- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

হেফাজতকে দীর্ঘমেয়াদি চাপে রাখবে সরকার

নিউজ ডেক্স : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ যাতে সাংগঠনিকভাবে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। সংগঠনটিকে সরকার আর কোনো কর্মসূচিতেও যেতে দেবে না।দীর্ঘমেয়াদি চাপের মধ্যে ফেলে হেফাজতের সাংগঠনিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে।

সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিভিন্নভাবে হেফাজতের নেতারা সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলেও সংগঠনটিকে আর আস্থায় নিতে পারছে না সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। গত মার্চে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত সাম্প্রদায়িক জঙ্গি সংগঠনের মতো প্রকাশ্যে যে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালিয়েছে তারপর সংগঠনটিকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যায় না বলে তারা মনে করছেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে সরকার পতনের টার্গেট নিয়ে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান ও যে ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব চালিয়েছিলো তারপরও হেফাজতকে ছাড়া দেয় সরকার। ওই সময় হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার অভিযোগ তোলে। ঢাকায় ৫ মের ঘটনার পর হেফাজতের শীর্ষ নেতা আহমদ শফীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয় এবং কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেয় সরকার।

আওয়ামী লীগ সূত্র আরও জানায়, তখন সরকারের ওই ছাড়কে দুর্বলতা হিসেবেই নিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। যার ফলে সংগঠনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে অগ্রসর হয়, যা দেশের সংস্কৃতি, সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিরোধী। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং সাম্প্রদায়িক তৎপরতাসহ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ঢাকার ধোলাইপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান, বিভিন্ন ধরনের হুমকি, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। সুনামগঞ্জের শাল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, এরপর আরও অগ্রসর হয়ে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস থেকে পর পর তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় হেফাজত। সংগঠনটিকে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ দেবে না সরকার। আগামীতে সংগঠনটিকে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করতেও দেওয়া হবে না।

এদিকে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সব ধরনের উপাদান রয়েছে সরকারের হাতে। হেফাজত যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং যারা এর নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারের কাছে তার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চের সহিংসতার ঘটনায় ৭৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় হেফাজতের ৪৯ হাজারের বেশি নেতাকর্মী আসামি হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত দুই মাসে সংগঠনটির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অনেকেই নজরদারিতে আছেন।

হেফাজতের নেতাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ৯ জুন হেফাজতের ৪৬ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এর আগে গত এপ্রিলে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছিল সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থা বিএফআইইউ।

সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনগত ভিত্তি সরকারের রয়েছে। তারা যে সব ঘটনা ঘটিয়েছে তার যথেষ্ট সচিত্র তথ্য, প্রমাণাদি সরকারের হাতে রয়েছে। হেফাজতের নেতাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য, প্রমাণ সংগ্রহে তৎপর রয়েছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। হেফাজতের এ যাবতকালের সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অভ্যাহত থাকবে বলেও সূত্রগুলো জানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, যেহেতু সরকারের হাতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার যথেষ্ট উপাদান আছে তাই আইনগতভাবেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। হেফাজত যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে সেটা সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। তাদের সাংগঠনিকভাবে আর মাথা উচু করে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। -বাংলানিউজ

লোহাগাড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩, প্রাইভেটকার জব্দ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ১০ হাজার ৩শ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, কক্সবাজার সদর থানার ২নং ওয়ার্ড বাহারছড়া এলাকার মো. আবুল বশরের পুত্র মো. ইকরাম হোসেন (৪২), উখিয়া থানার কুতুপালং এলাকার মৃত আবদুর রহমানের পুত্র মো. জাহেদ হোসেন (৩৯) ও উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৌলভী পাড়ার মৃত রফিক আহমদের পুত্র মো. খালেদ (২৭)।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী করা হয়। এ সময় ইকরাম হোসেন ও জাহেদ হোসেনের কাছে ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এছাড়া পদুয়া ইউনিয়নের সিকদার দিঘীর উত্তর পাড়ে জনৈক জাফর আহমদের চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে মো. খালেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩শ পিস ইয়াবা।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা ২৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ জুন) গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদ্দুজ্জামান। জাগো নিউজ

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ১৯ জুন থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনদিনে তিনটি বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।

জানতে চাইলে গুচ্ছভুক্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ‌‘করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। আপাতত পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘সেজন্য আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ জানানো হবে।’

জানা গেছে, এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও আগামী ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো তা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সেগুলো হলো-

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বজ্রপাতে ৪ মাসে ১৭৭ জনের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ছেই। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। বজ্রপাতে হতাহতের হিসাবে নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালাপুর, নেত্রকোণা ও চট্টগ্রামে বজ্রাঘাতে প্রাণহানি বেড়েছে।

