স্বাস্থ্যবিধি মেনে হবে এসএসসি পরীক্ষা : শিক্ষাবোর্ড
Posted By
admin
On
In
ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সব কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ইতোমধ্যে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এজন্য পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকা বোর্ড।
সোমবার (৭ জুন) বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন আহ্বান করে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড বলেছে, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত সব কেন্দ্রকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হবে। জাগো নিউজ
এদিকে কয়েকমাস আগে এসএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। সিলেবাস প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৮৪দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
এ পরিস্থিতি গত ১ জুন থেকে এসএসসি’র নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকা বোর্ড। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ চলবে। নন-এমপিও কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন কেন্দ্রের আবেদন না করতে বলেছে বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য নতুন কেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে। এ আবেদন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্যাডে করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন কেন্দ্রের জন্য আবেদন বাবদ ৩ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার স্লিপ আদেনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নতুন কেন্দ্র অথবা কেন্দ্র পরিবর্তনের নির্ধারিত ছক ডাউনলোড করে পূরণকৃত ছক আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। প্রস্তাবিত কেন্দ্রটি বোর্ডের অনুমোদন পেলে পার্শ্ববর্তী যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজস্ব প্যাডে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে সুস্পষ্ট ঘোষণাসহ সম্মতিপত্রের মূলকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
স্নাতক ও প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
Posted By
admin
On
In
ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও প্রফেশনাল কোর্সের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষ ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ৮ জুন থেকে স্নাতক ও ২৩ জুন থেকে প্রফেশনাল শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মিয়ানমারের ‘ঐক্য সরকার’ হঠাৎ রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিল কেন?
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
আন্তর্জাতিক ডেক্স : বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত চাপ আর অনুরোধ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে রাজি হননি মিয়ানমারের ‘নির্বাচিত’ জনপ্রতিনিধিরা। বরং রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় সামরিক বাহিনীর পক্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছিলেন ‘গণতন্ত্রকামী নেতা’ অং সান সু চি নিজেই। তবে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেই সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েই যেন দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে মিয়ানমারের তথাকথিত গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাতিল ঘোষিত ২০২১-এর নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের একাংশ গত ১৬ এপ্রিল একটি বিকল্প সরকার হিসেবে জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) গঠন করে, যার বেশিরভাগই হচ্ছেন সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্য। জান্তার বদলে এনইউজি’কে মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে ঘোষণার জন্য তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। অবশ্য তাতে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।
এ অবস্থায় গত ৩ জুন মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার ‘পলিসি পজিশন অন দ্য রোহিঙ্গা ইন রাখাইন স্টেট’ নামে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এনইউজি নেতারা।
ওই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, সামরিক জান্তাকে উৎখাত করে ক্ষমতায় যেতে পারলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়া এবং তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেবে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার।
তিন পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে এনইউজি বলেছে, ক্ষমতায় যেতে পারলে ১৯৮২ সালের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মিয়ানমারে জন্ম নেয়া বা বিশ্বের যেকোনো স্থানে জন্ম নেয়া বার্মিজ নাগরিকদের সন্তানদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেবে তারা।
