- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে

নিউজ ডেক্স : রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সব দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময়মতো এবং একই সঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারিগরি জ্ঞান ও মেধাস্বত্ব প্রদান করা হলে, এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। মহামারি নিরসনে আমাদের উদ্যোগ এবং এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি। প্রযুক্তিগত বিভাজন নিরসন, সম্পদ আহরণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল এবং সদ্য উত্তরিত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য এই আপদকালীন, উত্তরণকাল ও উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বর্ধিত আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী শ্রমিকরা স্বাগতিক ও নিজ দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে চলেছেন। এই মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। অনেককে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা বাবদ ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। তবে কোভিড-পরবর্তী সময়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিদ্যমান সমস্যাসমূহ প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে। এই সংকটকালেও আমাদের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা লিঙ্গবৈষম্য সামগ্রিকভাবে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ কমিয়ে এনেছি। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের মূলে রয়েছে নারীদের অবদান। মহামারি মোকাবিলাসহ সকল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নারীরা সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আমরা শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বর্তমান সভাপতি হিসেবে আমরা শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া কোভিড সংক্রান্ত সমস্যা যাতে শিশুদের সামগ্রিক সমস্যায় পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’, এই নীতিবাক্য আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র। এ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণে নিয়মিত অবদান রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, মহামারিকালে অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের মতো বিষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এ বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে পারি। শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সংঘাতপ্রবণ দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে আমাদের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যতম দায়িত্ব।

jagonews24

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তির প্রতি অবিচল থেকে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। মহামারির ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী বিনির্মাণে বৈশ্বিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অবিচল। সে বিবেচনা থেকে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের কার্যক্রমকে আমরা জোর সমর্থন জানাই।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙালি জাতি অবর্ণনীয় দুর্দশা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মতো জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে। সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছি। বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় প্রদান করেছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ আরও প্রকট হয়েছে। এ মহামারি আমাদের উপলদ্ধি করতে বাধ্য করেছে যে, এ সংকট উত্তরণে বহুপাক্ষিকতাবাদের বিকল্প নেই। জাতিসংঘের ৭৫তম বছর পূর্তিতে জাতিসংঘ সনদে অন্তর্নিহিত বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে বহু প্রতিকূলতার মধ্যেও বহুপাক্ষিকতাবাদের আদর্শ সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সে সোনার বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত- যেখানে সবার মানবাধিকার নিশ্চিত হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে জাতি ও বিশ্বের নিকট এটিই আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার। জাগো নিউজ

চন্দনাইশে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫ বছরের) এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক আবু সায়েম মো. নাঈম প্রকাশ বাবু (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষককে আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, উপজেলার বরকল কানাইমাদারী এলাকায় আবু তাহেরের ছেলে আবু সায়েম মো. নাঈম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার চামুদরিয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ঐ কিশোরীকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়।

সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে রেখে আবু সায়েম তাকে ধর্ষণ করে। পরে একইদিন সন্ধ্যায় তাকে উপজেলার বরকল ব্রিজ এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। ঐদিন রাতে ধর্ষিতা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়।

ধর্ষিতার বর্ণনা মতে ঐদিন সন্ধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবু সায়েম মো. নাঈম প্রকাশ বাবুকে আসামী করে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ঐ মামলার সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “ভিকটিম কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।”

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক আবু সায়েমকে আজ শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।” দৈনিক আজাদী

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সনদ নেয়া ৩২ জনকে রেখে গেল সাউদিয়া

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষা করিয়ে কোভিড-নেগেটিভ সনদ নেয়া ৩২ জনকে বোর্ডিং পাস দেয়নি সাউদিয়া (সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স)। তাদের রেখেই ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে সৌদির উদ্দেশে রওনা হয়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে এসভি-৩৮০৭ ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায়।

ফ্লাইট মিস করা এক যাত্রী বলেন, টিকিট সংগ্রহের সময় বলা হয়নি যে মহাখালী করোনা পরীক্ষা সেন্টার থেকে পরীক্ষা করতে হবে। তাই আমি এনাম মেডিকেল সেন্টার থেকে করোনা পরীক্ষা করাই। এখন এসে শুনি আমাদের যেতে দেবে না। এদিকে ফ্লাইট চলে গেলেও ৩২ জন বিমানবন্দরের ভেতরেই আছেন। জাগো নিউজ

