- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ঈদের আনন্দে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি

নিউজ ডেক্স : মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়ায় ঈদের দিন (২১ জুলাই) সারাদেশেই কম-বেশি বর্ষণ হবে। ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হালকা বর্ষণ, অন্যান্য বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হবে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, সব জায়গায় সবসময় বৃষ্টি হবে এমন নয়। এই রোদ, এই বৃষ্টি—বিষয়টা এমন হবে। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, হয়তো বৃষ্টি হবে হালকা। যেসব বিভাগে ভারী বর্ষণ হবে, সেখানেও স্থায়ী বৃষ্টি হবে না। তবে অস্থায়ী বৃষ্টি হবে। তাই ঈদের প্রস্তুতিতে ছাতাকে মাথায় রেখেই সারতে হবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

এই অবস্থায় বুধবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হালকা বৃষ্টিপাত হবে। অন্যান্য বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাংলানিউজ

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ২২ জুলাই রাত অথবা ২৩ জুলাই সকালে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে কিনা, এখনই বলা যাচ্ছে না।

অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ে গেছে ২০ ঘর

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও পুড়ে গেছে ২০টি বসতঘর।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালুখালীর ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলানিউজ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এক মৌলভির ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এপিবিএন ১৪ এর অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস ও এপিবিএনের সদস্যরা।

চলতি বছরের ২২ মার্চ এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়। বিদ্যালয় ও খাদ্য সঞ্চয় কেন্দ্রসহ অনেক ভবন আগুনে পুড়ে যায়।

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করেই ছাড়লো বাংলাদেশ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে অনায়াসে হারালেও বাংলাদেশের শেষ জয়টা অত সহজে এলো না। বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগে স্বাগতিকরা বড় সংগ্রহ পেয়ে যায়। জবাবে তামিম ইকবালের দ্রুততম সেঞ্চুরির পরও জয় নিশ্চিত ছিল না বাংলাদেশের। তবে শেষদিকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিপদ হতে দেননি পাঁচ বছর পর ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও।

এই জয়ে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এই নিয়ে দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে তৃতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল টাইগাররা।  ২০০৯ সালের পর বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমবার ধরলধোলাই করলো বাংলাদেশ।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের পঞ্চাশতম ওয়ানডে জয়। এই প্রথম কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের ফিফটি পারল বাংলাদেশ।  

সিরিজ জেতায় আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের ৩০ পয়েন্টের সবকটি পেল বাংলাদেশ। ৮০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানও সংহত হলো। বাংলানিউজ

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় তামিমবাহিনী। এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৯৯ রানের বড় টার্গেট তাড়ায় ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ও লিটনের জুটিতে আসে ৮৮ রান। ৪৬ বলে তামিম দেখা পান ফিফটির। লিটনও ছুটছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু ওয়েসলি মাধেভেরের বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা মারুমানির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি।

লিটনের বিদায়ের পর তিনে নামা সাকিবও দারুণ শুরু করেছিলেন। তামিমের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৯ রানের জুটি। তবে আগের ম্যাচে অপরাজিত ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা সাকিব এই ম্যাচে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩০ রানে লুক জঙওয়ের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৪২ বলে খেলে ১টি চার ও ১ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব বিদায় নেওয়ার আগেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। মাত্র ৮৭ বল খেলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় তিন অংকে পৌঁছান তিনি। তবে এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি তামিম। তিরিপানোর বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় তার ৯৭ বলে ১১২ রানের ইনিংস, যেখানে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার মারও আছে। তারপরের বলেই মাহমুদউল্লাহ হাঁটেন ড্রেসিং রুমের পথে।

চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নুরুল হক সোহান। একদিকে সোহান আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও মিঠুন খেলছিলেন দেখেশুনে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও স্পষ্ট হয়ে উঠছিল মিঠুনের ব্যাটিংয়ে। শেষ পর্যন্ত দলকে ২৬৮ রানে রেখে মাধেভেরের বলে চাতারার হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় তার ৫৭ বলে মাত্র ১ চারে সাজানো ৩০ রানের ইনিংস।

