- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

লাশ পারাপার করতে হয় গলা সমান পানিতে নেমে

নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীর সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন পুঁইছড়ি। গত দিনগুলোতে কবরস্থানে লাশ পারাপারে ভোগান্তির চিত্র ফুটো উঠলেও আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) আবারো ব্রিজের কারণে ছড়ার গলা সমান পানিতে নেমে লাশ নিয়ে পারাপারের ঘটনা ঘটেছে।

পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বশিরা বারি নাপিতা বিল কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা না থাকার কারণে ছড়ার পানিতে নেমে মৃত মনজুর আলমের লাশ নিয়ে যেতে হয় পরিবারের সদস্যদের।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মুবিনুল হক মুবিন বলেন, “কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তাটিতে ব্রিজ না থাকায় বার বার লাশ পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।” এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কবরস্থান সড়কটিতে ব্রিজ নির্মাণ করে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য।

উল্লেখ্য, এর আগে এ কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়ার ভোগান্তির দৃশ্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় স্থানীয় জনগণ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করলেও কার্যত আজও সেই কবরস্থানে যাওয়ার পথে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। দৈনিক আজাদী

সচিব পদ-পদবি থাকছে না অন্য প্রতিষ্ঠানে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে সরকারি পদ-পদবি না রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ‘সচিব’ পদ নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব পদনাম সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।অন্যান্য মন্ত্রণালয়কেও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সরকারের কয়েকটি বিধি দিয়ে সরকারি পদনাম ও পদবি (সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব, ও সিনিয়র সচিব) নির্ধারিত। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউজিসিসহ কয়েক প্রতিষ্ঠানে ‘সচিব’ পদ নিয়ে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি পদনাম অপব্যবহার করায় এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

গত ১৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনা উল্লেখ করে জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে পদনাম ও পদবি সৃজনের ক্ষেত্রে সরকারি পদনাম ও পদবি ‘সহকারী সচিব’, ‘উপসচিব’, ‘যুগ্মসচিব’, ‘অতিরিক্ত সচিব’, ‘সচিব’ ও ‘সিনিয়র সচিব’ যেন ব্যবহার না হয় এবং ইতোপূর্বে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ত্রুটি/বিভ্রান্তি নিরসনে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরপত্র অনুযায়ী আওতাভুক্ত সরকারের ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পদনামসূহ পরিবর্তন করে গ্রেড অনুযায়ী অনুরূপ ক্ষেত্রে দপ্তর সংস্থার জন্য প্রযোজ্য পদনাম অন্তুর্ভুক্ত করে পদনাম সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে। দুই দফায় এই চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

‘মন্ত্রণালয়/বিভাগে ব্যবহৃত সরকারের বিভিন্ন পদনাম ও পদবিসমূহের বিধি বর্হিভূত ব্যবহার’ নিয়ে এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(৬)-এর আলোকে প্রণীত রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬, সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০১৪ এবং অন্যান্য বিধি দ্বারা সরকারের বিভিন্ন পদনাম ও পদবি সজ্ঞায়িত। সরকারের সিনিয়র সচিব/ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব ও সহকারী সচিব পদসমূহে ক্যাডার কর্মকর্তাগণের নিয়োগ ও পদোন্নতি ‘সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, সরকারের পদনামসূহ বিধি বর্হিভূতভাবে বিভিন্ন আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/সংগঠন, অধস্তন অফিস ও সংযুক্ত দপ্তরসমূহ এবং বেসরকারি অফিসমূহে ব্যবহৃত হচ্ছে। উপরিউল্লিখিত বিধিমালা দ্বারা নিয়োগ বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত নন এমন ব্যক্তি সরকারের পদনামসূহ অনুমোদিত ব্যবহারের ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিধি বর্হিভূতভাবে বা আংশিক পরিবর্তন করে উল্লিখিত সরকারি পদনামসূহের ব্যবহার নৈতিকতা পরিপন্থি এবং ‘দণ্ডবিধি-১৮৬০’ ও ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরিপত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা প্রদান করে যে, মন্ত্রণালয়/বিভাগের অধীন অফিসগুলোতে পদনাম ও পদবি সৃজনের ক্ষেত্রে সরকারি পদনাম ও পদবি ‘সহকারী সচিব’, ‘উপসচিব’, ‘যুগ্মসচিব’, ‘অতিরিক্ত সচিব’, ‘সচিব’, ও ‘সিনিয়র সচিব’ যেন ব্যবহৃত না হয় এবং ইতোপূর্বে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ত্রুটি/বিভ্রান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সরকারের মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সংযুক্ত দপ্তর ও অধীন অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্ব স্ব সাংগঠনিক কাঠামোতে অনুমোদিত পদনাম ও পদবি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিকভাবে তাদের দাপ্তরিক সিলমোহর, নেমকার্ড, নেমপ্লেট, নথি এবং ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে।

