Posted By
admin
On
In
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
মোহাম্মদ ইলিয়াছ : ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে উৎসব। বছর ঘুরে ফিরে আসে ঈদ আনন্দ। ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বছরে দু‘বার ঈদ আসে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় বলা যায়, রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। সবার জীবনে কম-বেশি আনন্দ বয়ে আনে এই ঈদে।
রোজা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঈদের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে ও আকাশে চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দের জোয়ার শুরু হয়। ঈদের দিন ছোট-বড়, ধনী-পরিব সবাই গায়ে নতুন জামা পরে সুগন্ধি মাখিয়ে মিলিত হয় ঈদগাহে। ঈদের নামাজের মোনাজাত শেষে কোলাকুলি ও ঈদ মোবারকের মাধ্যমে হয় ঈদের আনন্দ যাত্রা। ধনী-গরীব সকলের ঘরে তৈরী হয় সবচেয়ে প্রচলিত খাবার সেমাই। প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়িতে বেড়ানো এবং কিছু খাওয়ার দৃশ্য কতই না আনন্দদায়ক।
কিশোর বয়সে ঈদের স্মৃতি এখনো মনকে নাড়া দেয়। ঐ সময়ের স্মৃতি কখনো ভুলার মত নয়। মন থেকে কখনো ধুঁয়ে-মুঁছে ফেলা যাবে না। এই ঈদ স্মৃতি মনে গেঁথে থাকবে আজীবন-সারাজীবন। রোজা শুরু হওয়া থেকে শুরু হয় নতুন জামা পওিয়ার আকুতি। ঘন ঘন জ্বালাতন করতাম মা-কে। মা ছেলের নতুন জামার জন্য বাবাকে বলতেন। বাবা নতুন জামা সেলাইয়ের জন্য কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কিনে নিতেন। একটি শার্ট ও একটা পাঞ্জাবীর জন্য কাপড় নিয়ে যেতেন দর্জির কাছে। দর্জি আমার শার্ট ও পাঞ্জাবীর মাপ নিয়ে সেলাইয়ের কাজ শুরু করতেন। ঈদের সাপ্তাখানেক আগে ডেলিভারী দিতেন দর্জি। দেখলাম রোজাম ঈদে সব দর্জির দোকান নতুন কাপড় আর সেলাই জামার ভরপুর। রাতদিন চলছে সেলাইয়ের কাজ। ঈদেও নতুন জামা হাতে আসার পর নিজে ধুঁয়ে রোদে শুকাতে দিতাম। মা-বাবার নিষেধ ছিল নতুন জামা ধোঁয়া ছাড়া গায়ে পরা যাবে না। জামা শুকানোর পর লন্ডির কাছে গিয়ে ইস্ত্রি করে ঘরে নিয়ে এসে রেখে দিলাম। এর মধ্যেই ঘনিয়ে এলা ঈদ। ঈদের আগের দিন বাড়ির পাড়ার মসজিদে আসরের নামাজ শেষ করে পশ্চিম আকাশে ঈদের চাঁদ দেখতে ছুটে গেলাম বিলের খোলা জায়গায়। সেখানে দেখলাম ঈদের চাঁদ দেখার জন্য ছেট-বড় বহু মানুষের জমায়েত। সবার দৃষ্টি পশ্চিমা আকাশের দিকে। চাঁদ দেখা পেলে কিনা যে আনন্দ লাগতো। শুরু হয়ে যেত ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি। ঈদের আগের রাতেই চুল কাটার জন্য সেলুনের দোকানে যেতাম। দোকানে অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এমন ভিড় থাকতো সেলুনের দোকানগুলো। চুল কাটা ও ঈদের প্রয়োজনে অন্যান্য জিনিষ কিনে বাড়িতে চলে আসতাম। ঈদের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম। গোসল সারতে পুকুরে যেতাম। সেখানেও ছোট-বড় সকলের ভিড় হলে সবার চেহারা যেন হাসি-খুশিতে ভরপুর। গোসল শেষ করে ঘরে এসে মা-এর দেওয়া ঈদের মিষ্টান্ন মুখে দিতাম। তারপর গায়ে নতুন জামা ও মাথায় নতুন টুপি পরে আতর সুগন্ধি মেখে ঈদগাহে যেতাম। ঈদের নামাজ শেষে ঈদগাহেই কোলাকুলি, বাসায় মা-বাবাসহ গুরুজনদের পা ছুঁয়ে সালাম করা এবং কবরস্থানে যাওয়া হতো জেয়ারতের উদ্দেশ্যে। যাওয়া হত আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। আসা-যাওয়ার পথে ছোট-বড়, ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুল গিয়ে সালাম দেয়ার রেওয়াজ ও কোলাকুলির দৃশ্য আনন্দে মন ভরে যেত।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগিতে ঈদের সপ্তাহখানেক আগ থেকে স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে চলে যেতেন। ঈদে শহর হয়ে যেত জনশূন্য আর গ্রাম হয়ে যায় মানুষে-মানুষে ভরপুর। শহরের মানুষ গ্রামে ফিরে আসে আপনজনের কাছে। ঈদে গ্রামের বাড়ি থাকে স্বজনদের কোলাহল এবং থাকে নতুনত্ব। ঈদ উৎসবে আনন্দের কমতি ছিল না কোন কালেই। আনন্দ ছিল সেকাল-একাল সবকালেই। ঈদুল ফিতরে আছে ইবাদত, আনন্দ ও একতা। শিক্ষা দেয় শৃঙ্খলাবোধ ও ভ্রাতৃত্ববোধ।। জাগ্রত করে ঐক্য, শান্তি ও প্রগতি। দয়া ও সহানুভূতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও উন্নত মানসিকতার শিক্ষা দেয়। অন্যদিকে ঈদে ধনী-গরীবের ব্যবধান কমে আসে। গড়ে উঠে একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্যভাব। সকল শ্রেণির মানুষ এক কাতারে শামিল হয়ে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেয়।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সেই ঈদের উৎসব-আনন্দ থমকে গেল। কোন কালে ঈদ উৎসবে কোন মহামারী আক্রমন করেছে কিনা জানা নেই। ২০২০ ও ২০২১ সালের ঈদ হচ্ছে করোনাকালের ঈদ। করোনাকালের ঈদে নামাজ আদায়ে রয়েছে বিধি-নিষেধ। মসজিদে নামাজ আদায় করার মধ্যেও রয়েছে সরকারি বিধি নিষেধ। গেল বছর ১২ ই রমজান পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে কাতারবন্দী হয়ে আদায় করা এবং কাতারবন্দী হয়ে তারাবীহ-এর নামাজ পড়া যায়নি। মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মাত্র ১২ জন মুসল্লি তারাবীহ নামাজ আদায় করতে পেরেছে। ১৩ ই রমজান থেকে ১২টি স্বাস্থ্যবিধি অনুস্মরণপূর্বক মসজিদে সুস্থ মুসল্লি জামায়াতে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। এবারেও রোজারের ঈদ জামাত মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
