- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ইতালিতে বাংলাদেশি যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইতালির তরিনো শহরে মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামে (২৫) এক বাংলাদেশি যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে তরিনোর করসো ফ্রান্সিয়া রোডে একটি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তরিনো শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন ইব্রাহিম। তার বাড়ি বাংলাদেশের কোন জেলায় তা জানা যায়নি। জাগো নিউজ

নিহতের রুমমেটের বরাত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিমের এক রুমমেট কাজ শেষে বাসায় ফিরে মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ এসে ইব্রাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার দিন বাসায় কেউ ছিল না। তার রুমমেটরা সবাই কাজে চলে যান। ওই দিন ইব্রাহিমের ছুটি ছিল। এই ফাঁকে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।

পুলিশ আরও ধারণা করছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার পর এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার তদন্তের সমন্বয় করেছেন প্রসিকিউটর ভ্যালেন্টিনা সেলারো।

ঢাকায় দিনে ৩৭ তালাক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাজধানীতে তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ আবেদনের পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে দিনে গড়ে ৩৭টি তালাকের আবেদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ৭০ শতাংশ আবেদন করছেন নারীরা। এই নারীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী এবং স্বাবলম্বী। ফলে তালাকের আবেদনে সমঝোতা হচ্ছে গড়ে ৫ শতাংশেরও কম।

 স্ত্রীদের করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ। অন্যদিকে স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামীরা। 

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তালাকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এর আগের ৯ বছরের তালাকের তথ্য বিশ্লেষণ করেও একই চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু তালাকের তেমন কোনো অভিন্ন কারণ দেখা যায়নি। প্রতিটি তালাকের ঘটনায়ই সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ উল্লেখ রয়েছে।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসিতে ১২ হাজার ৫১৩টি তালাকের আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ মাসে গড়ে এক হাজার ৪২টির বেশি, যা দিনে গড়ে ৩৫টি, ঘণ্টায় একটিরও বেশি। এসব তালাকের কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বনিবনা না হওয়া’।

এর মধ্যে স্ত্রীদের করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, পুরুষত্বহীনতাসহ বিভিন্ন কারণ।

 পারিবারিক বন্ধনের মূল বিষয় ধৈর্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই সহনশীলতার পরিচয় দিতে হয়। পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বাড়িয়ে একসঙ্গে চললে সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ কমবে। 

অন্যদিকে স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদ মেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামীরা।

২০১১ সালে ডিএনসিসিতে তালাকের আবেদন করা হয় দুই হাজার ৮৬৪টি, ডিএসসিসিতে দুই হাজার ৭৮৬টি। পরের বছর দুই সিটিতে গড়ে তিন শতাধিক বেশি আবেদন জমা পড়ে। ২০১৯ সালে ডিএনসিসিতে তালাকের আবেদন করা হয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি, ডিএসসিসিতে ছয় হাজার ১২৪টি। এভাবে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মানসিক চাপসহ সামাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বলেন, ‘একটা পরিবার গড়ে ওঠে একজন পুরুষ এবং নারীর বিবাহবন্ধনের মাধ্যমে। এর মাধ্যমেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু এখন কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পার্থক্য, প্রতিযোগিতার সঙ্গে নিজেকে চালিয়ে যাওয়া এবং সেগুলোর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পাড়ায় নারী-পুরুষের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব বাড়ছে। ফলে বাস্তবতা এবং প্রতিযোগিতার সঙ্গে টিকে থাকতে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিযোগিতামূলক সমাজ। মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। এই আকাঙ্ক্ষা আদি সমাজের সঙ্গে বর্তমান সমাজের পার্থক্য তৈরি করেছে। অথচ আগে যুগের পর যুগ সংসার টিকে থাকত।’

 এখন প্রতিযোগিতামূলক সমাজ। মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। এই আকাঙ্ক্ষা আদি সমাজের সঙ্গে বর্তমান সমাজের পার্থক্য তৈরি করেছে। অথচ আগে যুগের পর যুগ সংসার টিকে থাকত। 