মিঠুন ফিরলেও অপরপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন নুরুল হাসান। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে ছুটে যেতে পারেনি। শেষ ৩ ওভারে জিততে দরকার ছিল মাত্র ১৩ রান। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে যা দেখেশুনে খেলে পেরিয়ে যান সোহান। আফিফ ১৭ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ। অন্যদিকে সোহান অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৪৫ রান নিয়ে।  এর আগে টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।  

এরইমধ্যে সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করে ফেলায় নির্ভার বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে, আর ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন নুরুল হাসান সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমান। জিম্বাবুয়ে দলেও দুটি পরিবর্তন হয়েছে। রায়ান বার্ল ও ডোনাল্ড টিরিপানো সুযোগ পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন রিচার্ড এনগাভারা ও তিনাশে কামুনহুকামোয়।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুর দিকে আঘাত হানেন সাকিব। উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন রেগিস চাকাভা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। প্রথম ৮ ওভারে কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংসে নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে খেলা ১৯ বলে ৮ রান করতে পেরেছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি ওপেনার মারুমানি।  

এরপর টেইলর ও চাকাভা ৪২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে টেইলর ২৮ রানের ইনিংস খেলে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহর শিকার হন। তবে চারে নামা মায়ার্সকে নিয়ে ফের রানের চাকা সচল রাখেন চাকাভা। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি। দুজনের জুটিতে আসে ৭১ রান। মায়ার্সকে বোল্ড করে এই জুটিও ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরেকে (৩) সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন ইনজুরির কারণে প্রথম দুই ম্যাচ মিস করা মোস্তাফিজুর রহমান।

১৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ের ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন চাকাভা। কিন্তু তাসকিনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ৯১ বলে ৮৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে। তবে এরপর রায়ান বার্ল ও সিকান্দার রাজা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী শুরু করেন। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি।  

৪৮ বলে ক্যারিয়ারের ১৭তম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পান ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা রাজা। অন্যদিকে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন বার্ল। রাজার সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১১২ রান, মাত্র ৮০ বলে। মোস্তাফিজের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে রাজার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৫৭ রান।

একসময় ৭ ওভারে ৭৯ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকা সাইফউদ্দিন ইনিংসের ৪৯তম ওভারে পর পর দুই বলে বার্ল (৫৯) ও ডোনাল্ড তিরিপানোকে বিদায় করেন। হ্যাটট্রিকের দেখা না পেলেও ওই ওভারের শেষ বলে টেন্ডাই চাতারাকে বোল্ড করে ফেরান ডানহাতি পেসার। এরপর ব্লেসিং মুজারাবানিকে (০) বোল্ড করে স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

বল হাতে ৩টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজ। ২ উইকেট গেছে মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট গেছে তাসকিন ও সাকিবের দখলে।

ক্ষেত নষ্ট করায় লাখ টাকার গরুকে পিটিয়ে হত্যা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ক্ষেত নষ্ট করার অপরাধে লাখ টাকা দামের একটি গরুকে (ষাঁড়) পিটিয়ে মারলো ক্ষেতের মালিক। সোমবার সন্ধ্যায় অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার হাতিয়াখোলা এলাকায়।

পবিত্র ঈদুল আজহায় বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় গরুটি বর্গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করে আসছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাদশা মিয়া। গরুটি হারিয়ে তিনি এখন পুরোপুরি নির্বাক। এ ব্যাপারে তিনি ঘটনার দিন রাতেই চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার হাতিয়াখোলা গ্রামের মৃত ফজল করিমের পুত্র বাদশা মিয়া (৬০) বিগত দেড় বছর আগে একই এলাকার শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি বাচুর বর্গা নিয়ে লালন পালন করছিলেন।

গত সোমবার বিকেলে তিনি তার পালিত গরুটি ঘাস খাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জমিতে বেঁধে দিয়ে আসেন। কিন্তু বিকেলের দিকে তিনি খবর পান বরবটি ক্ষেত নষ্ট করার অপরাধে রায়জোয়ারা এলাকার মৃত ছগির আহমদের পুত্র আব্দুল মান্নান (৫০) গরুটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। খবর পেয়ে বাদশা মিয়ার ১০ বছর বয়সী পুত্র জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুটি মরা অবস্থায় দেখতে পায়। এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে আবদুল মান্নান গরুটিকে পিটিয়ে মেরেছে।

