- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে নতুন অতিথি, উপহার নিয়ে হাজির ইউএনও

ইউএনও’র কোলে সাজ্জাদুর রহমান-ফাতেমা বেগম দম্পতির নবজাতক

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলা তাঁতী পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে জন্ম নিয়েছে নতুন অতিথি। সাজ্জাদুর রহমান-ফাতেমা বেগম দম্পতির ঘরে এই পুত্র সন্তান জন্ম নেয় ।

খবর পেয়ে সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপহার নিয়ে নবজাতককে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুহাম্মদ মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া।

জানা যায়, সাজ্জাদুর রহমান-ফাতেমা বেগম দম্পতির বাড়ি আমিরাবাদ ইউনিয়নের কাজির পুকুর পাড় এলাকায়। সেখানে তাদের ভিটে-বাড়ি না থাকায় তাঁতী পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আশ্রয় নেন। উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বসবাসকারীদের মধ্যে এই প্রথম নতুন অতিথির আগমণ হয়।

উপকারভোগী সাজ্জাদুর রহমান জানান, তাদের ভিটেমাটি না থাকায় প্রায় ২ মাস পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আশ্রয় নেন। সেখানে গত ১৯ জুলাই তাদের ঘরে পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। তাদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাশিশুও রয়েছে। তাদের নবজাতককে দেখতে আসায় ইউএনও মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইউএনও আহসান হাবীব জিতু জানান, ভিটেমাটি না থাকায় সাজ্জাদুর রহমান-ফাতেমা বেগম দম্পতি মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বর্তমানে তারা সুখে-শান্তিতে আছেন। স্থায়ীভাবে পেয়েছেন বসবাসের ঠিকানা। তাদের কোলজুড়ে নবজাতক আগমণের খবর শুনে দেখতে যায়। এ সময় নতুন অতিথির জন্য কিছু উপহার সামগ্রী ও মিষ্টি নেয়া হয়েছে।

সাগরে ফের লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : একটি লঘুচাপের প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৩ জুলাই আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। পরে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এই অবস্থায়ই এটি ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে। সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

রাতে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার (দুই দিন) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ শাহীনুল।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, সেখানে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল রোববারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে। সেখানে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।

বিধিনিষেধে শিল্পকারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা; কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং ওষুধ শিল্পকারখানা বাদে সব শিল্পকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস বিধিনিষেধে বন্ধ থাকার কথা।

বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেকে শিল্পকারখানা চালু রেখেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয় নিয়ে আজ ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’

‘রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যে সব নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা (করোনা) যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটি হচ্ছে বিধিনিষেধ।’

বিধিনিষেধ কঠোর হওয়ার কথা আপনি বলেছিলেন, কিন্তু সেটি মাঠে দেখা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে বের হলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে।’

পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনে চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

অবসরে গিয়ে বড় অপরাধে আটকাবে পেনশন, বহাল থাকল আইন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অবসরে গিয়ে কোনো কর্মচারী গুরুতর অপরাধ করলে সরকার তার অবসর সুবিধা (পেনশন) সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে- আইনের এ বিধান বহালই থাকল।

‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে এ বিধান বাতিলের প্রস্তাব আনা হলেও মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন দেয়নি। সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। জাগো নিউজ

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আইনের ৫১ (৪) ধারায় বলা হয়েছে- ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।’ এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ক্যাবিনেট সেটা এগ্রি করেনি। ক্যাবিনেট আগেরটিই বহাল রেখেছে।”

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব ছিল যে রিটায়ার্ড করবে তার যাতে পেনশন থেকে কোনো টাকা কাটা না হয়। মন্ত্রিসভা এটা অনুমোদন দেয়নি। আগে যেটা ছিল সেটাই রেখে দিয়েছে।’

‘আরেকটি সংশোধন আনা হয়েছিল, আইনে আছে- পিআরএলে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে যাওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। প্রস্তাব আনা হয়েছিল এক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন লাগবে। এটাও ক্যাবিনেট এগ্রি করেনি। আগে যেটা ছিল সেটাই থাকবে।’

তবে আগের আইনে কিছু করণিক ভুল ছিল সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে সতর্ক বিএনপি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে সতর্ক রয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ‘শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। জাগো নিউজ

বিবৃতি বলা হয়, ‘এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি ‘শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপি এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, সংগঠনটির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নাই। সংগঠনটি বিএনপির এফিলিয়েটেড কোনো সংগঠন নয়।’

বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানানো হয় বিবৃতিতে।

ফখরুল ইসলামরা হিংস্রতার রাজনীতি করেন : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা হিংস্রতার রাজনীতি করেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে  সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলানিউজ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনমত উপেক্ষা করে একটা এক ঘেয়েমি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে অতীতে দেশে বিএনপি হিংস্রতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে মানুষকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। বহু মানুষকে ঝলসে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছে। এ হিংস্রতার রাজনীতি দেশে এর আগে কখনও দেখিনি। পৃথিবীতে সমসাময়িককালে রাজনীতির কারণে মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় এটি কেউ দেখেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা হিংস্রতার রাজনীতি করেন। এজন্য এ কথাগুলো বলেন।  

সরকার এক দলীয় শাসন কায়েমের অভিপ্রায় নিয়ে দেশ শাসন করছে। এজন্য বিএনপি ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এখন যদি বিধিনিষেধের মধ্যে কেউ ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়, তাহলে সে যদি কোনো দল করেন এবং তিনি যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন তাকে কি গ্রেফতার করা যাবে না। আমার প্রশ্ন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ফৌজদারি আসামির পক্ষ কেন নেন।

তিনি বলেন, যেকোনো রাজনীতিবিদ যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন আইন এবং আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আইন এবং ন্যায়প্রতিষ্ঠার জন্য যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুতরাং এখানে রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

বিধিনিষেধ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিধিনিষেধ দেওয়ার আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল দেশে কঠোর ‘লকডাউন’ দেওয়া দরকার। আবার ‘লকডাউন’ দেওয়ার পর বলছে এ ‘লকডাউন’ অপরিকল্পিত।

তিনি বলেন, দেশে প্রায় দেড় বছর ধরে করোনা মহামারি চলছে। এসময়ে দেশের খেটে খাওয়া একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি এবং দেশে কোনো হাহাকার নেই। তবে অনেকের সাময়িক অসুবিধা হয়েছে। সরকারের ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণে মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ অসুবিধা সাময়িক। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলে তাহলে বিধিনিষেধ প্রলম্বিত করতে হবে না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এ সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলে,  অথচ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ১৫৮ দিন হরতাল ও অবরোধ ডেকে ছিল তখন জনগণের অসুবিধা হয়েছিল সেটা মাথায় ছিল না। ১৫৮ দিন তারা মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল। আজতো মানুষের জীবনরক্ষা করার জন্য বিধিনিষেধ দিতে হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সব দেশে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যে ১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ১৫৮ দিন মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল সেটার জবাবটা কি।  

বিধিনিষেধ মানতে মানুষের যেভাবে অংশগ্রহণ করা দরকার ছিল সেটা আসলে মানুষ মানছে না এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতাশ। এজন্য তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি মানুষের মধ্যে করোনার শুরুতে যে ধরনের ভীতি ছিল সে ভীতিটা এখন আর নেই। গত এক বছর গ্রামে করোনা সংক্রমণ না ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষের মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছিল গ্রামে কখনো করোনা আসবে না। কিন্তু শহরের হাসপাতালগুলোতে যে রোগীগুলো ভর্তি হচ্ছে তার ৭০ শতাংশ রোগী গ্রাম থেকে আসছে। এখন সারাদেশে করোনা ছড়িয়েছে। এজন্য সবাইকে অনুরোধ জানাবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। নিজের স্বার্থেই বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন। আমার নিজের সুরক্ষা আমাকেই দিতে হবে। আমার সুরক্ষা অন্য কেউ দিতে পারবে না। এজন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করবো সবাই সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হবে ৩ বিষয়ে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনা মহামারির কারণে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

সোমবার (২৬ জুলাই) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলানিউজ

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ জনিত অতিমারীর কারণে ২০২১ সালের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে জেএসসি/সমমান ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়েল নম্বর প্রদান করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ে নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে কোনো রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের রেজিস্রেটশন কার্ডে চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন বা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিরুল ইসলাম।

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে গত ১৫ জুলাই এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি গতবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেয়া সম্ভব হবে, গতবারের অভিজ্ঞতায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে।

‘পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।’

কুমিল্লা বিভাগ হয়নি, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে একাধিক পোস্ট, সে সব পোস্টে দেখা গেছে কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করার কথা। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।

কিন্তু সরকার কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করেনি। তিনটি প্রশাসনিক থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ জুলাই) প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ভার্চ্যুয়াল সভায় মাদারীপুরের ডাসার, কক্সবাজারে ঈদগাঁও ও সুনামগঞ্জের মধ্যনগরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। আর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শান্তিগঞ্জ। বাংলানিউজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনটিই প্রত্যন্ত এলাকা। বিশেষ কনসিডারেশনে এগুলোকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে।

