোধিতাকে দেশবিরোধীতায় নিয়ে গেছেন। তারা ক্ষমতার জন্য রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট করতেও ভ্রুক্ষেপ করছেন না। নিজেরা তো আন্দোলন করতে পারেন না, আবার পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, প্রয়োজনের সময় পাশে না দাঁড়ালে জনগণও কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের আহ্বানে সাড়া দেয় না।

লোহাগাড়ায় মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহনের ছড়াছড়ি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া সীমানায় নিষিদ্ধ যানবহানের ছড়াছড়ি। এরমধ্যে রয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান, লেগুনা ও মালবাহী ভটভটি। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এছাড়া এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের কারণে মহাসড়কে যানজট যেন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় লেগুনার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ মোটরসাইকেল আরোহী গুরতর আহত হন। গত ৪ সেপ্টেম্বর একইস্থানে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। গত ৮ আগস্ট মহাসড়কের আমিরাবাদ কিল্লার আন্দর এলাকায় মালবাহী ট্রাক ও ট্রলি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় ট্রলি চালক মো. জসিম উদ্দিনের (৪২) একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত ৩ আগস্ট মহাসড়কের আমিরাবাদ গোলাম নবী হাজির পাড়া এলাকায় মালবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এছাড়া গত সনের ২১ মার্চ মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় লেগুনার ১৫ যাত্রী নিহত হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে নিষিদ্ধ যানবাহন। মহাসড়কের ঠাকুরদিঘী, পদুয়া বাজার, বটতলী মোটর ষ্টেশন, আধুনগর ও চুনতিতে গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ গাড়ির ষ্টেশন। বটতলী মোটর ষ্টেশনে মহাসড়কের উভয় পাশ লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও মালবাহী বটবটির দখলে। যার ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হয়। ফুটপাত দখল করে রাখায় ষ্টেশনে আসা মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। হচ্ছে। নিষিদ্ধ গাড়ি নিয়ে অদক্ষ চালক মহাসড়কে দাপটের সাথে চলাফেরা করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঝে মধ্যে লোভ দেখানো অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু তা থিতু হয় না। এছাড়া কোন ভিআইপি মহাসড়ক অতিক্রম করার খবরে পূর্ব থেকে নিষিদ্ধ গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ভিআইপি চলে যাবার পর পুণরায় মহাসড়ক দখলে নেয় নিষিদ্ধ গাড়ি। অপরদিকে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আইস পার্ক ও এমদাদিয়া মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ লেগুনার ষ্টেশন। নিষিদ্ধ লেগুনাগুলো বটতলী থেকে চকরিয়া ও কেরানীহাট পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। লেগুনার অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ। যার ফলে মহাসড়কে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। মূলত: মালামাল পরিবহণের জন্য এসব লেগুনা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এসব লেগুনায় ছাউনী ও সিট বসিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহণ করছেন। যার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঘটছে দূর্ঘটনাও।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিক্সা ও লেগুনার কয়েকজন চালক জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা ও লেগুনা চালাতে হয়। প্রতিটি গাড়ির জন্য মাসে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা করে দিতে হয়। টাকা না দিলে মামলা দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। অনেক নামধারী সংবাদকর্মীও টোকেন ব্যবসায় জড়িতে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিরাপদ সড়ক চাই লোহাগাড়া শাখার আহবায়ক মোজাহিদ হোসাইন সাগর জানান, মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি ও লেগুনা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দাপটের সাথে চলছে এসব নিষিদ্ধ গাড়ি। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। হচ্ছে প্রাণহানী। নিষিদ্ধ এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাহলে কারো কিছুই করার থাকবে না।

লোহাগাড়া ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মাহমুদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান, লেগুনা ও মালবাহী ভটভটি চলাচল নিষিদ্ধ। তবে মহাসড়কের উভয় পাশে ৩০ ফুট পর্যন্ত দেখার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। তবে স্টেশনে যানজট নিরসনে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রব জানান, মহাসড়কে নিষিদ্ধ গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৭/৮টি গাড়ি আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে। মাসোহারা নিয়ে মহাসড়কে নিষিদ্ধ গাড়ি চলাচল করতে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবী করেন তিনি।

