- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

জগতে মানুষ বড় জটিল, তবুও অনুশোচনা নয়

নজরুল ইসলাম তোফা : পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে লেখা লেখি করতে করতে আটটা বছর কেটে গেল। সবই সাধারণ, তবে এ জগতের ‘মানুষরা জটিল’। তবু লিখছি, হয়তো আর লিখবো না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি কিন্তু অপর দিক থেকে আবার কেউ না কেউ সুড় সুড়ি দেয়, যে যাই বলুক না কেন- কখনো লেখা লেখিটা ছাড়বেন না। তবুও বলি- এরই মধ্যে কিছু কিছু অপূর্ণতা আমাকে জেকে বসেছে। যখন লিখতে বসি,- ঠিক তখন কতো কিছুই তো লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সব কিছুই কি আর লিখা যায়! সারা জীবনের বৈচিত্রময় গল্প, সেখানে কখনো ছন্দের মিল থাকে, আবার কখনো যেন থাকেও না। আমার নিজের জানতে ইচ্ছে করে,- মানুষের কেমন করে জীবন কাটে, অন্য মানুষের জীবনের দিন-রাতটাই বা কেমন। ভালো-মন্দ, হাসি-কান্না মিলিয়ে চলার পথটা কি মশ্রিণ না অমশ্রিণ। এ সব কি জানার ইচ্ছা আপনার কখনোই হয় না। আমার ভাবনার জগতেই বহু বার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অসাধু কিছু মানুষ’, তারা এই গুলো চান না। আত্মকথা বলার কি আছে অন্যকিছু নিয়ে আসেন। আত্মকথাগুলি নাকি তাদের কাছে প্যাঁচাল। ভুলে গেলে চলবে না, ”জীবন” দিয়েই কিছু। জীবন ছাড়া অন্য কিছু কি আসে। আপনার আমার এ সময়টা ছুটে চলে আপন গতিতে। ঝর্ণা যেমন চলার পথে কোথাও আঘাত কিংবা বাঁধা পেয়ে তৈরী করে ‘সরোবর’। আবার কোথাও গহীন অরণ্যের সৃষ্টি করে গড়ে তোলে ”গভীর খাঁদ”। মানুষরাও তেমনি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার পথে জেনে না জেনে বা বুঝে না বুঝে তৈরী করে কতো- “গৌরবময় সৃষ্টি”, আবার কখনো কখনো কুৎসিত কদাকার বীভৎস রূপের মাঝেই হাবু ডুবু খায়। এ সব জানার কি কোনোই দরকার নেই। কিভাবেই চিনবেন আপনার সঠিক পথ বা ভালো-মন্দ।

এ জীবনে বেশ কিছু কুৎসিত কদাকার বীভৎস মানুষের মাঝে মধ্যে প্রতিনিয়তই যেন হাবুডুবু খেয়েছি। উদাহরণ দিয়েই বলি, একব্যক্তি সারাজীবন মানুষের মঙ্গলজনক কাজে ট্রাক ভর্তি টায়ার বহন করে কিন্তু বিপদের সময়ে বা ট্রাকটি নষ্ট হওয়ার মুহূর্তে একটি টায়ারও তার কাজে লাগাতে পারেনি। ঠিক তেমনিভাবে জীবনটা পরিচালনা করার মুহূর্তে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সহ বহু পরিচিত ব্যক্তি ও লোকজন থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজনে সবাইকে পাওয়া যাবে সেটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আপনার অবদানটা যে কি ছিল তা কেউ মনে রাখবেনা, বরং আপনিই তাদের থেকে কি কি নিয়েছেন, সেটাই ভালো ভাবে মনে রাখবে কি়ংবা খোটা দিবে। সুতরাং এই জীবন নাটকের চেয়ে নাটকীয় কিংবা স্বার্থপরদের মিলন মেলা। বৃষ্টি এলে বুঝিয়ে দেয়, ঘরের ছিদ্র কোথায়। আর বিপদ আসলেই বুঝিয়ে দেয় আপন মানুষ কোথায়। তাই বলাই যায় যে “মানুষের বিপদ হলে বা প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অমানুষদের চেনা যায়।

