- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

‘ইলিয়াসকে গুম নিয়ে বলা আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে’

নিউজ ডেক্স : গণমাধ্যমে ‘আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- ইলিয়াস আলী গুমের জন্য বিএনপির কিছু নেতা দায়ী।

এই কথা কী আমি বলেছি- কেউ কী প্রমাণ করতে পারবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। বাংলানিউজ

মির্জা আব্বাস বলেন, পত্রিকায় এসেছে- সরকার বা আওয়ামী লীগের ইলিয়াসকে গুম করে নাই- এই কথাও আমি বলি নাই। আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে পেচিয়ে লেখা হয়েছে, টুইয়িস্ট করা হয়েছে। বিএনপির নেতারাই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে- এই কথাটা কী আমি বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হয়ে আমার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব? অর্থাৎ নিজের মাথায় নিজের বোমা ফাটানো-এটা সম্ভব না। এখানেও টুইয়িস্ট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি পরিস্কার করে একটা কথা বলতে চাই, আমার সহজ-সরল পরিস্কার মনের উক্তিগুলোকে বিকৃত করে আমাদের যে সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা কেটে-ছিঁড়ে, কাটপিচ করে ইচ্ছামতো লাগিয়ে দিয়েছে। কী কারণে করা হয়েছে তা আমি জানি না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে সকালে ইলিয়াস আলীর বাসায় একদল সাংবাদিক গিয়ে তার স্ত্রীকে রীতিমতো চার্জ করেছে, বিভিন্ন প্রশ্ন করে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটাই বা কেনো? কী এমন ঘটনা ঘটলো যে, হঠাৎ করে এই বিষয়টা নিয়ে এতো মাথা ঘামাতে হবে?

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ৯টি বছর ইলিয়াস গুম হওয়ার পরে কোনো পত্র-পত্রিকায় একটি দিবস পালন করে নাই। সেই ইলিয়াস আলীর জন্য আজকে কেনো সাংবাদিকদের মাথা খারাপ হয়ে গেলো? আমি কোনো সাংবাদিককে দোষারোপ করছি না। দয়া করে সত্য বক্তব্যটা যদি তুলে ধরতেন তাহলে ভালো হতো। আমি এমন কোনো কথা বলি নাই যার জন্য জাতির কাছে, দেশের কাছে, বিএনপির কাছে কিংবা আমার নেতাকর্মীর কাছে আমাকে বিব্রত হতে হবে। আমার বক্তব্য গতকাল যারা শুনেছেন তারা হয়ত বুঝে উঠতে পারেননি। আমি দুঃখিত যে, আমি বুঝাতে পারি নাই।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমি যা বলেছি আমার সংগঠনের ভালোর জন্য বলেছি। আমি কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বলিনি। আমি যা বলেছি, ইলিয়াসকে স্মরণ করে বলেছি, ইলিয়াস আমাদের মধ্যে ছিলেন, আমাদের মধ্যে আসবেন–সেই কথা স্মরণ করে আমি বলেছি। দয়া করে আর টুইয়িস্ট করে নিউজ করবেন না। আমাকে কেনো এই সরকার বা কিছু সাংবাদিকের টার্গেট করার প্রয়োজন হলো আমি তা বুঝতে পারছি না। এতো লোক থাকতে ইলিয়াসকে নিয়ে আমাকে টার্গেট করা-এই লক্ষনটা কিন্তু ভালো না, আমি এটাকে অশুভ লক্ষন বলে মনে করি।

সরকার ইলিয়াসকে গুম করেনি এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়ে কেনো বলব যে, আমি জানি সরকার জড়িত নয়। আমি কটাক্ষ করে বলেছি। ইট মিনস সরকারই বলুক ইলিয়াস আলী কোথায় আছে? সরকারকেই জবাব দিতে হবে। এই সরকারের সময়ে একজন জলজ্যান্ত ইলিয়াস, একজন তরতাজা ইলিয়াস, সত্যভাষী একজন ইলিয়াস গুম হয়ে যাবে? সরকার জানে না। তাহলে কে করলো গুম? আমি এটা বলতে চেয়েছি।

আপনারা কী বের করতে পেরেছেন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড কারা করলো? পারেন নাই। কারা করেছে বলতে পারবেন আপনারা। ইলিয়াস গুম হয়েছে, সালা্হউদ্দিন আহমেদকে পাচার করা হয়েছে, আমাদের চৌধুরী আলমকে গুম করা হয়েছে, এরকম আরো হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। কে করলো? তারা হাওয়া হয়ে গেলো?

