- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নোটিশ

নিউজ ডেক্স : করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেওয়া তথা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নোটিশপ্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার এবং ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠন করে অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেওয়া তথা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।

অন্যথায় রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হবে।

আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক, ভার্চ্যুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম, টেলিমেডিসিন সেবাসহ বিভিন্ন অনলাইন সেবা কার্যক্রম সরকার সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে। করোনা মহামারি সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, ই-কমার্সে কেনাকাটা বেড়েছে ৫০ শতাংশ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৫০ লাখ। আর এসব কিছুর ব্যাকবোন ছিলো ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক।  

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রকাশিত জুন ২০২০ মাসের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আগের চেয়ে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার।

তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে প্রযুক্তি। শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সারা বিশ্বব্যাপী। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ ও ৭ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কম্পিউটার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা, কম্পিউটারসহ আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা লাভ এবং তা আয়ত্ত ও প্রয়োগ করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও জাতিসংঘ গৃহিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) সবার জন্য টেকসই গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইটে ১ম-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষা উপকরণের ডাউনলোড সুবিধাযুক্ত ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট আছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের গৃহিত নানা পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের সব জেলাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা থাকায় বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে থেকেই সহজে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও অংশগ্রহণ করা সম্ভব।

আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগের ক্লাস রুমগুলো ছোট, পর্যাপ্ত পরিষ্কার টয়লেট নাই এবং স্থানের স্বল্পতাও আছে। ফলে করোনাকালীন নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করা অসম্ভব। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে প্রতিটি শিক্ষাথীর সঙ্গে অভিভাবকরাও যাবেন। ব্যাপক যানবাহনের সমাগম হবে। ফলে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে না। এছাড়া শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগ শিক্ষক শিক্ষিকার বয়স ৪০ এর ওপরে হওয়ায় তাদেরও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ম-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ছোট হওয়ায় মুখে মাস্ক সব সময় পড়া, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিয়ে ব্যাপক আশংকা ও সংশয় আছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা হলে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলবে, ক্লাস রুমে একে অন্যের সঙ্গে আগের মতন মেলামেশা করবে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা,কর্মকর্তা-কর্মচারী,অভিভাবক-শিক্ষাথীদের মধ্যে ব্যাপক আকারে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আশংকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। শিক্ষা গ্রহণের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সরকার প্রতিটি জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। তাই করোনা মহামারি সময়ে যেহেতু অনলাইনে পাঠদানের সুযোগ আছে সেহেতু জীবন সংশয়ের আশংকা রেখে করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সঠিক হবে না। বাংলানিউজ

কক্সবাজারে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে মুজিবুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাচা মুজিবুরের সঙ্গে ভাতিজা মো. সেলিমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বিকেলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা সেলিম চাচা মুজিবুরকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনরা তাকে উদ্ধার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাংলানিউজ  

দ্বিতীয় দিনে দুই প্রতিমন্ত্রীসহ টিকা নিলেন ৫৪১ জন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ৫৪১ জনকে করোনাভাইরাস টিকা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, রাজনীতিবিদ ও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধারা রয়েছেন।

দ্বিতীয় দিন টিকা গ্রহণকারী সবাই সুস্থ আছেন এবং টিকা-পরবর্তী ১০-২০ মিনিটের মধ্যেই তারা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যান বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ৭০০ জনকে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি ছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রায় ৫০ জনকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। তবে এদিন ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়।

টিকা গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘টিকা নেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আমি স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছি। কোনোরকম অসুবিধাই হয়নি।’ তিনি মিথ্যা গুজবে কান না দিতে সবাইকে অনুরোধ জানান।

jagonews24

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এদিন বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রথমে বিএসএমইউতে যান এবং সেখানে টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, বিএসএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেখানে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, ঢামেকের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবিএম জামালসহ বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনরা।

jagonews24

টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে সব ধরনের গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে অন্যরকম আমেজ চলে এসেছে। টিকা নেয়া কারও এখনও কোনোরকম অসুবিধা হয়নি।’

এইচএসসির ফল পেতে শিক্ষা বোর্ডের চার নির্দেশনা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে। ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়।

এদিকে ফল প্রকাশের শেষ মুহূর্তে এসে ফলপ্রার্থীদের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে চারটি জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফলাফল সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