আত্মকথার জীবনী লেখাটার বড় সমস্যা হলো, ইতিহাস অর গল্পের জগাখিচুড়ি পাকানোই বড় সমস্যা। সব কথা বলার মতো হবে না। কিছু থাকবে লুকিয়ে রাখার মতো, আর কিছুতে হয়তো বা চড়াতেই হবে- একটুখানি “রঙ”। বেছে বেছে কিছু টুকরা কাহিনী। কিছু থাকবে আভাসে, কিছুবা থাকবে আবরণের বাইরে খোলামেলা। জীবনের কিছু যায় সদরে, আর কিছু থেকে যায় অন্দরে। এভাবে হয়েছে গুণিজনের সাহিত্য। যাক! মাঝে মাঝে অভিমান হয় আর কখনোই লিখবো না, অনেক অসচেতন কিংবা হিংসুটে মানুষদেরকে ফেসবুক আইডি থেকে আনফ্রেড করে শান্তিতেই থাকতে চাইছি, আবার তা করেছি! কিন্তু সচেতন কিছু মানুষ কিংবা ভালো মানুষ আবারও ফিরে আনে। আবারও ভাবছি কিছু প্রেম ভালবাসা, বেশ কিছু স্মৃতিময় ঘটনা ও কিছু দুঃখ কষ্ট যা মানুষের সবসময়েই মনে থাকবে। এসব কিছুকথা নিতান্তই যেন সহজ সরল ভাবেই লিখবো। তা যদি হয়েই যায়- একটা ধারাবাহিক রচনা, যাক না! সাহিত্যগুণ তাতে ইনশাআল্লাহ রাখবো। থাকবে, ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা বা ছোট ছোট দুঃখ কথা। সেইখানে জীবনের সব কিছুতেই থাকবে স্বাভাবিকতার নান্দনিক ছোঁয়া। তাছাড়াও তাতেই থাকবে- হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, গান, কবিতা বা স্মৃতি। পরিশেষে আরো বলতে চাই, নিজের পৃথিবী, নিজের ইচ্ছা, নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেই চলতে হবে’, কাউকে আঘাত বা হিংসা করা সঠিক কাজ নয়। নিজের সিদ্ধান্তে কিংবা কর্মে বার বার হোছট খাওয়া ভালো। তবুও সঠিক মানুষের সঠিক কর্ম গুলোকে প্রসংশা না করি, নিন্দা যেন না করি।।

লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

চুনতিতে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ল কৃষকের ধান

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে আবুল কাশেম (৫৫) নামে এক অসহায় কৃষকের ধান। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের সাতগড় কুলাল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি একই এলাকার পূর্ব পাড়ার মৃত আবদুল আলমের পুত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম জানান, ধার-দেনা করে প্রায় ১শ শতক জমিতে ধান চাষ করি। জমি থেকে ধান গাছ কেটে এক জায়গায় এনে স্তুপ করি মাড়াইয়ের জন্য। রাতে কে বা কারা ধানের স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ হাজার কেজি ধান আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ মোকতার আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম একজন বর্গাচাষী। সারা বছরের ফসল আগুনে পুড়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কৃষকের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চরম্বায় ইটভাটা থেকে ৩শ ঘনফুট জ্বালানী কাঠ জব্দ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বায় ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৩শ ঘনফুট অবৈধ জ্বালানী কাঠ জব্দ করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব রাজঘাটা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন.বি.কে নামক ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য অবৈধভাবে মজুদ করার ৩শ ঘনফুট জ্বালানী কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা। এ ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এই ধরনের নারীকে ভীষণ ঘৃণা করি : শ্রাবন্তীর স্বামী রোশন

