- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফের মানুষের পাশে প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেক্স : করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কার মতো দ্বিতীয় ধাক্কার এই দুঃসময়েও জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য আবারও মানবিক সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অতি দরিদ্র, কর্মহীন, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক এবং কৃষকসহ মহামারির ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্ট লাঘবে ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কঠিন এ সময়ে স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩৬ লাখ ৫০ হাজার অসহায় মানুষকে জীবন-জীবিকার জন্য আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেবে।

আগামী রোববার (২ মে) থেকে এ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া  বলেন, বর্তমান লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মানবিক সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। অস্থায়ী কর্মহীন, স্বল্প আয়ের, নিঃস্ব ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষসহ সারাদেশের বিভিন্ন  গোষ্ঠী এই সহায়তা পাচ্ছে।

সচিব জানান, ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ সহায়তা দিতে ৯১২ কোটি ৫০ হাজার বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিওরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫শ টাকা পাবে প্রত্যেক পরিবার।

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হলে গত ১৪ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। গেল ১৪ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণার পর থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মহীন, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, হিজড়া এবং ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ও পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লকডাউনের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে ৫৯০ কোটি টাকা মাঠ প্রশাসনকে দেয়। এই অর্থ বিতরণ চলছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি দরিদ্র ও ভাসমান মানুষকে জরুরি সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য নিজ উদ্যোগে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।

সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এসব উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করেছে। যাতে সাধারণ মানুষের কোনো কষ্ট না হয়।

মধ্যবিত্তদের গোপনে সহায়তা দিতে সরকারের ৩৩৩ কল সেন্টার চালুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, সরকার মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকদের লক্ষ্য করে একটি কল সেন্টার নম্বর-৩৩৩ পরিষেবা চালু করেছে। যারা দ্বিধান্বিত ও বিব্রত, যারা সহায়তা চাইতে পারে না, এটি মূলত তাদের জন্য। তিনি বলেন, কেউ যদি ৩৩৩ নম্বরে কল করে সাহায্য চান, জেলা প্রশাসন তাঁদের পরিচয় গোপন করে সহায়তা দেবে।

হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে জানিয়ে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, হাওর অঞ্চলে সময়মতো ধান কাটার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ও প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনায় এবং সময়মতো নজরদারির কারণে হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।

এর আগে গেল বছর বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কা শুরু পর মানুষের জীবন-জীবিকার পাশাপাশি অর্থনীতিকে বাঁচাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী অনেকগুলো পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে করোনা মহামারির শুরুর পর অর্থনীতি, মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে ২১টি প্যাকেজে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার।

কোভিড -১৯ এর প্রথম আঘাতের সময়ও দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, হকার, রিকশাচালক, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক- শিক্ষার্থী, ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ধর্মীয় সংস্থার লোক, সাংবাদিক এবং জনগণসহ মোট প্রায় আড়াই কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা উদ্যোগের আওতায় আসে। বাংলানিউজ

খালেদা জিয়া ভালো আছেন : ডা. জাহিদ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্টাবল আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বলেন, আমি আজকে ম্যাডামকে দেখে এসেছি। তার শারীরিক অবস্থা স্টাবল আছে। করোনা টেস্ট আবার কবে করাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি এখন নন কোভিড জোনে চিকিৎসাধীন। বাংলানিউজ

শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা কয়দিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে শুক্রবার বন্ধ গেলো, শনিবারও মে দিবসের বন্ধ। এ কারণে রোববার মেডিক্যাল বোর্ড বসে পুনরায় সিদ্ধান্ত হবে। রোববার অথবা সোমবার জানা যাবে উনি কখন বাসায় ফিরতে পারবেন। এর আগে বোর্ড বসে পরীক্ষার রিপোর্টগুলো রিভিউ করা হবে। রোগীর অবস্থার ওপরে সবকিছু নির্ভর করে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই দিন রাতে তার চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, একটা থরো ইনভেস্টিগেশনের জন্য খালেদা জিয়াকে অস্থায়ীভাবে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের দুটো উদ্দেশ্য, একটা হলো কোভিডের সময় আমরা যে টেস্টগুলো করেছিলাম সেগুলো আবার দেখা। এর পাশাপাশি আমরা আরও অনেকগুলো ইনভেস্টিগেশন করতে চাই। যেহেতু করোনার ভয়ে গত একবছর ওনার কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষার করা হয়নি, সেজন্য এখন সেগুলো করা হচ্ছে।

গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার বাসার আটজন কর্মীসহ তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার টেস্টেও তার করোনা পজিটিভ আসে।

তবে তার চিকিৎসকরা বলেন, দ্বিতীয়বার টেস্টেও খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও তিনি করোনা থেকে সম্পূর্ণ ঝুক্তিমুক্ত আছেন। তার মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ নেই।

তারাবির নামাজে সিজদারত অবস্থায় কিশোরের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ফেনীতে তারাবির নামাজ আদায়কালে সিজদারত অবস্থায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে নামাজ পড়া অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে আসে আবুল বাশারের ছেলে আবুল কালাম শাহীন (১৭)। নামাজ চলাকালীন এক পর্যায়ে সিজদায় গিয়ে সে না উঠে পড়ে থাকে। পরে মুসল্লিরা সালাম ফিরিয়ে শাহীনকে তাৎক্ষণিক ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, গত কয়েকদিন ফেনীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। অনেকেই এ তাপমাত্রা সহ্য না করতে পেরে নানা সমস্যায় ভুগছেন। ওই কিশোরের মৃত্যু ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত শেষে কিশোরের লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন জানান, মসজিদে নামাজরত অবস্থায় শাহীন নামের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। জাগো নিউজ

আব্বাসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিএনপি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : এম ইলিয়াস আলী ইস্যুতে দেয়া আলোচিত বক্তব্যের যে ‘ব্যাখ্যা’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দলকে দিয়েছেন, তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি হাইকমান্ডকে। যদিও এজন্য আব্বাসের বিরুদ্ধে বিএনপির তরফ থেকে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। তবে এর জের মির্জা আব্বাসকে বহুদিন বয়ে বেড়াতে হতে পারে। এমনকি বিএনপিতে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হতে পারে শঙ্কা। দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার নয় বছর উপলক্ষে গত ১৭ এপ্রিল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ‘ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পেছনে দলের (বিএনপি) একটা অংশ জড়িত। সরকার ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করেনি।’

 আওয়ামী লীগ ও তাদের আজ্ঞাবহ মিডিয়া আমাকে ও দলকে যেমন বেকায়দায় ফেলেছে, তেমনি আমার দলও আমার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো অনুধাবন করার চেষ্টা না করে আওয়ামী লীগের কূটকৌশলের জবাব না দিয়ে এই চিঠি প্রেরণ করে আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে 

তার এমন বক্তব্যে দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। লুফে নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর দলের পক্ষ থেকে চাপে পড়ে পরদিন (১৮ এপ্রিল) নিজের শাহজাহানপুরের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা আব্বাস। সেখানে তিনি দাবি করেন, মিডিয়ায় তার বক্তব্য খণ্ডিত করে প্রচার করা হয়েছে। যদিও হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে মির্জা আব্বাসকে একটি লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুধু ওই চিঠি পাঠ করবেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি তার ‘মনমতো’ বক্তব্য দেন বিধায় আরও নাখোশ হয় হাইকমান্ড।

এরপর গত ২২ এপ্রিল মির্জা আব্বাসকে ওই বক্তব্যের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে দলের পক্ষ থেকে আরেকটি চিঠি দেয়া হয়। ২৬ এপ্রিল তিনি চিঠির জবাব দেন।

দলীয় সূত্র মতে, চিঠির জবাবে মির্জা আব্বাস লিখেছেন, ‘আমার অনিচ্ছাকৃত বক্তব্যে যদি দলের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি, আমার এই পত্রের মাধ্যমে দলে ও দলের বাইরে চলমান সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’

