- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ড. নদভী এমপি’র উদ্যোগে ঘরবন্দি মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনা মহামারির কারণে কঠোর লকডাউনের সময় ঘরবন্দি মানুষদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ‘লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল’।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম- ১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।

লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেল জানান, কঠোর লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে গেছে। অনেক অসহায় ও দরিদ্র মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে হচ্ছে। তাই কোন মানুষ যাতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য ড. নদভী এমপির উদ্যোগে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

লকডাউনে ঘরবন্দি কেউ ভ্রাম্যমাণ ফ্রি চিকিৎসাসেবা পেতে ০১৮৪৩-৪৯৯৫৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

টিকা নিতে চবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনার টিকা পাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে আবাসিক শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। জাগো নিউজ

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আজ আমাদের টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। চিঠির প্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য ডাকা হবে। তিনি আরও বলেন, যারা আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ করেছে তাদেরও সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চবির আবাসিক-অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পৃথক দুই অনলাইন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়।

এ মাসেই বিনামূল্যে দরিদ্রদের করোনা পরীক্ষা করবে সরকার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চলতি মাসে (জুলাই) রাজধানীসহ সারাদেশের দরিদ্র জনগণের করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ অধিশাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, সারাদেশে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার ফি প্রদান করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একই পরিবারের একাধিক সদস্যের করোনা পরীক্ষা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় করোনা মোকাবিলায় দেশের দরিদ্র জনগণের করোনা পরীক্ষা শুধু জুলাই মাসের জন্য বিনামূল্যে করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে আরও ১৪৩ জনের প্রাণ। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ হাজার ৬৪৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩০১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার হাজার ৬৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা হলো আট লাখ ২০ হাজার ৯১৩।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : আগামী কয়েক মাসে পুরো বিশ্বেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর এনডিটিভি।

গত ২৯ জুন প্রকাশিত করোনার সাপ্তাহিক রিপোর্টে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিললেও প্রকৃত সংখ্যা ১শ’র উপরে হওয়ার কথা। কারণ ভাইরাসের ধরন চিহ্নিতকরণের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন, তা অনেক দেশেই নেই। ফলে আসল সংখ্যা সামনে আসছে না।

সম্প্রতি বেশকিছু দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সামনে আসছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যই এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। করোনা মহামারির শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ডেল্টাই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যেসব জায়গায় টিকা দেয়ার হার কম, সেখানে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।

ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, আগামী কয়েক মাসে করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাবে ডেল্টা। সংস্থাটির প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমি জানি যে বিশ্বজুড়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনার ধরনগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।’

অনেক দেশেই জনস্বাস্থ্য এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ শিথিল করার কারণে বিশ্বে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলফা ভ্যারিয়েন্ট ১৭২টি দেশ ও অঞ্চলে, বিটা ১২০টি দেশে, গামা ৭২টি দেশে এবং ডেল্টা ৯৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ২১ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে ব্রাজিলে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ২৯৮, ভারতে ৩ লাখ ৫১ হাজার ২১৮, কলম্বিয়ায় ২ লাখ ৪ হাজার ১৩২, রাশিয়ায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬৫ এবং আর্জেন্টিনায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৮২৪।

পুলিশকে ‘সুন্দর আচরণ’ শেখাতে এএসপির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : থানাসহ বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাধারণ মানুষ ও সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে অকারণে দুর্ব্যবহার এবং অপেশাদার আচরণের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে হরহামেশাই, যা জনমনে পুলিশ বাহিনীর নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিরও প্রধানতম কারণ।  

পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের এই তিক্ত অভিজ্ঞতায় বদল আনতে সম্প্রতি অন্যরকম এক উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

গত একমাস ধরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা, রাউজান থানা, জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যদের প্রায়োগিক (প্র্যাকটিক্যাল) ক্লাসের মাধ্যমে সুআচরণ এবং উন্নত পেশাদারত্বের দীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। বাংলানিউজ

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মে মাস থেকে এই বিশেষ ক্লাসের কার্যক্রম শুরু করেন সার্কেল এএসপি। এই ক্লাস কার্যক্রম মূলত তিনটি পর্যায়ে বিন্যস্ত- জ্ঞান অন্বেষা, ব্যবহারিক পাঠ এবং প্রয়োগ অভীক্ষা। প্রথম স্তর জ্ঞান অন্বেষা অনেকটাই শ্রেণিকক্ষভিত্তিক। এসময় রীতিমতো বই, কাগজ-কলম, হোয়াইট বোর্ড, মার্কার ইত্যাদি ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ, মানবাধিকার, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে জনগণের সঙ্গে পুলিশের আচরণ এবং পুলিশ-জনতা সম্পর্ক বিষয়ে পাঠদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আলোকপাত করা হয় ভালো আচরণের গুরুত্ব এবং এর অনুপস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও। পাঠদানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতে প্রণয়ন করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট সিলেবাসও।