ঈদ উৎসব পালনের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি নিষেধ। ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের জামাত করা যাবে না। শর্ত সাপেক্ষে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করা। নামজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরীক্ষা করে কার্পেট না বিছিয়ে নামাজ আদায় করা। মসজিদের ওজুর স্থানে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা। মাস্ক পরে মসজিদে গমন এবং কাতারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ । ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরষ্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকা । করোনার এই পরিস্থিতি গ্রামেও ঈদ করবেন কিছু মানুষ। আবার অনেকে যে যেখানে আছেন সেখানে ঈদ করবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করতে হবে। করোনা মোকাবেলার জন্য করোনাকালের ঈদ এবং ঈদ উৎসব। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে ঈদের আয়োজন। ঈদেও নামাজ শেষে কোলাকুলি করা এবং হাতে হাত মেলানো যাবে না। আমার, আমার পরিবার ও এলাকার সুস্থ পরিবেশের স্বার্থে তা করতে হবে। বাড়িতে নিরাপদে থাকব। করোনাকালের ঈদে উৎসবে ঘরে অবস্থান করব এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলব। আমাদেরকে সকলকে সতর্ক থেকে ঈদ পালন করতে হবে এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে।
ঈদ উদযাপন যেন সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ না হয় : প্রধানমন্ত্রী
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ নামক এক মরণঘাতী ব্যাধি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভাইরাস একদিকে যেমন অগণিত মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিসাধন করছে মানুষের জীবন-জীবিকার। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের শেষদিকে যখন বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ অনেকটা কমতে শুরু করেছিল, তখন সকলের সঙ্গে আমরাও আশান্বিত হয়েছিলাম যে বিশ্ববাসী বুঝি এই মরণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি থেকে দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের সকল পরিকল্পনা ও প্রত্যাশাকে নস্যাৎ করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। কাজেই জনসমাগম এড়াতে না পারলে এ রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে কষ্ট হবে জেনেও আমরা বাধ্য হয়েছি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে। দোকান-পাট, শপিংমলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখতে হচ্ছে। একই কারণে গণপরিবহন চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনি এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে এবারও আমাদের ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হচ্ছে। আমরা ঈদ উদযাপন করবো, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না ওঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা আবেগের বশবর্তী হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবেন না। অনেকের কোনো বাহ্যিক লক্ষণ না থাকায় আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার পাশের ব্যক্তিটিই করোনাভাইরাস বহন করছে। এর ফলে আপনি যেমন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন, তেমনি আপনার নিকটাত্মীয় বা পাড়াপ্রতিবেশীকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন। মনে রাখবেন, সবার উপরে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে আসছে বছর আবার আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত বছরের মতো এবছরও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।’
এসময় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই যে যেখানে আছি সেখান থেকেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করি।’
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় নিহত ১৯
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
আন্তর্জাতিক ডেক্স : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। মুসলিমদের উৎসবের এই দিনটিতেও হামলা বন্ধ রাখেনি ইসরায়েলি বাহিনী।
উল্টো ঈদের দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় গাজায় আরও ১৯ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ১০ মে থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন শিশু। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪৮০ জন ফিলিস্তিনি। খবর আল-জাজিরার।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ইসরায়েল অভিমুখে রকেট হামলায় এ পর্যন্ত ৭ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় নারী ও ইসরায়েলি এক সেনা রয়েছেন। আর হামাসের হামলায় শতাধিক ইসরায়েলি আহত হয়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের দিনেও বিমান হামলা চালিয়ে গাজার বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, বুধবার গভীর রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে গাজার নিকটবর্তী ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে কয়েকশ রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। তারা পশ্চিম তীরে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। সেখানে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধাস্ত্র সামগ্রীর সরবরাহও বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা দাবি করেছেন, হামাসের সশস্ত্র শাখা প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ইলান অ্যান্ড আসাফ রামন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট নিক্ষেপে সক্ষম হয়েছে।
