বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পৌর মেয়র
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার ঘটনায় এবার মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় গিয়ে নিজেই ক্ষমা চেয়েছেন বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাঁশখালী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় গিয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হকের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
সভায় বক্তব্যকালে বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। যদিও আপনারা আমাকে ভুল বুঝতে পারেন। আমার ভুল হয়েছে আমি সেদিন গেলাম কেন। আমি মারামারি করতে যাইনি। যাক, কপালে দোষ আছে। তার জন্য এখন আমি প্রায়শ্চিত্য করছি। আপনারা মনে কষ্ট পেলে আমাকে মাফ করবেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে কখনো যেতে পারি না।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার হয়তো মনে করছেন নির্বাচন আসছে বলে আপনাদের কাছে এসেছি। আমি ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক ভাই, মানিক ভাইসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার সাথে যোগাযোগ করেছি। আমাকে ভুল না বুঝতে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। সেদিন কি হয়েছিল আপনারা বুঝতেই পারছেন। আমি যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেদিন না থাকতাম, ১নং আসামি না হতাম কে কোথায় চলে যেতো আপনারা ভালো জানেন। আমার উপর মুক্তিযোদ্ধাদের রাগ আছে তা জানি। আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নাই। আমি কারো নামও ধরবো না, বদনামও করবো না। সব আপনারাই বুঝে নেন। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করতে জামালখান যাইনি। আমাকে সামনে রেখে অতি উৎসাহীরা ব্যানার ছিঁড়ে ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র হওয়ার পর আমাকে ধর্ষণ মামলাও দেয়া হয়েছে। কে দিয়েছেন তাও আপনারা জানেন। আমি নাম বলছি না। এখন আবার পৌর নির্বাচনে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তার বাবার নাম আছে রাজাকারের তালিকায় ২০৪ নম্বরে। পৌরসভা থেকে ১ নম্বরে যার নাম পাঠানো হয়েছে তাদের নামটি কেটে দেয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কেউ মেয়র হলে এ বাঁশখালী পৌরসভা জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি হয়ে যাবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জহির উদ্দিন মো. বাবরের পরিচালনায় ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আবুল হাশেম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর।
বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন, আজিমুল ইসলাম ভেদু, মো. সোলেমান, আবুল বশর, আহমদ ছফা, অধ্যাপক আওরঙ্গজেব, দীপক দাশ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনসুর আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহদাত হোসেন তানজু, যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম, ছাত্রনেতা সাহাবুদ্দিন রবিন, এমএ আউয়াল টিপু প্রমুখ। বাংলানিউজ
চট্টগ্রামে ৩ ইটভাটা উচ্ছেদ, ১৫ লাখ টাকার ইট ধ্বংস
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাঙ্গুনিয়ায় দিনভর অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
অভিযানে অনুমোদনবিহীন কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায় ১২০ ফুট চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা- মদিনা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং, বিসমিল্লাহ ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ও সাদেক শাহ ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং এর কিলন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া মদিনা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংকে ১ লাখ ৫০ হাজার, বিসমিল্লাহ ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংকে ১ লাখ, সাদেক শাহ ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংকে ২ লাখ, মোহাম্মদিয়া ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংকে ১ লাখ এবং আজমীর ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিংকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১৫ লাখ টাকার ইট ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, র্যাব-৭ এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তার পরিচালিত এই অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইটভাটাগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই। কৃষি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি নিয়ে ইট উৎপাদন করা হচ্ছিলো সেখানে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার সব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। বাংলানিউজ
বড়হাতিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবক খুন
Posted By
admin
On
In
ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. সাইফুল (৩০) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত যুবক সাইফুল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কুমিরাঘোনা হারিমুন পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ও দুই সন্তানের জনক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ২টায় ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা কালিনগর এলাকায় দুর্বৃত্তরা সাইফুলকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সাইফুলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা সদরের এক বেসারকারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে ২১ ডিসেম্বর একই এলাকায় স্থানীয় তৌহিদ গ্রুপের হাতে মোজাম্মেল হক (৩০) নামে এক যুবক ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছিল। সাইফুল ওই মামলার স্বাক্ষী ছিলেন। তৌহিদুল ইসলাম জেল থেকে জামিনে বের হবার পর থেকে ওই মামলার স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ২/৩টি গ্রুপ পাহাড়ি সম্পদের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে লিপ্ত। ইতোপূর্বে কুমিরাঘোনা এলাকায় দখল-বেদখল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ার, এমরান ও মোজাম্মেল হক নামে তিন ব্যক্তি খুন হয়েছে। নিহত সাইফুল ছিলেন মোজাম্মেল হক খুনের মামলার একজন স্বাক্ষী।
সাইফুলকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের আহাজারীতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত সাইফুলের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলেন জোবায়ের
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের। চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে এসব প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন বোর্ডের দীর্ঘ বৈঠকে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, আগে যারা বিদ্রোহী ছিলেন এবারও আমরা তাদের মনোনয়ন দেইনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, দলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এবং বিশেষ করে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন নারীকে এবার দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে। অভিযোগের কারণে আগের বেশ কয়েকজন মেয়রকে এবার আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
সাতকানিয়ায় আগুনে পুড়েছে ৫ বসতঘর
Posted By
admin
On
In
দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ |
No Comments
নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় আগুনে পুড়েছে ৫ বসতঘর। এসময় প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে
পৌরসভা সতিপাড়া ৩নং ওয়ার্ডস্থ টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দীন অগ্নিকা-ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এতে মফিজুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মোঃ জোবায়ের ঘর সম্পূর্ণ ও মহিউদ্দিন ও আব্দুল জাহেরের ঘর আংশিক পুড়ে যায়। অগ্নিকা-ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।