সভায় ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভার দুর্গম এলাকাকে বাদ দিয়ে এবং কিছু নতুন এলাকা সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের ৭৫ ভাগই গ্রামাঞ্চলের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগীদের ৭৫ ভাগই গ্রামাঞ্চলের। আর চিকিৎসাধীন রোগীদের ৯৫ শতাংশের বেশি রোগী নিম্নবিত্ত পরিবারের। বর্তমানে নারী রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। চিকিৎসাধীন ৭০ ভাগ রোগীরই প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্ট। ভর্তি রোগীদের মাঝে পঞ্চাশোর্ধ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৬০ শতাংশের বেশি রোগীর বয়স ৫০ ও তদুর্ধ্ব।

চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসাধীন রোগীর প্রায় শতভাগই মাস্ক পরায় চরম উদাসীন। মাস্ক পরার সঠিক নিয়মও তারা জানেন না। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও দিনের পর দিন থুতনির নিচেই পরেছেন। এছাড়া ভর্তি রোগীদের মাঝে টিকা গ্রহীতার হার আড়াই শতাংশেরও কম। দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন রোগী পাওয়া গেছে মাত্র একজন। আর ৫ জন রোগী রয়েছেন যারা এক ডোজ করে টিকা নিয়েছেন। মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যার অনুপাতে টিকা গ্রহীতার এই হার ২.২৬ শতাংশ।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ২৬৫ জন রোগীর ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত ১২-১৯ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের ওপর এ সমীক্ষা চালান চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক দল চিকিৎসক। মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পালের তত্ত্বাবধানে এ সমীক্ষা কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজীব বিশ্বাস। সমীক্ষা দলে ছিলেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা নুরুল করিম, করোনা ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা. সাবরিনা ইউসুফ ও মেডিসিন বিভাগের অনারারি মেডিকেল অফিসার ডা. সৌভিক পাল।

সমীক্ষা পরিচালনাকারী চিকিৎসকরা বলছেন, টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য ২৬৫ জন রোগীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এলাকা, নারী-পুরুষ, বয়স, আর্থিক অবস্থা, মাস্ক পরাসহ অন্যান্য তথ্য নেওয়া হয়েছে ১৭৪ জন রোগীর কাছ থেকে। সে হিসেবে টিকা সংক্রান্ত ছাড়া অন্যান্য তথ্য ১৭৪ জন রোগীর ওপর পরিচালিত সমীক্ষা থেকে পাওয়া।

সমীক্ষার উদ্দেশ্য : ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে। জুনের মাঝামাঝি থেকে চমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রোগী বাড়তে শুরু করে। জুনের শেষ দিকে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে করোনা ইউনিটে রেড জোনের আওতা বাড়াতে বাধ্য হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সংক্রমণকে কাছ থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই মূলত এই সমীক্ষা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সমীক্ষা পরিচালনাকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া ডা. রাজীব বিশ্বাস। এছাড়া সংক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কিনা, তা খুঁজে বের করাও এই সমীক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সমীক্ষা তত্ত্বাবধানে থাকা মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল।

সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ১৭৪ জন রোগীর মাঝে ১৩০ জন ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামাঞ্চল থেকে। হিসেবে ১২-১৯ জুলাই চিকিৎসাধীন রোগীর প্রায় ৭৫ ভাগই গ্রামাঞ্চলের। আর শহরাঞ্চলের রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৪ জন। শতকরা হিসেবে এটি ২৫ শতাংশ। উপজেলা পর্যায় থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে মীরসরাইয়ে। এ উপজেলা থেকে ২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফটিকছড়ি থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৭ জন। রাউজান থেকে ১৬ জন ও বোয়ালখালী থেকে ১৪ জন রোগী ওই সময়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি রোগী কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল ও উপজেলা থেকে এসে ভর্তি হন।

নারী রোগী তুলনামূলক বেশি : সামপ্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন সমীক্ষা পরিচালনাকারী চিকিৎসকরা। আক্রান্তের পর যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৭৪ জনের মাঝে নারী রোগী ভর্তি ছিলেন ৯৩ জন। আর পুরুষ রোগী ছিলেন ৮১ জন। নারী রোগীদের প্রায় শতভাগই গৃহিণী।

পঞ্চাশোর্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি : চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি রোগী ৫০ ও তদুর্ধ্ব বয়সী। ৬০ শতাংশের বেশি রোগী এই বয়সী। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভর্তি রোগীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি রোগী ৫০-৫৯ বছর বয়সী। এই বয়সী ৪০ জন রোগী ওই সময়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৬০-৬৯ বছর বয়সী ভর্তি ছিলেন ৩৬ জন। ৭০-৭৯ বছর বয়সী ছিলেন ৩৪ জন। হিসেবে ৫০ ও তদুর্ধ্ব বয়সী ১১০ জন রোগী ওই সময়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন, যা মোট ভর্তি রোগীর ৬৩ শতাংশ। আর ৩০ বছরের কম বয়সী রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। শতকরা হিসেবে যা ১০ শতাংশের সামান্য বেশি।

