- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় পাচারকালে লাখ টাকার অবৈধ আকাশমনি কাঠ জব্দ

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলায় পাচারকালে লাখ টাকার অবৈধ আকাশমনি গাছের গোল কাঠ জব্দ করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় ইউনিয়নের এম. চর. হাট এলাকা থেকে জীপ গাড়ি ভর্তি এ কাঠ জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন পদুয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, অবৈধভাবে কাঠ পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুটিবিলা এম.চর.হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় জীপ গাড়ি ভর্তি আকাশমনি গাছের গোল কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। বনবিভাগের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। তাই কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত কাঠ ও জীপ গাড়ি বর্তমানে বনবিভাগের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযানে সাথে ছিলেন ফরেস্ট গার্ড হারুনুর রশিদ মাহফুজসহ বনবিভাগের একটি টিম।

রিফাত হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামির সাজা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ৬ জনের ১০ বছর, ৪ জনের ৫ বছর ও ১ জনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।

রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলো- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, মো. নাঈম এবং তানভীর হোসেন।

এছাড়া জয়চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত ও সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর প্রিন্স মোল্লাকে দেয়া হয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড। অপরদিকে মামলার অপর তিন আসামি মারুফ মল্লিক, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জেলা শিশু আদালতে এ রায় পড়া শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। গত ১৪ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন বরগুনার শিশু আদালত।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। জাগো নিউজ

কাউন্সিলর ইরফান সেলিম বরখাস্ত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর এবং বাড়ি তল্লাশির পর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেয়ায় ইরফানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

jagonews24

ইরফান সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র এবং নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা।

আজকের মধ্যেই বরখাস্ত করা হবে কাউন্সিলর ইরফানকে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কাউন্সিলর পদ থেকে ইরফান সেলিমকে আজকের মধ্যেই সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র এবং নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা।

গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, গুলিসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।

বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইরফান সেলিমের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘যে কাউন্সিলরের কথা জানতে চাচ্ছেন, সেই অভিযোগটি আমাদের নথিভুক্ত হয়েছে। আমরা প্রসেস করছি। সম্ভবত আইন অনুযায়ী তাকে আজকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করব।’

তিনি বলেন, ‘তাকে বরখাস্ত করার পর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।’ আমরা বলতে পারি আপনারা বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রজ্ঞাপনটা দিয়ে দেবেন- এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সাক্টলি।’

অনেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ আসে, তারা এক ধরনের মাস্তানিই করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনো শ্রেণি পেশা বা পদ-পদবিকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করব না। আমার মনে হয় বাংলাদেশে সকল পেশা সকল পদের লোকজনের মধ্যে ভালো-মন্দের দুই কাজের মিশ্রণ প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য করি। সব কাউন্সিলর খারাপ কাজ করেন, এটা আমি মনে করি না। কিছু কিছু কাউন্সিলর দৃষ্টিকটু, অনিয়ম এবং অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে কেউ কেউ কখনও কখনও সম্পৃক্ত হয়নি এটা বলা যাবে না। যেটা হয়েছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

কাউন্সিলর ইরফানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত আমলে নেয়া হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

এদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ইরফান সেলিমকে সাতদিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলি মিয়া। জাগো নিউজ

দেশের ইতিহাসে প্রথম, তিন কার্যদিবসে মামলার রায়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : খুলনায় একটি মাদক মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দেশের বিচার ব্যবস্থাপনায় এত দ্রুত রায় ঘোষণার ঘটনা এটিই প্রথম।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নং-৪) ড. মো. আতিকুস সামাদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি মো. সম্রাটকে (২৬) গাঁজা রাখার অপরাধে ছয় মাস এবং ইয়াবা রাখার অপরাধে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এছাড়া আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত মো. সম্রাট বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর মহানগরীর লবণচোরা থানা এলাকা থেকে মো. সম্রাটকে পুলিশ আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সম্রাটকে আসামি করে লবণচোরা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করেন। ২২ অক্টোবর ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২৫ অক্টোবর যুক্তিতর্ক ও আসামি শনাক্ত শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। জাগো নিউজ

প্রতিদিন দেশে ফিরছেন আড়াই হাজারেরও বেশি প্রবাসীকর্মী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীকর্মী ফেরত অব্যাহত রয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে সোয়া দুই লাখেরও বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। চলতি অক্টোবর মাসের ২৪ দিনে দেশে ফিরেছেন ৫৯ হাজার ৯২৪ জন প্রবাসী অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজারেরও বেশি কর্মী ফিরে আসছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, যারা ফিরে এসেছেন তাদের কেউ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কাজ না থাকা, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, প্রতারিত হওয়া ও ভিসার মেয়াদ শেষ বা আকামা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে যেতে পারবেন জানালেও সিংহভাগেরই ফিরে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে গত ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসফেরত কর্মীর সংখ্যা দুই লাখ ২৫ হাজার ৫৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১৪৬ জন এবং নারী ২৫ হাজার ৪৩৬ জন। তাদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে এক লাখ ৯১ হাজার ১৯৪ জন ও আউটপাস নিয়ে ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন ফিরে এসেছেন।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসফেরত মোট যাত্রীর মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা কর্মীর সংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার ৮৮৯ জন। প্রবাসফেরতদের ৫৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ কর্মীই এ দুটি দেশ থেকে এসেছেন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

