- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

শিক্ষার প্রসারে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কূলপাগলী প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিউজ ডেক্স : লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের গ্রাম কূলপাগলী। টিলা, পাহাড় আর জঙ্গল ভেদ করে চলে গেছে কাঁচা-পাকা সড়ক। একটু সন্ধ্যা হলেই ঝিঁঝিঁ পোকা রাতকে আরও গভীর করে। কিন্তু ঝিঁঝিঁ-ডাকা সে গ্রামে শিক্ষার প্রসারে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কূলপাগলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ থেকে ছয় বছর আগেও সেটা ছিল পরিত্যক্ত জঙ্গল। গ্রামের কাছাকাছি ছিল না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গ্রামবাসী ঐক্য, সদিচ্ছা আর সাহস নিয়ে গড়ে তুলেছিল এই স্কুল।

লোহাগাড়া উপজেলার তৎকালীন ইউএনও মোহাম্মদ ফিজনুর রহমানের উৎসাহ ও গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে কূলপাগলী গ্রামের ৩০০ ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা নিচ্ছে।

স্কুল কমিটির সভাপতি নুরুল কবির বলছিলেন পরিত্যক্ত জঙ্গলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার গল্প। ‘আমি এর আগে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ইউএনও ফিজনুর রহমানের সঙ্গে এক দিন কথা বলার সুযোগ হয়। তাকে বলি, আমাদের গ্রামটি অবহেলিত। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। গ্রামটি দেখতে আসুন। তিনি এক দিন চলে এলেন। তখন জঙ্গলের এক কোণে আমরা ঘর করে একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা চালাতাম। সেখানে পাটি পেতে তাকে বসতে দিলাম। গ্রামের নারী-পুরুষরা এসে বললেন, স্যার, আমাদের একটি প্রতিষ্ঠান করে দেন।

পরে ইউএনও উপজেলার বিত্তবানদের কাছে স্কুল প্রতিষ্ঠায় আর্থিক সাহায্যের বার্তা পাঠালেন। বিত্তবানরা ইট, সিমেন্ট, বাঁশ, কাঠ, টিন নিয়ে এগিয়ে আসেন। আর শ্রমিক হিসেবে কাজ করি আমরা গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, এমনকি ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত। এক মাসের মধ্যেই উঠে দাঁড়াল গ্রামবাসীর স্বপ্নের স্কুলঘর।’

সরেজমিন জানা যায়, এই স্কুল প্রতিষ্ঠায় বেশি শ্রম দিয়েছেন গ্রামের নারীরা। তারা মাটি কেটেছেন, গাছ লাগিয়েছেন। এমনকি চালায় টিন লাগাতেও হাত দিয়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন পুরুষরা। তাদের সঙ্গে ইট, সিমেন্ট আনায় হাতে হাত রেখেছেন গ্রামের নারীরা। স্কুল প্রতিষ্ঠায় শ্রম দিয়েছিলেন গ্রামের এমন এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমাদের শ্রম ও ঘামের ফসল স্কুলটি। আমরা স্কুলের জন্য সকাল সকাল কাজে লেগে যেতাম। কাজ শুরু করার আগে বড় স্যার (ইউএনও ফিজনুর রহমান) আমাদের জন্য কলা, পাউরুটি নিয়ে হাজির হতেন। আমরা তো বাবা ‘অন্ধ’। তিনি আলো দেখিয়েছেন বলেই আমাদের গ্রামে স্কুল পেয়েছি।’