৯৫ ভাগের বেশি রোগী নিম্নবিত্ত পরিবারের : চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রায় ৯৫ ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ চিকিৎসাধীন এসব রোগীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল।

টিকা গ্রহীতার হার আড়াই শতাংশের কম : সমীক্ষায় দেখা যায়, ২৬৫ জন রোগীর মাঝে মাত্র একজন রোগী পাওয়া গেছে, যিনি করোনার দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। আর ৫ জন রোগী এক ডোজ করে টিকা নিয়েছেন। হিসেবে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে টিকা গ্রহীতার হার ২.২৬ শতাংশ। বাকি রোগীদের কেউ টিকা নেননি।

মাস্ক পরায় উদাসীনতা : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসব রোগীর প্রায় শতভাগই মাস্ক পরায় চরম উদাসীন মর্মে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমীক্ষা পরিচালনাকারী ডা. রাজীব বিশ্বাস বলছেন, আমরা প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে মাস্ক পরার বিষয়ে তথ্য নিয়েছি। গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এসব রোগী মাস্ক পরায় চরম উদাসীন। মাস্ক পরা নিয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে। মাস্ক পরার সঠিক নিয়মও তারা জানেন না। কেউ কেউ পরলেও মাস্কটি থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখতেন। আর একই মাস্ক তারা দিনের পর দিন পরতেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

মাস্ক পরায় উদাসীনতা ও অসচেতনতার কারণে গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক ডা. সুযত পাল। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ এখনো সচেতন নন, যার কারণে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। টিকা গ্রহণেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে অসচেতনতা লক্ষনীয়। ২৬৫ জন রোগীর মাঝে মাত্র ৬ জন পাওয়া গেছে, যারা করোনার টিকা নিয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট যে, টিকা গ্রহণের পর করোনায় আক্রান্ত হলেও গুরুতর জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া টিকাগ্রহীতাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে না। তাই সবার টিকা নিতে হবে। আর মাস্ক পরার বিকল্প নেই। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে ৭০ ভাগ রোগীর : করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের দুই-তৃতীয়াংশই (১০৮ জন) হাসপাতালে এসেছেন গুরুতর অবস্থায়। গুরুতর এসব রোগীর মাঝে ৬০ শতাংশের (৬০ জন) অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৫ শতাংশের কম। চিকিৎসাধীন রোগীদের ৭০ ভাগেরই (১১৭ জন) বিভিন্ন মাত্রায় অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে। আর জটিল রোগীর সংখ্যা ১৫ জন।

সমীক্ষা পরিচালনাকারী চিকিৎসকরা বলছেন, গুরুতর জটিলতা থাকা রোগীদের আইসিইউতে স্থানান্তর করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আইসিইউ শয্যার অপ্রতুলতার কারণে সবাইকে আইসিইউ সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। করোনা ইউনিটের রেড জোনে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে দৈনিক অন্তত ১০-১২ জনকে আইসিইউতে স্থানান্তরের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫টি। তাই আন্তরিকতা থাকলেও সব রোগীকে এ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সমীক্ষা পরিচালনাকালীন অন্তত ৮ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী জটিলতা নিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া দৈনিক গড়ে ৩৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন এখানে। সমীক্ষা পরিচালনাকালীন এক সপ্তাহে রেড জোনে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

সুপারিশ : সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে বেশ কয়েক দফা সুপারিশ করেছে সমীক্ষা পরিচালনাকারী চিকিৎসক দল। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, সর্বস্তরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, গণ টিকাদান যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা, যেকোনো মূল্যে বিরামহীন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, জনবলসহ আইসিইউ শয্যা-সুবিধা বাড়ানো, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো।

চমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট অতি অল্প সুযোগ-সুবিধা নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. সুযত পাল। তিনি বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বল রোগীদের ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। সীমিত জনবল ও কম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এখানকার চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্তরিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ জন রোগী এখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এটা কম পাওয়া নয়। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা এবং গণ টিকাদানে জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে জোর দেন তিনি। – আজাদী প্রতিবেদন

লোহাগাড়ায় ২৮ মামলায় ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে লোহাগাড়ায় ২৮ মামলায় ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৬ জুলাই) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন থানার এসআই দুলাল বাড়ৈ, উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী ও নয়ন দাশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা ও অযথা ঘুরাঘুরি করায় সংক্রমণ আইনে ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ২৮ মামলায় ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।