- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

রেকর্ড ছাড়িয়ে তাপমাত্রা উঠল ৪০.৩ ডিগ্রিতে, জনজীবনে হাঁসফাঁস

নিউজ ডেক্স : দেশে কয়েক দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড হয়েছিল গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল)। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) তার চেয়েও বেশি ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তারা বলছে, রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। জাগো নিউজ

এছাড়াও বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ২৪ ঘণ্টা পরবর্তী দুদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এর পরের পাঁচদিনে ফের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আজ সিলেটে ৯ মিলিমিটার এবং শ্রীমঙ্গলে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

জীবন সংগ্রামে মধ্য-নিম্নবিত্তের চাপা কান্না

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে দ্বিতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) জারি হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি এই লকডাউনে গভীর সঙ্কটে পড়েছেন মুচি থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ তিনবেলা দু-মুঠো ভাত যোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

অন্যদিকে গত লকডাউনের প্রভাব কিছুটা কাটিয়ে না উঠতেই নতুন করে লকডাউনে পড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। সার্বিকভাবে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

এদিকে গত বছর লকডাউনে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও এবার তেমন উদ্যোগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। হতদরিদ্ররাও সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত তেমন সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

লকডাউনে পড়ে সৃষ্ট দুর্ভোগ-কষ্টের কথা রাজধানীর নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে শুনেছে জাগো নিউজ। কেউ বলেছেন চরম অর্থকষ্টের কথা, কেউ বলেছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা। কেউ আবার স্বপ্ন সাজানোর পথে হোঁচট খাওয়ার কথা বলতে গিয়ে হয়েছেন আবেগতাড়িত।

‘মাত্র ২০ টাকা কামাইছি, দুপুরে খাওয়াও সম্ভব নয়’ : স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় রাজধানীতেই থাকেন মহেশ দাস। মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে জুতা রং ও সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে পরিবার নিয়ে বেশ বিপাকে আছেন। একদিকে যেমন দোকান খুলে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না, অন্যদিকে তেমন কাজও পাচ্ছেন না। দিনশেষে ৪০ থেকে ৫০ টাকার বেশি ঘরে তুলতে পারছেন না বলে জানান মহেশ। এতে অনেকটা অর্ধাহারে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মহেশ বলেন, ‘সকালে রুটি আর ভাজি খেয়ে বাইর হইছি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পানি নিয়ে আসছি। সেই পানি খেয়েই এখনো আছি। লকডাউন বহুত কষ্টের মধ্যে ফেলে দিছে। সকাল থেকে পুলিশ তিনবার উঠাই দিছে, তারপরও আইসা বসছি। বইসা ১০ টাকা ১০ টাকা, মোট ২০ টাকার কাজ করলাম। এখন আমি যে দুপুরে কিছু খাবো, ওইটাও আর সম্ভব না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাই নাই। কষ্ট বলেই তো লকডাউনের মধ্যে কাস্টমার না থাকার পরেও এখানে বসে আছি।’

‘দুই কার্টন আপেল, পাঁচ কেজি মাল্টা, অর্ধেক আঙুর পচে গেছে’ : ঢাকায় এসে তিন সপ্তাহ আগে মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে ফলের দোকান দিয়েছেন মো. রেজাউল শেখ। প্রথম সপ্তাহ লাভের মুখ দেখলেও দুই সপ্তাহ ধরে বিক্রি কম, এর মধ্যে আবার কিছু মালামালে পচন ধরেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি।

রেজাউল শেখ বলেন, ‘নিয়মিত দোকান করতে পারি না। সকাল ১০টায় খুলি, বিকেল ৩টায় বন্ধ করে ফেলতে হয়। ৩টার উপরে গেলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। কাঁচামাল তো পচে যায়। টেনশনে থাকি। এই তিনদিনে দুই কার্টন আপেল ফেলছি। মাল্টা পাঁচ কেজির মতো ফেলে দিছি। আর আঙুর গেছে প্রায় অর্ধাঅর্ধি। আঙুর বেশি পচে। তারপর থেকে আর আঙুর আনি না। সবমিলিয়ে আমার প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকার মাল পচে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের আইন তো মানতে অইবো। কিন্তু পেটতো আর মানে না। কিস্তি, বাসা ভাড়া এগুলো তো আর মানবো না। নিজের একটা খরচ আছে। গ্রামের বাড়িতে থাকা বউ-বাচ্চাদের জন্য টাকা পাঠাতে হচ্ছে। অথচ ব্যবসায় লাভ নাই, বরং ক্ষতির মধ্যে আছি। সবমিলিয়ে বর্তমানে একটু কষ্টে আছি।’