তিনি লেখেন, ‘১৭ এপ্রিল যখন আমি ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখি ঠিক তার পরমুহূর্তে স্থায়ী কমিটির মিটিং ছিল। আমার বক্তব্য রাখার সময় বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার তাড়া আসে। তাই কথাগুলো যেভাবে বলতে চেয়েছি, সেভাবে বলতে পারিনি। বক্তব্য রাখার সময় এমন কিছু শব্দ চলে এসেছে সেগুলো ইচ্ছাকৃত নয়। আমি কোনো বক্তব্য দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বলিনি। এরপরও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত। সেদিন সময় পেলে এমনটা হতো না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই বক্তব্য আমার রাজনৈতিক আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কূটকৌশলের যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত থাকবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার তার অনৈতিক শাসন দীর্ঘায়িত করতে, একই সঙ্গে বিএনপি ও বিরুদ্ধ মতবাদকে ধ্বংস করতে গুম, খুন, নির্যাতন, দমন-পীড়ন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। ইলিয়াস আলীসহ এ যাবত যত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী গুম হয়েছেন, তা বর্তমান সরকার করেছে।’

‘আওয়ামী লীগ ও তাদের আজ্ঞাবহ মিডিয়া আমাকে ও দলকে যেমন বেকায়দায় ফেলেছে, তেমনি আমার দলও আমার বক্তব্যের অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো অনুধাবন করার চেষ্টা না করে আওয়ামী লীগের কূটকৌশলের জবাব না দিয়ে এই চিঠি প্রেরণ করে আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।’

১৮ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে জানিয়ে চিঠির শুরুতে মির্জা আব্বাস লেখেন, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছরের মধ্যে যা কখনো ঘটেনি, এমন একটি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেদনাদায়ক ঘটনার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়েছে এই চিঠির মাধ্যমে। ব্যক্তিগত জীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে এসে আজ অবধি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দল ও জিয়া পরিবারের প্রতি আমার নিষ্ঠা ও কর্তব্য পালনে এবং রাজনৈতিক জীবনে কখনোই সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর কিছু করিনি।’

তিনি বলেন, ‘ওই দিনের বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি—ইলিয়াস আলী ও (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সালাহউদ্দিন আহমেদ গুম একই সূত্রে গাঁথা। সরকার বলছে তারা করেনি। আমি মূলত সরকারের বক্তব্য কটাক্ষ করতে চেয়েছি। আমার কটাক্ষ করা বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’

মির্জা আব্বাস আরও বলেন. ‘বড় দলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকে, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা, গ্রুপিং থাকে। এই গ্রুপিং যেন বাইরের কেউ ব্যবহার করে দলের নেতাদের ক্ষতিসাধন না করতে পারে তার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু সেটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তার আজ্ঞাবহ গণমাধ্যম আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মির্জা আব্বাসের এই চিঠি বিএনপির হাইকমান্ডের মনঃপূত না হলেও এ যাত্রায় তাকে দল থেকে বড় ধরনের শাস্তি পেতে হচ্ছে না। তবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে তাকে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে হতে পারে।

দলে মির্জা আব্বাসের সমমনা একটি অংশ বলছে, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে মির্জা আব্বাস একটি নিজস্বতা নিয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে জায়গা পেয়েছেন। তার সম্পর্কে সবাই ধারণা রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে যাই বলুন না কেন, আপাদমস্তক সাচ্চা জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে তাকে নিয়ে ন্যূনতম কারও সন্দেহ নেই।

ওই অংশটি মনে করে, দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, সেখানে একটা অংশ মির্জা আব্বাসের এই সীমাবদ্ধতাকে পুঁজি করে ফায়দা লুটতে চাইছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে বিএনপিতে এসে যারা দলের অলংকৃত পদ-পদবি নিয়ে বা সরকারে থাকাকালে এমপি-মন্ত্রী হয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন, তারা এখন দলের নীতি-নির্ধারণীতে প্রভাব বিস্তার করছেন। মির্জা আব্বাসের মতো একজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের দরকার নেই। মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। আরও প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে মির্জা আব্বাসের দূরত্ব তৈরিতে দলের ওই ‘সুবিধাবাদী’ গ্রুপ ভূমিকা রেখেছে। হাইকমান্ড ঘনিষ্ঠ একটি পক্ষই মির্জা আব্বাসের সঙ্গে দলের শীর্ষ পর্যায়ের মুখোমুখি অবস্থান তৈরি করেছে।