ফলপ্রার্থীদের জন্য চার নির্দেশনা :

এবার এইচএসসির ফলাফল শুধু অনলাইনে প্রকাশিত হবে। কাজেই কোনো অবস্থায়ই ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না।

যারা মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল পেতে ইচ্ছুক তাদের ফল প্রকাশের আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে (HSC< >Board name (First 3 letter) <> Roll<>)। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে।

টেলিটক ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) [1] থেকে ফল দেখা যাবে।এছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে বিশেষ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষাবোর্ডকে ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে ফল প্রকাশ করতে শিক্ষা বোর্ডের আর কোনো বাধা রইল না।

রেজাউলের নেতৃত্বে আধুনিক নগর হবে চট্টগ্রাম : সুজন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পর্ষদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম আধুনিক নগর হবে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বহদ্দারহাটের বাসভবনে নবনির্বাচিত মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুজন।

প্রশাসকের সহকারী একান্ত সচিব স্বরূপ কুমার দত্ত রাজু এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মেয়রের পাশাপাশি নির্বাচিত সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকেও অভিনন্দন জানান তিনি।  

সুজন বলেন, আগামীতে চট্টগ্রাম একটি সুন্দর, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও আধুনিক নগরে রূপান্তরিত হবে এটাই আমার প্রত্যাশা।  

প্রশাসক বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), বিজিবি, র্যা ব, আনসার ভিডিপিসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদও জানান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও আন্তরিকতার কারণে জানমালের বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ কৃতিত্বের অংশীদার নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদেরও অভিনন্দন জানান চসিক প্রশাসক।  

বুধবারের নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। নির্বাচন ভোট পড়েছে ২২ শতাংশ।  

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র এম মনজুর পান ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭ ভোট।

চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট শেষ হলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা, বর্ষায় চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধসের আশঙ্কায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় খোরশেদ আলম সুজনকে ৬ মাসের জন্য চসিকের প্রশাসককে হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গত ৬ আগস্ট চসিক প্রশাসকের চেয়ারে বসেন তিনি। বাংলানিউজ

চসিক নির্বাচন অনিয়মের মডেল : মাহবুব তালুকদার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন অনিয়মের নির্বাচনের একটি মডেল। আগামীতে দেশব্যাপী যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে এই মডেল অনুসরণ করা হলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় আমরা আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারব না। আমরা সব নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শামিল হতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমার বক্তব্য’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে যে অরাজকতা দেখা গেছে, তাতে আমি হতাশ। আমার আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো এবং সাবধান বাণীতে কোনো কাজ হলো না। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনকালে মোট চারজনের প্রাণহানি প্রকারান্তরে চারটি পরিবারের প্রাণহানির নামান্তর। সহিসংতা, কেন্দ্র দখল, পুলিশের গাড়ি ও ইভিএম ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনা এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে।’

‘এ ধরনের তাণ্ডব বন্ধ করতে আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে পেতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ব্যতীত তা সম্ভব হবে না। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবার ঐকমত্য প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা মাত্র সাড়ে ২২ ভাগ। এত অল্পসংখ্যক ভোট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক হতে পারে না। এ পরিস্থিতি নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার পরিচায়ক, যা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনিসংকেত। সুষ্ঠু পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই বেশি হতো। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারব না- এটা মেনে নেয়া যায় না।’ জাগো নিউজ

৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশের ৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, হবিগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, ঝিনাইদহ, জামালপুর ও ভোলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হককে ময়মনসিংহ এবং হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংযুক্ত উপসচিব খালেদ মোহাম্মদ জাকি দিনাজপুর, স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সার্ভিস ডেলিভারির প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে কুষ্টিয়া, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহানকে হবিগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. মজিবুর রহমান ঝিনাইদহ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুর্শেদা জামান জামালপুর এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব মো. তৌফিক-ইলাহী-চৌধুরী ভোলার জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন।

অপরদিকে কুমিল্লার ডিসি মো. আবুল ফজল মীরকে সুরক্ষাসেবা বিভাগের উপসচিব, কুষ্টিয়া ডিসি মো. আসলাম হোসেনকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব, ময়মনসিংহের ডিসি মো. মিজানুর রহমানকে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, রাঙ্গামাটির ডিসি এ কে এম মামুনুর রশিদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, ঝিনাইদহের ডিসি সরোজ কুমার নাথকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব, ভোলার ডিসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিককে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব এবং দিনাজপুরের ডিসি মো. মাহমুদুল আলমকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিসি জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলো দেখেন। এছাড়া নির্বাচিত সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করেন।