দ্বিতীয় স্তরের কার্যক্রমে থানার সকল পুলিশ সদস্যকে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে নেওয়া হয়। কাউকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য, আবার কাউকে আগত সেবাপ্রার্থী ও সাধারণ জনগণ সাজিয়ে তাদেরকে দেওয়া হয় সুআচরণের ব্যবহারিক পাঠ। একেবারে ডামি ডিউটি অফিসার ও নারী-শিশু ডেস্ক, সেন্ট্রি পোস্ট, রাস্তার চেকপোস্ট ইত্যাদি স্থাপন করে তাদের দৈনন্দিন কাজগুলো জনবান্ধব উপায়ে সম্পন্নের উপায় ব্যবহারিকভাবে শেখানো হয় এই ক্লাসে। এছাড়াও থাকে যানবাহন ও গৃহতল্লাশি, পাসপোর্ট ও চাকুরির ভেরিফিকেশন, রাত্রিকালীন ডিউটি, ট্রাফিক ডিউটি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কীভাবে জনসাধারণের সঙ্গে আচরণ করতে হবে তার প্রশিক্ষণ। থাকে গ্রুপ স্টাডির ব্যবস্থাও।  

তৃতীয় এবং শেষ স্তর অর্জিত জ্ঞানের মাঠপর্যায়ে প্রয়োগ অভীক্ষা। এক্ষেত্রে একেবারে নিয়মিত পুলিশি কার্যক্রম, যেমন: রাস্তায় নেমে বাস্তব যানবাহন তল্লাশি, ট্রাফিক ডিউটি ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আচরণ মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশোধনী প্রদান করা হয়ে থাকে। সার্কেল এএসপির সরাসরি উপস্থিতি এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে একেকটি গ্রুপ সেই নিয়মিত পুলিশি কার্যক্রমে অংশ নেন। আর অন্যসব গ্রুপের সদস্যরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সেই কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন এবং নোট নেন। এক গ্রুপের আচরণ প্রদর্শনীর পর অন্য গ্রুপের সদস্যরা সেই আচরণের শুদ্ধতা ও প্রযোজ্যতা সম্পর্কে মতামত দেন। সবশেষে শিক্ষকের ভূমিকায় থাকা সার্কেল এএসপি নিজেও প্রতি গ্রুপের আচরণিক মান সম্পর্কে কথা বলেন এবং অনুরূপ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য আরো উন্নততর আচরণ সম্পর্কে অভিমত প্রকাশ করেন। প্রতি থানায় সপ্তাহে কমপক্ষে এমন একটি ক্লাস নেওয়া হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, পুলিশ সদস্যদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন এবং পেশাদারত্বের মান বৃদ্ধির জন্য আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। আমি এই লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করতে বাস্তব শিখনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আচরণগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্র্যাকটিকাল অ্যাপ্রোচের পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে এর ইতিবাচক ফল দেখা যাবে।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশের চাকরিতে আসার আগে আমি বেশ কয়েক বছর বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলাম। শিক্ষকতার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই পুলিশ সদস্যদেরকে সুআচরণের পাঠ দিতে আমার এই প্রয়াস। ’

শুধু পাঠদান এবং আচরণ সংশোধনই নয়, থানার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে জ্ঞান অর্জন এবং নিয়মিত পড়ালেখার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে এএসপির ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান থানায় স্থাপন করা হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মিনি পাঠাগার’ শিরোনামের উন্মুক্ত লাইব্রেরি। পুলিশ সদস্যসহ থানায় আগত সাধারণ মানুষ এই লাইব্রেরি থেকে বই ধার নিতে এবং পড়ার পর সেটি ফেরত দিয়ে নতুন বই গ্রহণ করতে পারেন।  

এ প্রসঙ্গে সার্কেল এএসপি বলেন, ‘পড়াশোনা এবং জ্ঞান অর্জনের সাথে মানুষের আচরণগত উৎকর্ষ সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। এজন্য পাঠাভ্যাস তৈরির লক্ষ্যেই আমি আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত থানাগুলোতে এই লাইব্রেরি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ’

অভিনব এই প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের কার্যক্রমে খুশি সংশ্লিষ্ট থানাসমূহের পুলিশ সদস্যরাও। যেমনটা রাঙ্গুনিয়া থানার কনস্টেবল আরিফ বলছিলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ পুলিশ কনস্টেবলই ম্যাট্রিক (এসএসসি) পাস করে চাকরিতে ঢুকেছি। তাই সাধারণ মানুষের সাথে আচরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের জ্ঞানের স্বল্পতা থাকতেই পারে। এই ক্লাসে আমরা সেই জ্ঞান লাভের পাশাপাশি সংবিধান, মানবাধিকার ইত্যাদি সম্পর্কেও জানতে পারছি।  

