- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

নবীজীর প্রতি ভালবাসা মুমিনের ঈমান : সীরত মাহফিলে বক্তারা

লোহাগাড়াস্থ চুনতী সীরত ময়দানে মসজিদে বায়তুল্লাহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৯ দিন ব্যাপী মাহফিলে সীরতুন্নবী (স.) এর ৫০তম ২য় দিবসে বক্তারা বলেন, নবীজীর প্রতি ভালবাসা মুমিনের ঈমান। মুমিনের জীবনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহব্বতের গুরুত্ব অপরিসীম। মহব্বতে রাসুল তো ঈমানের রূহ, মুমিনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। এই ইশ্ক ও মহব্বত ছাড়া না ঈমানের পূর্ণতা আসে, আর না তার স্বাদ অনুভূত হয়। আর নিছক ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, বরং পার্থিব সমস্ত কিছুর উপর এই ভালবাসাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে ভালবাসার প্রকাশ ঘটতে হবে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) মাহফিলের ২য় দিবসে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সীতাকুন্ড কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা পেশ করেন গারাঙ্গিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দেছ মাওলানা আবদুল কাদের নিজামী, আরবী প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, লোহাগাড়া দরবেশীয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জিয়াউল ইসলাম।

চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ফারুক হোসাইনের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মতোওয়াল্লী কমিটির সভাপতি শাহজাদা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদ, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক নিজামী, মিঞা মুহাম্মদ গোলাম কবির, আলহাজ্ব আবু তাহের, তোলাবায়ে সালেকিনের সভাপতি মুহাম্মদ অলি উদ্দিন, মাহফিল পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক শাহজাদা আবদুল মালেক ইবনে নাজাত, মুহাম্মদ রায়হান, আবু সাঈদ মুহাম্মদ আকিল, মাওলানা মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা রোকন উদ্দিন, মোহাম্মদ হুমায়ুন কাদের। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ। কারও কারও হাতে লাল সবুজের পতাকা। সবার মুখে হামদ, নাত, দরুদ আর স্লোগান। দৃষ্টি কাড়ছে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো প্লেকার্ডও।

নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস জামেয়া মাঠে ফেরার দৃশ্য এটি।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টায় বের হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর হয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুই নম্বর গেট, জিইসির মোড়, ওয়াসা পর্যন্ত যায়। এরপর একই সড়ক দিয়ে আবার সোয়া ৯টায় জুলুস জামেয়া মাঠে ফিরে আসে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি প্রমুখ।

জুলুসকে ঘিরে রেললাইনের দুই পাশসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বসেছে মেলা। ডাব, শসা, পাজামা, পাঞ্জাবি, আতর, টুপি, মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ রকমারি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আশেকরা তবররক হিসেবে বিলি করছেন চকলেট, খেজুর, শরবত, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জুলুসের প্রচলন করেন।

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও জুলুসের শৃঙ্খলা এবং মাহফিলের আদব রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক না থাকলে জুলুস বা মিলাদে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে কয়েক লাখ মাস্ক।

জুলুস ফিরে এসেছে জামেয়া মাঠে। মিলাদ, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ জানান, জুলুস উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে। বাংলানিউজ

সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মায়ের ইন্তেকাল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মা মাবিয়া খাতুন (৯০) আর নেই। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে বেসরকারি ইমপেরিয়াল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি ৬ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও স্বজন রেখে গেছেন। রাত ৯টায় নগরের মধ্যম মোহরার বায়তুল ইকরাম মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সূত্র জানায়, আবদুচ ছালামের একান্নবতী পরিবারে সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে মাবিয়া খাতুনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ওই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তবে মাবিয়া খাতুন করোনায় মারা গেছেন কিনা সে ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

মাবিয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বাংলানিউজ

তুরস্ক-গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : তুরস্কের ইজিয়ান সাগরের উপকূলীয় এলাকা ও গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে উভয় দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের দৈনিক ডেইলি সাবাহ বলছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু অঞ্চল থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আসতে শুরু করেছে।

turkey-1

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে, তুরস্কের ইজমির প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে। ভূমিকম্পে গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশের সেফারিহিসারে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইজিয়ান সাগরের সাড়ে ১৬ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

turkey-1

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই দেশে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইজমির শহরে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, শুক্রবারের এই কম্পন গ্রিসের রাজধানী এথেন্সসহ ক্রিট দ্বীপেও অনুভূত হয়েছে। এ দুই দেশে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইজমির শহরে ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ইজমির ও অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একই দৃশ্য দেখা যায় গ্রিসেও।

turkey-1

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু বলেছেন, ইজমিরের বায়রাকলি এবং বোর্নোভা জেলায় অন্তত ছয়টি ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়া এই ভূমিকম্পে উসাক, দেনিজলি, মনিসা, বালিকেসির, আয়দিন এবং মুগলা প্রদেশেও হালকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

১৯৯৯ সালে তুরস্কের ইজমিরে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে অন্তত ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।