মহামারিতে চরম দারিদ্র্য ফিরছে কোটি মানুষের ঘরে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,সাহিত্য পাতা | No Comments

নিউজ ডেক্স : গত জুনেই বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছিল, লকডাউন ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে চলতি বছর বিশ্বের সাত থেকে ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হবেন। মহামারি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর কারণে গত তিন বছরের অগ্রগতি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

এবারের অর্থনৈতিক মন্দার আঘাত কিছু দেশের জন্য আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। ১৯৯০ সালে বিশ্বজুড়ে চরম দরিদ্র মানুষ ছিল ২০০ কোটির মতো, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল ৬৩ কোটিতে, যা মোট জনসংখ্যার আট শতাংশ মাত্র। এসব চরম দরিদ্র লোকের বেশিরভাগই আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে এবারের মহামারিতে চরম দরিদ্র্য হতে যাওয়া অর্ধেকের বেশি মানুষই দক্ষিণ এশিয়ার।

জাতিসংঘের হিসাব আরও বেশি মন খারাপ করা। তাদের মতে, যাদের বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত খাবার নেই, সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তারাই দরিদ্র। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এক যৌথ গবেষণা শেষে তারা জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে ৭০টি দেশের ৪৯ কোটি মানুষ দরিদ্র হচ্ছেন। এর কারণে বিশ্ব অন্তত এক দশক পিছিয়ে যাবে।

jagonews24

আগের যেকোনও মন্দার তুলনায় এবারের সংকটে অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে অনেক বেশি। এতে ভুক্তভোগীদের সামনে জীবিকা নির্বাহের জন্য খুব বেশি পথ থাকছে না। প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি হারিয়ে অনেকেই রিকশা চালাচ্ছেন, জুতা পালিশ করছেন, নাহয় ময়লা পরিষ্কার করছেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেইে আঘাত হেনেছে করোনা।

বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, মহামারির কারণে বিদেশে কর্মরত অনেকেই আগের মতো অর্থ পাঠাতে পারছেন। ফলে চলতি বছর প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

jagonews24

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সম্ভবত জীবিকার জন্য শহরনির্ভর মানুষেরা। উপায় না পেয়ে অনেকেই গ্রামে ফিরে গেছেন। সেখানে কাজ খুব বেশি না থাকলেও জীবনধারণের খরচ অন্তত কম। সরকারি হিসাবে, ভারতের অন্তত এক কোটি মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছেন। লকডাউনের কারণে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা থেকে ৪০ শতাংশ বাইকচালক গ্রামে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে সেফবোডা নামে একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ।

সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় লকডাউন আবারও আসবে না বা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরোনো গতি কবে ফিরবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা না থাকায় মানুষজনের শহরে ফেরার আগ্রহ এখনও কম। তার ওপর অনেক শহরেই নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। সেখানে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না কেউই। সব মিলিয়ে ভয়াবহ এক অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছেন নতুন দরিদ্ররা। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

লোহাগাড়ার তিন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের প্রার্থীতা বাতিল

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন রোমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঋণ খেলাপীর দায়ে আমিরাবাদ ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ইউনুচ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক পেয়ারু, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. সাহাব উদ্দিন, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. আবুল কাশেম এবং মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর না থাকায় লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আব্দুল মান্নান, আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শাহ আলম ও আধুনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফরিদুল আলমের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে ঋণ খেলাপী ও মনোনয়ন ফরমে ত্রুটি থাকায় ৭ জনের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে আপিল করে প্রার্থীতা বৈধ প্রমাণিত করতে পারলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

জানা যায়, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৪ জন. আমিরাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৫ জন, আধুনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জনসহ মোট ১৮৭ জন মনোয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, লোহাগাড়ার ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ৪ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আমিরাবাদ ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৯৪৩ জন, আধুনগর ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৫৫৬ ও লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে ২৩ হাজার ১৬৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জোরালো হচ্ছে ‘বয়সসীমা’ বাড়ানোর দাবি, সরকার নির্বিকার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সর্বশেষ ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়। এরপর অবসরের বয়স বাড়ানো হলেও প্রবেশের বয়স আর বাড়েনি। বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, সেশনজট, নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