তিনি বলেন, ‘একজন সিনিয়র অফিসার যখন এভাবে রাস্তাঘাটে নেমে আমাদেরকে হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন, বাস্তব ডিউটি করার সময় তা আমাদের আচরণকে একটু না একটু প্রভাবিত করবেই।’

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, রয়েছে অতি বর্ষণের আভাস

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন থেকেই দেশে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। আভাস রয়েছে অতি ভারি বর্ষণের। সেইসঙ্গে চট্টগ্রামের দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী শুক্রবারও (২ জুলাই) ভারি বর্ষণ হতে পারে। বাংলানিউজ

আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।আগামী শনিবার (৩ জুলাই) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লায় ২০৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২১ মিলিমিটার ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে ব্যবহারকারীকে দেয়া হবে ৩ মাস সময়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) এর কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।

এ প্রক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে যেসব নতুন হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি অবৈধ হয়ে থাকলে গ্রাহককে জানিয়ে তিন মাস সময় দেওয়া হবে। বিডিনিউজ

পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাস ওই সেট নেটওয়ার্কে সচল রেখে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। আর ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআরে নিবন্ধিত হয়ে গেছে।

বিটিআরসি বলছে, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় এখন থেকে কারো মোবাইল ফোন চুরি বা হারিয়ে গেলে খুব সহজেই তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এনইআইআর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে চালু হয়েছে সেগুলোর সবই নিবন্ধনে আনা হচ্ছে। ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ১০০ কোটির বেশি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর নিবন্ধিত হয়েছে, হাতে আরো ১৫ কোটি আইএমইআই নম্বর রয়েছে নিবন্ধনের জন্য। অপারেটরদের ডেটাবেইজে থাকা সব আইএমইআই নম্বর নিবন্ধিত হয়েছে। অনেক হ্যান্ডসেটের দু’টি করেও আইএমইআই নম্বর থাকে। এখনো প্রক্রিয়া চলছে। কতগুলো হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হলো সেই সংখ্যা কয়েকদিন পর চূড়ান্তভাবে দেওয়া সম্ভব হবে।”

তিনি বলেন, “নিবন্ধিত এসব সেট ব্যবহারে পরে আর কোনো সমস্যা হবে না। নতুন সেট নেটওয়ার্কে এলে এবং তার মধ্যে অবৈধ সেট থাকলে তা নিবন্ধন পাবে না। আজ থেকে নতুন যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, সেগুলো নেটওয়ার্কে সচল রেখেই এনইআইআর-এর মাধ্যমে বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হয়ে যাবে। আর যেসব হ্যান্ডসেটে বৈধ আইএমইআই নম্বর থাকবে না সেগুলোর গ্রাহককে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাস ওই সেট নেটওয়ার্কে সচল রেখে পরে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অবৈধ মোবাইল ফোন সেট বন্ধ করা এবং বৈধ সেটের নিবন্ধনে গত ডিসেম্বরে বিটিআরসি’র সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় কোম্পানি সিনেসিস আইটি। চুক্তি অনুযায়ী জুলাইয়ের মধ্যেই তারা ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম চালু করল।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এটি একটি স্মরণীয় দিন। কোন হ্যান্ডসেট চালু থাকবে আর কোনটা বন্ধ হবে তা তিন মাস পরে জানানো হবে। এনইআইআর-এর মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। এনইআইআর প্রযুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধ দমন আরো সহজ হবে এবং অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের মাধ্যমে রাজস্ব খাতেও সহায়তা হবে।”

সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “৩০ জুনের মধ্যে দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে তা অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে যেন কোনো অভিযোগ না পাই যে তার সেট নিবন্ধিত হয়নি। আজ সকাল থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাহকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যাপারে বিটিআরসিকে সতর্ক থাকতে হবে।”

স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক শহিদুল আলম অনুষ্ঠানে বলেন, “আগামী ২ থেকে ৩ দিন পর এ ধরনের কোনো অভিযোগ আর থাকবে না।”

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “অবৈধ সেট বন্ধের প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি শুরু হবে। এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”

বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, “এ প্রক্রিয়ায় হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে খুব সহজেই তা উদ্ধার করা যাবে। চুরি বা হারিয়ে গেলে হ্যান্ডসেটটি কোথায় আছে বা কে ব্যবহার করছে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে।”

অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “টেলিকম খাতের সবাই একসাথে কাজ করে এ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যত্তম একটি মাইলস্টোনে পৌঁছালাম। আগামী তিন মাসে এ প্রক্রিয়া একটি সুন্দর জায়গায় পৌঁছাবে বলে আশা করি।”

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন, মোবাইল অপারেটর, হ্যান্ডসেট আমদানিকারক ও প্রস্তুতকারক এবং বিটিআরসি’র ঊধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

