- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাংলাদেশে উন্নতির লক্ষণ দেখছে বিশ্বব্যাংক

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আগাম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। রপ্তানি বৃদ্ধি, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং দেশে চলমান টিকাদান কর্মসূচির হাত ধরে এই উন্নতির সম্ভাবনা দেখছে বিশ্বব্যাংক।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট- মুভিং ফরোয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু স্ট্রেংথেন কম্পেটিটিভনেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দাতা সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এর প্রভাবে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে এবং প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবার দেশে দারিদ্রের হার বেড়েছে। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ধারাবাহিকভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

২০২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধেই বাংলাদেশের কলকারখানাগুলো ফের চালু হয়েছে, রফতানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। তবে মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির হুমকিতে পড়েছে।

jagonews24

বাংলাদেশের বৃহত্তম দুটি শহর ঢাকা এবং চট্টগ্রামে পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের দিকে ইঙ্গিত করছে। সেখানে জীবিকা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র ও বস্তি এলাকাগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে এ অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে গত ফেব্রুয়ারিতেই প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মক্ষেত্রে ফেরার হার প্রায় করোনাপূর্ব পর্যায়ে চলে এসেছে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা ইতিবাচক। একটি স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে সবুজ, স্মার্ট এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।

‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনটি মূলত সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাসের একটি অংশ, যা বছরে দুইবার প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনাগুলো পরীক্ষা করে এবং বিভিন্ন দেশের নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি।

jagonews24

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০২১ অর্থবছরে এ দেশে মূল্যস্ফীতি থাকতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫ লক্ষ্যমাত্রার আশপাশে। আর আর্থিক ঘাটতি থাকতে পারে জিডিপির ছয় শতাংশ।

সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের অর্থনেতিক ঝুঁকি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ভঙ্গুর দশায় এ দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অভিবাসী কর্মীদের কাজের সুযোগ কমে যেতে পারে।

প্রতিবেদনের সহ-লেখক এবং বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এক অভূতপূর্ব বৈশ্বিক মন্দা সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে হবে। তবে কাঠামোগত সংস্কার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। সূত্র: মডার্ন ডিপ্লোম্যাসি

হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতায় যাবে না সরকার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতারা সাক্ষাৎ করলেও সংগঠনটির সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেফতার অভিযান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে সরকার ও আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানেই রয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তাদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে। এটা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, বৈধ সরকার ক্ষমতায়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন, ভাঙচুর ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো সহ্য করা হবে না। তালেবানি কায়দা, পাকিস্তানি কায়দা এ দেশে চলবে না। যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে বিচার হয়েছে, তাদেরও সেইভাবে বিচার হবে।

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি থেকে সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক সহিংসতা ও ধ্বাংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে হেফাজতের কয়েকজন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বাসায় দেখা করেন। তবে সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এই সাক্ষাৎ অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযানের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা জানান, এর আগে তাদেরকে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যেভাবে সরকারি অফিস, রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে, স্বাধীনতা ও সংবিধানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, সেই অপরাধে তাদেরকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। সরকারের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ধ্বংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হওয়ায় হেফাজত এখন সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করেন সরকারের ওই মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা।  

সরকারের ওই মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, হেফাজত যে অপরাধ করেছে, এটা তাদের নেতারা বুঝতে পেরে এখন গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস বা ছাড় দেওয়া হবে না বলে সরকার ও আওয়ামী লীগের ওই নীতিনির্ধারকরা জানান। তারা যে অপরাধ করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা যে সঠিক, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত নেতারা সাক্ষতের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট করেছেন।

এ বিষয়ে জনতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যারা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হতে পারে না। তারা স্বাধীনতা, সংবিধানে বিশ্বাস করে না, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত মানে না। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে, আওয়ামী লীগও কঠোর অবস্থানে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এদের অপরাধের কঠোর শাস্তি হবে, এটাই সরকার করবে।  

এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারের দায়িত্ব দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। যারা দেশবিরোধী, সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাদের সঙ্গে আপসের কোনো বিষয় নেই। হেফাজতের সাবেক আমির আহমদ শফি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাদের দাবি অনুযায়ী কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। আহমদ শফি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার কাছে ইসলাম নিরাপদ। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইসলামের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাদের নেতারাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, তারাও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন না। তার মানে সরকার যে সঠিক কাজ করছে এটা তারাও অনুধাবন করছেন। বাংলানিউজ