রাষ্ট্রীয়/জাতীয় অনুষ্ঠানসমূহে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত কর্মকর্তাদের তালিকা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরিপত্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও জানতে চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বিটিআরসি, বিআইডব্লিউটিএ, শিপিং করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সংস্থায় সরকারির পদনামগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা ক্যাডার সার্ভিসের কেউ নন, অথচ তাদের পদনাম ব্যবহার নিয়ে ব্রিবত হতে হয় সরকারি কর্মকর্তাদের। আর যারা এসব সংস্থায় ‘সচিব’ পদে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ পান তারা উপসচিব বা তার নিচের পদের।

বিটিআরসিতে কমিশনের যে সচিব আছেন তিনি উপসচিব পদমর্যাদার ক্যাডার সার্ভিসের সরকারি কর্মকর্তা। অপরদিকে ইউজিসিতে যে সচিব তিনি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তা নন। সরকারের একজন সচিব বা অতিরিক্ত সচিব কিংবা যুগ্মসচিব কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সচিবরাও নিজেদের পরিচয় দিলে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

এসব জটিলতার কারণেই পদনাম সংশোধন বা ব্যবহার না করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাংলানিউজ

প্রেমিকার লাশ ফেলে পালানোর সময় প্রেমিক আটক!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের পাশে প্রেমিকার লাশ ফেলে পালানোর সময় ঘাতক প্রেমিককে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারসহ আটক অনিককে নিয়ে গেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত জোনাকী (২১) উপজেলা সদরের রঘু চৌধুরী পাড়া গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে ও কুতুবখানী গ্রামের অপু মিয়ার স্ত্রী। তার তন্নী নামে আড়াই বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৬ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। আটক প্রেমিকের নাম অনিক পান্ডে (৩১)। তিনি একই উপজেলার কাষ্টগড় গ্রামের মৃত মৃনাল ওরফে মানিক পান্ডের ছেলে।

নিহতের মা হেনা বেগম জানান, প্রায় দেড়মাস আগে স্বামী ও পুত্র সন্তানকে রেখে কন্যা সন্তানসহ জোনাকী প্রেমিক অনিক পান্ডের সঙ্গে পালিয়ে যায়। শনিবার বিকেলে অনিক ফোন করে জানায় জোনাকী সিলিং ফ্যানের আঘাতে মারা গেছে। সে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ পাঠাচ্ছে।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা দেখে যে একটি ছোট মেয়ের পাশে একজন নারীর লাশ পড়ে রয়েছে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক লাশ রেখে চলে যায়। অভিযুক্ত অনিক পান্ডে রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাল পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহতের মা বলেন, সে (অনিক) আমার মেয়ের ও তার সন্তানদের জীবন নষ্ট করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

বানিয়াচং থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযুক্ত অনিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জাগো নিউজ

রোববার ফিরতে পারেন সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ দিয়ে অবশেষে কেটে গেছে নিম্নচাপের প্রভাব। নামিয়ে ফেলা হয়েছে সংকেতও। তবে বৈরী আবহাওয়া এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এরপরও রোববার ট্রলার চলাচল শুরু হলে কক্সবাজার কূলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদের। এমনটি জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর দেখানো সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। গত তিনদিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতও থেমেছে। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। অল্পসময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। রোববারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে সংকেত না থাকলেও সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

এদিকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে দুই শতাধিক পর্যটক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়লেও তারা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

একই কথা বলেছেন, সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারেক মাহমুদ। তার মতে, সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে নজরদারি রেখেছে প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল্লাহ বলেন, পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপের মেহমান। আগত পর্যটকদের যেকোনো অসুবিধায় দ্বীপবাসী এগিয়ে এসে দেখভাল করেন। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি।

বৈরী আবহাওয়ার জন্য আটকেপড়া নারায়ণগঞ্জের পর্যটক ইব্রাহিম রায়হান বলেন, প্রশাসনিক দেখভাল এবং স্থানীয়দের আতিথেয়তায় বৈরী আবহাওয়া কেন্দ্রিক আতঙ্কের কোনো ছাপই আমাদের মাঝে ছিল না। সামুদ্রিক সতর্ক সংকেতের বিষয়টি আমাদের মাঝে চিন্তার রেখাপাত করেনি। সময়মতো ফিরতে পারিনি বলে কাজের ব্যাঘাতের বিষয়টি মাথায় এসেছে। এখন রোববার কূলে ফিরে কাজে যোগদানের তাড়া করব।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সেখানে আটকে থাকা পর্যটকরা কক্সবাজার কূলে ফিরে আসতে পারেননি।