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাকের নোটিশ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রথমে সেখানে তালাকের আবেদন নথিভুক্ত হয়। তারপর সেখান থেকে তালাকের আবেদন স্বামী এবং স্ত্রী সিটি করপোরেশনের কোন অঞ্চলে বাস করেন, সেই অনুযায়ী ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়।

divorce-(5).jpg
প্রতীকী ছবি

পরে আবেদনকারী ও বিবাদী উভয়পক্ষকেই আপসের নোটিশ পাঠান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট)। দুই পক্ষের মধ্যে আপস না হলে সিটি করপোরেশনের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না। আইন অনুযায়ী, আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপস বা প্রত্যাহার আবেদন না করলেও তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসির মেয়র দফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে তালাকের আবেদন করেছেন পাঁচ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে আবেদন দুই হাজার ৮২৫টি, ডিএসসিসিতে দুই হাজার ৬৬২টি। এই হিসেবে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসিতে দিনে ৩৭টি তালাকের আবেদন পড়ছে। যা ঘণ্টায় এক দশমিক পাঁচেরও বেশি।

এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসসিসি এবং ডিএনসিসিতে তালাকের আবেদন করেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। যা দিনে গড়ে ৩৪টি। এই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দিনে গড়ে তিনটি করে তালাক আবেদন বাড়ছে। বর্তমানে ডিএনসিসির পৃথক ১০টি অঞ্চল রয়েছে। কোনো অঞ্চলে দিনে বা মাসে কয়টি তালাক হয় তার হিসেব রাখে মেয়র দফতর।

এই দফতর সূত্র জানায়, ডিএনসিসি এলাকার মধ্যে অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকা তথা গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী, রামপুরা এলাকায় তালাকের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ গত ৬ জুন এই অঞ্চলে তালাকের আবেদন জমা পড়েছে ১২টি।

divorce-(5).jpg
প্রতীকী ছবি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী বলেন, স্বামী বা স্ত্রী যে পক্ষই আবেদন করুক, আগে উভয়পক্ষকেই সমঝোতার নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সমঝোতায় যান না। উভয়েই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন। দ্বিতীয়বার নোটিশ দিলেও তারা উপস্থিত হন না। আইন অনুযায়ী তালাক আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে সমঝোতা না হলে তা কার্যকর হয়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় তালাকের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে শিক্ষিত স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে তালাক বেশি হচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বিবিএসের ‘দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তালাকের ঘটনা ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাক আবেদন বেশি : ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএসসিসিতে তালাকের আবেদন করেছেন ছয় হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৪২৮টি আবেদন করেছেন নারী বা স্ত্রীরা। এক হাজার ৯১৭টি আবেদন স্বামীর। চলতি বছরের বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৩টি তালাকের আবেদন করেছেন স্ত্রী, স্বামী ৭০৯টি। এর মধ্যে গত মার্চে ৬০২টি তালাক আবেদনের ৪৮৬টিই স্ত্রীদের।

অন্যদিকে, ডিএনসিসিতে ২০২০ সালে তালাকের আবেদন করেছেন ছয় হাজার ১৬৮ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৫৩টি আবেদনই স্ত্রীর পক্ষ থেকে। এছাড়া চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আবেদন পড়েছে দুই হাজার ৮২৫টি। এর অধিকাংশ আবেদনই নারীদের বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসসিসিতে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে তালাকের আবেদনগুলো তদারকি করেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের। তিনি বলেন, বছরে যে পরিমাণ তালাকের আবেদন করা হয়, তার গড়ে ৭০ শতাংশই স্ত্রীদের। স্বামীদের আবেদন কম।

ঘুরেফিরে তালাকের একই কারণ : ডিএসসিসি ও ডিএনসিসিতে আসা তালাকের আবেদনগুলো ঘেটে তালাকের অভিন্ন কারণ দেখা যায়নি। সবগুলো আবেদনেই গৎবাঁধা কারণ। এসব আবেদনের একটি ছক বা ফরম আইনজীবীদের কাছে তৈরি থাকে। শুধু সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর নাম, পরিচয় বদলে একই ধাঁচের আবেদন করা হয়। মাঝেমধ্যে দুই-একটি কারণ ভিন্ন হয়ে থাকে।

divorce-(5).jpg
প্রতীকী ছবি

গত মে মাসে ডিএসসিসি মেয়র বরাবর আবেদন আসে ৩৬২টি। এর মধ্যে ২৫৩টি আবেদন ছিল স্ত্রীদের পক্ষ থেকে। আবেদনগুলোতে তালাকের কারণ হিসেবে স্ত্রীরা উল্লেখ করেছেন, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া, ভরণ-পোষণ না দেওয়া, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, অন্য নারীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক, মাদকাসক্তি। আর স্বামীদের আবেদনে স্ত্রীর বদমেজাজ, সংসারে উদাসীনতা, অবাধ্য হওয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলাসহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ডিএনসিসির তালাকের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে তালাকের প্রায় একই কারণ পাওয়া গেছে।