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, আবদুস সালাম আজাদ ও কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিনের মধ্যে ৪৮% করোনা রোগীর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একই সঙ্গে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীরা মারাও যাচ্ছেন খুব দ্রুত। হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গেছেন। এবং ৫ থেকে ১০ দিনের ভেতরে মারা গেছেন আরো ১৬ শতাংশ।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের ওয়েরসাইটে শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আইইডিসিআর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৪ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এই প্রতিষ্ঠান বলছে, করোনায় গত মার্চে ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়। আর এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।

অন্যদিকে শুধু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তার আগের বছরের সর্বোচ্চ হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন (৩০ জুন, ২০২০ মৃতের সংখ্যা ৬৪ জন)।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৫২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর পাঁচদিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৬ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ১০ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২ শতাংশ।

আইইডিসিআরের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই মাসে যখন কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ছিল সে সময়ে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২২৬/৯৮২) অনুপাত ছিল ১:৩.৫। এ বছরের এপ্রিলে এসে দেখা যাচ্ছে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২৬৩/৬১৪) অনুপাত ১:২.২৩। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে নারী বেশি হারে মারা গেছেন।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি পরিবর্তন করেছে মানুষের মনোজগৎ, তা আমরা আঁচ করতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পরিচালিত মানসিক রোগের হার সংক্রান্ত জরিপের ফলাফলে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা (৬.৭ শতাংশ) আর দুশ্চিন্তার (৪.৭ শতাংশ) সমস্যা ছিল।

এতে বলা হয়, কোভিডকালে বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষণ্নতা আর ৩৩ শতাংশের অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সাধারণ সময়ের চেয়ে কোভিডকালে মানসিক সমস্যা বাংলাদেশেও বেড়ে যাচ্ছে। গত একবছরে বাংলাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৪ হাজার, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে বেশি।

সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড নিয়ে কুসংস্কার, স্টিগমা, কোভিডভীতিতে পাঁচজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্ব; এসব কারণে বাড়ছে মানসিক সংকট।

এতে আরো বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে করণীয়: কোনোভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আতঙ্ক মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। মানসিক চাপ হ্রাস করতে হবে। এজন্য যা করতে হবে- ঘুমানোর স্বাভাবিক সময় ঠিক রাখা, নিজের পছন্দের বিষয় ও কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, পরিবারের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানো (যেমন পরস্পরকে উৎসাহ দেওয়া, পরস্পরের কাজে সহযোগিতা করা, ঘরের মধ্যেই একসঙ্গে সময় কাটানো ও পছন্দের কাজ করা), প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম করা, নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঘরেই প্রার্থনা করা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।  

সর্বোপরি এ কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে আছি, বেঁচে আছি এজন্য সন্তুষ্ট থাকা, সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। কিন্তু কোনোভাবেই পরিস্থিতি বা রোগে কোনো কারণেই কারো প্রতি করুণা প্রকাশ করা যাবে না।

তারা বলেন, অতিরিক্ত আতঙ্ক, অস্থিরতা, মানসিক চাপ, বিষণ্নতা, ঘুমের ধরন পরিবর্তন ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা গেলে আপনার কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অথবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাংলানিউজ

নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।  

রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম সজীব মামলাটি দায়ের করেন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলানিউজ

তিনি জানিয়েছেন, উসকানিমূলক এবং আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত করে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এনে মামলা করেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মাঝরি মাত্রার ভূকম্পন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্প হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী জহিরুল ইসলাম জানান।

ঢাকা থেকে ৪১৪ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, চট্টগ্রাম থেকে ২৭৪ কিলোমিটার পূর্বে ও কক্সবাজার থেকে ২৫৮ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের হাকহা এলাকা এ ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল।

রিখটার স্কেলে এ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫। এ ভূমিকম্প চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকায় অনুভূত হয়। বিডিনিউজ

চুনতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে আগুনে পুড়েছে ১০ বসতঘর

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে আগুনে পুড়েছে ১০ বসতঘর। রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবী করছেন।

ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, গুচ্ছগ্রামের ১নং ব্লকের বাসিন্দা ফরিদুল আলম, আবদুল আমিন, আবু তাহের, আবুল কালাম, মাবিয়া খাতুন, আনোয়ারা বেগম, আয়েশা বেগম, রওশন আক্তার, শাহ আলম ও মাহমুদা খাতুন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদুল আলমের রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহুর্তের মধ্যে আগুন টিনসেট ও মাটির দেওয়ালযুক্ত বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে বসতঘর আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে যায়।

চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নুল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যক্তিগত ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকে পুণরায় বসতঘর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু বেগ পেতে হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য মতে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত।

বাঁশখালীতে সংঘর্ষের ঘটনা যেভাবে সূত্রপাত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বকেয়া বেতন পরিশোধ ও রমজানে কাজের সময়সীমা পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ-এখান থেকেই বাঁশখালীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকরা।

ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে পুলিশ ও শ্রমিকরা। আর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে আগের সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এবারও বিক্ষোভের পেছনে উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াটের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে গতকাল সকালের এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ শ্রমিক মারা গেছে।

শ্রমিকদের ভাষ্য, পুলিশ তাদের বিক্ষোভে বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। বিপরীতে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের হামলার মুখে ‘বাধ্য হয়ে’ গুলি চালাতে হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কয়েকটি শ্রমিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের কাজে চুক্তিভিত্তিক, স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের বেশিরভাগই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা; স্থানীয় শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলক কম।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশি ও চীনা মিলিয়ে পাঁচ হাজারের মতো শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। সেখানে দিনে-রাতে মিলিয়ে কয়েক পালায় কাজ চলে। প্রকল্প এলাকার ভেতরেই শ্রমিকদের থাকার জায়গা।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, বকেয়া বেতন ও রমজানে কাজের সময় পরিবর্তন ও ছুটির দাবিতে ‘অস্থায়ী শ্রমিকরা’ শুক্রবারের পর গতকাল শনিবার সকালেও বিক্ষোভ করে। পুলিশ এসে শ্রমিকদের দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দিলেও তারা মানেনি।

গতকালের বিক্ষোভে অংশ নেন মূলত বাঁশখালীর বাসিন্দা ‘অস্থায়ী শ্রমিকরা’, যাদের চাপে স্থায়ী শ্রমিকরাও বিক্ষোভ যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে একাধিক স্থায়ী শ্রমিক দাবি করেছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাঁশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু সাইদ (৫৪) প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মী। তিনি বলেন, বকেয়া বেতন আর রমজান মাসে নামাজ ও তারাবির সময় পরিবর্তন নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। আমি বিক্ষোভে যাইনি, দূরে দাঁড়িয়েছিলাম। পুলিশ গুলি করলে আমার গায়ে লাগে।

প্রকল্পের স্থায়ী শ্রমিক নোয়াখালী প্রিয়তম সুত্রধর বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। গুলিবিদ্ধ এক শ্রমিককে নিয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, তাদের মার্চ মাসের বেতন এখনো দেয়নি। নামাজ, সেহরি ও ইফতারের সময় নিয়ে অস্থায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। তারাই আজকে আমাদের বিক্ষোভে যেতে বাধ্য করে।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন হাতিয়ার বয়ার চর এলাকার বাসিন্দা রায়হান। তার দুই চাচাত ভাই আবদুর রহমান ও মিরন হোসেন রকিও প্রকল্পে ক্রেন অপারেটরের কাজ করতেন। মিরন বলেন, রায়হান আন্দোলনে যায়নি, সে মূল প্ল্যান্টের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। আর রকি ক্রেন চালাচ্ছিল। আন্দোলনকারীরা গাড়ি বন্ধ করে মিছিলে যেতে বললে আমরা যাই। তখন পুলিশ গুলি করলে রায়হানের গায়ে লাগে। পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করেছে বলে তার অভিযোগ।

বাঁশখালীর গন্ডামারার বাসিন্দা অস্থায়ী শ্রমিক তৌহিদ (২৪) বলেন, শ্রমিকরা নামাজ ও ইফতারের সময় ছুটির দাবি করেছিল। শুক্রবার সকালেও আন্দোলন করে। আর রোজা শুরুর আগে গত মাসের বেতন দিতে বলেছিল। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ বলেছিল দাবি মেনে নেবে। এরপর আর কালকে আন্দোলনাকারীরা কাজে যায়নি। তারা লিভিং এরিয়াতে চলে যায়। এরপর শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে বলে পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এরপরও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সিলেটের বাসিন্দা শ্রমিক শামসুল হক বলেন, তাকেও স্থানীয় শ্রমিকরা শনিবার বিক্ষোভে যেতে বাধ্য করে। পরে গুলিতে তার সঙ্গী আমিনুল হক আহত হয়।

গণ্ডামারা পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল ইয়াসির চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, কয়েক হাজার শ্রমিক এসে হামলা করে ফাঁড়িতে। আমি মুখে ও চোখে আঘাত পেয়েছি।

হাসপাতালে তিন পুলিশসহ মোট ২০ জন আহত চিকিৎসাধীন আছে। তাদের মধ্যে ১৭ শ্রমিকের সবাই গুলিবিদ্ধ। আর শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত আছে পুলিশ সদস্যদের।