শুক্রবার (১১ জুন) সামাজিক সংগঠন ‘সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম-এসএসটিএএফ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জাগো নিউজ

 বজ্রপাতের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এ জেলায় চলতি বছরের মে ও জুন মাসে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া চলতি বছরের চার মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬, জামালপুরে ১৪, নেত্রকোণায় ১৩ ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা গেছেন 

সংবাদ সম্মেলনে এসএসটিএএফ জানায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাসে বজ্রপাতে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ ও নারী ২৮ জন। তাদের মধ্যে শিশুর ১৩ জন, কিশোর ৬ ও কিশোরী ৩ জন। মৃত্যুর পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ৪৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ ও নারী ৭ জন।

সামাজিক সংগঠনটির তথ্যানুযায়ী- গত ৪ মাসে শুধু কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে প্রাণহানি হয়েছে ১২২ জনের। আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছে ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালেও বজ্রপাতে ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া নৌকায় মাছ ধরার সময় ৬ জন, মাঠে গরু আনতে গিয়ে ৫ জন, মাঠে খেলার সময় ৩ জন, বাড়ির আঙিনায় বা উঠানে ৬ জন, ভ্যান/রিকশা চালানোর সময় ২ জন এবং গাড়ির ভেতরে অবস্থানের সময় ১ জনের মৃত্যু হয়।

jagonews24

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চ মাসের শেষদিক প্রাণহানির ঘটনা শুরু হয়। চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ৬৫ জন।

‘বজ্রপাতের ১৫ মিনিট আগেই আবহাওয়া অধিদফতর জানতে পারে, কোন কোন এলাকায় বজ্রপাত হতে পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের এসএমএস করে বজ্রপাত বিষয়ে সতর্ক করা যেতে পারে 

সংগঠনটি জানায়, চলতি বছর বজ্রপাতের নতুন হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ। এ জেলায় চলতি বছরের মে এবং জুন মাসেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন। এছাড়া চলতি বছরের চার মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন, জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোণায় ১৩ ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা গেছেন।

সংগঠনের কেস স্টাডি বলছে, গত ৬ জুন বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার লোহাচড়া গ্রামে বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল আশরাফি খাতুন (১০) ও মহসিনা খাতুন (১২) নামের দুই শিশু। স্থানীয়রা জানান, ওইদিন দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল।

বিকেলে বৃষ্টি শুরু করে। সঙ্গে চলে প্রচণ্ড মেঘের গর্জন। এসময় ওই দুই বোন বাড়ির আঙিনায় বৃষ্টিতে ভিজতে বের হয়। পরে বাড়ির পাশে গাছ থেকে আম পড়ার শব্দ পেয়ে আম কুড়াতে গেলে বজ্রঘাতে শিশু দু’টি মারা যায়। বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে তামান্না আক্তার (১৫) ও তার চাচাতো ভাই আল-আমিন (৬) মারা যায়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় তারা দুইজন বজ্রপাতে আহত হন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সংগঠনটি জানায়, বজ্রপাতে হতাহতের এ পরিসংখ্যান করা হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও টেলিভিশনের স্ক্রল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি কিছু পরামর্শ তুলে ধরে। সেগুলো হলো—

> বজ্রপাতের ১৫ মিনিট আগেই আবহাওয়া অধিদফতর জানতে পারে কোন কোন এলাকায় বজ্রপাত হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের এসএমএস করে সতর্ক করা যেতে পারে।

> ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃত্যুর হার যতোটা, তার চেয়েও অনেক বেশি মৃত্যুর হার বজ্রপাতে। বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা করা হলেও তা মোকাবিলায় বরাদ্দ কম। মানুষের জীবন রক্ষার্থে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

> মাঠ, হাওর-বাওরে বা ফাঁকা কৃষিকাজের এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। যার ওপরে বজ্র নিরোধক স্থাপন করতে হবে। যেন বজ্রপাতের সময় কৃষক ও শ্রমিকরা সেখানে অবস্থান বা আশ্রয় নিতে পারেন।

> বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে থান্ডার প্রোটেকশন সিস্টেমের সব পণ্যে শুল্ক মওকুফ করতে হবে।

> সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বজ্র নিরোধক স্থাপনের ঘোষণা দিতে হবে।

> বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা/থান্ডার প্রোটেকশন সিস্টেম যুক্ত না থাকলে নতুন কোনো ভবনের নকশা অনুমোদন করা যাবে না।

