- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় ছরওয়ার কোম্পানীর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

একদিকে করোনার ভয়, অন্যদিকে কঠোর লকডাউন। গতবছরের ন্যায় এবছরও অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে এক হাজার পরিবারে উপহার হিসেবে খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি হাসাপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব ছরওয়ার কোম্পানি।

সোমবার ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩টায় উপজেলা সদর দরবেশহাটস্থ তাঁর ব্যক্তিগত অফিস থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, ছোলা, চিনি, তেল, পেঁয়াজ ও খেঁজুর। আলহাজ্ব ছরওয়ার কোম্পানি বলেন, প্রতিবছর আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। এই বছরও করোনা বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষেরা ঘরবন্দী ও কর্মহীন। তাই তাদেরকে উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করলাম। আগামীতেও আমার এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এসময় উপস্হিত ছিলেন লোহাগাড়া যুবলীগের আহবায়ক মো: জহির উদ্দিন, লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাত্তার সিকদার, অর্থ-সম্পাদক মুজাহিদ হোসাইন সাগর, প্রচারও প্রকাশনা সম্পাদক এম.এ.এইচ রাব্বি, যুবলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নির্বিচারে ধর্মীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে : ফখরুল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : সহিংসতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, লকডাউনকে ব্যবহার করে ক্র্যাকডাউনে ইতোমধ্যে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ধর্মীয় নেতা, আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা ধর্মীয় মানুষ, শ্রদ্ধার পাত্র—তাদের গ্রেফতার করে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে।

গত ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা সরকারের তৈরি করা অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি এর আগেও বলেছি, সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাগুলো যেন ঘটে, সে ব্যবস্থা নিয়েছে।

‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন ২৬ মার্চ কয়েকটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছিল। আমরা দেখেছি বায়তুল মোকাররমে যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি, সেটাকে অশান্ত করার জন্য পুলিশের সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল। তারপর আওয়ামী লীগের দলীয় লোকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেছিল। সে কারণে হাটহাজারীতে ওই ঘটনাগুলো ঘটেছে। সে ঘটনাগুলো কিন্তু তারা কখনোই বলছে না। তারা বারবার দোষ চাপাচ্ছে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর ওপর এবং বলছে বিএনপি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, এখনো বলছি, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছি, সেটা মানুষ মেরে ফেলার জন্য। সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছরকে মানুষের রক্ত দিয়ে কলুষিত করা হয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই ধর্মীয় নেতাদের এভাবে গ্রেফতার-হয়রানি করা এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা তাই আহ্বান জানাবো, অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক, যারা আলেম-ওলামা, তাদের মুক্তি দেয়া হোক এবং বিএনপির যেসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও সব মামলা তুলে নেয়া হোক।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দাবি করেছি আলেম-ওলামাদের সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের মুক্তি দিতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, হেফাজতের সঙ্গে আমাদের কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। যোগসূত্র একটাই, তারা (সরকার) কোনো বিরোধী মতকে সহ্য করবে না। তারা বলছে, হেফাজত তাণ্ডব করছে। মূলত তাণ্ডবগুলো করছে সরকার। এটা তাদের পরিকল্পিত। জাগো নিউজ

হেফাজতের ২৩ মামলার তদন্তে সিআইডি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের একাধিক মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। ২০১৬ সালের পাঁচটি মামলা ও সাম্প্রতিক সময়ের ১৮টি মামলাসহ মোট ২৩টি মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। আমরা আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করব এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করব।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত ছিল, মদত দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব।

ইতোমধ্যে যেসব হেফাজত নেতা পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছেন প্রয়োজনে তাদেরও সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলেও জানান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সিআইডি প্রধান ব্রিফিং করবেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৯ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অপরদিকে মামুনুলের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

রাজধানীতেই মামুনুলের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানাতেই ১৭টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে করা আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় কাজে গোলযোগের অভিযোগ এনে মোহাম্মদপুর থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ মামলায় পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগে তদন্তাধীন আটটি মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন দুটি মামলা ও তেজগাঁও বিভাগে তদন্তাধীন একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল হক।