তিনি জানান, আটকেপড়া পর্যটকদের প্রশাসনিক তদারকিতে নিরাপদে রাখা হয়। এখন সংকেত উঠে গেছে। জাহাজ চলাচল শুরু হলে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে নিরাপদে কূলে ফেরা পর্যন্ত দেখভাল করতে সেন্টমার্টিন পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাগো নিউজ

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত রফিক-উল হক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্ত্রী ফরিদা হকের কবরের পাশে সামহিত করা হয়েছে তাকে। দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির সামনে শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জানাজা শেষে মরদেহ বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। পরে সেখানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে ঢাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদে ব্যারিস্টার রফিকের প্রথম জানাজার পর মরদেহ পল্টনের বাড়িতে নেয়া হয়।

সেখান থেকে মরদেহে নেয়া হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। বাদ জোহর সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ নেয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সুপ্রিম কোর্টে তার তৃতীয় ও সর্বশেষ জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরুসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, আইনজীবীরা অংশ নেন।

জানাজা শেষে রফিকুল ইসলামের কফিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতি, সুপ্রিম কোর্ট বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরম, আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। এরপর বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় গত ১৫ অক্টোবর ঢাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। এর মধ্যে তার স্ট্রোকও হয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবর থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। বাবা মুমিন-উল হক পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। তার বাল্যকাল কেটেছে কলকাতায়। পড়াশোনা করেছেন চেতলা স্কুলে। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ১৯৫১ সালে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৫৮ সালে এলএলবি করেন। এরপর ১৯৬০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি।

ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৬২ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ সালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এছাড়া রফিকুল হক ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল ও বার কাউন্সিল ইলেকশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয় তাকে। তখনই তিনি পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও প্রতিনিধিত্ব করেন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করে আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। ব্যারিস্টার রফিক বিভিন্ন সময় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সমাজ ও মানবতার সেবায় তিনি ছিলেন সবসময়ই উদারহস্ত। মসজিদ মাদরাসা ও হাসপাতাল যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজ-মানবতার সেবায়। ১৯৯৫ সালে রফিক-উল হক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সুবর্ণ ক্লিনিক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা ছিল তার। আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ২৫টিরও বেশি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি।

নুসরাত হত্যা : ফাঁসির রায় কার্যকর চান স্বজনরা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় প্রকাশের এক বছর পূর্ণ হলো আজ (২৪ অক্টোবর)।

গত বছরের এ দিনে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ বহুল আলোচিত এ মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। তবে বিচারিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এখন তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে দীর্ঘ এক বছরেও রায় কার্যকর না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নুসরাতের স্বজনরা।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এখনও পুলিশ ওই বাড়িতে পাহারা বসিয়ে নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন। বাড়িতে এখনও চাঞ্চল্য ফেরেনি। এখনও নুসরাতের বাবা, মা ও দুই ভাই তার স্মৃতিরোমন্থন করে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।

মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আমরা বিচারিক আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে। ঘাপটি মেরে থাকা অপরাধীদের জন্য এটি হবে একটি নিদর্শন। রায়ের এক বছর পরও সাজা কার্যকর না হওয়া অপ্রত্যাশিত।’ জরুরিভিত্তিতে উচ্চ আদালতের আপিল শুনানি শেষে দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবি নুসরাতের বড় ভাইয়ের।

অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে থানায় করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে ডেকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে নুসরাতকে হত্যার চেষ্টা করেন তার সহপাঠীরা। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সেখানে পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তোলে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

nusrat-3.jpg

অপরদিকে, নুসরাত জাহান রাফি শ্লীলতাহানির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের ঘটনায় তৎকালীন সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

নুসরাতের পরিবারের সদস্য, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার দ্বারা যৌন নিপিড়নের শিকার হন নুসরাত জাহান রাফি। ওই ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। একই দিন পুলিশ সিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ওই মামলা তুলে নিতে অধ্যক্ষের অনুসারী ও সহপাঠীরা নুসরাত এবং তার পরিবারের সদস্যদের চাপ দিতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আসামিরা সিরাজের সঙ্গে কারাগারে এসে পরামর্শ করেন। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল মাদরাসার ছাত্রাবাসে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা নেন তারা।

৬ এপ্রিল নুসরাত আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় গেলে সহপাঠীরা তাকে সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নুসরাতকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হলে নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান নুসরাত।