এসএসটিএএফ-এর সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

এসময় অন্যদের মধ্যে বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ ড. মুনির আহমেদ, আইডিইবি রিসার্চ ও টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর রিসার্চ ফেলো মো. মনির হোসেন, এসএসটিএএফ-এর সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, নির্বাহী প্রধান (গবেষণা সেল) আব্দুল আলীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এমদাদ হোসাইন মিয়া, নির্বাহী পরিচালক রানা ভূঁইয়া, নূরে আলম জিকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমা চাইলেন সাকিব

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মাঠে মেজাজ হারিয়ে ফেলা তার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে এবার যেন একটু বেশিই করে ফেলেছেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নেমে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যে কাণ্ড ঘটালেন, তাতে হতবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা।

আম্পায়ার আউট না দেয়ায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে ফের মেজাজ হারান। দৌড়ে এসে তিন স্ট্যাম্প তুলে আছাড় মারেন। জাগো নিউজ

সাকিবের মতো এতবড় সুপারস্টার যখন এমন আচরণ করেন, সেটা তো অবাক করেই। এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। অবশেষে সাকিব তার ভুলটা বুঝতে পেরেছেন। অনুতপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

jagonews24

ফেসবুকে এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আমার মেজাজ হারানোর জন্য এবং ম্যাচটা সবার জন্য শেষ করে দেওয়ায়, বিশেষত যারা ঘরে থেকে খেলাটা দেখছিলেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়র এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি।’

সাকিব যোগ করেন, ‘কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মতবিরোধে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা ঘটে যায়। আমি আমার দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়াল এবং আয়োজক কমিটির কাছে এই মানবীয় ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটার পুনরাবৃত্তি হবে না। ধন্যবাদ এবং সবার জন্য ভালোবাসা।’

চট্টগ্রামের পাহাড় বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পাহাড় রক্ষার দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড় ও নদী রক্ষায় একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পিপলস ভয়েস’ ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ উদ্যোগে ২০০৭ ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন ও নাগরিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। ২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড়ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জন নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এ দিনকে ‘পাহাড় রক্ষা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বাংলানিউজ

সমাবেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, পাহাড় রক্ষার জন্য ২০০৭ সালের পর একটি কমিটি করা হয়। ১৪ বছরে ২১ টি সভা করেছে তারা। পর্বতসম কমিটি মিটিং করার পর মূষিক প্রসব করে। তারা ঝূঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে। এরা তো এমনি পাহাড়ের পাদদেশে যায়নি। কেউ না কেউ এসব বসতি তৈরি করে। অসহায় মানুষদের টার্গেট করে। তারা বাধ্য হয়ে সেখানে যায়। আর যখন বৃষ্টি হয় তখন তাকে উচ্ছেদ করতে যায় প্রশাসন। যে ঘরে শিশু আছে তরুণী আছে অসুস্থ একজন আছে তারা কোন ভরসায় বাসস্থান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে?

যারা এসব বাসস্থান তৈরি করে তারা কী একেবারেই ধরাছোঁয়ার বাইরে? ব্যক্তি মালিকানার পাহাড়ের দায় ব্যক্তির। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাহাড়ের দখলের দায় তো তাদের। শ্রমজীবী মানুষদের কি স্বল্প ভাড়ায় সেফটি নেটের মাধ্যমে নিরাপদ আবাসন দিতে পারি না? বায়েজিদ লিংক রোডে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বালির পাহাড় কীভাবে কাটলেন? এই হলো আমাদের আমলারা। তারা মানুষের পক্ষের আচরণ করে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ১১ জুনকে পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণা করুন।

অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, পাহাড়ধসে নিহতদের স্মরণ করি গভীর সমবেদনায়। আজো আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে পারিনি। পাহাড় অপরাজনীতি, অপেশাদার আমলাগিরির শিকার। ধসের পর গঠিত কমিটি ২১তম সভা করেছে। তাদের নির্লিপ্ততায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০৭ সালে ১৩টি স্থানে আর ২০১৭ সালে অনেক স্থানে ধস হয়। প্রকৃতি সতর্ক করতে চাইলেও আমরা তা হই না। এখানে পাহাড় শেষ করে বিন্না ঘাস লাগানো হয়। রক্ষাকারীরা ১৮টা পাহাড় কেটে নির্বাক থাকেন। তারা এ পরিবেশের অংশ না। আমরা পরিবেশের অংশীদার। আমলার মামলা দিয়ে নদী রক্ষা পাহাড় রক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে আপনাকে চট্টগ্রামের পাহাড় নদী দেখতে হবে। তা না হলে চট্টগ্রামকে রক্ষা করা যাবে না। আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিন।  