ছায়া সরকারের নেতারা আরো অঙ্গীকার করেছেন, ইতিহাসজুড়ে রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সকল মানুষের ওপর সামরিক বাহিনী যেসব অপরাধ করেছে, আমরা তার ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি চাইব। রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এছাড়া, মিয়ানমারে জাতীয় কার্ড ভেরিফিকেশন পদ্ধতিও বিলুপ্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এনইউজি। দেশটির প্রশাসন এর মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের ‘বিদেশি নাগরিক’ বলে উল্লেখ করেছিল। সবশেষ, সামরিক জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রোহিঙ্গাদের সাহায্যও চেয়েছেন এই ছায়া সরকারের নেতারা।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এনইউজির ওই ঘোষণাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠনও এটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এনইউজি নেতাদের অবস্থান কতটা আন্তরিক এবং রোহিঙ্গাদের অধিকারের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি সত্যিই এই ঘোষণায় রয়েছে কি না- তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে।
মিয়ানমারের রাজনীতিবিদদের মধ্যে হঠাৎ কেন এই পরিবর্তন? মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবস্থান পরিষ্কার না করলে সেটি মিলবে কিনা তা নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় ছিল। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এক শুনানিতে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায়।
সেই শুনানিতে এনইউজির এক দূতকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ব্রাড শেরম্যান প্রশ্ন করেছিলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তাদের অবস্থান কী? সেসময় এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ওই দূত। এরপর এনইউজি রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে তাদের অবস্থান বদলেছে, তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
মিয়ানমার বিষয়ক বিশ্লেষক ল্যারি জ্যাগান বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পেতে চায়, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে হলে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অবস্থান বদলাতে হবে। নাহলে তারা কারো সহানুভূতি পাবে না।
অবশ্য এ বিশ্লেষকের মতে, শুধু আন্তর্জাতিক চাপেই নয়, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের রাজনীতিবিদদের চিন্তা-ভাবনাতেও নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বলেন, সামরিক অভ্যুত্থান জনগণকে এটি উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছে যে, রাখাইনে সামরিক বাহিনী যে নিপীড়ন চালিয়েছিল, সেটিই এখন অন্য জায়গায় ঘটছে। কাজেই দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি মৌলিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
ল্যারি জ্যাগানের মতে, রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় এখানে কাজ করছে। সেটি হচ্ছে, মিয়ানমারের জেনারেলদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা।
ল্যারির কথায়, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের মামলায় সাহায্য করতে চায় এনইউজি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নিজস্ব নীতিতে পরিবর্তন না আনলে সেটি সম্ভব নয়। সেজন্যই হয়তো তারা হঠাৎ করে অবস্থান পরিবর্তন করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
৬ দফার ভেতরেই নিহিত ছিল স্বাধীনতার ১ দফা : প্রধানমন্ত্রী
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : ঐতিহাসিক ৬ দফার ভেতরেই স্বাধীনতার এক দফা নিহিত ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন ৬ দফা মানেই এক দফা। অর্থাৎ, স্বাধীনতা।
সোমবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত (আগে রেকর্ড করা) একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলানিউজ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই ৬ দফার ভেতরেই এক দফা নিহিত ছিল, সেটা অন্তত আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। তিনি সব সময় বলতেন ৬ দফা মানেই এক দফা। অর্থাৎ স্বাধীনতা। আজ আমরা সেই স্বাধীন জাতি।
কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর মুক্তি এবং ৬ দফার দাবিতে আন্দোলন করতে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন শহীদের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই ৭ই জুনে রক্তের অক্ষরে এই ৬ দফা দাবির কথা লিখে গিয়েছিল বলেই এই ৬ দফার ভিত্তিতে নির্বাচন এবং আমাদের যুদ্ধে বিজয়। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই হরতালে অনেক মানুষকে তারা হত্যা করেছে। ১১ জন সেখানে জীবন দেন। রক্তের অক্ষরে ৬ দফা তারা লিখে যায়, আর যে ৬ দফার ভিত্তিতে ৭০ এর নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়, যেটা পাকিস্তানিরা কোনোদিনই আশা করেনি।
‘এরপর অসহযোগ আন্দোলন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেন। অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিপ্লব, সশস্ত্র বিপ্লব থেকে বিজয় অর্জন আমরা করেছি। ’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছাত্রজীবন থেকে এদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতি একটা উন্নত জীবন পাবে, সুন্দর জীবন পাবে এটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তার সব সময় চিন্তা ছিল কীভাবে এ জাতিকে দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবেন, ক্ষুধা-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন দেবেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালির জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে চিন্তা-চেতনাগুলোর তার (বঙ্গবন্ধু) ভেতরে লালিত ছিল সেটাই প্রতিফলিত হয়েছিল ৬ দফা প্রণয়নের মাধ্যমে। আর সেটা তার আরও সুযোগ এসে গেলো ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যখন দেখা গেল এই ভুখণ্ডের মানুষ সম্পূর্ণভাবেই নিরাপত্তাহীন সেই সময় তিনি এই ৬ দফা দাবিটা উত্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ৬ দফা দাবি উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানি শাসকদের কথা ছিল এটা সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন করার জন্য এই দাবি তিনি তুলেছেন। কিন্তু সেটা বাস্তব না। তিনি মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন।