এ মামলার প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ১৬ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন। ২০১৯ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠন করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পরে ৬১ কার্যদিবসের মধ্যে ৮৭ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২৪ অক্টোবর সকল আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন বিচারক মামুনুর রশীদ। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও মাদরাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।

nusrat-3.jpg

নিম্ন আদালতে রায়ের পর প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ, নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসাইন ও উম্মে সুলতানা পপি খালাস চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এখন আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু জানান, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে পৌঁছেছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। সে অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক (মামলার যাবতীয় নথি) ছাপানো শেষ করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শুনানির জন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হয়। আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি আরও জানান, বিচারপতি হাসান ইমাম ও সৌমেন্দ্র সরকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ মামলার শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতি কেটে গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি হবে।

এদিকে নুসরাতের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। জাগো নিউজ

সাতকানিয়ায় অতিরিক্ত মদপানে এক ব্যক্তির মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ার বাজালিয়ায় অতিরিক্ত মদপানে ওসমান প্রকাশ কানা ওসমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়নের বড়দুয়ারা হলুদিয়া এলাকায় সড়কের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি উত্তর বাজালিয়া ৬নং ওয়ার্ডের মৃত গুনু মিয়ার পুত্র।

স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত ওসমানের নামে থানায় একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ারা রয়েছে।

বাড়ছে কিশোর অপরাধ, অভিভাবকরা চিন্তিত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : যে কিশোরদের ওপর ভর করে একটি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের চিন্তা করা হচ্ছে, যারা বড় হয়ে একসময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, সেই কিশোররাই আজ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। চুরি, হত্যা, ছিনতাই সংঘর্ষসহ নানান ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তাদের অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও বেড়ে চলেছে কিশোর অপরাধের মাত্রা।  

জেলায় গত এক বছরে নানান অপরাধের দায়ে মামলা হয়েছে ৪১ জন কিশোর-কিশোরীর বিরুদ্ধে। এ সব মামলায় অনেকে পলাতক থাকলেও অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীরা জামিনে রয়েছে। আবার অনেককেই পাঠানো হয়েছে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসনের অভাবের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, মাদকের কালোছায়া, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার অভাব, অর্থনৈতিক সংকট, ভার্চ্যুয়াল জগতের নেশায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠার কারণেই এ ধরনের অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

তাদের মতে কিশোর অপরাধ বাড়ার পেছনে বড় ভাই নামক গ্যাং লিডাররা অনেকটা দায়ী। এসব বড় ভাইয়েরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে কিশোরদের ব্যবহার করছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে। উঠতি বয়সের এসব তরুণ হঠাৎ ক্ষমতার সংস্পর্শে এসে অনেকটা বেপোরোয়া হয়ে ওঠে।

জেলা পুলিশের তথ্য মতে, গত এক বছরে জেলায় হত্যা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ৪১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১১টি, কসবা থানায় সাতটি, নবীনগর থানায় পাঁচটি, নাসিরনগর থানায় দুইটি, সরাইল থানায় সাতটি, বিজয়নগর থানায় সাতটি ও আখাউড়া থানায় দুইটি। এসব অপরাধে ৩১ জন কিশোর জামিনে আছে। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রয়েছে ছয় জন।  

এদের মধ্যে একজন কিশোর রায়হান (১৫)। ২০২০ সালের ২৫ শে মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামে তিন বছরের এক শিশুকে ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

এদিকে একই উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি গ্রামে ১৪ বছর বয়সের কিশোর সুমন প্রতিবেশী আট বছরের এক শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অপর এক কিশোরী তানিয়া (১৫)। পারিবারিক কলহের জেরে খুন করে নিজ মাকে। গেল ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর নিজ ঘরেই বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মাকে। ঘটনার শুরুতে বিষয়টি আত্মহত্যা মনে হলেও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে কিশোরীর হাতে মায়ের হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর বিষয়টি।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ধর্মজিৎ সিংহের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রয়েছে। মূলত ছেলে হারানো মায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণে বিরক্ত হয়েই তানিয়া তার মাকে হত্যা করে।

জেলা শহরের দাতিয়ারা এলাকার বাসিন্দা মোমেনুর রহমান। গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে শহর থেকে বাসায় যাওয়ার সময় তিন জন কিশোর ছেলে তাকে রাস্তায় আটক করে। পরে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার দিলে র‍্যাবের টহল গাড়ি এসে পড়ায় তাদের আটক করে ফেলে। তাদের কাছ থেকে চাকু ও সীমবিহীন মোবাইলসহ নগদ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করে। পরে সদর মডেল থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মোমেনুর রহমান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