১৬ মে তালাক চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র বরাবর আবেদন করেন কলাবাগানের এক নারী। কারণ হিসেবে তিনি আবেদনে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন। যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডের আরেক নারী তালাকের কারণ হিসেবে তার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বনানী এলাকার এক ব্যক্তি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছু বনানীর ওই ব্যক্তি জানান, তাদের সাত বছরের সংসারে দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রী তার এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে গোপন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। বিষয়টি আগ থেকে সন্দেহ হলেও গত এপ্রিলে ধরা পড়ে। তাই স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যৌতুকের দাবিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন রামপুরার এক নারী। তিনি জানান, রামপুরা এলাকায় তার স্বামীর ছোট একটি মুদি দোকান রয়েছে। ব্যবসা বড় করার জন্য বাবার বাড়ি থেকে ৪ লাখ টাকা আনতে এক বছর ধরে স্বামী চাপ দিচ্ছিলেন।

কিন্তু দুই বছরের সংসারে বাবা বাড়ি থেকে ঘরের ফার্নিচার, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। এখন বাবার কাছে টাকা নেই। টাকা দিতে না পারায় নিয়মিত তাকে নির্যাতন করতেন স্বামী। তাই বাধ্য হয়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশে গৃহে নারী নির্যাতনের চিত্র নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ওই পাঁচ মাসে ২৬৯ জন নারী বা স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে স্বামীর দ্বারা ২৩ জন স্ত্রী নির্যাতন এবং ৯৫ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছেন ২৯ জন। এ ছাড়া পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করেছেন ৫৬ জন।

আসকের পরিচালক মিনা গোস্বামী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্ত্রীদের ওপর পারিবারিক নির্যাতন বাড়ছে। এই ধরনের অভিযোগই এখন আমাদের কাছে বেশি আসছে। এখন ঢাকায় বা দেশে যদি বিবাহবিচ্ছেদ বাড়তে থাকে তা হলে এই নির্যাতন অন্যতম কারণ। নারীর প্রতি সম্মানবোধ ও সহনশীলতাই পারে এই বিচ্ছেদ কমাতে।’ জাগো নিউজ

লোহাগাড়াসহ দেশের ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হবে কাল

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

এ প্রকল্পের অধীনে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন) উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

যে ৫০টি এলাকায় মডেল মসজিদ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন হচ্ছে সেগুলো হলো- ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী ও সালথা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর উপজেলা, শরীয়তপুরের সদর উপজেলা ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের জেলা ও উপজেলা সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড় সদর উপজেলা ও দেবীগঞ্জ, রংপুরের জেলা ও উপজেলা সদর, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, জামালপুরের সদর উপজেলা ও ইসলামপুর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, ভোলার সদর উপজেলা, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগাড়া, [1] মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, খুলনা জেলা সদর, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা। প্রতিটি মসজিদের নির্মাণ ব্যয় ১২ কোটি থেকে ১৬ কোটি টাকা।

চবিতে অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ বন্ধে ইউজিসির চিঠি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন আবাসিক হল, বিভাগ, দফতরসহ যেকোনো পর্যায়ের নিয়োগ বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এসময় তিন কর্মদিবসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যাপারেও ব্যাখ্যা চাওয়া হয় প্রশাসনের কাছে। গত ৩ জুন এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি চিঠি পাঠায় ইউজিসি।

চিঠিতে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া অ্যাডহক, দৈনিক হাজিরা, মাস্টাররোল ইত্যাদি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ না দেয়ার অনুরোধ করা হয়। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন পদে চবির জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ইউজিসি সরকারের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো নিয়োগের সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যয়ের ব্যাপার থাকে। তাই ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া যেকোনো পর্যায়ে নিয়োগ না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