১ এপ্রিল থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীকর্মীদের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট ২৮টিসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার ৯৬৯ জন সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছেন; যার মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৪৬৬ জন ও নারী ১০ হাজার ৫০৩ জন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাসের মাধ্যমে, অনেকে কাজ হারিয়ে, আবার অনেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৯ হাজার ৯২০ জন ফেরত আসেন; যার মধ্যে ৫৫ হাজার ৮২ জন পুরুষ ও নারী চার হাজার ৮৩৮ জন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের আবার ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলে কোম্পানি ফেরত পাঠিয়েছে।

মালদ্বীপ থেকে ১২ হাজার ১৫৯ জন ফেরত আসেন; তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৫ জন ও নারী ১০৪ জন। পর্যটননির্ভর দেশ হওয়ায় করোনার কারণে কাজ নেই তাই মালিকপক্ষ বা কোম্পানি তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।

সিঙ্গাপুর থেকে চার হাজার ৬৪ জন ফেরত আসেন; তাদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ২৭ জন ও নারী ৩৭ জন। কাজের বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফেরত এসেছেন।

ওমান থেকে ফেরত আসেন ১৩ হাজার ৪৮৬ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী এক হাজার ৪২৬ জন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে আসেন।

কুয়েত থেকে ১০ হাজার ৮৯৩ জন ফেরত আসেন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৬৪৯ জন এবং নারী ২৪৪ জন। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকায় কিংবা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে দেশে ফিরেছেন।

বাহরাইন থেকে ফেরত এসেছেন এক হাজার ৪১১ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩১৬ জন পুরুষ ও ৯৫ জন নারী। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে এসেছেন। এছাড়া অসুস্থ কিংবা চাকরি হারিয়ে অনেকে ফিরে আসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত এসেছেন ৭১ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজ নেই তাই ফেরত এসেছেন। কাতার থেকে ফেরত এসেছেন ২৩ হাজার ১১৮ জন; যার মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৯০৩ জন ও নারী দুই হাজার ২১৫ জন। কাজ নেই তাই তারা ফেরত এসেছেন। মালয়েশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১০ হাজার ৮২১ জন; তাদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৩৪২ জন ও নারী ৪৭৯জন। কাজ নেই তাই তারা ফেরত এসেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১৩৬ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফিরে আসেন। থাইল্যান্ড থেকে ফেরত এসেছেন ৮৯ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৭৮ জন ও নারী ১১ জন। কাজ নেই তাই তাদের ফেরত আসতে হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে ফেরত এসেছেন ৩৯ জন এবং তাদের সকলেই পুরুষ। কাজ নেই তাই দেশে ফিরে এসেছেন তারা। জর্ডান থেকে ফেরত এসেছেন দুই হাজার ২০৪ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৪০৮ জন ও নারী এক হাজার ৭৯৬ জন। সবাই গার্মেন্টস শ্রমিক। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সবাই দেশে ফেরত আসেন।

ভিয়েতনাম থেকে ফেরত এসেছেন ১২১ জন। তারা প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন ফেরত আসেন। তাদের সকলেই পুরুষ। কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরে আসেন।

ইতালি থেকে ফেরত আসেন ১৫১ জন। তাদের সকলেই পুরুষ। ৬ জুলাই বাংলাদেশে থেকে যাওয়া এই কর্মীদের করোনা সন্দেহে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইরাক থেকে ফেরত এসেছেন আট হাজার ৮৯২ জন; তাদের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৮৩২ জন ও নারী ৬০ জন। কাজ নেই তাই ফেরত এসেছেন তারা।

শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত এসেছেন ৫৪৮ জন এবং তাদের সকলেই পুরুষ। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা ফেরত আসেন। মরিশাস থেকে ফেরত এসেছেন ৪৫২ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১৪০ জন ও নারী ৩১২ জন। কাজের মেয়াদ না থাকায় ফেরত এসেছেন তারা।

রাশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১০০ জন। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি। তুরস্ক থেকে ফেরত আসেন আট হাজার ৫৫৮ জন; তাদের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৯১১ জন ও নারী ৬৪৭ জন। কাজ না থাকায় তারা ফেরত এসেছেন।

লেবানন থেকে ফেরত আসেন ছয় হাজার ৬৯৯ জন; তাদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৪২৬ জন ও নারী দুই হাজার ২৭৩ জন। অনেকের কাজ নেই তাই ফেরত আসেন এবং অনেকে আউটপাস নিয়ে ফেরত এসেছেন।