এছাড়া মতিঝিল থানায় তদন্তাধীন একটি ও পল্টন থানায় তদন্তাধীন চারটি মামলায় তার নাম রয়েছে। উল্লিখিত ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টিই হয়েছে ২০১৩ সালের ৫মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর। ওই ১৫ মামলার বাদী পুলিশ। ১৬ মামলার অন্যটি সম্প্রতি পল্টন থানায় দায়ের করেন যুবলীগের এক নেতা। জাগো নিউজ

মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড দেশ-ধর্মের জন্য হুমকিস্বরূপ : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড দেশ, সমাজ ও ধর্মের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে  সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মামুনুল হকের গ্রেফতার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলানিউজ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মামুনুল হক সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন এবং ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেগুলো দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র এবং ইসলামের জন্য হুমকিস্বরূপ। আবার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কীভাবে ঠোঁট নাড়াতেন সেটিও মামুনুল হক অভিনয় করে দেখিয়েছেন। অর্থাৎ রাসুলকে (সা.) ব্যঙ্গ করেছেন। এ অধিকার তাকে কে দিয়েছে? এটা যদি অন্য কেউ করতো, তাকে মামুনুল হক আর তার বশংবদ হেফাজতের নেতারা কী করতেন?’

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা আহমদ শফির মতো শতবর্ষী নেতাকে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়াসহ নানাভাবে হেনস্তা করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, যেগুলোকে ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ বলেছেন- এসব কিছুর নির্দেশদাতা হচ্ছে মামুনুল হকরা। কয়েকজন মতলববাজ হুজুরের কাছে ইসলাম ধর্ম লিজ দেওয়া হয়নি। ’

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্য, ‘ইলিয়াস আলীকে সরকার নয় বিএনপিই গুম করেছে’ এবং পরে সে বক্তব্য অস্বীকার করা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা আব্বাস অনলাইনে লাইভ মিটিংয়ে মুখ ফসকে সত্যিটা বলে ফেলেছেন। পরে দলের মধ্যে সমালোচনার মুখে তিনি সেই বক্তব্যের দায় গণমাধ্যমের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তবে সত্যিটা বলার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি তিনি ভবিষ্যতে আরও এমন সত্যি বলে দেবেন।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লকডাউন চলাকালে পুলিশের হাতে ডাক্তার ও অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের হেনস্তার চিত্র সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে যত্ন ও কষ্ট করছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি দায়িত্বপালনের সময় এটি খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন হেনস্তা না হয়।  

তিনি বলেন, ‘ডাক্তার, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ অনেকে দেশে করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধা এবং আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতা এ সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন ডাক্তার যিনি অ্যাপ্রোন পরে আছেন, যার গাড়িতে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার আছে, তাকে পরিচয়পত্রের জন্য বারবার চাপ দেওয়া কতটা সমীচীন সে প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন।’

ঈদের আগেই পাওয়া যাবে উপবৃত্তি-উপকরণ কেনার টাকা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কিছুদিন আগেও উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য খুশির খবর ছিল না। উপবৃত্তির সামান্য কিছু টাকা, সেটিও বিভিন্নভাবে বেহাত হয়ে যেত কিংবা ক্যাশ আউট করতে না পেরে অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেন। সেই দৃশ্য অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক দিবা রাণী দাস উপবৃত্তি পাওয়ার পর জানালেন, আগে টাকা পেলেও টাকা তোলার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হতো। এবার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে টাকা পেয়ে তার কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি, বাড়ির পাশের দোকান থেকে তিনি ক্যাশ আউট করেছেন।

উপবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের কোটি পরিবারের কাছে ছোট্ট ছোট্ট খুশি আর আনন্দ যেন পৌঁছে গেছে। এরই মধ্যে ১ কোটির বেশি মায়ের মোবাইলে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উপবৃত্তির টাকা স্বচ্ছভাবে পৌঁছে দিয়েছে ‘নগদ’। বাড়ির পাশে ‘নগদ’ উদ্যোক্তা থাকায় সহজে, প্রয়োজন অনুসারে ক্যাশ-আউটও করে নিতে পারছেন উপকারভোগীরা।

