- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আইসিইউ নয়, সাধারণ বেডই এখন ‘সোনার হরিণ’

নিউজ ডেক্স : রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা বিরাজ করছে।

এতদিন মুমূর্ষু করোনা রোগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বেড পাওয়া কঠিন হলেও ক্রমেই সাধারণ বেডই ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিন মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিহ্নিত হলেও সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪ গুণ বেড়েছে। চারদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ সময় প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে ৬০ জনের বেশি।

প্রতিদিন করোনা রোগী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ বেড ও আইসিইউতে ভর্তি প্রয়োজন এমন রোগীর চাপ বাড়ছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ বেডের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালের ৮৯ শতাংশ সাধারণ বেডে ও ৯১ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে। একইভাবে বেসরকারি হাসপাতালের ৮৮ শতাংশ সাধারণ বেডে এবং ৯৩ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ করোনা স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে না চললে সামনে কঠিন বিপদ। যেভাবে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার কয়েক শতাংশ রোগীকে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি করতে হলে হাসপাতালগুলো বেডের অভাবে রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে। বেড ফাঁকা না থাকলে টাকা খরচ করেও চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বেড সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর ১০টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মধ্যে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ শয্যার ১৬টিতে, ৫০০ শয্যার কুর্মিটোলা হাসপাতালের ১০টি শয্যার ১০টিতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০টি শয্যার ১৯টিতে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টির ১৪টিতে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয়টির সবগুলোতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটের ২০টির ২০টিতেই, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ১৯ শয্যার ১৮টিতে, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ১০টির চারটিতে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টির মধ্যে ১৪টিতে এবং বিএসএমএমইউ’র ২০টির ১৯টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে।

অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০৫টি আইসিইউ শয্যার রোগী ভর্তি রয়েছে ২৮৫টিতে। আইসিইউ শয্যা ফাঁকা রয়েছে মাত্র ২০টি।

ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল, আসগর আলী হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইমপালস হাসপাতাল, এ এম জেড হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের সবগুলো বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া স্কয়ার হাসপাতালের ১৯টির ১৬টিতে, ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫টির ১১টিতে এবং এভারকেয়ার হাসপাতালের ২১টির ১৯টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। জাগো নিউজ

করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে এক সাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হবে। এ কারণে, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে ধনী দেশ, গরিব দেশের মধ্যে সমতার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। তা না করে কেবল অর্থের জোরে ধনী-গরিব দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদানে বৈষম্য করা হলে এই ভাইরাস বিশ্ব থেকে সহসাই বিদায় করা সম্ভব হবে না।

আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। কালের কন্ঠ

তিনি বলেন, করোনায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, টিকা নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হয়েছে। এসব কারণে এখন সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এতে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, আর তাই সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এখন লকডাউন চলছে। মানুষকে এখন ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষকে সবকিছু ভেবে কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সমতা ও ন্যায্যতা। এই সমতা পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য সমানভাবে কার্যকর হতে হবে। বর্তমান বিশ্ব করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত ও দিশেহারা অবস্থায় নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোও এই মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দরিদ্র দেশগুলোও এই অতিমারির কারণে আরো দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার উপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) নাজমুল ইসলাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বার্ধন সিং রানা।

ভার্চুয়ালি উদযাপন করতে হবে নববর্ষ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে জনসমাগম এড়িয়ে এবার ভার্চুয়ালি নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। বুধবার (৭ এপ্রিল) এমন নির্দেশনার চিঠি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা ১৪২৮ সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত বছরও নববর্ষ উদযাপন করা যায়নি।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মনিরুল আলম বলেন, ‘এ রকম অবস্থায় তো ফিজিক্যালি নববর্ষ আমরা পালন করতে পারব না। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনার এখন যে অবস্থা সেই অনুযায়ী নববর্ষ পালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসমাগম করা যাবে না, ভার্চুয়ালি যতটা করা যায়। সবার আগে আমাদের জনস্বার্থ দেখতে হবে।’ জাগো নিউজ