নেপাল থেকে ফেরত এসেছেন ৫৫ জন; যার মধ্যে পুরুষ ৪০ জন ও নারী ১৫ জন। তাদের ফেরত আসার কোনো কারণ জানা যায়নি। হংকং থেকে ফেরতে এসেছেন ১৬ জন; পুরুষ ১২জন ও নারী ৪ জন। তাদেরও ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।

জাপান থেকে ফেরত এসেছেন আটজন এবং তারা সকলেই পুরুষ। আইএম জাপানের মাধ্যমে যাওয়া প্রথম ব্যাচের আটজন তিন বছরের মেয়াদ শেষে ছুটিতে দেশে ফিরে আসেন।

লন্ডন থেকে ৫৩ জন ফেরত আসেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। কী কারণে ফেরত আসেন তা উল্লেখ করা হয়নি। লিবিয়া থেকে ৩১৫ জন ফেরত আসেন এবং তাদের সকলেই পুরুষ। কী কারণে ফেরত আসেন তার উল্লেখ নেই।

এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে মোট ১২৮ জন ফেরত আসেন। তাদের সকলেই পুরুষ। তারাও কী কারণে দেশে ফিরে আসেন তা জানা যায়নি। জাগো নিউজ

রাতে ছদ্মবেশে থানায় থানায় ঘুরে বেড়ান পুলিশ কমিশনার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাতের বেলায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন থানায় থানায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি কখনো নিজের প্রাইভেট কারে আবার কখনো অটোরিকশায় চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার কখনো কখনো প্রটোকলকে না জানিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন।

এসময় থানায় গিয়ে সরাসরি ওসির বা ডিউটি অফিসারের কক্ষে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন আবার কখনো ছদ্মবেশেই একজন সাধারণ সেবা প্রত্যাশী সেজে থানায় যাচ্ছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের কোনো অনিয়ম বা দায়িত্বে অবহেলা নজরে এলে পরদিন গোপন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরোপ করেন সাময়িক বরখাস্ত ও তিরস্কারের মতো শাস্তি। গত ৭ সেপ্টেম্বর সিএমপিতে যোগ দিয়েই পরের মাস (অক্টোবর) থেকে গোপনে এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি।

সিএমপি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সিএমপি কমিশনারের ছদ্মবেশ ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ছদ্মবেশে থানার কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের কথা স্বীকার করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ কমিশনার তানভীর। তিনি বলেন, এটা আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করছি। দেখা যাক কতদূর করতে পারি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না। এছাড়া এ বিষয়ে বলার মতো কিছু নেই বলেও জানান তিনি।

সিএমপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ কমিশনার রাতে বিভিন্ন থানায় গিয়ে গোপনে পুলিশ সদস্যদের কর্মকান্ড অবলোকন করছেন। পরে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তি আরোপ করছেন। এটা বেশকিছু দিন ধরে চলে আসছে।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে সেবাপ্রার্থী সেজে ছদ্মবেশে নগরীর চান্দগাঁও থানায় যান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এ সময় ওসির রুমে প্রবেশ করে থানার রেজিস্ট্রার যাচাই করেন। সেখান থেকেই ফোন করেন ওই জোনের ডিসিকে। জানতে চান হাজতে থাকা আসামির পরিসংখ্যানসহ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ নানা তথ্য। পরে চান্দগাঁও থানা থেকে দ্রুত চলে যান অঙিজেন মোড়ে। সেখানে রাত্রিকালীন চেকপোস্টের কার্যক্রম দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে চেকপোস্টে হাজির হয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে ওই জোনের এসিকে ঘটনাস্থলে হাজির করেন। এর আগে ছদ্মবেশী পুলিশ কমিশনার অটোরিকশায় করে গিয়েছিলেন ডবলমুরিং থানায়। সেখানে গিয়ে রাত ১০ টার দিকে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসারের কাছে একটি জিডি করার ‘অনুরোধ’ করেন। তখন কর্তব্যরত অফিসার জিডি করতে ‘বকশিস’ চেয়েছেন। এ সময় কমিশনার ঘটনাস্থলে কিছু না বলেই ডবলমুরিং থানা ত্যাগ করে পাহাড়তলী থানায় যান। সেখানে নিজের মত করে পরিদর্শন করে থানার গেটে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলকে বাসায় ফেরার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশা ডেকে দেওয়ার ‘অনুরোধ’ করেন। কিন্তু ওই পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে তিনি কাঙ্খিত সেবাটি পেলেন না।

রাতে এই ধরণের ছদ্মবেশে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন কয়েকজন এসি ও ওসিকে তিরস্কার করেন সিএমপি কমিশনার। আর জিডি করতে ‘বকশিস’ চাওয়া ওই এসআই ও অসহযোগিতা করা পুলিশ কনস্টেবলকে তাৎক্ষণিক বরখাস্তের আদেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, সেবা প্রার্থীরা যাতে বিড়ম্বনার শিকার না হন সে ব্যাপারে এখন বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। দৈনিক আজাদী