‘নগদ’-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়ে ফেনী সদর উপজেলার আয়েশা আক্তার বলেন, গতবারের চেয়ে এবার উপবৃত্তির টাকা বেশি। নগদ-এর মাধ্যমে তিনি টাকা পেয়েছেন এবং টাকা তুলতে তার কোনো সমস্যা হয়নি। তার চাওয়া এই প্রক্রিয়া যেন সামনের দিনেও চলমান থাকে।

এই দফায় ‘নগদ’ বিতরণ করেছে আগে থেকেই জমে থাকা ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের উপবৃত্তি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই আরো দুটি প্রান্তিকের উপবৃত্তিসহ ২০২১ সালের শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতাও পেয়ে যাবেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। ফলে শিক্ষার্থীদের ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২১ নম্বর করিলকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা পারভিন বলেন, কিছু সরল মানুষ অন্যের কাছে ওটিপি নম্বর শেয়ার করার কারণে দুই-একটি প্রতারণার ঘটনা তার স্কুলে ঘটেছে। এ ছাড়া বাকি সবাই উপবৃত্তির টাকা পেয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে গত বছর কোভিড-এর শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নগদ’সহ আরো তিনটি এমএফএস অপারেটরের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে ঈদের উপহার পাঠিয়েছিলেন। যেখানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পরিবারের কাছে সফলভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছিল ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’।

প্রায় এক বছর উপবৃত্তি বিতরণ বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত বছরের ডিসেম্বরে ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ‘নগদ’-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এক দিকে যেমন স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে, ভূতুড়ে সুবিধাভোগী বাদ পড়েছে এবং অন্যদিকে উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণে সরকারের খরচ এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহেল আহমেদ বলেন, দেশের মানুষকে আরামপ্রদ ও সহজ উপায়ে টাকা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ‘নগদ’-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর আগে যেভাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হতো, সেখানে সরকারের খরচ হতো ২১ টাকা। এখন সেই খরচ ৭ টাকায় নেমে এসেছে। সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি হলো সুবিধাভোগীদের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

‘নগদ’-এর সিইও রাহেল আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে যারা সরকারি সহায়তা উপভোগ করছেন, তাদের সচেতন করতে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা প্রত্যেক উপকারভোগীর কাছে আলাদা করে ফোন করে সচেতন করার জন্য ভয়েস কল ও মেসেজ দিয়েছি। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি, সরকার ও গণমাধ্যমেরও এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে বলে আমি মনে করি। ’

সরকারের খরচ কমে নামল একতৃতীয়াংশে : এর আগে গত কয়েক বছর ধরে শিওর ক্যাশ নামের একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করত সরকার। সারা দেশে এজেন্ট না থাকা, ক্যাশ-আউটের বাড়তি খরচ, সঠিক ব্যক্তির কাছে উপবৃত্তি না পৌঁছানো, সরকারের বাড়তি খরচসহ নানান অনিয়ম ও বিতর্কের পর ‘নগদ’-কে দায়িত্ব দেয় সরকার।

এর আগে প্রতি হাজার টাকার উপবৃত্তি বিতরণ করতে সরকারের কাছ থেকে সাড়ে ২১ টাকা করে সার্ভিস চার্জ এবং ক্যাশ-আউট চার্জ নিত শিওর ক্যাশ। কিন্তু সেখানে ‘নগদ’ সব মিলে সরকারের কাছ থেকে নিচ্ছে হাজারে মাত্র সাত টাকা। সুবিধাভোগী মূল টাকার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশ-আউটের খরচও পেয়ে যাচ্ছেন, ফলে গ্রাহককে বাড়তি কোনো অর্থ খরচ করত হচ্ছে না। শুধু ভাতা বিতরণে এই প্রক্রিয়ায় সরকারের অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে।

নেই ভূতুড়ে সুবিধাভোগীর অভিযোগ : দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই সকল শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন সনদসহ শিক্ষার্থীর মা অথবা অন্য কোনো অভিভাবকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে একটি ডেটাবেজ তৈরি করেছে ‘নগদ’। ফলে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ভুয়া সুবিধাভোগীর নাম এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে। এতে জাতীয় রাজস্বেরও অপচয় রোধ হয়েছে।