লোহাগাড়ায় অপহরণের ঘটনায় কিশোর গ্যাং’র দুই সদস্য গ্রেপ্তার

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়ায় মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৪০) নামে এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় কিশোর গ্যাং’র দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের বার আউলিয়া দরগাহ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিক্সাসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপহৃত মোহাম্মদ আলাউদ্দিন পদুয়া ইউনিয়নের হদ্দলি পাড়ার শাহ আলমের পুত্র। গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা হল, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নিজতালুক এলাকা মো. ফরিদ উদ্দিনের পুত্র মো. ইমরান (২০) ও সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা নুনু চৌধুরী বাড়ি এলাকার মো. শাহেদের পুত্র মো. জমির উদ্দিন (২৩)।

অপহৃত মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ঘটনারদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি হেঁটে পদুয়া তেওয়ারীহাট বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থল সিকদার দিঘীর পাড় এলাকায় কিশোর গ্যাং’র ৬ সদস্যের একটি দল তাকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সাতে তুলে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে বেঁধে মারধর করে। পরে তার স্ত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে স্ত্রী মুক্তিপণ দেয়ার আশ্বাস দেন।

অপহৃতের স্ত্রী বুলু আক্তার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কল করে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় অপহরণকারীরা। স্বামীকে জীবিত ফেরত পেতে চাইলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তারা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য শব্বির আহমদকে অবহিত করেন। পরে অপহরণের চার ঘন্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার স্বামীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী দলের কিশোর গ্যাং’র দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই দলের আরো ৪ সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদেরও গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অপহরণ ও চাঁদাবাজী আইনে দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

১৫ থানায় হচ্ছে আহ্বায়ক কমিটি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগর বিএনপি’র আওতাধীন ১৫ থানার মাত্র পাঁচটিতে পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কমিটি আছে। অবশিষ্ট থানাগুলোতে ২০১৯ সালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছিল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। পরের বছর নগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে গঠিত হয় আহ্বায়ক কমিটি। তারাও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অপূর্ণাঙ্গ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান আহ্বায়ক। ফলে ভেস্তে যায় সে উদ্যোগও। এ অবস্থায় ১৫ থানার প্রতিটিতেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে নগর বিএনপি। এ লক্ষ্যে প্রতিটি থানায় পৃথক কর্মী সমাবেশ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার থেকে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি চলবে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। সমাবেশ শেষে প্রতিটি থানার বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। ওই আহ্বায়ক কমিটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, একদিন অন্তর অন্তর থানাগুলোতে কর্মী সমাবেশ করব। এরপর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করব। গত ফেব্রুয়ারিতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি থানার সাংগঠনিক চিত্র আমরা সংগ্রহ করেছি। সেগুলো এনালাইসিস করে যোগ্যদের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। বিদ্যমান থানা কমিটির অনেকে ভালো কাজ করেছেন। তাদের বিষয়টিও আমলে নেয়া হবে। আবার একই থানায় যদি একাধিক প্রার্থী থাকে সেক্ষত্রে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগও নেয়া হয়। মাঝখানে ‘মিথ্যা’ মামলায় আমাকে জেলে যেতে হলো। ফলে সম্ভব হয়নি। এখন আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি তা আশা করি বাস্তবায়িত হবে। থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি করে দেবেন। পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে নগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।

এ বিষয়ে নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে কর্মী সমাবেশ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা তো আছেই। মাঝখানে করোনা পরিস্থতির কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকেও নিষেধ করা হয়েছিল। এখন তো স্বাভাবিক হয়েছে। তাই কার্যক্রম শুরু করছি।

মাত্র পাঁচ থানায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি : নগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় নির্দেশে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে নগরের দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য বিদ্যমান আংশিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেন নগর বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এরপ্রেক্ষিতে জমাকৃত তিনটি থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন তারা। থানাগুলো হচ্ছে – পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চকবাজার।

এর আগে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট ১০১ সদস্যের কোতোয়ালী থানা এবং ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট ১৫৮ সদসেদ্যর আকবর শাহ থানা কমিটি অনুমোদন দেন নগর বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। ওই হিসেবে নগরের পাঁচটি থানায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে।