স্কুলটি হওয়ায় শুধু গ্রামবাসী নয়, এর দক্ষিণ পাশে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ প্রকল্পের দেড়শ পরিবারের সন্তানরাও পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। স্কুলটি হওয়ার আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোনো ছেলেমেয়ে স্কুলে যেত না। চট্টগ্রাম জেলার তৎকালীন ডিসি মিসবাহ উদ্দীন গ্রামবাসীর স্বতঃস্ম্ফূর্ততায় স্কুলের জন্য সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে স্কুলটি সরকারের তালিকাভুক্ত হয় এবং সরকার থেকে একটি দালান দেওয়া হয়। এক একর ১৩ শতকজুড়ে স্কুলের আঙিনা। কিন্তু এর চারপাশে কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলটি অরক্ষিত। কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ‘আমরা একটি হাইস্কুল চাই। এই প্রাইমারি স্কুলটি হওয়ার কারণে আমাদের সন্তানরা কলম ধরা শিখছে। এখন একটি হাইস্কুল হলে আমাদের সন্তানরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে।’ প্রান্তিক অঞ্চলে সবার সহযোগিতায় কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারে, এর অন্যতম উদাহরণ কূলপাগলী স্কুল। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিদারুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়িয়েছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছি। এখন গ্রামের সব ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ে।’

তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ ফিজনুর রহমান বলেন, আঁধারে ঢেকে ছিল কূলপাগলী গ্রাম। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষের পাহাড়ে বসবাস। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের ছেলেমেয়ে। কূলপাগলী গ্রামের নাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক- এই ভাবনা থেকেই গ্রামের নামে স্কুলের নামকরণ করি। গ্রামের সবাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে। স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার মানুষের ঘামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। -সমকাল অনলাইন

চন্দনাইশে কাভার্ডভ্যানের চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোহাম্মদ শাহেদ নামে এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৫ জুন)  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী ফুলতলায় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। শাহেদ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তম্রু এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে। বাংলানিউজ

দোহাজারী হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রব বলেন, কক্সবাজারমুখী একটি কাভার্ডভ্যান অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শাহেদ। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি থানায় আনা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক।

লোকালয়ে এসে জনতার হাতে ধরা বাঘশাবক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাউজানের ঊনসত্তর পাড়ার লোকালয়ে এসে জনতার হাতে ধরা পড়ছে এক চিতা বাঘের বাচ্ছা। ৫ জুন শনিবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে পাড়ার লোকজন ধাওয়া করে চিতা বাঘের বাচ্ছাটি ধরে ফেলে।

বাজারের ব্যবসায়ী আলম সওদাগর ও জাহেদ সওদাগর জানান, সকালে দোকান খুলতে গেলে তারা দেখতে পায় পুকুর পাড়ে চিতা বাঘের বাচ্চাটি এদিক-সেদিক হাঁটছে। এলাকার উৎসুক মানুষ বাঘটি দেখার জন্য দূরে দাঁড়িয়ে ভিড় করছিল।

জানা যায়, এর আগে বাঘটিকে পার্শ্ববর্তী কদলপুর গ্রামের মানুষও দেখেছে। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে হয়ত এখানে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এসেছিল। স্থানীয়রা জানান- এলাকার কিছু যুবক কৌশলে বাঘটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পাহাড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উদ্ধার করা চিতার বাচ্ছা রাউজানের গিরিছায়ার মিনি চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। তার ধারণা চিতাটি পাহাড় থেকে নেমে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল। ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর সেখান থেকে অফিসের কয়েকজন লোক এসে বাঘটি গিরিছায়াতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, বন উজাড় হওয়ার কারণে প্রায় সময় লোকালয়ে হরিণ, বানর, অজগর সাপ, বন মুরগী গ্রামে চলে আসছে। তাঁরা জানান ,আগে পাহাড়ে সবুজ গাছ পালা থাকার কারণে তাঁরা নিরাপদ ছিল, এখন সবুজ গাছ পালা কেটে নেয়ার কারণে এসব প্রাণীরা গ্রামে চলে আসছে। আজাদী অনলাইন

মিয়ানমারে সেনা-গ্রামবাসী সংঘর্ষে নিহত ২০

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মিয়ানমারের এইয়ারওয়াদি নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ‍অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।  গত দুই মাসের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা।

এর আগে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাতে প্রায় ৮৪৫ জন নিহত হয়েছে বলে একটি সক্রিয় কর্মী দল দাবি করেছে। তবে সামরিক জান্তা এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করেছে। বাংলানিউজ