‘রিকশার গদি খুইলে রাখে, রুজি বন্ধে হয়ে যায়’ : ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে মা, বউ, এক ছেলে ও এক মেয়ে থাকে রিকশাচালক মো. মজিবরের। গত বছর জারি হওয়া প্রথম দফার লকডাউন কেটে গেলে ঢাকায় আসেন তিনি। তারপর মাত্র একবার তিনি গ্রামের বাড়িতে গেছেন। সংসার চালাতে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন অনবরত।

লকডাউনে রিকশা চালানোর বিষয়ে মজিবর বলেন, ‘রাস্তাঘাটে গদি-মদি খুইলে রাখছে পুলিশ। অনেক সময় তো যাত্রী নামায়ে দিতেছে। খুবই কষ্টে আছি। বাড়িতে ছেলেপেলে, মা আছে। তারা রোজা থাকে। তাদের তো একটা আহার আছে। আমরা তো অইডা পারছি না দিতে। আমাদের গদি খুইলে রাখছে। আমাদের রুজিই বন্ধে হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘রিকশা চলে। কিন্তু কহন কী করছে, সেইডাই তো বলা যাচ্ছে না। কাইলকা এইরহম ১৪ নম্বর বইসে আছি, গপ কইরে মোটরসাইকেল এসে গদি খুইলে নিয়ে গেল। কী করবেন কন, কিছু করার নাই। পরে এক ঘণ্টা রাইখা আবার দিয়া দিলে। ইনকাম আছে। কিন্তু করতে তো পারছি না। ভয়ে ভয়ে এভাবে তো করা যায় না। চুরি করছি না, বদমাইশি করছি না, রুজি করবো তাও ভয়। এইডা একটা দেশ হইলো বলেন?’

লকডাউনে অনেকে শপিংশল, দোকানপাট খুলতে পারছে না। আপনারা তো রিকশা চালাতে পারছেন। এর জবাবে মজিবর বলেন, ‘ওদের তো আছে। আমাদের তো কিছু নেই। আমাদের তো শরীরের ওপর দিয়ে চলে। আমাগে শরীরডা অচল থাকলে হাড়ি শিকেয় থাকে। শরীর চললে সংসার চলে।’

‘রিকশা না বের করলে বাড়িতে বাপ-মা-বউ-বাচ্চা তিনবেলা খেতেও পারবে না’ :
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মিরপুর ১০ নম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে যাচ্ছিলেন রিকশাচালক মো. ফরিদ। অল্প এগোতেই পুলিশ তার রিকশা আটকায়। যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে তার রিকশা উল্টিয়ে দেয়। তারপর রিকশার সিট নিয়ে চলে যায় পুলিশ। সিটের জন্য দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেন ফরিদ। একপর্যায়ে লোকমুখে শুনতে পারেন সিট আর দেবে না পুলিশ। তারপর মহাজনের কাছে গিয়ে আরেকটি সিট নিয়ে রিকশা চালাতে বের হন ফরিদ।

তিনি বলেন, ‘মহাজন বলেন, সিটের দাম প্রায় ৫০০ টাকা। তুমি সিটটা দিয়ে চলে আইলা? মহাজন সিটের টাকা চেয়েছে, কিন্তু এখনও আমি কিছু বলি নাই।’

ফরিদের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। সেখানে তার মা, বাবা, বউ, ছেলেমেয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘কী করবো, আমাদের তো না বের হলে চলে না। দিন আনি, দিন খাইতে হয়। এহন লকডাউন দিছে সরকার, এক সপ্তাহের যদি খাওনদাওন দিত, তাও দেয় না। বাড়িতে এহন সবাই রোজা। আমি যদি রিকশা না বাইর করি, বাড়িতে ঠিকমতো তিনবেলা ভাত খেতে পারবে না।’

লকডাউনের শুরুতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন ফরিদ। কিন্তু সিট ভাড়া ১৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা করে চেয়েছে। এত টাকা দিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না ফরিদের।

তিনি বলেন, ‘এহন আমাদের গরিবদের খুব অবস্থা খারাপ। লকডাউনে ইনকাম করতে পারছি না। বাড়িতে গেলে জিনিসপত্রের দাম বেশি। চালের কেজি ৫০ টাকা। চলা খুব কঠিন।’