চন্দনাইশে অটোরিকশাকে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, নিহত ১

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশে কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও অপর ৪ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোরে উপজেলার গাছবাড়িয়া পায়রা মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দোহাজারী হাইওয়ে থানার পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে চন্দনাইশের হাছনদণ্ডি জলদাশ পাড়ার একদল জেলে পটিয়ার খরনা থেকে মাছ শিকার করে রাতে অটোরিকশাযোগে আসার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া কলেজ গেইটস্থ পায়রা মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিকে থেকে আসা দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান তাদের বহনকারী অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী বিলে পড়ে যায়।

এসময় অটোরিকশায় থাকা ৫ আরোহীর মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর বিশ্বহাট জলদাশপাড়ার সজীব জলদাশের পুত্র প্রিয়ম জলদাশ (২৭) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আহতরা হলো চন্দনাইশ উপজেলার হাছনদণ্ডি জলদাশপাড়ার অরুণ জলদাশ (২৫), বিকাশ জলদাশ (৪৫), সুজন জলদাশ (৩০) ও খোকন জলদাশ (২৫)।

তাদের মধ্যে বিকাশ জলদাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দুর্ঘটনার পর পর দোহাজারী হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি থানায় নিয়ে আসে।

এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, কাভার্ডভ্যানটি ভুল পাশে গিয়ে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই অটোরিকশা আরোহী। ঘাতক কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপারকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রব। আজাদী অনলাইন

লোহাগাড়ায় ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : গতো দুই দিনে অতি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে লোহাগাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকার নদী, খাল ও ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে খাল পাড়ের মানুষ আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বহু বসতঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানান।

চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জানান, ভারী বর্ষণে ইউনিয়নের সাতগড় ছড়া ও হাতিয়ার খালের ভাঙ্গনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রীজ-কালভার্ড ও চলাচলের রাস্তা। এছাড়া রহমানিয়া পাড়া, পাঠিয়াল পাড়া ও সাতগড় এলাকায় ৭টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টিতে ডলুখাল ও হাতিয়ার খালের পানি বেড়ে ইউনিয়নের সিপাহি পাড়া, মিয়া পাড়া, সর্দানী পাড়া, চৌধুরী পাড়া, মরা ডলুকুল, ক্যামেলিয়া পাড়া, পাল পাড়া ও উজা পাড়াসহ প্রায় ১০টি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সিপাহি পাড়ায় শাহ মজিদিয়া-রশিদিয়া সড়ক, মিয়া পাড়া সড়ক ও রোস্তমের পাড়া সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে পানিবন্দি এলাকায় পরিদর্শনপূর্বক শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুচ জানান, ভারী বর্ষণে ইউনিয়নের আ.স.ম দিদারুল আলমে মাছের খামার, পেঁপে ও মাল্টা বাগান, ফারুক মিয়ার ৩টি মাছের খামার ও জানের আলমের ৫টি মাছের খামার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ডলুখানের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তাঘাট।

চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান জানান, ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকায় টংকাবতী খাল ঘেষা সড়ক ভাঙ্গনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া বহু রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে একাধিক মাছের খামার।

কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ জানান, ভারী বর্ষণে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টংকাবতী খালের ভাঙ্গনে বহু বসতঘর বিলীন হওয়ার মুখে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এস. এম ইউনুচ জানান, ইউনিয়নের সুখছড়ি এলাকায় টংকাবতী খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ২০টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাগাড়া হাজির পাড়া ও মজিদার পাড়ায় ২টি বসতঘর বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া সুখছড়ি খালের বেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহুর্তের ভেঙ্গে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। অতি বর্ষণে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও রাস্তাঘাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহির উদ্দিন জানান, হাঙ্গর খালের ভাঙ্গনে নিচতালুক এলাকায় প্রায় ১০টি বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। অনেক বসতঘর হুমকির মুখে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জুনাইদ জানান, অতি বর্ষণে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

খাল পাড়ের বাসিন্দারা জানান, অপরিকল্পতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ও খালের গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী ও খালের পাড় ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং জনবসতি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বর্ষণ ও পাহাড়ি পানি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭.৮ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। বীজতলায় পানির সঙ্গে বালু জমেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বীজতলার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লোহাগাড়ায় ৩৭ মামলায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে ৩৭ মামলায় ১৪ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা প্রশাসনের পাশপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবীব জিতু।

তিনি জানান, লকডাউনের প্রথম দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অযথা ঘুরাফেরা ও দোকান খোলা রাখার দায়ে সংক্রমণ আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারামতে ৩৭টি মামলায় ১৪ হাজার ৩৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেন তিনি।

অভিযানে সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসাইন মাহমুদ, সেনাবাহিনী কক্সবাজার ১০ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মুকতাদির আহমেদ আসিফ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওবাইদুল ইসলাম প্রমুখ।