তবে মির্জা আব্বাস যে দলে আগের মতো কদর-সমাদর পাবেন না, সেটাও বোঝেন তার সমমনা ওই অংশ। তারা বলছেন, বিএনপিতে আব্বাসের যারা ঘনিষ্ঠ অনুসারী রয়েছেন, রাজনীতি করতে হলে তারাও সুবিধার জন্য এই নেতার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন।

তবে একাধিক শীর্ষ নেতার অভিমত, মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন তার জন্য তিনি হাইকমান্ডের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা পেয়েছেন। একইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে, দলের কাছে সবাই গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেউই অপরিহার্য নয় এবং কেউ কাউকে ‘জমা-খরচ’ না দিয়ে চললেও দলের কাছে সবার জবাবদিহি করতে হবে।

মির্জা আব্বাসের ব্যাখ্যায় দল সন্তুষ্ট কি-না এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দলের ভেরি মাচ ইন্টার্নাল (খুবই অভ্যন্তরীণ বিষয়)।’ জাগো নিউজ

সাতকানিয়ায় আধিপত্য বিস্তার, গভীর রাতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা অন্তত অর্ধ-শতাধিক গুলি ছোড়ে।

এতে যুবলীগ নেতার বাবা-মাসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন মাহাবুবুল আলম (৬০), মমতাজ বেগম (৫০) ও মোঃ ঈসমাইল (২৯)। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার এওচিয়ায় ইউনিয়নের ভুত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে তাহসিন আরফাত জিহান (২০) নামের একজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষেদর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মোঃ আবু ছালেহর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। তাদের বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বে একাধিক বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের অনুসারী আবু বক্কর, মোঃ তৌহিদ, মোঃ আরিফ, মোঃ মানিক প্রকাশ কালা মানিক ও মোঃ মানিক প্রকাশ ছোট মানিকের নেতৃত্বে ১২-১৪ জনের দল ভুত পাড়ায় গিয়ে এওচিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমানকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমানকে না পেয়ে তার ছোট ভাই রেজাউল করিমকে মারধর ও তার দোকানের মালামাল তছনছ করে চলে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবলীগ নেতা মিজান তার ভাইকে মারধর ও দোকানের মালামাল নষ্ট করার ঘটনায় অংশ নেয়া নজরুল ইসলাম মানিকের অনুসারী কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদেরকে বকাবকি এবং দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সংঘটিত হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে গালি-গালাজের এক পর্যায়ে গুলি বর্ষণ করে। এসময় তারা অন্তত অর্ধশতাধিক গুলি ছোড়ে। এতে মিজানুর রহমানের বাবা মাহাবুবুল আলম, মা মমতাজ বেগম ও চাচাতো ভাই মোঃ ঈসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধদের উদ্ধারকরে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে, গতকাল ভোরে সাতকানিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।

সাতকানিয়া থানার এসআই তাপস চন্দ্র মিত্র জানান, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় জড়িত কিছু লোক ভোরে ইউপি সদস্য আবু তাহেরের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গাস্থ বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় ধাওয়া করে পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার আলী চাঁন পাড়ার আবু জাফরের পুত্র তাহসিন আরাফাত জিহানকে আটক করা হয়।

এওচিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি এবং বঙ্গবন্ধ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবু ছালেহর পক্ষে থাকাটা আমার অপরাধ। এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা আমাকে মারার জন্য ঘরে খুঁজতে আসে। ওই সময় আমাকে না পেয়ে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে মারধর এবং দোকানের মালামাল তছনছ করে দিয়ে চলে যায়। পরের দিন সেই ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে সন্তানদেরকে বুঝানোর জন্য তাদের অভিভাবকদেরকে বরে আসি। এতে তারা উল্টো ক্ষুব্ধ হয়ে রাতের অন্ধকারে আমার বাড়িতে এসে তান্ডব চালিয়েছে। মিজান আরো জানান, রাতে আমি এবং আমার চাচাতো ভাই ঈসমাইল বাড়ির গেইটের সামনে দাঁড়ায়। এসময় পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক, ইউপি সদস্য আবু তাহের, বক্কর, পারভেজ, তৌহিদ ও আরিফসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন আমি দৌঁড়ে পালাতে পারলেও চাচাতো ভাই ঈসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়। আমাকে না পেয়ে তারা আমার বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এসময় বাড়ির সিঁড়ি ঘরের বেলকনিতে দাঁড়ানো আমার বাবা-মা গুলিবিদ্ধ হয়। আমার বসত ঘর লক্ষ্য করে তারা অর্ধ-শতাধিক গুলি চালায়। পরে এলাকার লোকজন সংঘটিত হয়ে ধাওয় করে তারা ২টি গাড়ি যোগে পালিয়ে যায়।

এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক জানান, মিজানের সাথে আমার কোন ধরনের দ্বন্ধ নাই। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। কে বা কারা তার বাড়িতে গুলি করছে বলে খবর পেয়ে আমি ওসি সাহেবকে ফোন দিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই ওসি সাহেব আমার মোবাইলে ফোন করেন। আমি উনাকে ঘটনার বিষয়ে বলেছি। আসামীদের চিহ্নিতকরণ এবং গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। আর মোবাইলের কললিষ্ট চেক করলে বুঝতে পারবে এ ঘটনার সাথে আমার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন আগে আবু ছালেহর কিছু লোক ইউপি সদস্য আবু তাহেরকে লোকজনের সামনে চড়-থাপ্পুড় মেরেছে। এ ঘটনায় তাহের বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমার মনে হচ্ছে ওই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্বার্থন্বেসী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মোঃ আবু ছালেহ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বেই যুবলীগ নেতা মিজানের বাড়িতে গুলি বর্ষণ করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে মিজান স্পষ্ট ভাবে চিনেছে। রাজনৈতিক বিরোধকে পরিবারে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। রাজনৈতিক ভাবে বিরোধ থাকলে সেটা রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে পারতো। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে গুলি করাটা কোন রাজনীতি হতে পারে না।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিযাধীন রয়েছে। আজাদী অনলাইন

পানিতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের কারিগর পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো সুমন ত্রিপুরার দুই সন্তান খুমরাম ত্রিপুরা, আব্রাহাম ত্রিপুরা এবং একই গ্রামের তপন ত্রিপুরার সন্তান প্রাণটি ত্রিপুরা।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, “সকালে ঐ তিন শিশু বাড়ির পাশে একটি ছড়ায় গোসল করতে যায়। এরপর ফিরে না আসায় গ্রামবাসী তাদের খুঁজতে গিয়ে ছড়া থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করে। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেনে আসে। তবে এই ঘটনায় এখনো কোনো অপমৃত্যুর মামলা হয়নি। আজাদী অনলাইন

জামাইয়ের দায়ের কোপে শাশুড়ি খুন, স্ত্রী আহত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাঙ্গুনিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে সৃষ্ট বিরোধে মেয়ের জামাই মো. জাকের হোসেন(৩০)-এর ধারালো দায়ের কোপে খুন হয়েছেন শাশুড়ি আছমা খাতুন (৫০)। একই ঘটনায় স্ত্রী রিপা আক্তার(২৪)কেও এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে জাকের। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।

আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ভোররাত তিনটায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাশুড়ি আছমা খাতুনের মৃত্যু ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি।

বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ির উঠোনে পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার জন্য শালিসী বৈঠক বসেছিল। বৈঠকেই শাশুড়ি ও স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান জাকের।

স্থানীয়রা জানায়, রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস পূর্ব পাড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মো. জাকের হোসেন পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আপন চাচা আবদুল মালেকের মেয়ে রিপা আক্তারকে।

কয়েক বছর সংসার করার পর বছর দুয়েক আগে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কাতার চলে যান। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। কাতার যাবার আগে একই এলাকার আরেক নারীকে গোপনে বিয়ে করেন জাকের। কিছুদিন পূর্বে তিনি কাতার থেকে দেশে ফিরে এলে গোপন বিয়ের খবর জানাজানি হয়।

এনিয়ে প্রথম স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির উঠোনে বিরোধ মীমাংসায় শালিসী বৈঠক বসে দুইপক্ষ। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘর থেকে একটি ধারালো দা এনে শাশুড়ি আছমা খাতুন ও স্ত্রী রিপা আক্তারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান জাকের।

ঘটনার পর স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার ভোররাত তিনটায় শাশুড়ি আছমা খাতুনের মৃত্যু ঘটে বলে জানান শ্বশুর আবদুল মালেক। গুরুতর আহত রিপা আক্তারও মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন বলে জানান তিনি।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খুনি জাকের হোসেনকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি। আজাদী অনলাইন