‘যারা বড়লোক তারা ঘর থেকে বের হয় না। তাদের খাবার আছে। যারা গার্মেন্টস কর্মী, তারা তো ৩০ টাকা ভাড়া দেবে না। ওরা তো হিসাব করে চলে’, বলেন এই রিকশাচালক।

‘বিক্রি নেই, ফার্নিচার বানিয়ে জমা করছি’ : রাজধানীর দক্ষিণ মণিপুর এলাকার শাহাবুদ্দিন ফার্নিচারে ১০ জনের বেশি লোক কাজ করেন। লকডাউনেও তাদের কাজ থেমে নেই। দোকানের শাটার বন্ধ করে চলে তাদের কাজ। কাজ চললেও সেসব ফার্নিচার বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

এই ফার্নিচার দোকানের রং মিস্ত্রি মো. রফিকুল বলেন, ‘আমরা কাজ করতেছি, কিন্তু মহাজন কোনো মাল বিক্রি করতে পারছেন না। এবার প্রথম যে লকডাউন দিয়েছে, তারপর থেকেই বিক্রি কমে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ফার্নিচার আমরা বানিয়েও বিক্রি করি, আবার অর্ডার দিলেও সেটা বানিয়ে দিই। কিন্তু বর্তমানে কোনো কাজের অর্ডার পাইতেছি না। আমরা এখন যা বানাচ্ছি, সেগুলো স্টোরেজে রাখতেছি।’

এখন পর্যন্ত সবারই বেতন হচ্ছে। এভাবে ঘাটতি দিতে থাকলে সামনের দিনগুলোয় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রফিকুল।

‘আমরা দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছি’ : গত বছর লকডাউনের সময় কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন মো. মুস্তাফিজ রহমান। কাজ না থাকায় সেই সময় কঠিন আর্থিক সঙ্কটে পড়ে যান। সেই হিসাব করে এবার লকডাউন দিলেও গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে ঢাকাতেই আছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ মণিপুরের কুষ্টিয়া স্যালুনে কাজ করছেন।

মুস্তাফিজ রহমান বলেন, ‘কাস্টমার আগের মতো হয় না। অনেকটাই কম। দোকান তো মনে করেন খুলতেই পারি না। সকাল ৯টা বাজলে খুলি, চোর-পুলিশ চোর-পুলিশ খেলার মতো চলে। সন্ধ্যার পরে আর খোলা হয় না। পুলিশ এসে ঝামেলা করে। ধরে নিয়ে গেলে এক হাজার টাকা নেয়, তারপর ছেড়ে দেয়। আমরা এভাবেই আছি। আমাদের অবস্থা খুব শোচনীয়। এদিকে দোকানভাড়া, বাসাভাড়া, নিজেদের খরচ—আমরা খুবই দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছি।’

jagonews24
এবারের লকডাউনে খাবারের কষ্টটা বেশি পেতে হচ্ছে ভবঘুরেদের

তিনি বলেন, ‘কাস্টমার আগের চেয়ে অনেক কম। কাস্টমার অনেকে আসে। অনেকে ভয়ে ভয়ে আসে না। আগে প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আয় করতে পারতাম। এখন যা আয় হয়, তা ভাড়া ও খাওয়া-দাওয়ায় চলে যায়।’

‘দোকানটা খুললে একটা খরচ আছে, সেটাও উঠছে না’ : বিভিন্ন ফলের জুস, ড্রিংকস, চাসহ পানীয় বিক্রি করে মিরপুর স্টেডিয়ামের কাছের রেস্তোরাঁ ‘মুড়ি মটকা’। এর কর্মচারী মো. বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘বেচাকেনা আগের মতো নাই। একদমই কম, নাই বললেই চলে। আগে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হলে এখন ৫০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে আগের মতো লোক নাই। ব্যবসা ঠিকমতো না হওয়ায় প্রতিদিনই লস আসছে। দোকানটা খুললেই একটা খরচ আছে। এখনও তো সেই খরচও উঠছে না। খুব খারাপ অবস্থায় আছি। তারপরও ব্যবসাটা চালু রাখার জন্য দোকান খোলা রাখছেন মালিক। এজন্য আমাদের বেতনও সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু দিয়ে আমাদেরকে চালিয়ে নিচ্ছে।’