সচেতনতা বাড়াতে ‘নগদ’-এর আইভিআর কল : নানা সময় সহজ-সরল সুবিধাভোগীর কাছ থেকে নানান অপকৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে কিছু কুচক্র। এবারও একই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিটি সুবিধাভোগীর মোবাইলে সচেতনতার বার্তা দিয়ে কল করছে ‘নগদ’।

এসএমএস পাঠালে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী সেটি নাও পড়তে পারেন সে কারণে একটি আইভিআর কলের মাধ্যমে তাদের জানানো হচ্ছে যে, কোনো অবস্থাতেই ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের পিন, ওটিপি বা পাসওয়ার্ড কাউকে দেওয়া যাবে না। ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের পিন, ওটিপি বা পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলে উপবৃত্তির অর্থ বেহাত হয়ে যাওয়ার আংশকা থাকে।

‘নগদ’ একইসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে কখনোই গ্রাহকের কাছে পিন, ওটিপি বা পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে না। বাংলানিউজ

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন প্রবাসীর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাঙ্গুনিয়ার তিন প্রবাসীর। রোববার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সালালাহ থেকে মাস্কাটগামী একটি প্রাইভেট কার সড়কের আল তামরিত নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের তিন আরোহী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তারা হলেন- রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের পশ্চিম সরফভাটা সুচিয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৪০), পোমরা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মোহাম্মদ জাহেদ (৪২) এবং বেতাগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গুণগুনিয়া বেতাগী বালুরচর এলাকার আক্তার হোসেন (৪৫)।  

নিহতরা মাস্কাট মডার্ণ রোজ ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ এলএলসি নামের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানান কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম। বাংলানিউজ 

তিনি বলেন, তিন প্রবাসী এক সপ্তাহ আগে মাস্কাট থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে সালালাহ সিটিতে পর্দার কাজ করতে গিয়েছিল। কাজ শেষ করে প্রাইভেট কারে মাস্কাটে ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনায় পড়ে। গাড়িটি তামরিত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে রেখেছে।  

ভাঙচুরের মামলায় ডা. শাহাদাতসহ ৬ জনের জামিন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় জামিন পেয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে আদালত এ মামলার আরও ৫ আসামিকে জামিন দিয়েছেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন। বাংলানিউজ  

জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি (৫২), আখি সুলতানা (৪২), দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা (৩৫), রিনা বেগম (৪০) ও ফাতিমা কাজল (৩৫)।  

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনটি মামলায় ভার্চুয়াল আদালতে ডা.শাহাদাত হোসেনের জামিন শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে একটি মামলায় ডা.শাহাদাত হোসেনকে জামিন দেন। অন্য দুই মামলায় রিমান্ড পেন্ডিং থাকায় জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তিনি আরো জানান, এই মামলায় বিএনপির ৫ জন মহিলা কর্মীকে জামিন দেওয়া হয়েছে।  

গত ২৯ মার্চ বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে দুইটি মামলা করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
  
গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে পাঁচলাইশের ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে ডা.শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

সংক্রমণের ‌‘চেইন ভাঙতে’ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রমজানের শুরু থেকে বাস্তবায়ন হওয়া লকডাউন আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লকডাউন চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। আগের যে ১৩ দফা শর্ত ছিল তা চালু রেখেই এ লকডাউন বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন তথ্য অধিদপ্তরে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার। বাংলানিউজ

পরে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, সাইন্টিফিক্যালি ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে।

আগের লকডাউনে দেওয়া যেসব শর্ত তা মেনে বিধি-নিষেধ আরও সাতদিন বাড়ানো হলো বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে সন্ধ্যার দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। ঈদের আগে এ লকডাউন শেষে ব্যবসায়ীদের জন্যও সুখবর আসতে পারে। তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ম্যানেজ করা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা মনে করছি, আরও সাতদিন দিলে সংক্রমণটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ব্যবসায়ীরা যাতে ঈদের ব্যবসা করতে পারে সেটা মাথায় রেথেই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কী হয় সেটা বিবেচনা করেই পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা।

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন, দোকানপাট এবং এবং মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে লকডাউন দেওয়া হয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। তবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।