- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

২৮ ডিসেম্বর ২৫টি পৌরসভায় ভোট

নিউজ ডেক্স : প্রথম ধাপে দেশের ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। আজ রবিবার বিকালে এই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভায় ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বিডি প্রতিদিন

লোহাগাড়ায় মাস্ক না পরায় ৮ জনকে জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়ায় ৮ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা ভূমি অফিস এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী। তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় পর্যায় ঠেকাতে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সংক্রমণ রোধ ও প্রতিরোধ নির্মূল আইন ২০১৮ এর ২৫(খ) ধারায় ৮ জনকে ১ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে সাথে ছিলেন থানার এসআই মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও ভূমি অফিসের নয়ন দাশ।

শপথ নিলেন লোহাগাড়ার নবনির্বাচিত ৩ ইউপি চেয়ারম্যান

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার ৩ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা হলেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে মো. নুরুচ্ছফা, আমিরাবাদ ইউনিয়নে এস. এম ইউনুচ ও আধুনগর ইউনিয়নে নাজিম উদ্দিন।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম- ১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া আগামীকাল সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তিন ইউনিয়নে নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর লোহাগাড়ার ৩ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গেজেট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, রূপ নিতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি রবিবারের মধ্যে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। দ্রুত শক্তি অর্জন করলে নিম্নচাপটি রূপ নিতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে।

আজ রবিবার ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে। নভেম্বর মাসে দেশে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, লঘুচাপটির গতিমুখ ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে রয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আবারও আকাশ মেঘলা হয়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার বাংলাদেশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে [1], দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তথা তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বিডি প্রতিদিন

এবারের বিজয় দিবসে প্যারেড স্কয়ারের কুচকাওয়াজ বাতিল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : মহামারি করোনার কারণে এবারের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ  বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ অনুশাসন দিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে সাধারণত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। তখন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন। 

ওই কার্যপত্রে বলা হয়, ‘বিজয় দিবস সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় বড় ধরনের জনসমাগম হওয়ার কারণে, জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এ বছর রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি অনুশাসন দিয়েছেন। অন্যান্য কর্মসূচি সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

এ জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে একটি কর্মসূচি প্রণয়ন করতে দ্বিতীয় সভার আহ্বান করা হয়। বিডি প্রতিদিন

সংরক্ষিত বনভূমিতে ইটভাটা, শত শত ঘর

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল, শীল ডেবা, জোড়া ডেবা ও ডুলাহাজারা বনবিটের মালুমঘাট ও ফুটের ঝিরির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১৩০২ হেক্টর বনভূমি হচ্ছে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য।

এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বুনো হাতি, বন্য শূকর, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল ছিল। কিন্তু গত দশ বছরে এসকল বন্যপ্রাণীর এই আবাসস্থল ধ্বংসের অংশ হিসেবে গাছপালা নিধন, পাহাড় সাবাড় এবং সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিয়ে সেখানে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ ইটভাটা (উচিতার বিলে), শত শত বাড়িঘর।

এতে নিরাপদ আবাসস্থল হারিয়ে অনেকটা পাগলের মতোই হয়ে পড়েছে বন্যপ্রাণী। বিশেষ করে বড় বিপদের সম্মুখিন হয়ে পড়েছে বন্যহাতি। প্রতিনিয়ত বন্যহাতির দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসার মতোও ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দলছুট বন্যহাতির তাণ্ডবে বসতবাড়ি ও জমির লণ্ডভণ্ড হওয়া ছাড়াও অসংখ্য মানুষের প্রাণহানিও হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। পরিবেশবাদী সংগঠন, বনবিভাগসহ স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যপ্রাণী তথা বন্যহাতির আবাসস্থল একেবারেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের উচিতার বিল মৌজায়। এই মৌজার অবস্থান হচ্ছে পার্বত্য বান্দরবানের লামা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়।

এখানেই শতবর্ষী মাদার ট্রি (গর্জন), সেগুনসহ হরেক প্রজাতির গাছপালা এবং শতাধিক বিশালায়তনের পাহাড় বেষ্টিত ব্যাপক ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে নিরাপদ আবাসস্থল ছিল বন্যহাতির। বন্যপ্রাণী ও পশু খাদ্যের অন্যতম ভাণ্ডার ছিল এই উচিতার বিল। কিন্তু এক এগারো পরবর্তী বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধি উচিতার বিল মৌজার বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ধ্বংস করে গড়ে তোলেন অবৈধ ইটভাটা। অবশ্য ভাটাটি তার নিজের এক টুকরো জায়গায় স্থাপন করার পর থেকে একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায় আশপাশের পাহাড়-জঙ্গলের পূর্বেকার সেই পরিবেশ। বর্তমানে সেখানে দেখা মিলবে অবৈধ ইটভাটা, শত শত অবৈধ বসতবাড়ি, পাহাড় সাবাড়ের করুণ দৃশ্য। মূলত উচিতার বিলের এই অভয়রাণ্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিনিয়ত খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল নেমে আসা শুরু করে লোকালয়ে।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু বলেন, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আলোচিত উচিতার বিল মৌজার বন্যপ্রাণী তথা বন্যহাতির আবাসস্থল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। যাতে বন্যহাতি নিরাপদে সেখানে বিচরণ করতে পারে। এটি একমাত্র সম্ভব হবে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটভাটাটি ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগসহ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