এ ব্যাপারে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘গত ৩ জুন চিঠি দিয়ে চবির নিয়োগ বন্ধ ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘বুধবার (৮ জুন) চিঠির ব্যাখ্যা ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে।’ এর আগে গত ২৪ মে ইউজিসির নির্দেশনা ‘না মেনে’ এবার চবিতে কর্মচারী নিয়োগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টিতে আসে। জাগো নিউজ

ঘরের মাটি ফেটে তীব্র বেগে গ্যাস উদগিরণ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকায় একটি ঘরের মাটি ফেটে তীব্র বেগে গ্যাস উদগিরণ হচ্ছে। ১১ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো কোন ধরনের সহায়তা পাননি ওই বাড়ির মালিক।

তিনি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও প্রতিকার মিলেনি।  বুধবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গত মঙ্গলবার (৮ জুন) রাত ১১টার দিকে মোহরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মোহরা কালন সওদাগর বাড়ির তসলিম উদ্দীনের ঘরের মাটি ফেটে গ্যাস উদগিরণ শুরু হয়।  

তসলিম উদ্দীন বলেন, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে পানির সঙ্গে প্রচণ্ড বেগে গ্যাস বের হতে থাকে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে চান্দগাঁও থানা পুলিশ এসে দেখে কোনো সমাধান না দিয়েই চলে যায়। বুধবার সকালে কর্ণফুলী গ্যাসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসেছেন। কিন্তু তারাও কোন সমাধান দিতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসের কেউ আসেননি। আমি তাদেরকেও বিষয়টি জানিয়েছি।  

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর সেখানে একটি টিম পাঠিয়েছি। বাংলানিউজ

পাহাড় কেটে তৈরি করা রাস্তা ধসের শংকায় বন্ধ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) পাহাড় কেটে বানিয়েছে রাস্তা। আবার পাহাড় ধসের শংকায় সেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তিন মাসের জন্য। ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড নিয়ে সিডিএ’র এমন কাণ্ডে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

১৯৯৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় পাস হয় ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২০ কোটি টাকায়। এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা পাহাড় ধসের ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ করে দেওয়াকে প্রকৌশলগত ত্রুটি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
 
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, সিডিএ এই রাস্তাটি করতে বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটেছে। পাহাড় ধসের শংকায় তা আবার বন্ধ করে দিয়েছে। প্রকল্পের শুরু থেকে যদি পরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটা হতো তাহলে এখন এসে নতুন করে রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হতো না। সিডিএ’র প্রকৌশলগত ত্রুটির কারণে এক কাজ দ্বিতীয়বার করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের অর্থের অপচয় হচ্ছে।

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, এই প্রকল্পের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। আগামি বছরের জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। নগরের যানজট এড়াতে সড়কটির একপাশ খুলে দেওয়া হয়েছিল। এই সড়কে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু এখন বর্ষা মৌসুম তাই পাহাড় ধসের শংকা রয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই রাস্তাটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
  
তিনি বলেন, এই সুযোগে আমাদের আরও কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়েছে। তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্ষা মৌসুম চলে গেলে পুনরায় রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে।  

এদিকে, সড়কটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বায়েজিদ, নাসিরাবাদ, রুবি গেইট এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। নগরের ভিতরে যানজট থাকায় বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন করা হতো এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় পণ্য নিয়ে নগরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে। বাংলানিউজ

দেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরের পাহাড়তলী থানার ছদু চৌধুরী রোডের বশির শাহ্ মাজার এলাকা থেকে দেশি অস্ত্রসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তারা হলেন- ভোলা জেলার লালমোহন থানার বেদুরিয়া হাওলাদার বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ছেলে মো. রাব্বি (২০) ও শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার ডামুড্যা এলাকার মাতাব্বর বাড়ির  মো. আব্দুল কাদের ছেলে মো. রাব্বি হোসেন রাফি (১৯)।

বুধবার (৯ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. হাসান ইমাম। বাংলানিউজ

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে দেশি অস্ত্রসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত, শিগগিরই যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদে : শিক্ষামন্ত্রী

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (৯ জুন) অনলাইনে ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে সেশন ২০২১’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। বাংলানিউজ