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সম্ভবত বিয়ে ভাঙার আগে এই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন শ্রাবন্তী। রাজীব বিশ্বাসের সময় সোশ্যাল মিডিয়া আসেনি। কৃষ্ণ ভিরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় কোনও সাড়াশব্দ ছিল না কারও মুখেই। ব্যতিক্রম রোশান সিং। তিনি কিন্তু ছেড়ে কথা বলছেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রাবন্তীর প্রতিটি পদক্ষেপে নজরে রাখছেন এবং সুযোগ মতো কড়া জবাব দিচ্ছেন তিনি। ফের কী নিয়ে রেষারেষি তারকা দম্পতির মধ্যে? অতি সম্প্রতি শ্রাবন্তী নিজের মা-বাবার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে বলেন, তাকে সব অবস্থায় সমর্থন জানিয়ে এসেছেন এরাই। সেখানে তার সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর। ছবি দেখে অনুরাগীরা নতুন জল্পনায় মেতেছেন।ভোলেননি রোশান। শ্রাবন্তীর এই পোস্টের পরেই তার পাল্টা পোস্ট আত্মজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি ধার করে। কী বলা হয়েছে সেখানে? ‘সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি পারস্পরিক বিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়ে। বিয়ের গুরুত্ব বোঝাতে সিঁদুর ভীষণ দুর্বল চিহ্ন।’ রোশান এই উক্তির সমর্থনে অর্থপূর্ণ ক্যাপশনও লিখেছেন, ‘আমি পুরোপুরি সহমত। স্বামী বা প্রাক্তনের আপত্তি সত্ত্বেও কিছু নারী তার নামে জোর করে সিঁদুর পরেন। এই ধরনের নারীকে ভীষণ ঘৃণা করি।’

শ্রাবন্তীর সিঁথির সিঁদুর কি তা হলে অশান্তি চাপা দিতে? রোশানের কথায় ইঙ্গিত মিলছে তেমনটাই। এর আগে করবা চৌথ বা বিজয়া দশমীতেও চওড়া করে সিঁদুর নেন অভিনেত্রী। তখন কিন্তু রোশান এ রকম কোনও মন্তব্য পোস্ট করেননি। 

যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রেষারেষির সূত্রপাত রোশানের হাত ধরেই। ফিটনেস জিম সেন্টার নিয়ে শ্রাবন্তীকে প্রথম কটাক্ষ করেন তিনি। তার পরেই মিম শেয়ার করে ইঙ্গিতে জানান, একজন ছেলের বিয়ে মানে জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়া। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

ম্যারাডোনার সমাধিতে চুরি ঠেকাতে সশস্ত্র পুলিশি পাহারা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : পুরো বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। ২৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা। কিন্তু প্রিয় তারকার হঠাৎ চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তার ভক্ত-সমর্থকরা। আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তির শেষ যাত্রায় করোনাভীতি উপেক্ষা করেই নেমেছিল মানুষের ঢল।

এমন পরিস্থিতিতে পাগলা সমর্থক কিংবা সমাধি চুরি চক্রের হাত থেকে ম্যারাডোনার মৃত দেহকে বাঁচাতে এখন কঠোর পুলিশি পাহারা বসাতে হয়েছে আর্জেন্টিনার আভ্যন্তরিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে।বুয়েন্স আয়ার্সের উপশহরে সমাধিস্থল ভেলা ভিস্তায় মা-বাবার পাশে শায়িত হন দিয়াগো ম্যারাডোনা। সেখানেই এখন ২০০ সশস্ত্র পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করেছে আর্জেন্টিনা সরকার।

কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অন্ধ সমর্থকরা ম্যারাডোনার সমাধি ভেঙে ফেলতে পারে। প্রিয় তারকাকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে নিজের কাছে মমি করে রাখতে চুরি করতে পারে তার দেহ কিংবা দেহের কোনো অংশ বিশেষ। এ কারণে, অন্তত এক সপ্তাহ ভেলা ভিস্তা সমাধিস্থলকে কঠোর পাহারার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করেছে আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ।

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে রহস্যময় বস্তু

Posted By admin On In অন্যান্য সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি রহস্যময় বস্তু। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একে চিহ্নিত করেছেন ২০২০ এসও নামে। তবে তারা বলতে পারছেন না- এটা মূলত কী বা এর প্রকৃতিই বা কী?