১০ থানায় আংশিক কমিটি আছে : ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি চার থানায় আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় নগর বিএনপি। থানাগুলো হচ্ছে- পতেঙ্গা, বন্দর, ইপিজেড ও সদরঘাট। এর মধ্যে পতেঙ্গা থানা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫৬ জন, ইপিজেড থানা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩৪ জন, বন্দর থানা কমিটির সদস্য সংখ্যা ২৫ জন এবং ইপিজেড থানা কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৯ জন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১১ জুলাইও সাত থানায় আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চার সদস্যের বাকলিয়া, ছয় সদস্যের চকবাজার (বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ), দুই সদস্যের পাহাড়তলী, সাত সদস্যের চান্দগাঁও, দুই সদস্যের ডবলমুরিং, দুই সদস্যের বায়েজিদ (বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ), ও দুই সদস্যের পাঁচলাইশ (বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ) থানা। একই বছরের ১৮ জুলাই ছয় সদস্যের হালিশহর থানার আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

এছাড়া খুলশী থানা বিএনপি’র বিদ্যমান কমিটির সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নগর বিএনপি’র সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এ খুলশী থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের নগর কমিটি করা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নগরের আওতাধীন থানা ও সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটিগুলো গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নগরের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং ১৩ জন যুগ্ম আহ্বায়কের সমন্বয়ে পৃথক ১৫টি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রতিবেদনও জমা দেয় পর্যালোচনা কমিটি। পরবর্তীতে গত ২৯ মার্চ নগরের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল ও সমাবেশ করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হন আহ্বায়ক। করোনার জন্য উচ্চ আদালত বন্ধ থাকায় জামিন নিতে পারেননি সদস্য সচিবসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। গত ১ সেপ্টেম্বর জামিন পান তিনি। এরইমধ্যে বিধিনিষেধও ওঠে গেছে। এ সুযোগে কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া করতে চায় বিএনপি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ সবগুলো থানা কমিটিই মেয়াদোর্ত্তীণ। তাই নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নগর বিএনপি’র এক নেতা জানান। দৈনিক আজাদী

ডিসেম্বরের মধ্যে থানা সম্মেলনের টার্গেট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিট-ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনের দিকে এগুচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট-ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষ করে জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

দলের সভাপতি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোতে বর্ধিত সভা ও প্রতিনিধি সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা ও উপজেলা সম্মেলন শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা সম্মেলনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ১৫ সেপ্টেম্বর সম্পাদকমন্ডলী এবং সভাপতি মন্ডলীর সভা এবং ১৯ সেপ্টেম্বর বর্ধিত সভা আহবান করেছে। এখন নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযান চলছে।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ চলতি সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিট সম্মেলন শুরু করতে যাচ্ছে। ইউনিট সম্মেলনের পরপরই শুরু করবে ওয়ার্ড সম্মেলন। এরপরই নগরীর ১৫ থানা সম্মেলন শুরু করবেন বলে জানান নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক। তিনি গতকাল আজাদীকে জানান, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিট-ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষে জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের প্রস্তুতি আছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ১৫ সেপ্টেম্বর সম্পাদকমন্ডলী এবং সভাপতিমন্ডলীর সভা আহ্বান করেছে। এই সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে ইউনিট ও ওয়ার্ড সম্মেলন করা যায় সেই ব্যাপারে। ওয়ার্ড সম্মেলনের জন্য আগেই ১০টি টিম গঠন করা হয়েছিল। ওই টিমের কয়েকজন মারা গেছেন। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। এই লক্ষ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে বর্ধিত সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কোন ওয়ার্ডে কারা সম্মেলনের দায়িত্ব পালন করবেন।

যে ওয়ার্ডে সদস্য নবায়ন হয়ে যাবে সাথে সাথে সেখানে ইউনিটে ইউনিটে সম্মেলন করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিট সম্মেলন শেষ হলেই ওয়ার্ড সম্মেলন শুরু হবে। ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ হলেই নগরীর ১৫ থানা সম্মেলন। ১৫ থানায় সম্মেলন করতে ১৫ দিনের বেশি লাগবে না। দৈনিক আজাদী