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা আইন দীর্ঘদিন ধরে করার চেষ্টা করছি। আমরা সেই শিক্ষা আইনের খসড়াটি করোনাকালেই চূড়ান্ত করেছি। এখন মন্ত্রিপরিষদে যাবে। এরপর আরও কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে সেগুলো সম্পন্ন করে পার্লামেন্টে যাবে। সংসদে পাস হয়ে গেলে আমরা আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

চাইল্ড পার্লামেন্টে অনলাইন শিক্ষাসহ শিক্ষায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে। চাইল্ড পার্লামেন্টে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সমস্যা সমাধানের বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।  

চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যের জরিপ নয়, নিজেরা জরিপ করে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ করতে হবে।  

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক চাইল্ড পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে ১১ দালালকে গ্রেফতার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরীর পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে ১১ দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি পাসপোর্ট, ৩টি পাসপোর্টের ফরম ও ৫৫ হাজার টাকা।

গ্রেফতার দালালরা হলো সাইফুল, আমিনুল, রকিব, জহির, জুনাইদ, মুজিবুল, আহমদ হোসেন, জাকির হোসেন, সাকিব, জামাল ও সাইদুল। আজ বুধবার (৯ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। বাংলানিউজ

অভিযোগকারী সোহেল রানা বলেন, “পাসপোর্ট অফিসে অফিসারের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দালালরা আমাকে বাধা দেয় এবং তাদেরকে ছাড়া পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে আমি পুলিশকে অভিযোগ করি।”

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ১১ দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করা হবে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, “চট্টগ্রামে দু’টা পাসপোর্ট অফিস মিলিয়ে শতাধিক দালাল রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জনের বেশি দালাল স্বীকৃত। আমাদের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের ২০-২৫ জনের তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

একসঙ্গে ১০ সন্তান জন্ম দিয়ে গিনেস রেকর্ড

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারী একই সাথে ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে গিনেস রেকর্ড করেছেন। সোমবার রাতে দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়ার একটি হাসপাতালে গোসিয়াম থমারা সিথোল নামে ৩৭ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ এই নারী একসঙ্গে ১০ সন্তানের জন্ম দেন।

এর আগে গত মাসে মরক্কোর মাঝিয়ান হালিমা সিসি নামে এক নারী একসাথে ৯ সন্তান জন্ম দিয়ে গিনেস রেকর্ড করেছিলেন। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার গোসিয়াম ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙেছেন।

গোসিয়ামের স্বামী তেভো সোসোটেসি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রিটোরিয়ায় একটি হাসপাতালে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে ছিল তার স্ত্রী। বিকালে হঠাৎ করে ব্যাথা অনুভব হলে থাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের ডাক্তারেরা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল গোসিয়ামের গর্ভে একাধিক বাচ্চা রয়েছে।

তবে দুইজন বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক তিনজন জেনারেল চিকিৎসকের সহযোগিতায় সিজারের মাধ্যমে একে একে ১০টি বাচ্চা বের করে আনেন। যার মধ্যে সাতজন ছেলে এবং তিনজন মেয়ে। এর ৬ বছর আগে গোসিয়া যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

এই দিকে প্রসবের পর গোসিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমি আমার গর্ভ নিয়ে হতবাক। প্রথম দিকে ডাক্তাররা যমজ সন্তান বলছিল, কিন্তু ১০ জন সন্তান কিভাবে আমার গর্ভে ৩৬ সপ্তাহ ছিল তা অকল্পনীয়। আমি অসুস্থ ছিলাম, এটা আমার জন্য কঠিন সময় ছিল।

আমি কেবল ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন আমার সমস্ত শিশুদের সুস্থ অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখে। আমি এবং আমার সন্তানরা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আমি সকল চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একসাথে ১০ সন্তানের জন্ম দেওয়া নারী হাউটেং (জোহানেসবার্গ) প্রদেশের প্রিটোরিয়া সংলগ্ন থেম্বিসা এলাকার বাসিন্দা।

প্রিটোরিয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের উপ-প্রধান অধ্যাপক ডিনি মাওেলা বলেছেন, গিসোয়ানের ১০ সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিরল এবং সাধারণত ইশ্বরের সহযোগিতা ছাড়া এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। মাওেলা বলেন,১০টি শিশুকে আগামী কয়েক মাস ইনকিউবেটরে রেখে ওজন ঠিক করতে হবে। কারণ বাচ্চাগুলো গর্ভাবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।