গরুর পালিত মালিক বাদশা মিয়া জানান, পবিত্র ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি দীর্ঘদিন গরুটি লালন পালন করে আসছিলেন। ইতিমধ্যে তার গরুটির দাম ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিন্তু গরুটি বিক্রির আগেই পিটিয়ে অমানবিকভাবে হত্যা করে আবদুল মান্নান। তিনি তার গরু হত্যার উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করেন।

গরুর প্রকৃত মালিক মো. শাহজাহান জানান, গরুটি গত রবিবার বাদশা মিয়ার কাছ থেকে এক ক্রেতা ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়েছেন। কিন্তু উঠতি গরু হওয়ায় আমি বাদশা মিয়াকে পরামর্শ দিই এ বছর গরুটি বিক্রি না করে আগামী কোরবানিতে বিক্রি করতে। তখন আরো ভাল দামে বিক্রি করা যাবে। তাই সে গরুটি বিক্রি করেনি। ক্ষেত নষ্ট করার অযুহাত দেখিয়ে এভাবে একটি বোবা প্রাণীকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করা সত্যিই দু‍‍:খজনক।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত আবদুল মান্নান দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রে বৈঠকে আসার কথা বলেও আসেনি। এখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনি গরু হত্যাকারী আবদুল মান্নানের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পিটিয়ে গরু মেরে ফেলার ব্যাপারে বাদশা মিয়া বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান চন্দনাইশ থানায় ডিউটিরত অফিসার সাব ইন্সপেক্টর মল্লিকা রায়। আজাদী অনলাইন

কসাইয়ের ছদ্মবেশে ছিনতাই, পুলিশের হাতে ধরা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের জন্য অভিনব কৌশল নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। কসাই সেজে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী মো. শেখ ফরিদকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে আগ্রাবাদ মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২টি ছুরি ও গরুর মাংস কাটার গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয়।  

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফরিদ সিএমপির চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী। সে দুই মাস আগেও ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। জেল থেকে ছাড়া পায় মাত্র সপ্তাহখানেক আগে। এরপরই ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল নেয়। – বাংলানিউজ

ফরিদ জানায়, কোরবানি উপলক্ষে কসাই সেজে ছুরি নিয়ে ঘুরাফেরা করলে কেউ সন্দেহ করবে না। সহজেই চলাফেরা করা যায়। আবার তাকে কারও কাছে যেতে হবে না, সবাই তার কাছে আসবে। এই চিন্তা থেকেই সে কসাইয়ের বেশ ধারণ করে।  

গতকাল বিকেলেও কসাই মনে করে এক ব্যক্তি তার কাছে গেলে সে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু টহল পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় সে একই কায়দায় আবারও আগ্রাবাদ এলাকায় বসে। এসময় টহল পুলিশ দেখে সে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দুইটি ছুরি ও মাংস কাটার জন্য একটি গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে নগরের বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।  

অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত আসামি গোলজার আলম প্রকাশ গোলজার হোসেন প্রকাশ পিস্তল গোলজারকে (৩৯) অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ জুলাই) রাতে ডবলমুরিং থানাধীন দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যাপ্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।  গোলজার ডবলমুরিং থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি দাইয়াপাড়া, আছিয়া বাপের বাড়ির মো. মুছা প্রকাশ কালা বুচুইক্কার ছেলে।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ডবলমুরিং এলাকার ত্রাস গোলজার চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নম্বর আসামি। চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করে না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি দেশিয় তৈরি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি ও ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। – বাংলানিউজ 