৬ দফা দাবিকে জনগণের দাবিতে রূপান্তর করতে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৬ দফা দাবিকে জাতির পিতা নাম দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের বাঁচার দাবি হিসেবে। তিনি যখন ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দলের অনেকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার মধ্যেই পরে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ৬ দফাকে গ্রহণ করা হয় বলে জানান তিনি। এরপর ১৯ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে তিনি তার ভাষণে বলেছিলেন ৬ দফা প্রশ্নে কোনো আপস নেই।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এরপর ২০ মার্চ পল্টন ময়দানে জনসভা হয়, সে জনসভায় সবাই ভাষণ দেন এবং ৬ দফাকে গ্রহণ করেন। তারপর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শুরু করে সারা বাংলাদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় আনাছে-কানাছে সফর করেন। একদিকে দলকে সংগঠিত করা এবং ৬ দফা দাবির প্রতি জনগণের সমর্থন আদায় করা।
তিনি বলেন, ৬ দফা দেওয়ার পর আন্দোলন চলতে থাকে, তিনি সফর করতে থাকেন… ৮ মে নারায়ণগঞ্জে জনসভা শেষে ফিরে আসার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম, পাবনা, যশোরসহ খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, যেখানেই জনসভা করেছেন বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বক্তৃতা করার কারণে, তাকে গ্রেফতার করেছে, তাকে জেলে নিয়েছে, আবার সেখান থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আরেক জায়গায় তিনি জনসভা করেছেন। … তিনি কীভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তিনি নিজের জীবনকে কীভাবে উৎসর্গ করেছিলেন তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই কথাগুলো উঠে এসেছে।
৭ জুনের হরতাল সফল করতে নিজের মায়ের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মে মাসে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে এবং ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন চলছিল তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায়। তখন ৭ জুন হরতাল ডাকা হয়। এখানে আমি আমার মায়ের কথা বলবো। এই হরতাল সফল করার জন্য আমার মা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি ইন্টেলিজেন্স বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আমাদের ছাত্রদের সঙ্গে, সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে হরতাল সফল করার জন্য কাজ করেছেন।
তাসখন্দ চুক্তি কেন্দ্র করে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় সম্মেলনের ডাক দেয়। সে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজকপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন।
৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি আলাদা ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন।
৬ দফা দাবি আদায় এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয়।
সেদিনের সে হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ বাঙালি শহীদ হন, গ্রেফতার হন অনেকে। ঘটনাবহুল ৭ জুনকে ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাহরাইনে করোনায় মে মাসে মারা গেছেন ৩২ বাংলাদেশি
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
আন্তর্জাতিক ডেক্স : করোনাভাইরাস রূপ বদলে বিশ্বজুড়ে একের পর এক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনেও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে মহামারিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুও।
মোট ১৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্রে শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৫১ হাজার ৭৮ জন। মারা গেছেন এক হাজার ১১৯ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭৮ জন। শুধু মে মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩২ বাংলাদেশি। উল্লেখ্য, দেশটিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। জাগো নিউজ
বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার (৬ জুন) পর্যন্ত বাহরাইনে ২২৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আটজন এবং আত্মহত্যা করেছেন সাতজন। স্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং ব্রেনস্ট্রোকজনিত কারণে।
প্রবাসীদের হৃদরোগে আক্রান্তের ব্যাপারে বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম বাহরাইনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মজুমদার বলেন, প্রবাসে যারা অবস্থান করেন তারা সাধারণত দেশে আর্থিক ঋণ ও পারিবারিক চাপের মধ্যে থাকেন। প্রবাসে সবাই কাজের পরে যাতে হাসিখুশি থাকতে পারেন এবং প্রবাসীদের সবসময় মানসিক চাপ না দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য তিনি দেশে থাকা পরিবারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব (লেবার কাউন্সিলর) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে বাহরাইন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী দেশে থাকা স্বজনদের অনুমতি নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব লাশ এখানেই দাফন করা হয়।