ভবঘুরেদেরও খাবার কষ্ট বেড়েছে : লকডাউনে ভিক্ষাবৃত্তিও তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে এক তরমুজের দোকানে দেখা যায়, একজন তরমুজ কিনে টাকা দিচ্ছেন। ক্রেতার কাছ থেকে ভিক্ষা নেয়ার জন্য তিনজন ভিক্ষুক হাত পেতে আছেন।

যারা ভিক্ষা করতেন কিংবা ভবঘুরে ছিলেন, এই লকডাউনে যেন তাদেরও কষ্ট কিছুটা বেড়েছে। আগে ডিশ-অ্যান্টেনার কাজ করলেও গত দুই বছর ধরে ভবঘুরে জীবনযাপন করছেন মো. সুজন। থাকেন ফুটপাত-ওভারব্রিজে। লকডাউনের মধ্যে খাবার জুটছে কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হোটেল-টোটেল থেকে খাবার চেয়ে নিয়ে খাই। লকডাউনের মধ্যে কম হোটেল খোলা থাকে। আগে মানুষ খাবার দিয়া যাইতো রাতে। এখন দেয় না। একবেলা খাইলে আরেকবেলা না খেয়ে থাকা লাগে।’ জাগো নিউজ

এনআইডি অনুযায়ী বয়সের শর্ত পূরণ হচ্ছে না ১৯৩২ বীর মুক্তিযোদ্ধার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্মতারিখ অনুযায়ী এক হাজার ৯৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বয়সের ন্যূনতম শর্ত পূরণ হচ্ছে না। তাই এসব মুক্তিযোদ্ধাদের এনআইডি সংশোধনের জন্য আগামী ১০ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছে সরকার।

শর্ত পূরণ না হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এনআইডি সংশোধনের পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিতে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকল জেলা প্রশাসক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাগো নিউজ

চিঠিতে বলা হয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে কিংবা এর আগে কমপক্ষে ১২ বছর ৬ মাস বা জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ৩০ মে তারিখের আগে হতে হবে বলে ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) তথ্যভাণ্ডার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এক হাজার ৯৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্ণিত জন্মতারিখ কাঙ্ক্ষিত নয়, বিধায় উক্ত বয়সের ন্যূনতম শর্ত পরিপালন করে না।

এতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরেক স্মারকে ইতোপূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম, ঠিকানাসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়টি গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এমআইএস তথ্যভাণ্ডার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, উল্লিখিত সংখ্যক (এক হাজার ৯৩২ জন) বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদর্শিত জন্মতারিখ সংশোধিত হয়নি। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়সের শর্ত পরিপালন না হওয়ায় ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২’ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ বাতিলযোগ্য এবং এ সংক্রান্ত সুবিধাদি প্রাপ্য নয় বিধায় সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ প্রেক্ষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়সের শর্ত পরিপালন করা না হলে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে বিধায় আগামী ১০ মে এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শ দিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

গত ২৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। এ তালিকায় রয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম।

সব মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রকৃত সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার পার হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) এক লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেটে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় তাদের এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের জন্য উপজেলার প্রতিবেদন আসছে। সেগুলো যচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে যাচাই-বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। তবে এর আগে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

হেফাজত নেতা মাওলানা কোরবান আলী গ্রেফতার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কোরবান আলীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বাসাবো এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জাগো নিউজ

তিনি বলেন, ‘হেফাজতের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কোরবান আলীকে গ্রেফতার করেছে ডিবির গুলশান বিভাগ। তাকে পুরোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ এখন পথহারা : কাদের মির্জা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে ওপর পর্যায় থেকে যেসব কথা বলে দুঃখ লাগে, কষ্ট লাগে। একটা লোক আমার আহত কর্মীদের দেখতে আসে নাই। আমার একটু খোঁজখবর নিতে আসে নাই আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ থেকে আমি এজন্যই পদত্যাগ করেছি। এ আওয়ামী লীগ এখন পথহারা আওয়ামী, অপশক্তির আওয়ামী লীগ, অস্ত্রবাজদের আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আমাদের মতো ৪৭ বছরের ত্যাগী কর্মীরা আজকে আওয়ামী লীগে শুধু এখানে নয়, বাংলাদেশের কোথাও নেই। আজকে অপরাজনীতির হোতারা আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করছে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নিজ অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ড থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন বসুরহাট মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। জাগো নিউজ