জামায়াতের সঙ্গে সখ্য ছিলো মামুনুলের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের প্রধান লক্ষ্য ছিলো বর্তমান সরকার পতনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া।  এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকার বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো মামুনুলের। বিশেষত জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিলো তার।

হেফাজতের তাণ্ডবের পর সবচেয়ে সমালোচিত মামুনুলকে গ্রেফতারের পর সাত দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আর এতেই একে একে বেরিয়ে আসছে সরকারবিরোধী নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের পতনের মাধ্যমে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখেছিলেন মামুনুল হক। এজন্য তিনি হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তার মতে, অন্য নেতাদের দিয়ে এই বিপ্লব সম্ভব নয়, তাই তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলনের নামে সহিংসতায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

মামুনুল মনে করতেন, বর্তমান সরকারের পতন হলে, কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে হেফাজতের সমর্থন লাগবে। আর এই সরকার পতনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, হেফাজতে ইসলামের মধ্যে অন্যতম উগ্রপন্থি নেতা মামুনুল হক। তিনি যেকোনো মূল্যে এই সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিলেন। এই কারণে আন্দোলনের নামে যেকোনো কর্মসূচিতে সহিংসতার উস্কানি দিতেন তিনি।

সবশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল হেফাজতে ইসলামের। এ হীন উদ্দেশ্যে কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছিলো।

মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। হেফাজতের নেতাকর্মীদের সহিংসতায় সরাসরি উস্কানি দিতেন তিনি।

গত রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা ২৩টি মামলার তদন্ত ভার পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২৩টি মামলার মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জে ২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫টি, কিশোরগঞ্জে ২টি, চট্টগ্রামে ২টি ও মুন্সিগঞ্জে ২টি। হত্যা, বিস্ফোরক, নাশকতাসহ নানা অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জে তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মামুনুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মামুনুল অন্য একটি মামলায় বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে সিআইডি। বাংলানিউজ

সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা নির্ধারণ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : এ বছরও বাংলাদেশে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। বুধবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সভায় সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ ‘সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা দিতে হবে। বাংলানিউজ

যব দিয়ে আদায় করলে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে এক ‘সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত গম, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহূল আমীন, বিশিষ্ট আলেম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

সাতকানিয়ায় ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র সরকারি চাউল কালো বাজারে বিক্রি, আটক ১

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র সরকারি চাউল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত-দরিদ্র পরিবারে প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রির ৭ বস্তা চাউল কাঠের গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আবদুর রশিদ নামের একজনকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের দুরদুরি এলাকার একটি কাঠের গুদাম থেকে এসব চাউল উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, চরতি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দুরদুরির শামসুল আলমের পুত্র আবদুর রশিদ তার মুদির দোকানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাউল বিক্রি করছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করেন। তালিকাভুক্ত ডিলার না হয়েও আবদুর রশিদের দোকানে ১০ টাকা মূল্যের সরকারি চাউল বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব দেন।

এদিকে, সাতকানিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন কুমার বড়ুয়া আজ সকালে দুরদুরি এলাকায় গিয়ে আবদুর রশিদের কাঠের গুদাম থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৭ বস্তা চাউল উদ্ধার করেন। একই সাথে দোকানদার আবদুর রশিদকে আটক করে নিয়ে আসেন। পরে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চরতি ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার আবদুল মোমেন জানান, আবদুর রশিদ নামের একজনের কাছ থেকে কিছু চাউল উদ্ধার করেছে বলে শুনেছি। এগুলো আমার চাউল নয়। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় দেয়া চাউল অনেক উপকার ভোগী খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয়। শুনেছি রশিদ তাদের কাছ থেকে এসব চাউল কিনে নিয়েছে।

উপকারভোগীর চাউল বাইরে কেন বিক্রি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, “অনেকে টাকার প্রয়োজন হলে বিক্রি করে দেয়। আবার কোনো কোনো সময় চাউলের মান খারাপ হলেও বিক্রি করে। এখানে আমাদের কিছু করার নাই।”

সাতকানিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন কুমার বড়ুয়া জানান, হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে চাউল বিক্রি করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারের মাধ্যমে এসব চাউল বিক্রি করা হয়। চরতি ইউনিয়নে মোট ৫০০ পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় চাউল পায়। আবদুর রশিদের কাঠের গুদাম থেকে উদ্ধারকৃত চাউলগুলো সরকারি চাউল। কিন্তু ডিলার তাকে বিক্রি করেছে নাকি উপকারভোগীদের কাছ থেকে নিয়েছে সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে। আবদুর রশিদ সরকারি চাউলের বস্তা পাল্টিয়ে আলাদা বস্তায় করে নিজের কাঠের গুদামে এসব চাউল রেখেছে। সেখান থেকে আমরা উদ্ধার করেছি।