এছাড়া দুর্ঘটনা বা স্বাভাবিক মৃতদের লাশ যত দ্রুত সম্ভব দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য যারা বৈধভাবে এখানে কাজ করছেন তাদের লাশ নিজ নিজ মালিকের সহযোগিতায় এবং যারা অবৈধ ও যাদের মালিক খরচ দিতে অক্ষম তাদের লাশ দূতাবাসের মাধ্যমে কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বাহরাইনে বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ফ্লেক্সি ভিসার বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। তাদের জন্য দূতাবাস ইন্স্যুরেন্সের পরিকল্পনা করছে বলে তিনি জানান।
তৃতীয় তালিকায় স্থান পেলেন ১২১১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : তৃতীয় ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত আট বিভাগের ৩৮৮ উপজেলার এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন ১২ হাজার ১১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সোমবার (৭ জুন) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে[1] পাওয়া যাবে। এর আগে গত ২৫ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথমটি প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরপর দ্বিতীয় তালিকায় স্থান পান ছয় হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, এ তালিকা প্রকাশ করা হয় গত ৯ মে।
প্রকাশিত তৃতীয় চূড়ান্ত তালিকায় ঢাকা বিভাগের তিন হাজার ৪৫৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের দুই হাজার ৩৭৪ জন, বরিশাল বিভাগের এক হাজার ১৮০ জন, খুলনা বিভাগের দুই হাজার ২৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগের এক হাজার ৪৩৭ জন, রংপুর বিভাগের ৭৬৮ ও সিলেট বিভাগের ২৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
ছিনিয়ে নেওয়া পুলিশের অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব চলাকালে ছিনিয়ে নেওয়া পুলিশের অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মিরের হাট এলাকার জঙ্গল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব গুলি ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। বাংলানিউজ
জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক জানান, তাণ্ডবের সময় হাটহাজারী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফের একটি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মিরের হাট এলাকার জঙ্গল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।
গত ২৬ মার্চ বিক্ষোভ চলাকালে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা থানা ভবন, ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় চারজন। এসব ঘটনায় হাটহাজারী থানায় ৪ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে ১০টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিনিটের ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : ফের ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট। মিনিটের ব্যবধানে দু’বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নগরজুড়ে। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ২৯ মিনিটে একবার ও ৬টা ৩০ মিনিটে একবার কেঁপে ওঠে সিলেট।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র মেট্রোলজিস্ট মুমিনুল ইসলাম বলেন, ভূমিকম্প শুধু সিলেট অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে দু’টি ঝাঁকুনিরই মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮। এটির উৎপত্তিস্থল সিলেটেই। ঢাকা থেকে ১৮৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। বাংলানিউজ
এদিকে, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কারণে লোকজন বাসা-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেকে খোলা স্থানে ও সড়কের মাঝখানে নিরাপদ দূরত্ব বুঝে অবস্থান নিতে থাকেন। এছাড়া বহুতল ভবনে অনেককে ছাদে উঠে অবস্থান করতে দেখা গেছে। অজানা আতঙ্কে অনেকে শিশু সন্তানদের নিয়ে ঘরে ফিরতেও ভয় পাচ্ছেন। এর আগে গত ২৯ মে পরপর চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হেলে পড়ে অনেক ভবন।
২৯ মে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট, ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড, ১১টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড ও দুপুর ২টায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র মেট্রোলজিস্ট মুমিনুল ইসলাম বলেন, ডাউকি ফল্টের কারণে সিলেট ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। যে কারণে জৈন্তাপুর সীমান্তের দিকেই এর উৎপত্তিস্থল।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চারটিরই উৎপত্তিস্থল সিলেটের কাছাকাছি। ঢাকা থেকে এর উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ১৯৬ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে।
হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা, মামুনুল হক বাদ
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামুনুল হকসহ গ্রেফতার হেফাজত নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। সোমবার (৭ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁও জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল মাদরাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কমিটি ঘোষণা করেন নতুন মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে স্থান পাননি বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, জুনায়েদ আল-হাবিব, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ গ্রেফতারকৃত নেতারা। বাংলানিউজ