হাতে হাতুড়ি, পকেটে পিস্তল : গোলজার সবসময়ই পকেটে পিস্তল ও হাতে হাতুড়ি রাখে। যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে সে। ২০১৮ সালে ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে টিপু ও সগীরকে গুলি করে গোলজার। ২০১৩ সালে পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি করে। আর কেউ তার কথার অবাধ্য হলে তাকে হাতুড়িপেটা করে। সর্বশেষ গত ১১ জুলাই দাইয়াপাড়ায় রাশেদ নামে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর এক সপ্তাহ আগে আরও একজনকে একই কায়দায় পিটিয়ে আহত করে।  

ভিক্ষুকের কাছ থেকেও নেয় চাঁদা : গোলজারের আয়ের কোনও উৎস নেই। চাঁদাবাজি তার আয়ের প্রধান উৎস। এলাকায় দোকান থেকে শুরু করে ভিক্ষুক থেকেও চাঁদা নেয় সে। ভিক্ষুকের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা নেয়। চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে সে।

২০০ টাকা পেলেই যে কাউকে মারে : ভাড়ায় অপরাধ করে গোলজার। মাত্র ২০০ টাকা দিলেই সে যে কাউকে গিয়ে মেরে আসে। বিশেষত তার এলাকাতেই এ ঘটনা ঘটায় বেশি। এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে কারও সাথে বাগবিতণ্ডা হলেই গোলজারকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সে তার স্টাইলে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।

চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা গোলজার মূলত টেকনাফ থেকে আনা ইয়াবা খুচরা বিক্রি করে। এজন্য তার ৩ জনের একটি বিক্রয় প্রতিনিধি দলও আছে। কমিশনের ভিত্তিতে তারা গোলজারের ইয়াবা বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২টি মামলা রয়েছে।

ইরাকের বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৩৫

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি মার্কেটে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নারী-শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।

সোমবার (১৯ জুলাই) ঈদের কেনাকাটার সময় এ হামলা চালানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত ছয় মাসের মধ্যে বাগদাদে এটিই সবচেয়ে বড় ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা। এখনও কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আইএস এ হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামলার পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল কাজেমি দেশটির নিরাপত্তা কমান্ডারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ এক টুইটে বলেন, ঈদের সময় সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

এ বছর এপ্রিলে বাগদাদে আরও একটি বোমা হামলায় নিহত হন চারজন ও ২০ জন আহত হন। এছাড়া জানুয়ারিতে আরও দু’টি আত্মঘাতী হামলায় প্রাণহানি ঘটেছিল ৩২ জনের। এসব হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন এলাকায় আজ ঈদ উদ্‌যাপন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ঈদুল আজহার নামাজের জামাতে অংশ নেন গ্রামের মুসল্লিরা। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ গ্রামে

নিউজ ডেক্স : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত এসব ঈদের জামাতে গ্রামের কয়েক শ মুসল্লি অংশ নেন।

নামাজ শেষে কয়েকটি গ্রামে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এসব গ্রামের বাসিন্দারা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন করার কথা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম

আনোয়ারা উপজেলার দুটি গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন বাসিন্দারা। সকালে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা জানান, হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় ২০০ বছর আগে থেকে তাঁরা এভাবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করে আসছেন।

দরবার সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল আটটায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এর আগে মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল ও ছনুয়ায় সকাল আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জারখীল দরবার শরিফ সূত্রমতে, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা; চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া; আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি দেওয়া হয়।

চাঁদপুর
স্থানীয় মুসল্লিরা জানিয়েছেন, ১৯৩১ সাল থেকে হাজীগঞ্জের সাদ্রা গ্রামে মাওলানা ইসহাক এক দিন আগের এই রেওয়াজ চালু করার পর ধীরে ধীরে জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তাঁর অনুসারীরা ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করেন।

ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে হাজীগঞ্জের বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর; ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট; মতলবের মোহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েকটি গ্রামে।

ফেনী
ফেনী সদরের ফরহাদনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এবং পরশুরাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (কোলাপাড়া) ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপু তাঁর ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিজ্ঞাপন

বরিশাল
বিভাগের ৪৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন। বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর গিরিয়া সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায়।