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাতের মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রলোভন, প্রতারণা, নির্যাতনের অভিযোগ এনে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলাটি করেন তিনি। মামলার নম্বর ৩০।

মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও মামলায় জান্নাত নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।’

মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত বলেন, ‘২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।’

অভিযোগে জান্নাত বলেন, ‘বিচ্ছেদের পর তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় মামুনুল আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় আসার জন্য বলেন। আমি ঢাকায় চলে আসি। মামুনুল আমাকে তার অনুসারীদের বাসায় রাখেন। সেখানে নানাভাবে আমাকে প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তার প্রলোভনে পা দেই। এরপর তিনি উত্তর ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় আমাকে সাবলেট রাখেন। একটি বিউটি পারলারে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। ঢাকায় থাকার খরচ মামুনুলই দিচ্ছিলেন। ’

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঝর্ণাসহ ধরা পড়েন মামুনুল হক। মামুনুল তাকে স্ত্রী বলে দাবি করেন। তবে ঝর্ণার পরিবার দাবি করেন, মামুনুল তাকে বিয়ে করেননি। বিয়ের প্রলোভনে ব্যবহার করেছেন। বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ডুবলো পাথর বোঝাই ‘এমভি পিংকি’

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ইঞ্জিন বিকল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের আলফা আংকরেজ এলাকায় ‘এমভি পিংকি’ নামের একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ সময় ৫ জন নাবিককেই উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পতেঙ্গা লাইট হাউস থেকে ২ নটিক্যাল মাইল দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাল্কহেডটি নতুন ব্রিজ থেকে ভাসানচরে পাথর নিয়ে যাচ্ছিল।

সূত্র জানায়, বাল্কহেডটির ইঞ্জিন চলমান অবস্থায় বিকল হলে একটি মার্চেন্ট শিপের চেইন ক্যাবলের সঙ্গে সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। চারজন নাবিককে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের হাইস্পিড বোট ‘স্টিংরে’ উদ্ধার করে। জাহাজ থেকে লাফ দেওয়া একজন নাবিককে এমভি নাফিজা জাহান নামে একটি জাহাজ উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড পূর্বজোনের লে. আবদুর রউফ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কোস্ট গার্ডের হাইস্পিড বোট পাঠিয়ে ৫ নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। বাল্কহেডটি গহিরা থেকে ১ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। উদ্ধার করা নাবিকদের বিসিজি আউটপোস্ট পতেঙ্গায় নিয়ে আসা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না, চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলানিউজ

ভাড়া বিমানে দেশ ছেড়েছেন বসুন্ধরার এমডির স্ত্রী–সন্তান

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মোসারাত জাহান (মুনিয়া) কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের কয়েক সদস্য দেশ ছেড়েছেন। আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তিন দিনের মাথায় তাঁরা দেশ ছাড়লেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও অভিবাসন পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বুধবার তাঁরা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি নিয়েছেন। আজ তাঁদের দেশ ছাড়ার কথা।  

জানা গেছে, ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ১০টার দিকে রওনা দেয়। এটির গন্তব্য দুবাইয়ের আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

চার্টার্ড ফ্লাইটের (ভাড়া করা বিমান) সদস্য ছিলেন আটজন। যাত্রী তালিকা অনুযায়ী দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাঁদের দুই সন্তান (অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে নাম লেখা হলো না), ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান এবং তাঁদের মেয়ে ও দুই পরিবারের তিনজন গৃহকর্মী ডায়ানা হার্নানডেজ চাকানান্দো, মোহাম্মদ কাদের মীর ও হোসনে আরা খাতুন। এর আগে সায়েম সোবহান আনভীরের ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানও দেশ ছাড়েন।

গত ২৬ এপ্রিল মামলা হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। যদিও আনভীর দেশ ছেড়েছেন এমন প্রচার আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ডেটা বেজের তথ্য অনুযায়ী সায়েম সোবহান আনভীর দেশেই আছেন। তিনি দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। কোনোটি ব্যবহার করেই দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই। প্রথম আলো