এমনই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে জোরদার আন্দোলনে যাচ্ছে সংগঠনগুলো। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।

জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়। গত সরকারের শেষ সময়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি হারিয়ে যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স বাড়ানোর কোনো চিন্তা সরকারের নেই।

আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে সবকিছুর মতো তাদের আন্দোলনেও স্থবিরতা নেমে ছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে ফের আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। পরিষদের নেতারা জানান, শিগগিরই তারা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী জোরদার আন্দোলনের ডাক দেবেন।

একসময় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ২৫ বছর আর অবসরের বয়স ছিল ৫৫ বছর। স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর দিক থেকে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ২৭ বছর আর অবসরের বয়স ৫৭ বছর করা হয়। ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৩০-এ উন্নীত করা হয়। ২০১২ সালে দুই বছর বাড়িয়ে অবসরের বয়স ৫৯ বছর করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর।

গত ডিসেম্বরে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা- বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ (৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ) পুরোপুরি বেকার৷

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ কর্মহীন ও চাকরিহীন হয়েছেন। একইসঙ্গে কমেছে চাকরির সার্কুলার ও আবেদনের হার। বাংলাদেশে ২০১৯ সালের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে অনলাইনে চাকরির সার্কুলারের হার কমেছে ৮৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি চাকরির সার্কুলার কমেছে পোশাক ও শিক্ষা খাতে। সার্কুলার কমলেও খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে এনজিও।

jagonews24

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। পরিষদের সভাপতি সোনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি সমস্যা হলো সেশনজট। লেখাপড়া শেষ করতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী মোটামুটি চার বছরের সেশনজটে পড়েন। যেখানে ২৪ বছর বয়সে মাস্টার্স শেষ করার কথা, সেখানে ২৮ বছর লেগে যায়। থাকে আর দুই বছর। দুই বছর পরই আমাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৭ বছর অর্থ, শ্রম ও সময় দিয়ে লেখাপড়ার দুই বছর পর আমার শিক্ষাগত সনদ ইনভ্যালিড হয়ে যায়। ৩০ বছর পার হওয়ার পর লেখাপড়া শিখেও আমি একজন অশিক্ষিত মানুষের মতো হয়ে যাই সরকারের কাছে। শিক্ষাই জতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত হয়ে ৩০ বছর পর আমি মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাচ্ছি।’

‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সেশনজট নেই, এটা ভুল কথা। এখনও সেশনজটের জন্য সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।’

jagonews24
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

পাশের কোনো দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর নেই— দাবি করে সোনিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ভারতে করোনাকালে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৮ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে। করোনার কারণে বাড়ানো হলেও এটা স্থায়ীভাবেই করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে বেকার সমস্যা আরও বাড়বে। যখন ২৭ থেকে ৩০ করা হয়েছিল তখন কি সমস্যা হয়েছিল? বয়সসীমা বাড়ানো হলে, সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলেও ২/১ বছর পর তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে কমপক্ষে ৩৫ করার দাবি জানিয়ে পরিষদের সভাপতি বলেন, দেশে ৩০ লাখ বেকার রয়েছে। আমরা দাবি আদায়ে অহিংস আন্দোলন করে আসছি। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মশাল মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, রিকশা মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আগামীতে আমরা জোরদার আন্দোলনে যাব।’

jagonews24

‘পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা একটা সংবাদ সম্মেলন করে সময় বেধে দেব। দাবি পূরণ না হলে ৬৪ জেলায় আন্দোলনের ডাক দেব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করেই যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তিন-তিনবার সুপারিশ করে। আমরা মনে করি, আমলাদের অনাগ্রহের কারণে চাকরিতে বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি আটকে আছে।’

ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খান রাসেল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির জন্য আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি একটু বিঘ্নিত হচ্ছে। শিগগিরই আমরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাব।’