পটুয়াখালীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলাপাড়ার বদরপুর গ্রামের একটি মসজিদে।
পটুয়াখালীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলাপাড়ার বদরপুর গ্রামের একটি মসজিদে।

পটুয়াখালীর গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরীবুনিয়া, নিজহাওলা, কানকুনিপাড়া; বাউফলের রাজনগর, বগা, তাঁতেরকাঠি, মদনপুরা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি চন্দ্রপাড়া, কনকদিয়া, দিপাশা, শাপলাখালী, আমিরাবাদ এবং কলাপাড়ার দেবপুরে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বরগুনার আমতলী, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর, বেতাগী, ভোলা সদরের ইলিশা, বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন, টবগী, পক্ষিয়া, পশ্চিম মুলাইপত্তন এবং লালমোহন পৌর এলাকার ফরাজগঞ্জ ও লাঙ্গলখালী, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ও শম্ভুপুর এবং চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

পটুয়াখালী
সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের বদরপুর দরবার শরিফের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুস সায়াদাত আখন্দ জানান, বদরপুর গ্রাম ছাড়াও জেলার গলাচিপা, বাউফল ও কলাপাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় তাঁদের অনুসারীরা প্রতিবছরের মতো আগাম ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করছেন। এসব পরিবারের মধ্যে কোরবানির ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

পিরোজপুর
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর ও কাউখালী উপজেলার আট গ্রামের ৭০০ পরিবার আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করছেন। তবে তাঁরা পশু কোরবানি দেবেন আগামীকাল বুধবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাছিড়া, বাদুরতলী ও চড়কগাছিয়া গ্রামের ৬০০ পরিবার; কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের ৪০টি পরিবার এবং নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৭০টি পরিবার আজ ঈদ উদ্‌যাপন করছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়ার ইউপির সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, তিনিসহ তাঁর গ্রামের কয়েক শ মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। তবে আগামীকাল তাঁরা পশু কোরবানি দেবেন।

জামালপুর
সরিষাবাড়ীতে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ বলারদিয়ার জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে ১৩টি গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। নামাজের জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৭ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন করেন।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সকাল সাড়ে সাতটায় ১৩টি গ্রামের মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। বলারদিয়ার ঈদগাহ মাঠে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সকাল সাড়ে সাতটায় ১৩টি গ্রামের মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। বলারদিয়ার ঈদগাহ মাঠে।

দক্ষিণ বলারদিয়ার জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠের ইমাম আজিম উদ্দিন বলেন, সরিষাবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ বলারদিয়ার আজিম উদ্দিন মাস্টারের বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মুলবাড়ি, বলারদিয়ার, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, দাশেরবাড়ি, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা, খাগুড়িয়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ আদায় করেছেন।

শেরপুর
শেরপুরের তিন উপজেলার চারটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে। এসব গ্রাম হলো সদরের বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের চরখারচর মধ্যপাড়া ও উত্তরপাড়া, নকলার চরকৈয়া এবং নালিতাবাড়ীর নন্নী পশ্চিমপাড়া। এ চার গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ নামাজের জামাতে অংশ নেন।

বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, চরখারচর মধ্যপাড়া সুরেশ্বর জিকিরঘর ও উত্তরপাড়া গ্রামের একটি খোলা মাঠে প্রায় ৮০০ মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। এসব গ্রামের মানুষ দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবৎ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন করে আসছেন। তাঁরা ফরিদপুরের সুরেশ্বর পীরের অনুসারী।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করছেন। তাঁরা সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত, মুরিদান ও অনুসারী। জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে সুরেশ্বর দরবার শরিফ। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেখানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

দিনাজপুর
জেলায় সদর, বিরামপুর ও চিরিরবন্দরের কয়েকটি গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। সকালের বিভিন্ন সময়ে দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টির পার্টি সেন্টার, বিরামপুরে খয়েরবাড়ি মির্জাপুর ও আয়ড়া বাজার জামে মসজিদ, চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়নের রাবার ড্যাম এলাকায় নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের নামাজ আদায়ের স্থানে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। আগামীকালও নামাজ আদায়ের স্থানগুলোয় পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। – প্রথম আলো