এদিকে এটা পৃথিবীকে আঘাত করবে কি না তা নিয়েও নানা প্রশ্ন চারদিকে। কিন্তু যে বস্তুটি এভাবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তার সম্পর্কে জানেন না সঠিক ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেস্ট স্টাডিজের (সিএনইওএস) মতে, আজ কোনও এক সময় ২০২০ এসও পৃথিবীর ৩১ হাজার ৬০৫ মাইল দূরত্বের মধ্যে চলে আসবে।

একে বলা হচ্ছে পৃথিবীর একেবারে কাছ দিয়ে চলে যাওয়া বস্তু। ২০২০ এসও যে দূরত্ব বজায় রেখে যাবে তা আমাদের পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী দূরত্বের শতকরা ১৩ ভাগের মতো। এ কথা বলেছেন, ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্টের জ্যোতির্বিজ্ঞানী গিয়ানলুকা মাসি। ওই বস্তুটিকে পরিমাপ করা হয়েছে আড়াআড়িভাবে ১৫ থেকে ৩৩ ফুটের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউয়িতে অবস্থিত প্যান স্টারস-এর এক পর্যবেক্ষণে ১৭ সেপ্টেম্বর এটা শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যাবেক্ষণে দেখা গেছে, এটি একটি অ্যাস্টেরিওয়ড বা গ্রহাণু। কিন্তু সিএনইওএসের বিজ্ঞানীরা দ্রুত বুঝতে পারেন যে, ২০২০ এসও কোনও সাধারণ গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড নয়। মাসি বলেছেন, আমরা নিশ্চিত নই যে, এই বস্তুটি একটি অ্যাস্টেরয়েড। তবে এটি একটি প্রাকৃতিক কিছু। সূত্র: ডিডব্লিউ, ফক্স নিউজ

অরক্ষিত সীমান্তে মিয়ানমারের অশুভ তৎপরতা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২৮ কিলোমিটার অত্যন্ত দুর্গম। সেখানে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ খুবই দুরূহ। কোনো কোনো এলাকায় মাইলের পর মাইল শুধুই গহিন অরণ্য। এর অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত। কোনো কোনো জায়গা এতটাই দুর্গম যে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) নিরাপত্তা চৌকি কিংবা ক্যাম্প বসানোর মতোও পরিবেশ নেই।

এ এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো মাদক, অবৈধ অস্ত্রসহ নানা ধরনের জিনিস চোরাচালান করছে। এমনকি এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপকর্মে সামান্য কোনো বাধাও দেয় না মিয়ারমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করে আসছে। সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী পর্যটন জেলা কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ঘিরে এই অশুভ তৎপরতা আরও বেড়েছে। অপরাধপ্রবণ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের এ অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে মিয়ানমার থেকে এ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে অস্ত্র আনছে। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন দুর্গম এলাকা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

বাংলাদেশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) মতো গ্রুপগুলো বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের কাছে অস্ত্র পাচার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী এসব সংগঠনের অশুভ তৎপরতা বা যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। এই অরক্ষিত অঞ্চলে বিজিবির টহল ও নিরাপত্তা চৌকি বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। একইভাবে এসব অঞ্চলে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঠেকাতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তায় সহায়তা দানকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎপরতাও বাড়ানো হচ্ছে।

সূত্র জানায়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপগুলোর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার অরক্ষিত সীমান্ত অথবা সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ঢুকে তারা নাশকতা চালাতে পারে- এমন আশঙ্কার মধ্যে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে আস্থা বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্ত দুর্গম হওয়ার কারণে অনেক স্থান অরক্ষিত। এদিকে দুই দেশের সীমান্ত-সংলগ্ন বাংলাদেশ অংশে ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সড়কে সীমান্তে টহল বাড়ানো যাবে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি। বাড়ানো হবে বিজিবির টহল। মিয়ানমার সীমান্ত খুবই অপরাধপ্রবণ। ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্তে টহল বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে এসব অপরাধ কমে আসবে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন।

এদিকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ও সেনাপ্রধান একসঙ্গে মিয়ানমার সফর করেছেন। ভারত ও মিয়ানমার বিভিন্ন ইস্যুতে যৌথভাবে কাজও শুরু করছে। ভারতকে এসব বিষয়ে একটা ইতিবাচক দিক হিসেবে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া মিয়ানমারের ওপর দিয়ে ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় সড়ক নির্মাণ করছে। সড়কটি ইস্ট ওয়েস্ট করিডরে যুক্ত হয়ে লাওস, ভিয়েতনাম পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে। মিয়ানমারের কালাদান নদী মিজোরামকে ভারতের অপর অংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। ভারত এত কিছু করলেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে পারছে না মূলত দেশটির অসহযোগিতার কারণে। কেননা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো নানা ইস্যু জিইয়ে রাখছে বছরের পর বছর। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যু। এদিকে সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে বেশ কিছু মাইন পাওয়া গেছে। ১৫ মার্চ বান্দরবান সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় মনিরুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। জুলাই মাসে বান্দরবান সীমান্তে দুটি তাজা মাইন পাওয়ার পর তা ধ্বংস করা হয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এসব মাইন পুঁতে রাখছে। কারণ যেসব মাইন উদ্ধার করা হচ্ছে তা অ্যান্টি পারসোনাল। সামরিক বাহিনী ছাড়া এসব মাইন কেউ তৈরি করতে পারবে না।

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যতবার বৈঠক করতে চেয়েছে ততবার তারা আসেনি। উল্টো বৈঠক বাতিল করেছে। এ ছাড়া ইয়াবা পাচারে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা বাধা দেয় না। এমনিতে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে চাইলে তাদের গুলি করা হয়। কিন্তু ইয়াবা পাচারকারী রোহিঙ্গারা ওই দেশের অভ্যন্তরে গিয়ে আবার বিনা বাধায় ফিরে আসে। এদিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো কোনো সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য ধরা পড়ার পর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তারা মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরামে আশ্রয় পেয়ে থাকেন। বিডি প্রতিদিন

বুলেট ট্রেনে ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম-ঢাকা!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
বুলেট ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেক্স : বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রুটে চলাচল জন্য নেওয়া প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। উচ্চগতির এ রেলসেবা চালু হলে ৬ ঘণ্টা নয়, ননস্টপে মাত্র ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।

ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং দিনে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। এর জন্য একজন যাত্রীর ২ হাজার টাকার মতো ভাড়া গুনতে হবে। রুট ম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত রেলপথে মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম।  

যদি এসব স্টেশনে ৩ মিনিট করে থামে তাহলে আরও ১৮ মিনিট সময় বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে ৭৩ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছানো যাবে। আর যদি না থামে তাহলে ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম টু ঢাকা। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর থামবে কি থামবে না- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের মার্চে অনুমোদন পাওয়া এ ট্রেনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি করেছে। বর্তমানে এর বিশদ নকশা তৈরির কাজ চলছে। যার জন্য ব্যয় হবে শত কোটি টাকার বেশি। জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটির নকশা তৈরির কাজও শেষ হবে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন জানান, ডিসেম্বরের দিকে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশনের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। তারপর ব্যায়ের বিষয়টি নির্ধারণ করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের ৩২১ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।

বর্তমানে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩২১ কিলোমিটার। উচ্চগতির ট্রেনের জন্য ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা রুটটি ব্যবহার করা হবে না, সরাসির ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ তারপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বুলেট ট্রেন। এক্ষেত্রে ৯৪ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হবে ট্রেনটির।

প্রকল্পটির জন্য ৬৬৮ দশমিক ২৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে, ফলে এটি বাস্তবায়নে রেলওয়েকে ৪৬৪ দশমিক ২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

প্রকল্পের পরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, প্রকল্পটির ডিজাইনের কাজ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। ডিজাইন চূড়ান্ত অনুমোদন হলে ব্যয়ের বিষয়ে জানা যাবে। বুলেট ট্রেনটি চালু হলে চট্টগ্রাম-ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রই পাল্টে যাবে। ননস্টপে মাত্র ৫৫ মিনিটে ও স্টেশনে থামলে ৭৩ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, বুলেট ট্রেনটি চালু হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা পালন করবে। কীভাবে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বাংলানিউজ