তপন কুমার বড়ুয়া আরো জানান, আটককৃত আবদুর রশিদ প্রথমে উপকারভোগীদের কাছ থেকে এসব চাউল কিনেছে বলে জানায়। পরবর্তীতে আবার ডিলারের কাছ থেকে নিয়েছে বলেও তথ্য দিয়েছে। এখন ডিলারের কাছে কত বস্তা চাউল আছে তা আমরা দেখে এসেছি। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যদি ডিলার এসব চাউল বিক্রি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, চরতির দুরদুরিতে আবদুর রশিদ নামের একজনের কাঠের গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল উদ্ধারের ঘটনায় ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিলার জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজাদী অনলাইন

বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত মো. শিমুল (২৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার জানাহুরা এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।  

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া জানান, পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শ্রমিক মারা গেছেন। ওইদিন আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে প্রথমে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। একই দিন অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আজ সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে। বাংলানিউজ

শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০ জন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলা হয়েছে দুইটি।

লোহাগাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ইফতার সামগ্রী হস্তান্তর

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম স্তম্ভ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সদস্যদের জন্য ইফতার সামগ্রী হস্তান্তর করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এম. ইব্রাহীম কবির।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বটতলী মোটর ষ্টেশনস্থ লোহাগাড়া নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইফতার সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এম.এম.আহমদ মনির, সহ-সভাপতি মনির আহমদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মারুফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ আলম, অর্থ সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন সাগর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম.এ. এইচ রাব্বি, দপ্তর সম্পাক জমির উদ্দীন, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব, কার্যনির্বাহী সদস্য এম সাইফুল্লাহ চৌধুরী সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এম. ইব্রাহিম কবির বলেন, করোনা ভাইরাসের থাবায় যখন লন্ডভন্ড পূরো দেশ। এমন সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে দেশ ও দশের কল্যাণে প্রচার করছেন। রাষ্ট্রের যে কোন দূর্যোগময় মুহুর্তে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। পরে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

লোহাগাড়ায় ৪৭টি মামলায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪৭টি মামলায় ১ হাজার ৩০ হাজার ৮০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২১ এপ্রিল) দিনব্যাপী উপজেলা সদর বটতলী মোটর ষ্টেশন ও আধুনগর খাঁন হাট বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবিব জিতু এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবিব জিতু, লকাউডান বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারই ধারবাহিকতায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ও মাস্ক না পরায় ৪৭টি মামলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া, বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্ত দত্ত ও উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী।

লোহাগাড়ায় ৬ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজারের রামু থানার ছরারকুর এলাকার মুহাম্মদ উল্লাহর পুত্র নুরুল কবির (৩৫) ও একই এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র ছলিম উল্লাহ (৩৪)।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রামমুখী মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

খালেদার সঙ্গে বাবুনগরীর কখনো সাক্ষাৎ হয়নি: হেফাজত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠকের স্বীকারোক্তি নির্জলা মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, বাবুনগরীর সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি। বুধবার (২১ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।

হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে কয়েকটি গণমাধ্যমে ওই বৈঠকের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলানিউজ

বিবৃতিতে মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনো বৈঠক তো দূরের কথা, আল্লামা বাবুনগরীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার কখনোই সাক্ষাৎ হয়নি।

মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, ২০১৩ সালে যখন তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়, তখনও পুলিশ তাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চেয়েছিল। রিমান্ডেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বৈঠক তো দূরের কথা, খালেদা জিয়াকে সামনাসামনি তিনি কখনোই দেখেননি। মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যা দাবির স্বপক্ষে তাদের কেউই কখনো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবেন না।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ইবাদত-বন্দেগির মাসে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হাক্কানি ওলামায়ে কেরামের ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সাল বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এখনো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে—সে সময়ে কোন কোন নেতা কর্মীদের দিবাস্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং কী কী ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ তো দূরের কথা, বরং তাদের আস্কারা দিয়ে ও ব্যবহার করে হাক্কানি আলেমদের হয়রানি করে মূলত ইসলামী চেতনাবোধের কণ্ঠরোধ করতে চায়। দেশবাসী এটা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন।

মাওলানা তাজুল ইসলাম সরকার ও প্রশাসনের প্রতি হাক্কানি ওলামায়ে কেরামের ওপর দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা এবং অপবাদ আরোপ বন্ধের দাবি জানান।