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছরের দাবিটি খুবই যৌক্তিক। সরকারি চাকরির সার্কুলার দেয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাকরিতে প্রবেশে প্রায় ৩/৪ বছর লেগে যায়। সবাই কমপক্ষে চার বছরের সেশনজটে পড়েন। আমি এক বছরের মাস্টার্স ২৬ মাসে শেষ করেছি। চার বছরের অনার্স করেছি পৌনে সাত বছরে। পৃথিবীর কোনো দেশেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছরের কম নয়। আমাদের তো গড় আয়ু বেড়েছে।’

jagonews24

‘কিন্তু সরকার আমাদের দাবি কানেই তুলছে না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি বলে মনে হয় যৌক্তিক দাবি আমলে নিচ্ছে না’ বলেন খান রাসেল।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো চিন্তা সরকারের নেই। প্রধানমন্ত্রী একেবারে ডাটা ধরে বলেছেন, ৩০ বছরের বয়সী যারা বিসিএস দেয়, এক শতাংশেরও নিচে তারা চান্স পায়।’

‘তবে কোভিডের কারণে ছাড়পত্র নেয়ার পরও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি কোনো কোনো সরকারি দফতর। এর মধ্যে অনেকের বয়সও ৩০ পেরিয়ে গেছে। তাই আমরা বলেছি, ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ ছিল, নতুন (আগেই ছাড় দেয়া) বিজ্ঞপ্তি যখনই প্রকাশিত হবে তখন তারাও আবেদন করতে পারবেন। বয়সের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন। আমরা ব্যাখ্যা দিয়েছি, ২৩ থেকে ২৪ বছরে মাস্টার্স পাস হয়ে যায়। সে মিনিমান ছয় বছর সময় পায় (চাকরি নেয়ার জন্য)। কোভিডের আগে কোনো জায়গাতেই কোনো সেশনজট ছিল না।’

jagonews24

২০১৮ সালের ২০ আগস্ট তখনকার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এন্ট্রিটা (চাকরিতে প্রবেশের বয়স) বাড়তে পারে, আশা করছি। খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবেন।’

সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা পুনর্বিন্যাসের সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি মনে করেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ কিংবা ৪০ বছর করা যেতে পারে। এছাড়া অবসরের বয়সও ৬৫ করা যেতে পারে। জাগো নিউজ

এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর শাহপরাণ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। শাহপরাণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারেক আহমদ ও অর্জুন। এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী এবং ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

অভিযুক্তদের গ্রেফতারে রাতভর অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানের রুম থেকে বেশ কিছু দেশীও ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে দীর্ঘদিন এমসি কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় অভিযুক্তদের কোনো পদ-পদবি নেই। কিন্তু কলেজের রাজনীতিতে তারা সক্রিয় ছিলেন। তারা মূলত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী। গণধর্ষণে অভিযুক্তরা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন বলেও জানা গেছে। একাধিক অনুষ্ঠানে রঞ্জিত সরকার ও ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তাদের ছবি রয়েছে।

এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তবে সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার এক দম্পতি। এ সময় স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে সাইফুর রহমান ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ কর্মীরা পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান। পরে স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল, তারেক, রনি, সাইফুর, মাহফুজ এবং অর্জুন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১০টার দিকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। জাগো নিউজ

তথ্য মিলেছে আরও জাল এনআইডি’র

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : যেন ‘কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ’ বের হওয়ার মতো অবস্থা। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরিতে বড় ধরনের জালিয়াতির তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জাল এনআইডি তৈরি করে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন, ঋণের জন্য আবেদন— এমন ৩০টির বেশি এনআইডি’র ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডিবি পুলিশ।

তারা বলছে, ব্যাংক ঋণ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) প্রতিবেদন লাগে। জাল এনআইডি’র বিপরীতে ঋণ নেয়া এবং ঋণের জন্য আবেদন করেছেন এমন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদন পেতে গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতে আবেদন করেছেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টদের দাবি, জাল এনআইডি’তে ঋণ নিয়েছেন এমন কয়েকজনকে শনাক্ত এবং নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঋণপ্রাপ্তিতে সহযোগিতাকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদের তালিকা করা হয়েছে। সিআইবি প্রতিবেদন পেলে উঠে আসবে কোন ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা, কীভাবে ঋণ প্রদান করেছেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনে সহায়তাকারী প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।