আল-জাজিরাকে তিনি জানিয়েছেন, গাজা থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইলান অ্যান্ড আসাফ রামন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত ‘আয়াশ-২৫০’ রকেট নিক্ষেপ করেছেন তারা।
১৯৯৬ সালে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত কামেস বিগ্রেডের কমান্ডার ইয়াহইয়া আয়াশের নামে রকেটটির নামকরণ করা হয়। এটি ২৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
তবে রামন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট হামলা এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি ইসরায়েল।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবিলম্বে দুই পক্ষকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে রাশিয়া ও মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন। তারা গাজায় ইসরায়েলির রক্তাক্ত হামলা বন্ধে দ্রুত বিশ্ব সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
গত ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে গাজা উপত্যকায় সিরিজ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। হামলার প্রথম দিনে তিন শিশুসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়। দ্বিতীয় দিনে তা বেড়ে ২৮ এবং তৃতীয় দিনে ৬৫ জনে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রমজান মাসের শেষ সপ্তাহজুড়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং শেখ জাররাহ এলাকায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে আল-আকসা মসজিদে ঢুকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়।
পবিত্র রমজানের জুমাতুল বিদা এবং পবিত্র রাত শবে কদরেও আল-আকসায় তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ করে আসছেন। এর মধ্যেই গত সোমবার প্রতিশোধ হিসেবে হামাস ইসরায়েলে দিকে রকেট হামলা চালায়। তারপর থেকে অব্যাহত বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে সোমবার ভোররাত থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঢুকে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়। এসময় ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে জেরুজালেম, গাজা ও আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলকে থামাতে এবং ‘পাল্টা শিক্ষা’ দিতে হবে।
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : জনসাধারণকে মাস্ক পরা বাধ্য করতে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার উদ্যোগের খবর প্রকাশের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এসএম জুলফিকার আলী জুনু বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নোটিশদাতা নোটিশে উল্লেখ করেছেন, দেশের প্রচলিত সংবিধান ও মানবাধিকার লংঘন করে সরকার জনগণের উপর পুলিশ দ্বারা লাঠিপেটার নির্দেশ ও বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের উদ্যোগ কেন বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী হবে না? কেন অত্র সিদ্ধান্তের উদ্যোগ বাতিল করা হবে না? গণমাধ্যমে সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দেওয়া কেন সংবিধান লংঘন ও মন্ত্রী হিসেবে নেওয়া শপথ ভঙ্গের শামিল হবে না? এবং ওই ধরনের সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ নেওয়ায় মন্ত্রী মিডিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ মর্মে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলো।
প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, আপনাকে এই মর্মে অত্র লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জানানো যাচ্ছে যে, অদ্য বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে, সরকারের নির্দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা ও জনগণের ওপর লাঠিপেটার নির্দেশ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার।
জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে জনস্বার্থে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রের মালিক জনগনের উপর পুলিশের লাঠিপেটা করার নির্দেশের উদ্যোগ নিতে পারেন না। গণমাধ্যমে দেওয়া আপনার এরূপ বক্তব্য সংবিধানবিরোধী, অতএব মন্ত্রী হিসেবে সংবিধান লংঘনের উদ্যোগ নেওয়া মন্ত্রী হিসেবে নেওয়া শপথ ভঙ্গের শামিল।
‘অতএব পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান ও রাষ্ট্রের জনগণের উপর লাঠিপেটার সিদ্ধান্তের উদ্যোগ বন্ধের অনুরোধ জানাচ্ছি এবং মন্ত্রী হিসেবে নেওয়া শপথ ভঙ্গ অর্থাৎ সংবিধানবিরোধী বক্তব্য গণমাধ্যমে দেওয়ায় জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করছি। ’
লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ ও সিদ্ধান্ত বন্ধ করা না হলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলানিউজ
সাতকানিয়ায় দ্রুতগতির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিক নিহত
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দ্রুতগতির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহতের নাম ফরিদুল আলম (৩৫)। তিনি কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশেকের পাড়ার আব্দুল খালেকের পুত্র।
বুধবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে সাতকানিয়া পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলানিউজ
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রব জানান, রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ওই ব্যক্তি নিহত হন। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাকটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
মাস্ক না পরলে আসছে পুলিশের ‘লাঠিপেটা’র বিধান
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : বর্তমান আইনে জনসাধারণের মাস্ক পরা বাধ্য করতে কঠোর হতে পারে না পুলিশ। এজন্য পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যাতে পুলিশ জনগণের ওপর প্রয়োজনে ‘লাঠিপেটাও’ করতে পারে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ হিসেবে সরকার এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যারা মাস্ক পরছে তারা সেভ থাকছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে করোনা সহজে চলে যাবে। আমরা মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আইন সংশোধন করে জরিমানাসহ আইনে আরও কঠোরতা রাখা যায় কিনা সেটা ভাবছি।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক না পরায় বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করছেন। তবে সীমিত সংখ্যক মোবাইল কোর্ট দিয়ে এই কার্যক্রম বিস্তার বা জোরদার সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য পুলিশকে কঠোর হতে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত ২৬ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সময় মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশকে যেকোনোভাবে নির্বাহী ক্ষমতাসহ পুলিশ যাতে পেটাতে পারে সে বিষয়টি আলোচনায় আসে। বাংলানিউজ
সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেকেই এ নিদের্শনা অমান্য করছেন। এক্ষেত্রে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আইনে বিধান না থাকায় পুলিশ নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, মাস্ক না পরলে শাস্তি কী হবে- এমন আলোচনার সময় একজন কর্মকর্তা ‘বেতের বাড়ির’ প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রচলিত আইনে পুলিশের বেতের বাড়ি দেওয়ার সুযোগ নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরেকজন আলোচক প্রয়োজনে আইনি সুযোগ তৈরির প্রস্তাব করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘বেতের বাড়ির’ বিষয়টি কীভাবে আইনি পরিকাঠামোতে আনা হবে, তা ভাবা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জরুরি জনস্বার্থ বিষয়ক প্রয়োজনে সরকার বেতের বাড়ি দেওয়ার প্রভিশন আইনে যুক্ত করতে পারে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ আইন বা অন্য কোনো আইনে তা বৈধতা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পুলিশের কাছে নির্বাহী ক্ষমতা না দিলে তারা প্রয়োগ করতে পারবে না। এজন্য আইন সংশোধন করে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর মধ্যে এই প্রভিশনটা রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো জনগণকে নিরাপদ রাখা।
লাঠিপেটা বা বেত্রাঘাতের নিয়ম ব্রিটিশ আমলে থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয় বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনি শাস্তির বড় বিষয়গুলো রয়েছে পেনাল কোডে। কিন্তু পেনাল কোডে বেত্রাঘাত বা লাঠিপেটার বিধান নেই। তবে ‘হুইপিং (চাবুক) অ্যাক্ট, ১৯০৯ নামের একটি আইন চালু আছে। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করা যায় কিনা- সেটাও মাথা রাখা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আল আকসায় মুসল্লিদের ঢল, আশঙ্কার মধ্যেই ঈদ উদযাপন
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইসরায়েলি হামলার মধ্যে এবার ঈদুল ফিতরের সব আয়োজন সরকারিভাবে বাতিল করেছে ফিলিস্তিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘোষণার পরও থেমে থাকেনি ঈদ উদযাপন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) মানুষের ঢল নামে আল আকসা মসজিদ কেন্দ্র করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আল আকসায় হাজার হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতের জন্য জড়ো হয়ে নামাজ আদায় করেন। খবর আল জাজিরার।
অপরদিকে ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনের মানুষের সকালের ঘুম ভেঙেছে বোমার শব্দে। কিছুক্ষণ পরপর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে বোমা গিয়ে পড়ছে গাজা শহরে। ভবনগুলো কেঁপে উঠছে বোমার শব্দে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ এ। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই শিশু। আহত হয়েছে ৩৯০ এর বেশি মানুষ।
এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আরব পরিবারে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ইন্টারনেটে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি পুলিশ বলপ্রয়োগ আরব পরিবারগুলোর বাসার ভিতরে প্রবেশ করতে চাচ্ছে, লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। এসব দেখে আতঙ্কে চিৎকার করছে নারী ও শিশুরা।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ১৫০০ রকেট হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৬ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
খালেদার ভুয়া জন্মদিনের জন্য বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত : সেতুমন্ত্রী
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : খালেদা জিয়ার অসুস্থতার এই সময়ে ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে তার ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন- এটাই মানুষ আশা করেছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। বাংলানিউজ
ঈদ সামনে রেখে করোনাকালীন এই সংকটে রাজনৈতিক ব্লেম গেম থেকে বিরত থাকা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ, তাই ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস হত্যা দিবসে তার ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিল। বিএনপি মহাসচিব তা না করে প্রতিদিনই একেকটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।
বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন সব বিষয় অবতারণা করেন, যার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদিও যা জানতে চাই, তার জবাব তাদের কাছে পাই না।
সরকার নাকি বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যা করেছে।
‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় বানিয়েছিল। গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের রূপান্তর করেছিল তারা। ’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে বলেন, মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ’৭১ এর পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল। বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানাই। কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেন না আয়নায়।
দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছিল তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বিএনপি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতেও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল বিএনপি।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফটোসেশনেও অনুপস্থিত বিএনপি : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিএনপি ফটোসেশনেও অনুপস্থিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলানিউজ
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফটোসেশনেও বিএনপি অনুপস্থিত। তাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য তাদের মাঝেমধ্যে দেখা যায় টেলিভিশনের পর্দায় এবং ওয়েবিনারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি জনগণের জন্য। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্যই রাজনীতি করে। সেজন্যই আওয়ামী লীগ করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে জনগণের পাশে আছে। আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য।
‘বিএনপির সমগ্র রাজনীতি দু’টি বিষয় ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে, একটি হচ্ছে তারেক রহমানের শাস্তি এবং আরেকটি হচ্ছে খালেদা জিয়ার শাস্তি ও স্বাস্থ্য। করোনার ভাইরাসের টিকা বিষয়েও বিএনপির নানা ধরনের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছিল ভারতের এই টিকা নিলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তারাই আবার নিজেরাই গিয়ে টিকা নিয়ে বলেছে এটা খুবই ভালো টিকা। আবার কেউ কেউ লজ্জায় প্রকাশ করেনি।
ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে দেশবাসীকে করোনায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানান। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, একই পরিবারের ২ জন নিহত
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপেজলার সোনাপাহাড় এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে একই পরিবারের ২জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৩ জন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখি মাইক্রোবাস মীরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকা অতিক্রমকালে আকস্মিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনা কবলিত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের সহকারি উপ পরিদর্শক খন্দকার বাবুল ইসলাম।
তিনি মাইক্রোবাসে উপস্থিত হতাহত সবাইকে স্থানীয় মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. অমিত তাহমিনা (২৫) ও অজ্ঞাত তরুনী (২৫) কে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আরো গুরুতর আহত চালক শাহীন (৩২), ডলি (২৪) ও আরিফুল (২৮) কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ফিরোজ হোসাইন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়া হবে। আজাদী অনলাইন