তবে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চার এলাকা তথা ফাঁসিয়াখালী বনবিটের শীল ডেবা, জোড়া ডেবা এবং ডুলাহাজারা বনবিটের মালুমঘাট ও ফুটের ঝিরিতে বন্যপ্রাণীর সেই আগের আবাসস্থল ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অভয়ারণ্য এলাকার ৬০ হেক্টর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এসিস্টেট ন্যাচারাল রিজেনারেশন (এএনআর) বাগান এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে পশুখাদ্য উপযোগী ৪০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরো ১০০ হেক্টর এলাকায় পশুখাদ্য উপযোগী বাগান সৃজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নে পশুখাদ্যের বাগান সৃজনে অভয়ারণ্যের অন্যতম স্থান আলোচিত উচিতার বিল মৌজা কেন বাগান সৃজন থেকে বাদ পড়েছে? এমন প্রশ্নে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, উচিতার বিল মৌজা আরএস-সিএসমূলে বনবিভাগের এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ হলেও বিএস রেকর্ডে এসে ভুলক্রমে বেশকিছু জায়গা এক নম্বর খাস খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বনবিভাগ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলাও করেছে। এই সুযোগে দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকা ছাড়াও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ধ্বংস করে ফেলে প্রভাবশালীরা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে উচিতার বিল মৌজার যেখানে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে তা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরই। যা ইটভাটা স্থাপন আইনের সাথে ব্যাপক সাংঘর্ষিক। এ কারণে উচিতার বিলের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। অবশ্য বনাঞ্চল উজাড় এবং পাহাড় সাবাড়ের ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বনবিভাগ মামলা করলে ২০১৪ সালে আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর ধ্বংস হয়ে যাওয়া বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য আগেকার অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ চলমান রয়েছে। দৈনিক আজাদী

সন্ধ্যার পর ফ্লাইওভারে আতঙ্ক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরীর পরিবহন সেবায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এলেও সূর্য ডুবতে ডুবতে ফ্লাইওভারগুলো হয়ে ওঠে আতঙ্কের স্থান। দিনের আলোয় দ্রুত চলাচল করা গেলেও রাত হলেই ফ্লাইওভারগুলোতে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। যানবাহনের আলো ছাড়া কিছু দেখার উপায় নেই। ফ্লাইওভারের বেশিরভাগ ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বলে না। আর এই সুযোগে ঘটে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। হরহামেশা ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা দখল করে মাদকের আখড়া, গাড়ির স্ট্যান্ড, অবৈধ পার্কিং গড়ে তুলেছে দুর্বৃত্তরা।

ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক অপরাধ নির্মূলে সম্প্রতি পুলিশের মোবাইল টিম চালু করেছে। পাঁচলাইশ, খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকার ফ্লাইওভারে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছে পুলিশের মোটরসাইকেল প্যাট্রোল টিম। তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নিজেদের ওয়াকিটকির মাধ্যমে থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্যাট্রোল টিমের সাথে লুকোচুরি খেলে চলছে ফ্লাইওভারে নানা অপরাধ। নগরীতে ফ্লাইওভার রয়েছে চারটি। এর মধ্যে মুরাদপুর থেকে ইস্পাহানির মোড়ের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার এবং স্টেশন রোড থেকে কদমতলী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেশি।

ভুক্তভোগীরা ও নগর সংশ্লিষ্টরা বলেন, ফ্লাইওভারগুলো ঘিরে সক্রিয় রয়েছে অনেকগুলো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ফ্লাইওভারের উপরে ছিনতাই, খুন, বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতা এবং এর বাইরে নিচের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে মাদক ও অপরাধের আখড়া। অপরাধী ও ছিনতাইকারীদের ভয়ে রাতে ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল আরোহীরা যখন-তখন বিপদে পড়ছেন। ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীরা অন্ধকারে ফ্লাইওভারের উপর গাড়ি পার্কিং করে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করে। ভুক্তভোগীরা জানান, অন্য এলাকা থেকে ফ্লাইওভারে নজরদারি কম থাকায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য নিরাপদ জোন হিসেবে বেছে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