facknid0
এনআইডি জালিয়াত চক্রের পাঁচ সদস্য

গ্রেফতার চক্রের অন্যতম প্রধান হলেন সুমন পারভেজ (৪০) ও মো. মজিদ (৪২)। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সবুজবাগ এলাকার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), গুলশান এলাকার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও একাধিক ব্যাংকে চাকরি করা সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)ও এ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের মধ্যে মজিদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর, আনোয়ারুল ইসলাম ও সুমন পারভেজকে আরও দুদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি জাল এনআইডিসহ রাজধানীর দারুসসালাম থেকে মহিউদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিউদ্দিন জানান, একটি জাল এনআইডি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি একটি ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকার ঋণ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাকেও জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তিন উপায়ে জাল এনআইডির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনের কাজ করে জালিয়াত চক্র। প্রথমে তারা ঋণ পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে তাদের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত পরিচিতি এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ক্লাইন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তি করে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে ব্যাংকেরই কিছু সেলস এক্সিকিউটিভ। এরপর মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল এনআইডি তৈরি করে। পরে ব্যাংকেরই অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঋণ পাস করিয়ে নেয়। সিআইবি রিপোর্ট যাদের খারাপ, তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন ব্যাংকেরই কিছু সেলস এক্সিকিউটিভ।

facknid0
উদ্ধার হওয়া জাল এনআইডি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যাংকে কেউ ঋণখেলাপি হলে তাদের সিআইবি রিপোর্ট খারাপ হয়। তারা পুনরায় ব্যাংকে লোন আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেফতার চক্রের অন্যতম সদস্য সুমন ও মজিদ লোন পাস করিয়ে দেবে মর্মে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে লোন পাস হলে মোট লোনের ১০ শতাংশ হারে দিতে হবে মর্মে চুক্তি করেন। চুক্তিতে একমত হলে তারা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। পরে লোন পাস হলে চুক্তি অনুযায়ী লোনের সম্পূর্ণ টাকার ১০ শতাংশ হারে গ্রহণ করেন।’

‘জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের অপর দুই সহযোগী ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও-সবুজবাগে সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর এবং গুলশান অফিসে আনোয়ারুল ইসলাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের সুবাদে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতেন। প্রতিটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করতেন তারা।’

যে প্রক্রিয়ায় জাল এনআইডি তৈরি : তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাছে ইসির সার্ভারের একসেস দেয়া থাকে। সেই সুযোগে নির্বাচন কমিশন অফিসে ফরম-২ নামে একটি ফরম প্রথমে ফিলআপ করে নিয়ে যেত প্রতারক মজিদ ও সুমন। সেখানে অনেক তথ্যের সঙ্গে থাকত সিগনেচার এবং আর কোনো এনআইডি নেই এমন ডিকলারেশন। সেসব সম্পন্ন করে ওই ফর্ম যায় থানা নির্বাচন কমিশন অফিসে।

facknid0

এ ব্যাপারে মধুসূদন দাস বলেন, মিথ্যা তথ্যের বিষয়টি জেনেও ঋণ পেতে আগ্রহীদের আগের এনআইডি, বিদ্যুৎ বিল ও জন্মনিবন্ধনের কপির তথ্য দিয়ে সার্ভারে প্রবেশ করেন তারা। নতুন নম্বরে ওই ভুয়া এনআইডি এন্ট্রি করতেন। তবে এসব সার্ভারে আপলোড দিতেন থানা নির্বাচন অফিসার।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এই জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এনআইডি শাখার আইটি এক্সপার্টরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তথ্য শেয়ার করেছেন। এনআইডি জালিয়াতিতে থানা নির্বাচন অফিসারদের ভূমিকা জানতে ডিবি পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

মধুসূদন দাস বলেন, জাল এনআইডি’র বিপরীতে ঋণ নিয়েছেন এবং ঋণের জন্য আবেদন করেছেন— এমন ব্যক্তিদের তথ্যপ্রাপ্তির জন্য সিআইবি প্রতিবেদন পেতে আদালতে আবেদন করেছি। সিআইবি প্রতিবেদন পেলে জাল এনআইডি’র বিপরীতে কারা কারা এবং কী পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন বা ঋণের জন্য আবেদন করেছেন তা স্পষ্ট হবে।

জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে ইসি : এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত যে-ই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল। তিনি বলেন, এনআইডি জালিয়াতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং কোনো ফাঁকফোকরে যেন জালিয়াত চক্রের কেউ বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করেছি। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কমিটি বর্ধিত সময় চেয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জাগো নিউজ

ওমানে ভাগ্নের হাতে দুই ভাই খুন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মানের ইবরি প্রদেশে বাংলাদেশি প্রবাসী মো. জানে আলম (৪০) ও মো. হাবিব (৩৮) নামের দুই ভাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে নিজেদের দোকান কর্মচারী ও খালাতো বোনের ছেলে মো. জাবেদকে (২৭)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতদের চাচা মো. আবুল হাসেম ও চাচাতো ভাই পেয়ার মুহাম্মদ।

চাচা আবুল হাসেম জানান, নিহত দুই ভাই জানে আলম ও হাবিব পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম গোমদণ্ডী মনুপাড়ার সামশুল আলমের ছেলে। তারা ওমানের ইবরি প্রদেশে গ্রিল ওয়ার্কশপের ব্যবসা করতেন। দোকানে কর্মচারী হিসেবে খালাতো বোনের ছেলে শাকপুরার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার জহির আহমদের ছেলে মো. জাবেদকে ওমানে নিয়ে যান তারা। সেখানে জাবেদের সঙ্গে নানা কারণে মামাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন রাতে জাবেদ ঘুমন্ত অবস্থায় মো. হাবিবকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

এসময় পাশে থাকা অপর ভাই জানে আলম তা দেখে ফেলায় তাকেও আঘাত করে হত্যা করে জাবেদ। এসময় রুমে থাকা ঘুমন্ত অপর ৫/৬ জনকেও আঘাত করে পালিয়ে যায় সে। খবর পেয়ে ওমান পুলিশ রুমে থাকা ৩ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত জানে আলম ৩ কন্যা সন্তান ও হাবিব ১ ছেলে এবং ১ মেয়ে সন্তানের জনক। নিহতদের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। এদিকে এ ঘটনায় বোয়ালখালীতে নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। জানে আলম ও হাবিবের মা রুপা আকতার দুই সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন। দৈনিক আজাদী

ইকামা-ভিসা থাকলে সবাই সৌদি যেতে পারবেন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : যাদের ইকামা, ভিসা আছে, দেশে এসেছেন ছুটিতে,তাদের সবাই সৌদি আরব যেতে পারবেন, কোনো জটিলতা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল শুক্রবার ফরেন সার্ভিস একাডেমি সুগন্ধা–এর নব নির্মিত কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সৌদির টিকিট ইস্যুতে কথা বলেন মোমেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের ইকামা আছে, সৌদিতে চাকরি আছে,কিন্তু দেশে এসেছিলেন, তারা সবাই ফেরত যেতে পারবেন। ভিসা নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না। এর জন্য আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। কারও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ইকামা থাকলে তাদের আবার ভিসা দেওয়া হবে। খবর বাংলানিউজের।

সৌদি প্রবাসীদের টিকিটের ভিড় নিয়ে মোমেন বলেন, যদিও বিষয়টি দুঃখজনক, কিন্তু যারা আগে থেকে টোকেন নিয়েছিলেন, তারা তো আগেই যাবেন। পর্যায়ক্রমে সবাই যাবেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমির নতুন কমপ্লেঙ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্যে একে মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব গ্রহণের পর সবসময় শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্র্যান্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের ৫৯টি শান্তি মিশনের ৫৪টিতেই কাজ করছে বাংলাদেশ। আর এতে এক লাখ ৬৩ হাজার ১৮১ জন নারী ও পুরুষ শান্তিরক্ষী কর্মী কাজ করছেন। আজ আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের মিশনের সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করেছি। বিদেশে অবস্থানরত যারা আছেন, তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করেছি। এই ভবন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হিসেবে কাজ করেছে। আজকের যে অর্জন তার শুরুর অনেক কিছুর সাক্ষী এই সুগন্ধা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোও বক্তব্য রাখেন।