আত্মরক্ষার্থে গুলি : চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) কবির আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শুক্রবারও বিক্ষোভ করে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালেও তারা জড়ো হয়ে প্ল্যান্টের বাইরে বিক্ষোভ করে। এতে স্থানীয় কিছু লোকজনেরও সম্পৃক্ততা ছিল দাবি করে তিনি বলেন, একপর্যায়ে তারা উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলায় গুরুতর আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এখানে অনেকগুলো গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। শ্রমিকদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল যেগুলো নিয়ে এক ধরনের অসন্তোষ ছিল, সেটা থেকে আজকের এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। এটা আরও বিস্তারিত দেখার জন্য জেলার ডিসি মহোদয়, আমাদের পুলিশ সুপার, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং মালিকপক্ষের লোকজনকে নিয়ে একসাথে বসে সমাধান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি।

পুলিশ বিনা উসকানিতে শ্রমিকদের উপর গুলি ছোঁড়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের ১০টা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে। আত্মরক্ষার স্বার্থে জীবন রক্ষার স্বার্থে একটা পর্যায়ে পুলিশের আর গুলি করা ছাড়া উপায় থাকে না।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম গ্রুপের ৭০ শতাংশ এবং চীনা কোম্পানি সেফকোথ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। এগুলো হলো এস আলম স্টিলস, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, এস আলম সিমেন্ট লিমিটেড, সোনালি কার্গো লজিস্টিকস লিমিটেড এবং জেনেসিস টেঙটাইল এঙেসরিজ অ্যান্ড এপারেলস লিমিটেড।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকোথ্রির প্রতিনিধি টান জে লিং।

‘উসকানি’ দেখছে এস আলম : এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন বলেন, চাইনিজ প্রতিষ্ঠানই বাঁশখালীর ওই পাওয়ার প্ল্যান্টটি তৈরি করে দিচ্ছে। সেখানে চাইনিজ ছাড়াও বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে। চাইনিজ কর্তৃপক্ষ কর্মরত বাঙালি শ্রমিকদের নিয়মিত বেতনভাতা দিয়ে আসছে। কিন্তু শুক্রবার কিছু শ্রমিক বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে এবং চাইনিজ কর্তৃপক্ষের ওপর বারবার চাপ দিতে থাকে।

অতীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে থাকা কিছু লোকের ইন্ধনে গতকালের এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা উসকানি দিয়ে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

প্রকল্পের কাজের শুরুতে ২০১৬ সালে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভে গুলি চালানো হলে চারজন নিহত হয়। সেই ঘটনার উল্লেখ করে আকিজ বলেন, শনিবারের ঘটনাও আগের ঘটনার সূত্র ধরেই ঘটানো হয়েছে। তবে সেই ‘কিছু লোক’ কারা এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি তিনি।

ইতিমধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ কেন্দ্রটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে বলে জানান এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এবাদত হোসেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হওয়া বৈঠকে তাদের দাবি মানাসহ হতাহতদের বিভিন্ন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেওয়া হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। দৈনিক আজাদী

পটিয়ায় হেফাজতের আরেক নেতা গ্রেফতার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সহিংসতা মামলায় মো. সোহেল (২৮) নামে হেফাজতে ইসলামের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মোহাম্মদ সোহেল পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি হেফাজতে ইসলামের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম। জাগো নিউজ

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ সোহেল নামে এক হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ সকালে আদালতে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে একই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরে লরির ধাক্কায় ইফতেখারুল আলম (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বন্দর থানাধীন নতুন বাইপাস টোল রোড এলাকার ইসহাক ডিপুর সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইফতেখারুল আলম মাদারীপুর সদরের ধুরাইল ইউনিয়নের মৃত রশিদ মাতব্বরের ছেলে। তিনি ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদের হাজিপাড়া বাবুবাড়ি মাঠ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।  

ইফতেখারুল আলমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মো. হেলাল নামে এক পথচারী। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান ইফতেখারুল। তার গলায় সিএন্ডএফ এর পরিচয়পত্র ঝোলানো থাকায় বন্দর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বন্দর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মিরাজ উদ্দিন বলেন, বিএসআরএম কোম্পানির একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লরির  চালক এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। লরিটি জব্দ করা হয়েছে।  

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাংলানিউজ

ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হচ্ছে মামুনুলকে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হবে। রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় ও অন্যান্য মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনুলকে আমাদের হেফাজতে নেয়া হবে। আজ বিকেলেই তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হবে। জাগো নিউজ

এদিকে, তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, গ্রেফতারের পর মামুনুলকে মোহাম্মদপুর থানায় নেয়া হয়। এরপর তাকে তেজগাঁওয়ের ডিসি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে আবারও মোহাম্মদপুর থানায় নেয়া হয়। তাকে ডিবি কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামুনুলকে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাঁশখালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর বলেন, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে দুটি মামলা করেছে। পুলিশের মামলায় অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়কের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়। বাংলানিউজ

এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসনের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এবং পুলিশের তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।