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক চুক্তি শাখা) আ স ম হাসান আল আমিন বলেন, ‘একটা নির্দেশনা গেছে যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নববর্ষ উদযাপনে কোনোভাবেই জনসমাগম করা যাবে না। স্বল্প পরিসরে ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে নববর্ষের অনুষ্ঠান করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্দেশনাটি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে এই নির্দেশনার চিঠিটি পাঠিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই চিঠি দেয়া হয়েছে।’

নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত বছরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।

লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৩ জনকে জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৩ জনকে ২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পদুয়া তেওয়ারীহাটের বিভিন্ন মার্কেট ও কাঁচাবাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবিব জিতু এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন ভূঁইয়া, থানার এসআই পার্থ সারথি হাওলাদার, উপজেলা ভূমি অফিসের সমির বরণ চৌধুরী ও নয়ন দাশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিব জিতু জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারায় ১৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পেতে সরকার ঘোষিত লকডাউন মেনে চলার আহবান জানান।

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৪৪৭ জনের।

৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬২৬ জন।  সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন।

বুধবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘হ-য-ব-র-ল’ অবস্থা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভগ্নদশা দেখিয়ে দিয়েছে করোনা মহামারি। ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠলেও নেই গুণগতমানের সেবা।ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে ঢাকায়। আর যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা ছুটছেন বিদেশে।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতাল পরিচালনায় মানসম্মত চিকিৎসক ও দক্ষ জনবল না থাকায় চিকিৎসার মানোন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তাছাড়া অর্থ উপার্জন মুখ্য হওয়ায় রোগী-চিকিৎসকের সম্পর্ক ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।  

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর এলাকায় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৫৩টি। এরমধ্যে শুধু চট্টগ্রাম মহানগরেই ৯৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া হাটহাজারীতে ১০টি, মিরসরাইয়ে ৮টি, ফটিকছড়িতে ৭টি, লোহাগাড়ায় ৬টি, সীতাকুণ্ড ও সাতকানিয়ায় ৫টি, পটিয়ায় ৪টি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ৩টি, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং সন্দ্বীপে ২টি করে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।  

এসব হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে মেলে নিম্নমানের চিকিৎসা সেবা। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও রয়েছে। বেশিরভাগ হাসপাতালে নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ও আইসিইউ। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ভালোমানের যন্ত্রপাতি না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ রিঅ্যাজেন্ট ব্যবহারে পাওয়া যায় ত্রুটিযুক্ত ডায়াগনসিস রিপোর্ট।  

সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ও আইসিইউ সংকট

চট্টগ্রামে যত্রতত্র হাসপাতাল গড়ে উঠলেও বেশিরভাগ হাসপাতালে নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা। এমনকি চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন চিকিৎসা কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বছরখানেক আগেও ছিল না সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। করোনা মহামারি শুরুর পর সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় এই হাসপাতালে চালু করা হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ। শুধু জেনারেল হাসপাতাল নয়, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। আবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধার অপ্রতুলতা সবার চোখে ধরা পরে করোনাকালীন সময়ে।  

ত্রুটিযুক্ত ডায়াগনসিস রিপোর্ট

চট্টগ্রামে প্রায়শই ভুল ডায়াগনসিস রিপোর্টের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে রোগীর স্বজন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘটে বাগবিতণ্ডা। বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অদক্ষ জনবল ও নিম্নমানের রি-অ্যাজেন্ট ব্যবহার করায় রোগের সঠিক ডায়াগনসিস রিপোর্ট পাওয়া যায় না। ফলে ভুল চিকিৎসা পায় রোগীরা। অন্যদিকে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ল্যাবে পরীক্ষার ফলাফল যাচাই না করে কথিত টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন করার অভিযোগও পাওয়া যায়।  

বেসরকারি হাসপাতালের দৌরাত্ম্য

চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবার বিশাল একটি অংশ দখল করে আছে বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরকারি হাসপাতালে সেবার অপ্রতুলতায় আধিপত্য দেখাচ্ছে এসব বেসরকারি হাসপাতাল। উন্নতমানের চিকিৎসা সেবার কথা বলা হলেও সেবার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট।
 