সভাপতির বক্তব্যে পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, যারা পাহাড় দখল করেছেন তাদের তালিকা পাহাড় রক্ষা কমিটি করেছিল। কারো বিরুদ্ধে আজো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাহাড়ের বসতিতে নাগরিক সুবিধা পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। একদিকে সব সুবিধা রাখবেন আর অন্যদিকে পাহাড় রক্ষার কথা বলবেন তা হয় না। যে হারে পাহাড় কাটা হচ্ছে এক দশক পর কোনো পাহাড় থাকবে না। পাহাড়বিহীন চট্টগ্রাম হবে। পাহাড় সমুদ্র নদীর যে নান্দনিক চট্টগ্রাম তা থাকবে না। জনমত পাহাড় রক্ষার পক্ষে। চট্টগ্রামের মানুষ বাধ্য হলে যেকোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় রক্ষায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলের কোটি টাকা খরচ হয় পাহাড় রক্ষায় একটি টাকা খরচ হয় না।

প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, সমাজ যেভাবে এগুচ্ছে বড় স্থাপনা দেখছি তেমন ধনী গরিবের বৈষম্য লাগামহীন বেড়েই চলেছে। পাহাড়ধস শুধুই কি প্রাকৃতিক নাকি অন্য কোনো কারণ আছে? কারণ বন্ধ করা না গেলে এভাবে প্রতিবার আন্দোলনে পথে দাঁড়াতে থাকব। একটা গোষ্ঠী লাগামহীন অর্থ আয়ের জন্য পরিবেশ ধ্বংস করছে। কদিন পরই বর্ষা। যদি পাহাড়ধসে কোনো ক্ষতি হয় তার দায় কী প্রশাসন বা সরকার নেবে? হয়তো পত্রিকায় সংবাদ হবে। কিন্তু যারা জীবন দিল তারা স্বার্থান্বেষী মানুষের লোভের বলি হয়ে গেল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সাংবাদিক প্রীতম দাশ বলেন, ১০ বছরে পরিবেশ আদালতে কয়টি মামলার বিচার শেষ হয়েছে? সেই আদালতে বিচারক থাকে না। পাহাড় কাটা চলছে বছরজুড়ে। শুধু দিবস আর বর্ষা এলে প্রশাসন সক্রিয় হয়। এভাবে হবে না।

পিপলস ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন যুব মৈত্রীর খোকন মিয়া, নারী প্রগতি সংঘের এসএম এরশাদুল করিম, চেরাগী আড্ডার এডমিন শৈবাল পারিয়াল, কারিতাস চট্টগ্রামের শ্যামল মজুমদার, ইকোর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এসএম আবু ইউসুফ সোহেল, সাংবাদিক মিন্টু চৌধুরী, স্বরূপ ভট্টাচার্য, শফিকুল ইসলাম সাজীব, সংগঠক সুপায়ন বড়ুয়া, ডা. মো. মহসিন, শিমুল দত্ত, মতিউর রহমান শাহ ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী তিতুমীর শাহ বান্না, নারী প্রগতি সংঘের তপন কান্তি দে প্রমুখ। সংহতি জানায় পরিবেশ ছাত্র ফোরাম।  

ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাউজান উপজেলার ফতেনগর এলাকায় ঋণের বোঝা বইতে না পেরে সঞ্জিত বড়ুয়া (৫০) নামে একজন আত্মহত্যা করেছে।  শুক্রবার (১১ জুন) বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সঞ্জিত বড়ুয়া একই এলাকার মৃত হীরেন্দ্র লাল বড়ুয়ার ছেলে।

সঞ্জিত বড়ুয়ার ভাতিজা জামাই শুভ বড়ুয়া জানান, সঞ্জিত বড়ুয়া ঋণগ্রস্ত ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংক, প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঝণ নেন। এ নিয়ে খুব হতাশ ছিলেন তিনি। টাকাও পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ঋণ পরিশোধের জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিতে থাকলে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তেই বিষপান করেন। বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া।  

তিনি জানান, বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সঞ্জিত বড়ুয়া। পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে রাউজান উপজেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যায় পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাংলানিউজ

বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী, স্ত্রী আইনজীবী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দিনাজপুরের বিরামপুরের মেয়েকে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত শনিবার (৫ জুন) ঢাকার হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অ্যাডভোকেট শাম্মী আকতার মনির (৪২) সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছে। আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনেপক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম। বাংলানিউজ

নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর হন রেলমন্ত্রী। নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।

জানা যায়, শাম্মী আকতার মনি বিরামপুরে নতুন বাজার এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে। তারা দুই ভাই এক বোন। দুই ভাই বিরামপুরের বাসায় থাকেন। বড় ভাই মিলন হোসেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। অপরজন স্থানীয় ব্যবসায়ী।

শাম্মী আকতার মনির এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে তার বোন।