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ ঠিকাদার বিএনপির। দু-চার জন ঠিকাদার আওয়ামী লীগের আছে। তারা কাজ বিক্রি করে দেয় বিএনপির কাছে। সেখান থেকে মাসোহারা তোলে মন্ত্রীর (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) এপিএস। সেটাকে তিনভাগ করে বেলায়েত। সেখান থেকে তারা একভাগ অফিসারদের জন্য রাখে, একভাগ তারেক জিয়ার জন্য পাঠায়, একভাগ মন্ত্রীর স্ত্রীকে দেয়। মন্ত্রীর স্ত্রীর (ইসরাতুন্নেসা কাদের) দেশে-বিদেশে কত হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে, বাড়ি-গাড়ি আছে; এটার হিসাব আমার কাছে আছে। যথাসময়ে যথাস্থানে পৌঁছাব। আর আল্লাহর কাছে বলব। যেহেতু আমাদের কেউ নেই।’

বুধবার থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলবে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে আগামীকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হচ্ছে। বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদিত ফ্লাইট দেশের সকল গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। যাত্রীরা পরিবারসহ ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রবাসী কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন।

ঢাকা থেকে যেসব ফ্লাইট অন্যান্য গন্তেব্যে যাবে, সেসব ফ্লাইটে অল ওয়াইড বডি সর্বোচ্চ ২৮০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। শুধু বি-৭৭৭ ও বি-৭৪৭ ছাড়া অন্যান্য এয়ারক্রাফটে ৩৫০ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বেবিচক। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়।

সবশেষ গতকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) এ স্থগিতাদেশের সময়সীমা আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর একদিনের মাথায় অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের অনুমতি দিল বেবিচক।

বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত চাদের প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদরিস ডেবি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আজিম বেরমান্দোয়া আগৌনা এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন ইদরিস ডেবি।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন দেশের উত্তর দিকে একটি বড় আক্রমণ শুরু করেছিল এমন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় ডেবি তার সেনাবাহিনীকে কমান্ডিং করছিলেন। তখন তিনি আহত হন।

সোমবার দেশটির নির্বাচনের ফলে দেখা যায়, ষষ্ঠবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইদরিস ডেবি। সেনাবাহিনী আরও জানায়, এখন প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ৩৭ বছর বয়সী ছেলে মহামত ইদ্রিস ডেবি ইটনো তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। সূত্র: আল-জাজিরা

লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৩৩ জনকে জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৩৩ জনকে ২৭ হাজার ৮৪০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদর বটতলী মোটর ষ্টেশন ও পদুয়া তেওয়ারীহাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী।

তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ও মাস্ক না পরায় ৩৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সহায়তা করেন লোহাগাড়া থানার এসআই মামুনুর রশিদ ও উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সমির চৌধুরী।

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ১

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার আধুনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আজহার উদ্দিন (৪২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. ফিরোজ (১৮) নামে অপর এক শ্রমিক। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সর্দানী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজহার উদ্দিন জামালপুরের মেলান্দহ থানার বাসিন্দা মৃত সদা শেখের পুত্র ও আহত ফিরোজ গোপালপুরের আয়াতের শেখের পুত্র। তারা দুই জনই দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের শ্রমিক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জনু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দোহাজারী- কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের আওতায় আধুনগর সর্দানী পাড়ায় ডলুখালে ব্রীজ নির্মাণের জন্য কাজ করছিল একদল শ্রমিক। নির্মিতব্য ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে বসবাসের জন্য টিনের ছাউনী দিয়ে বাসা নির্মাণ করেন। কালবৈশাখী ঝড়ে বাসার টিন যাতে উড়ে নিতে না পারে তার জন্য রশি দিয়ে বাঁধ দিচ্ছিল। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিক আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদরের এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে আজহার উদ্দিনকে আশংকজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে দুপুর আড়াইটায় জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মো. ফিরোজ নামে অপর শ্রমিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

করোনায় লোহাগাড়ার আরেক ব্যক্তির মৃত্যু

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ শাহ আলম (৫০) নামে লোহাগাড়ার আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত শাহ আলম উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলাউজান রাজা মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত নজু মিয়ার পুত্র ও ৩ সন্তানের জনক। তিনি জাপান প্রবাসী ছিলেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ১৫ দিন পূর্বে তিনি জাপান থেকে দেশে আসেন। কয়েকদিন পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন মোহাম্মদ শাহ আলম। অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রায় ১০ দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আবদুর রহমান মানিক (৩৬) নামে লোহাগাড়ার এক যুবক নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।