তিনি বলেন, আমাদের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও প্রধান উপদেষ্টা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী দু’জনই অসুস্থ। সেজন্য তারা আসতে পারেননি। তারা সালাম জানিয়েছেন। বিশেষ দ্রষ্টব্য বলে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রত্যেক জেলা কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিবেচিত হবেন। জেলা কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারিকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে হাটহাজারী মাদরাসার তৎকালীন মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি ইমান আকিদা রক্ষার উদ্দেশে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পর নেতৃত্ব আসে তার হাতে গড়া খলিফাদের ওপর। গত ২৫ এপ্রিল ২০২১ দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সিনিয়র নেতাদের পরামর্শক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে একই সঙ্গে আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে প্রধান উপদেষ্টা, জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির, আল্লামা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব, আল্লামা সালাহ উদ্দিন ও অধ্যক্ষ মিজান চৌধুরীকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। তখন সিদ্ধান্ত হয়, ওই আহ্বায়ক কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে। নুরুল ইসলাম বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ৭ জুন হেফাজতের ইসলামের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
সহকারী মহাসচিব মাওলানা জহুরুল ইসলাম মাখজান, মাওলানা ইউসুফ মাদানী সাহেবজাদা আল্লামা শাহ আহমদ শফি। সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস চট্টগ্রাম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, সহ-অর্থসম্পাদক মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী নাজিরহাট, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী সাভার ও সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দিন কুড়িগ্রাম। দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও সহকারী দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক নোয়াখালী।
১৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি : প্রধান উপদেষ্টা, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী, আল্লামা সুলতান যওক নদভী, আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী পটিয়া, আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব ফেনী, আল্লামা আব্দুল মালেক হালীম, আল্লামা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী মোমেনশাহী, আল্লামা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, আল্লামা নূরুল হক বটগ্রাম কুমিল্লা, আল্লামা আবুল কালাম মুহাম্মদপুর, আল্লামা শিব্বির আহমাদ নোয়াখালী, আল্লামা জালাল আহমাদ ভূজপুর, আল্লামা আশেক এলাহী উজানী, আল্লামা হা. হাবিবুল্লাহ. বাবুনগরী, আল্লামা আব্দুর বাছীর সুনামগঞ্জ, আল্লামা আফজালুর রহমান ফেনী।
নয় সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় খাস কমিটি : আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আল্লামা হাফেজ নূরুল ইসলাম ঢাকা, অধ্যক্ষ মিযানুর রহমান চৌধুরী, পীর সাহেব দেওনা, আল্লামা সাজেদুর রহমান, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী সিলেট, আল্লামা আব্দুল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ ও আল্লামা মুহিউদ্দীন রব্বানী সাভার ঢাকা।
খাস কমিটি “মজলিসে শুরা” হিসেবে বিবেচিত হবে। হেফাজতের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে। এ কমিটি তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান নুরুল ইসলাম জিহাদী।
পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৩২
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
আন্তর্জাতিক ডেক্স : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৮ জন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার (৭ জুন) ভোরে ঘোটকি জেলার ধারকি শহরের কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা রাজ্জাক মিনহাস আল জাজিরাকে জানায়, করাচি থেকে সারগোদা যেতে থাকা মিল্লাত এক্সপ্রেসটি ভোরে ধারকি শহরের কাছে এসে লাইনচ্যুত হয়। তখন ট্রেনটির ১৩-১৪টি বগি পাশের আরেকটি লাইনে উঠে যায়। ওই সময় রাওয়ালপিন্ডি থেকে ছেড়ে আসা স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মিল্লাত এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই ট্রেনের বগিগুলোতে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রেলওয়ে মুখপাত্র জানান, উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। করাচি, সুক্বুর, ফয়সালাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে যাত্রীদের জন্য হেল্পলাইন সেন্টার খোলা হয়েছে । বাংলানিউজ
এদিকে এ ঘটনার পর টুইট বার্তায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, ‘রেলমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা এবং মৃতদের পরিবারের জন্য সহায়তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া রেলের নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।’