একাধিক অভিভাবক জানান, যে হারে কিশোর অপরাধ বাড়ছে তা মূলত সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। বিশেষ করে সন্তানরা যখন বাড়ির বাহিরে যায় মনের ভেতরে তখন একটা অজানা আতঙ্ক কাজ করে। কারণ কিশোররা অপরিণত বয়সের হওয়ায় যেকোনো প্রলোভনে কিছু না বুঝেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এক শ্রেণীর মানুষ এসব কোমলমতি কিশোরদের দিয়ে বিভিন্ন অন্যায় কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। এতে করে কিশোররা অনেকটা অজান্তে অন্ধকার জগতে চলে যায়। কিশোর অপরাধ প্রতিহত করতে হলে- প্রথমে কিশোর অপরাধ কেন হচ্ছে? কারা এর জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করতে হবে। এবং প্রকৃত দায়ীদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা গেলে কিশোর অপরাধ কমে আসবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। তাদের ব্যবহার করছে এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ ও মাদক ব্যবসায়ী। উঠতি বয়সের কিশোরদের দিয়ে কৌশলে মাদক বিক্রি করাচ্ছে। বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বড় ভাইদের দ্বারা লালিত পালিত হচ্ছে তারা। তাদের তালিকা তৈরি করে নজরদারিতে আনা উচিত।

সচেতন নাগরিক কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি আব্দুন নূর বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ও স্মার্টফোন এখন কিশোর কিশোরীদের বিপথগামী হওয়ার একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিকভাবে তেমন একটা নজরদারি করা হচ্ছে না। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ক্রিয়া ক্লাব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নাই। ফলে সব কিশোর- কিশোরীরা মোবাইলের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিশোর অপরাধের তিনটি দিক রয়েছে সামাজিক, মনস্তাত্তিক ও আইনগত। এ ঘটনাগুলো বাড়ার পেছনে যে দৃষ্টিভঙ্গিগুলো লক্ষ্য করা যায় তা হল কিশোর অপরাধের যথাযথ বিচার হচ্ছে না। আইনের যে বিধান রয়েছে তা সঠিক প্রয়োগ করা হচ্ছে না। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে তাড়া দায়িত্ব পালন করছে না। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে এইসব কিশোরদের মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করছে। এ সব সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে খেলাধুলার চর্চা বাড়িয়ে তোলা, সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে কিশোর-কিশোরীদের আকৃষ্ট করা যায় তাহলে তারা বিপৎগামীতার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করি।  

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, কিশোররা যদি অপরাধে জড়িয়ে যায় সমাজের বড় একটা অংশ অপরাধ প্রবণ হয়ে ওঠে। আমরা কিশোর অপরাধগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকার অপরাধী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।  

তিনি আরো বলেন, আইনের পাশাপাশি পারিবারিক অনুশাসন বাড়িয়ে সবাই সম্মিলিত চেষ্টা চালালে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব।  বাংলানিউজ

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক এ অ্যাটর্নি জেনারেল। কিন্তু গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপরে দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিকের পরিমাণ কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনও আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে গত ৩ বছর ধরে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেননি। বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির জীবনের শেষ সময়গুলোর বেশিরভাগই কেটেছে বিছানায় শুয়ে। চলাফেরা করতেন হুইল চেয়ারে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।

তিনি ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন তিনি। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় পার করেছেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন। বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই নেত্রী যখন কারাগারে তখন তাদের জন্য অকুতোভয়ে আইনি লড়াই করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে দুই নেত্রীর সমালোচনা করতেও পিছপা হননি তিনি। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

সাতকানিয়ায় চোরের রডের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় মোটরসাইকেল চোরের রডের আঘাতে প্রাণ গেল শফিকুল ইসলাম মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের। শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৫টায় কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের উপজেলার আমতল সত্যপীরের দরগাহ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সংঘবদ্ধ চোরের দল মোটরসাইকেল চুরি করে কেরানীহাটের দিকে নিয়ে যাছিল। এ সময় লোকজন টের পেয়ে চোরের দলকে ধাওয়া করে দুজনকে ঘটনাস্থলে আটক করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে পেছন থেকে চোরের দলের অন্য সদস্যরা এসে লোহার রড দিয়ে শফিকুল ইসলামকে সজোরে আঘাত করে। এতে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শফিকুল ইসলামের নিকটাত্মীয় সোলায়মান বাবুল জানান, প্রথমেই চোরকে ধরার সময় শফিকুলের ছোট ভাই সবুজ সেখানে উপস্থিত ছিল। সবুজের ডাকে শফিকুল ইসলাম মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। আটক চোরের দলের সদস্যদের চিনে ফেলার কারণে মূলত তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। মোটরসাইকেল চুরি ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।