এক দশকের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে উৎখাত করার পর থেকে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।  

শনিবার ভোরের আগে ইয়াঙ্গুনের প্রধান শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হ্যালেওয়েতে সংঘর্ষ শুরু হয়। সৈন্যরা সেখানে অস্ত্র খুঁজতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সৈন্যরা গ্রামবাসীদের ওপর হামলা শুরু করলে গ্রামবাসীরা গুলতি নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেছিল।  

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে নারীসহ নিহত ২

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : টেকনাফ ও উখিয়া ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় নারী সহ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সকালে বর্ষণের ফলে পাহাড় ধস ও পাহাড়ের টিলা কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন টেকনাফ চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের নুর হাসিনা (২০) ও উখিয়ার ময়নার ঘোনা ১২ নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ (৩২)।

৮ এপিবিএন পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোন্দকার আশফাকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আজ শনিবার সকালে মাটি চাপা পড়ে নিহত দু’জন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

এপিবিএন সূত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফ চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভোরে অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী নুর হাসিনা মাটি চাপা পড়েনে।

খবর পেয়ে ১৬ এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের সেভ দ্যা চিল্ড্রেন হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ব্লক এ এরসে ১৮ নম্বর বাড়ির শাকের আহমদের স্ত্রী।

অপরদিকে, পাহাড়ের মাটি কাটতে গিয়ে রহিম উল্লাহ মাটিতে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি ৭ নম্বর জে ব্লকের অছিউর রহমানের ছেলে।

১৪ এপিবিএন ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈমুল হক জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত রোহিঙ্গাদের মরদেহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজাদী অনলাইন

প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা জামা-জুতা-ব্যাগ কিনতে টাকা পাবে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাগ, জামা ও জুতা (কিট অ্যালাউন্স) কিনতে টাকা পাবে। এজন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য বছরের শুরুতে কিট অ্যালাউন্স বাবদ প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টাকা ও উপবৃত্তির মাসিক হার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এজন্য বর্তমান অর্থবছরে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা কিট অ্যালাউন্স বাবদ ও অবশিষ্ট টাকা উপবৃত্তি বাবদ ব্যয় হবে। বাংলানিউজ

ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর মায়েদের অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।

ভারতে একযোগে তিন হাজার ডাক্তারের পদত্যাগ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : করোনায় যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

কিন্তু সেই অনুযায়ী সরকারের প্রতিরোধ কার্যক্রম বা জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্যোগ নেই। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ভারতে সরকারিভাবে মৃত্যুর যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির মধ্যপ্রদেশের প্রায় তিন হাজার জুনিয়র ডাক্তার পদত্যাগ করেছেন।

করোনা আক্রান্ত হলে নিজেরসহ পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া, বৃত্তি বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের চিকিৎসকরা। হাইকোর্ট তাদের এই ধর্মঘটকে অবৈধ ঘোষণা করে। প্রতিবাদে রাজ্যটির ছয়টি হাসপাতালের তিন হাজার নবীন ডাক্তার একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার ধর্মঘট শুরুর পর বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট বলেন, চিকিৎসকদের এই ধর্মঘট অবৈধ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন কোর্ট। বাংলানিউজ

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় নবীন চিকিৎসকদের সংগঠন-মধ্যপ্রদেশ জুনিয়র ডক্টর এসোসিয়েশন। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের ছয় হাসপাতালের প্রায় তিন হাজার নবীন চিকিৎসক একযোগে পদত্যাগ করেন। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

ফেসবুকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন ট্রাম্প

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো। শুক্রবার (০৪ জুন) ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দেয়।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িক সাসপেন্ড হয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরেই অ্যাকাউন্ট সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

এবার ২ বছরের জন্য তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। গত ৭ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। ওইদিন থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।

ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কারণগুলো গুরুতর। আমরা বিশ্বাস করি যে তার পদক্ষেপগুলো আমাদের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে লঙ্ঘন করেছে। তাই তার ওই পদক্ষেপ শাস্তি যোগ্য। ’

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যদি তাদের মনে হয় জনগণের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি কমেছে, তবেই ট্রাম্পের ওপরে চাপানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

বেশি করে গাছ লাগান, যত্ন নিন : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সবাইকে অন্তত একটি করে ফলজ, বনজ এবং ভেষজ গাছ লাগানোর পাশাপাশি যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৫ জুন) গণভবনে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আমি নিজে বৃক্ষরোপণ করলাম। সেইসঙ্গে আমি সব দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে গাছ লাগান।

তিনি বলেন, তিনটা করে গাছ লাগাতে পারলে সব থেকে ভালো হয়। আর সেটা যদি না পারেন একটা করে হলেও লাগাবেন। আমরা চাই যে একটা ফলজ, একটা বনজ, একটা ভেষজ এ ধরনের গাছ লাগাবেন। পরিবেশ রক্ষায়, নিজের আর্থিক সচ্ছলতা ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সব থেকে যেটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী সেটা হলো ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা।

গাছের যত্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আপনারা সবাই গাছ লাগাবেন এবং গাছের যত্ন নেবেন। শুধু গাছ লাগালে হবে না, গাছ যাতে টিকে থাকে সে জন্য যত্ন নিতে হবে।  এ গাছ ফল দেবে, কাঠ দেবে অথবা ওষুধ দেবে নানাভাবে উপকৃত হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। এ দেশ আমাদের। আজকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে আমরা সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চাই।

তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরও সোনার সবুজ বাংলা করি। বনায়নে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা জানিয়ে টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা এগিয়ে যাবো।

বনায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার ফলে আজকে আমাদের প্রায় ২২ শতাংশ বনায়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আমাদের পারিবারিকভাবে বাগান সৃষ্টি হচ্ছে। সবাই এখন সচেতন।

৫০ শয্যার আলাদা ডায়ালাইসিস সেন্টার হচ্ছে চমেক হাসপাতালে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বৃহত্তর চট্টগ্রাম জুড়ে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা এবার গরিবের নাগালে আসছে। সরকারি ভাবেই ৫০ শয্যার আলাদা কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একই সাথে কক্সবাজার ও তিন পাবর্ত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) সদর হাসপাতালেও স্থাপন হচ্ছে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টার।

‘মেডিকেল কলেজসমূহে বিদ্যমান কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং জেলা সদর হাসপাতালসমূহে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এসব ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে এ সেন্টার স্থাপন হবে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালে সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্থান নির্ধারণসহ অবকাঠামো মেরামত/পুনরায় সজ্জিতকরণের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসমূহে এরইমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর। এ সংক্রান্ত ফিরতি চিঠিও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে স্থান নির্ধারণসহ অবকাঠামো মেরামত/পুনরায় সজ্জিতকরণের বিষয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য উইংয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দেন প্রকল্পটির পরিচালক ডা. মো. ইউনুস। প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষরে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এ চিঠি দেয়া হয়। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. ইউনুস গতকাল বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার গনপূর্ত অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি দেখভাল করবে। এ বিষয়ে আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। -আজাদী

তবে বেশ কয়টি হাসপাতালে স্থান নির্ধারণ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়নি জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, কারণ ওসব হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনে আগে থেকেই স্থান মোটামুটি ঠিক করা আছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও স্থান মোটামুটি নির্ধারণ করা আছে। ১৫ তলা বিশিষ্ট নতুন ক্যান্সার ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ওই ভবনের ৭ম-৯ম তলায় এ ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হবে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলছেন- প্রাথমিক ভাবে বিদ্যমান সেন্টারে আরো শয্যা বাড়ানোর কথাও আছে। এ জন্য জায়গা দেখাতে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।

চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী- বিভাগে বর্তমানে ৯টি ডায়ালাইসিস মেশিনে সেবা কার্যক্রম চালু আছে। এর বাইরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় চমেক হাসপাতালের নিচ তলায় আলাদা একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করেছে ভারতের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রাঃ) লিমিটেড। ২০১৭ সালের ৪ মার্চ তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ৩১ শয্যার (মেশিনের) স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে গরীব রোগীদের সুবিধায় পিপিপি’র আওতায় এ সেন্টার স্থাপন করা হলেও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে সব রোগীকে বেসরকারি ভাবেই ডায়ালাইসিস সেবা নিতে হয় এখানে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারি হাসপাতালে প্রতিবার ডায়ালাইসিসে খরচ পড়ে ৪ থেকে পাঁচশ টাকা। অন্যদিকে, বেসরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে এ খরচ আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- চমেক হাসপাতালের মাধ্যমে আসা রোগীদের প্রতি সেশনে ৪৮৬ টাকা ফি দিতে হয় স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারে। তবে অন্যান্য রোগীদের প্রতি সেশনে ফি দিতে হয় ২ হাজার ৬৬৩ টাকা। বছরে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক সেশন ৪৮৬ টাকা ফি’র সুবিধায় দিয়ে থাকে এ সেন্টার। এর বাইরে সব রোগীকে বেসরকারি আদলে ২ হাজার ৬৬৩ টাকা হারে ফি দিতে হয়। হাসপাতালের কিডনি বিভাগে অপ্রতুল মেশিনের কারণে বেশির ভাগ রোগীকে এ সেন্টার থেকেই সেবা নিতে হচ্ছে।

সরকারি পর্যায়ে ৫০ শয্যার আলাদা ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের খবরটি অত্যন্ত ভালো একটি খবর মন্তব্য করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আলাদা ভাবে এ সেন্টারটি হয়ে গেলে গরীব রোগীরাই এর সুবিধা পাবেন। ডায়ালাইসিস খরচটাই এক প্রকার গরীবের নাগালে চলে আসবে। কারণ, তখন সর্বোচ্চ পাঁচশ টাকায় সরকারি ভাবে এ ডায়ালাইসিস সেবা পাওয়া যাবে। যেখানে বেশিরভাগ রোগীকে প্রতি সেশনে এখন আড়াই হাজারের বেশি দিতে হচ্ছে।

তাছাড়া এটি হলে স্যান্ডরের সেন্টারের উপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবেনা জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, কেবল চট্টগ্রাম নয়, এটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিশাল সংখ্যক গরীব কিডনি রোগীদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।

এদিকে, জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টার হলে দূর-দূরান্ত থেকে কিডনি রোগীদের আর এখানে (চট্টগ্রামে) ছুটে আসতে হবেনা বলে মনে করেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের জন্য এটিও অনেক বড় পাওয়া বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

উল্লেখ্য, দেশে প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগ নামক এই নীরব ঘাতকের ব্যাপকতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ বুঝতেই পারেন না তাঁদের কিডনি আক্রান্ত হতে বসেছে। রোগের জটিল পর্যায়ে (ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে) পৌঁছলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অধিকাংশ রোগী। তখন আর কিডনি প্রতিস্থাপন অথবা ডায়ালাইসিস ছাড়া উপায় থাকে না।

আগের তুলনায় কিডনি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে বলে জানান চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা। গত দশ বছরে রোগীর সংখ্যা অন্তত দ্বিগুণ হয়েছে জানিয়ে ডা. মো. নুরুল হুদা বলেন, সরকারি ভাবে ডায়ালাইসিস সুবিধা বাড়লে গরীব রোগীরা সুবিধা পাবেন। কারণ, সরকারি পর্যায়ে যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচশ টাকা ডায়ালাইসিস করা যায়, সেখানে বেসরকারি পর্যায়ে এ সেবা নিতে আড়াই হাজার টাকার বেশি খরচ পড়ে। তাই সরকারি ভাবে ডায়ালাইসিস সুবিধা বাড়া মানে খরচটাও গরীব রোগীদের নাগালে আসা।