বিশেষায়িত হাসপাতালের অভাব

রাজাধানী ঢাকায় বিভিন্ন রোগের বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামে নেই সরকারি কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় ঢাকায়। বিশেষায়িত হাসপাতাল হলে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন হতো বলে মত সংশ্লিষ্টদের। যদিও বেসরকারি উদ্যোগে ডায়াবেটিস, কিডনি, চক্ষুরোগের হাসপাতাল রয়েছে চট্টগ্রামে।
 
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খান বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত হাসপাতাল হওয়া জরুরি। তবে তার আগে সরকারি যেসব হাসপাতাল রয়েছে সেসব হাসপাতালে চিকিৎসার মান এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। এসব হাসপাতাল উন্নত হলে চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীকে ঢাকামুখি হতে হবে না।  

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবার মান ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে কাজের অগ্রগতি রয়েছে। এরমধ্যে শিশু হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল, বার্ন ইনস্টিটিউট এবং আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামিতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যেতে পারবো। সীমিত সম্পদের মধ্যে কিভাবে রোগীদের ভালো সেবা দেওয়া যায় সেই চেষ্টা  আমাদের রয়েছে। বাংলানিউজ 

মামুনুলদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে জানা আছে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স :  করোনা পরিস্থিতিতে সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও মানছে না কওমি মাদরাসাগুলো। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাদরাসা চালু রাখা হয়েছে।

আয়োজন করা হচ্ছে পরীক্ষারও। এমন প্রেক্ষাপটে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না এলে মামুনুল হকদের শায়েস্তা করা হবে। কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে’। বাংলানিউজ

তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:

‘খেলাফত মজলিস নামক একটি দলের এক নেতা এই কুলাঙ্গার মামুনুল হকের পক্ষে যেভাবে সাফাই গাইল, এতে বোঝা যায় দ্বীনে ইসলাম শুধুই এদের বেঁচে থাকার জন্য একটি মাধ্যম। ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মনে রাখা প্রয়োজন, স্বাধীনতাযুদ্ধে এই দেশের জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের ছাড়াই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। কিছু এতিম শিশুকে রাখে বলে এরা অনেকের সহানুভূতি পায়। এরা দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, এদের কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। পিতার ভাস্কর্য অপমানিত করার পর থেকে, এদের স্পর্ধার শুরু। এখন ১৭টি লাশের ওপরে চলছে এদের ‘রিফ্রেশমেন্ট’ জীবন।

আগুন যারা জ্বালিয়েছে, পিতার ছবিতে হাত যারা দিয়েছে, এদের একটা একটা করে ধরে আনা হবে, আইনের সম্মুখীন করা হবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক- সর্ব পর্যায়ে এই কাঠমোল্লা গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসে নাই। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি করতে চায় করবে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালানোর পরিণাম এদের বোঝাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ছাড় পায় নাই। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না। ইনশাল্লাহ’।

‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী আটক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে শিশুবক্তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান। বাংলনিউজ

তিনি জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে মতিঝিল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে হেফাজতে ইসলামের সহিংস কর্মকাণ্ড এবং হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারীসহ সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর অনলাইনে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন এই ‘শিশুবক্তা’। ফেসবুক লাইভে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা বক্তব্য দেন তিনি।

আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠিত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়ন কমিটি গঠিত হয়েছে। গত শনিবার ১২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।

কমিটিতে রিদওয়ানুল হক রুবেলকে সভাপতি ও মোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক, আবু নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পিপলু বড়ুয়া বাবলু, আনোয়ার হোসেন বাবুল, শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জিয়াবুল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান।

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন জানান, সাংগঠনিক গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত করে আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরকে নবগঠিত আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া নবগঠিত আধুনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের ও সাধারণ সম্পাদক গালিব চৌধুরীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।