ফ্লাইওভারগুলোতে সরেজমিন ঘুরে ও আশেপাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে রাত যত গভীর হয়, ফ্লাইওভারগুলো তত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তবে অনেক সময় ফ্লাইওভারের উপর রাতে বাতি জ্বলে না। আর এই সুযোগে অপরাধী ও যৌনকর্মীরা ফ্লাইওভার দখল করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ভুক্তভোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ছিনতাই চক্রের সদস্যরা প্রথমে ফ্লাইওভারের দুই পাশে থাকা রেলিংয়ে টান টান করে বেঁধে রাখে চোখে দেখা যায় না এমন নাইলনের সুতা। পরে পথচারীরা মোটরসাইকেলসহ উল্টে পড়তেই আশপাশ থেকে ছুটে আসে ওত পেতে থাকা চক্রের সদস্যরা। এরপর তারা দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তির টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। আবার অনেক অপরাধী সাধারণ দর্শনার্থীর বেশে ফ্লাইওভারের উপরে উঠে শিকারের আশায় অপেক্ষা করে। তার সিগন্যাল পাওয়ার পর সহযোগীরা মোটরসাইকেলে করে দ্রুত এসে ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। মুহূর্তের মধ্যেই মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেটকার বা সিএনজি টেক্সি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ছিনতাইকারী চক্র তাদের কাজের সুবিধার জন্য বিরূপ আবহাওয়াকে বেছে নেয়। ঝড়, বৃষ্টি কিংবা কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে সুযোগ খোঁজে তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চোর চক্র রাতের আঁধারে অকেজো করে ফেলে এসব বাতি। সড়কবাতি সচল রাখতে সংযোগ দেওয়া বৈদ্যুতিক লাইনের তার ও লোহার পাত এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে। ফ্লাইওভারের ল্যাম্পপোস্টগুলোতে রাতে লাইট জ্বলে না। নেই সিসি ক্যামেরা। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এবং ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার সঠিক নজরদারি না থাকায় চক্রের সদস্যরা এমন কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। অথচ যানজট নিয়ন্ত্রণে এসব ফ্লাইওভার বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, ফ্লাইওভারের নিচে ষোলশহর স্টেশন ও আশেপাশে ভাসমান অবস্থায় থেকে গাম খেয়ে নেশা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা আমরা প্যাট্রোল টিমের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অনেকাংশে কাটাতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া থানা পুলিশের দুজন করে চারজনের দুটি মোটর সাইকেল টিমও ফ্লাইওভারে বিকাল চারটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। স্পেশাল টিম নিয়ে থানার ওসি ও পরিদর্শকও (তদন্ত) দিনে চার-পাঁচবার ফ্লাইওভার পরিদর্শন করছেন।

চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার জানান, রাতের আঁধারে নগরীর বিভিন্ন ফ্লাইওভারে অবস্থান নেওয়া এবং সুযোগ বুঝে ছিনতাই করার প্রবণতা এখন নেই বললেই চলে।

খুলশী থানার ওসি মো. শাহিনুজ্জামান জানান, ফ্লাইওভারকেন্দ্রিক যে অপরাধগুলো সংঘটিত হতো তা অনেক কমেছে। আমাদের প্যাট্রোল টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে। তাদের প্রযোজনে থানার মোবাইল টিমও যাচ্ছে। দৈনিক আজাদী

মেঘ কাটলে বাড়বে শীত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : আকাশ মেঘে ঢাকা। সাথে ছিল কুয়াশা। বাতাস একটু বেশি। রোদ না থাকায় ঠান্ডাও অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ছিল। এটা গতকাল শনিবারের চিত্র। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান এই মেঘাচ্ছন্ন ভাব কাটতে তিন-চার দিন লাগতে পারে। মেঘলা ভাব কেটে গেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শীত শুরু হবে।

হেমন্তের মধ্য সময়ে এসে শীত পড়ছে। গতকাল সকালে রোদ দেখা গেলেও ১২টার দিকে চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। এরপর আর সূর্যের দেখা মেলেনি।

কথিত আছে, ভাদ্রের ১৩ তারিখ হচ্ছে শীতের জন্ম। সে হিসেবে প্রায় তিন মাস হতে চলল শীতের বয়েস। তবে বাংলা পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবে শীতকাল শুরু হতে আরো ২৩ দিনের মতো বাকি। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস মূলত শীতকাল। তবে বাংলাদেশে সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত পড়তে শুরু করে। আর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে গিয়ে কমে যায়।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের গতকাল সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সে সাথে ভোরের দিকে নদী অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, শীত শুরু হলে তাপমাত্রা কমে আসে। তবে দিনের ও রাতের তাপমাত্রার তফাৎ থাকে। শীত শুরু হলে ডিসেম্বরের শুরুতে রাতের তাপমাত্রা ১৪-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে। দৈনিক আজাদী