গ্রেপ্তার হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি লোহাগাড়া ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : একাধিক মামলার আসামী গ্রেপ্তার হারুনুর রশিদ ওরফে বডিবিল্ডার হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে লোহাগাড়া ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতি ও সচেতন নাগরিক সমাজ। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সদরের এক রেষ্টুরেন্টের হল রুমে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

হারুনুর রশিদ (৩২) উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সর্দানী পাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র। গত ২৫ জানুয়ারি প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও জালিয়াতিসহ ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর মতিঝিল থানা পুলিশ। পরদিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তার বিরুদ্ধে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি আবিদর হোছাইন মানু। তিনি জানান, হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, প্রতারক, জাল-জালিয়াত চক্রের হোতা, পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র, চুরিসহ ১১ মামলা রয়েছে। নিরীহ লোকজন ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইল করে ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া তার পেশা। সে একটি মানবাধিকার সংগঠনের নামে গত ১৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে চট্টগ্রামের ইটভাটা বন্ধ সংক্রান্তে একটি রিট দায়ের করেন। এরপর লোহাগাড়ায় এসে প্রতি ইটভাটা মালিক থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ইটভাটা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়। উচ্চ আদালতে রিটের প্রেক্ষিতে গত ২১ ও ২২ ডিসেম্বর লোহাগাড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে গুঁড়িয়ে দেয় ৭টি ইটভাটা। এরপর ইটভাটায় চলমান অভিযান বন্ধে প্রতিটি ইটভাটা থেকে ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে হারুন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ইটভাটা মালিক থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, হারুনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। তার কারণে লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের শত শত ইটভাটা মালিক ও ব্যবসায়ি হাজার কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কোন ধরণের সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি করে ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ায় শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছি। কর্মহীন হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে ভাটার শ্রমিকরা। তাই হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী, বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম.ডি. জুনাইদ, আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, লোহাগাড়া ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. ছরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কুয়েতে পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও মানবপাচার মামলায় বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। বৃহস্পতিবার দেশটির ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এ রায় ঘোষণা করেন।

আল-কাবাস ও আল-রাইয়ের খবরে বলা হয়েছে, পাপুলের কাজে সহায়তাকারী হিসেবে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহসহ কুয়েতি দুই কর্মকর্তাকেও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ কোটি টাকা।

গত ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সংসদ সদস্য পাপলুকে গ্রেফতার করে। ওই সময় গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা তিনটি অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগগুলো হলো- মানবপাচার, অবৈধ মুদ্রাপাচার এবং স্বদেশী কর্মীদের কাছে রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রি।

পাঁচ বাংলাদেশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাংলাদেশিরা জানান, পাপুল তাদের কুয়েতে পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছে সোয়া আট লাখেরও বেশি করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া রেসিডেন্সি ভিসা নবায়নের জন্য প্রতি বছর পাপুলকে নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হতো তাদের।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি কুয়েতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন, যাতে তিনি সেখানে যে সংস্থাটি চালাচ্ছিলেন তার চুক্তি পেতে পারেন।

কুয়েতের গণমাধ্যমও তার বিরুদ্ধে ভিসা বাণিজ্য ও অবৈধ অর্থপাচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সেই অর্থ পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে। একটি সূত্রের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন তিন সদস্যের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এমপি রয়েছেন, যার স্ত্রীও একজন এমপি (সংরক্ষিত আসন)। জাগো নিউজ

অনুমোদনহীন মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট যাচাই শনিবার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়া যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তাদের তালিকা শনিবার (৩০ জানুয়ারি) যাচাই-বাছাই করবে সরকার।

ওই দিন চট্টগ্রাম জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজ হবে বলে বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়ার সই করা এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ‘প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন’ পূর্বক সরকারের কাছে সুপারিশ করার এখতিয়ার কাউন্সিলের।

এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

৩০ জানুয়ারি শনিবার জীবিতদের এবং ৩১ জানুয়ারি মৃত, যুদ্ধাহত বা অসুস্থদের বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।