- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরনো : তথ্যমন্ত্রী

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নিউজ ডেক্স : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের যে দহরম-মহরম সেটা বহু পুরনো। এর প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক, যা প্রচণ্ড নিন্দনীয়।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন- ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিএনপিকে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। এটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন। সুতরাং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনের বাকি আরও সাড়ে তিন বছর রয়েছে।’

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা সৌদি আরবের জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর গোপন বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, দৈনিক আজাদী সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম সিইনসি প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে যখন করোনাভাইরাসে পৃথিবী স্তব্ধ, মানুষ শঙ্কিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, প্রচণ্ডভাবে উদ্বিগ্ন সেই সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। সেটির প্রকাশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক, যা প্রচণ্ড নিন্দনীয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি অতীতে ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করে যে এগোতে পারেনি তারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে সক্ষম। নাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মানুষ পর পর রায় দিয়ে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতো না। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আমাদের দল আওয়ামী লীগ মনে করে, সমালোচনা পথ চলাকে শাণিত করে। সমালোচনা কাজকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। সেজন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের বিকাশের নীতি নিয়ে আমাদের সরকার কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০। এখন বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্র সাড়ে ১২০০। তখন অনলাইন পত্রিকা ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। এখন কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৬ সালে, তিনি প্রথম যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন প্রাইভেট টেলিভিশন ছিল ১০টি। এখন ৩০টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, ৪৫টি প্রাইভেট টেলিভিশনের জন্য লাইসেন্স দেয়া আছে। এর বাইরে চারটি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু আছে। সংবাদ মাধ্যমের এই যে এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ (দ্রুত বর্ধনশীল) সেটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবাদপত্র যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু সংবাদপত্রের এমন স্বাধীনতা নেই। ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা ছিল ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। সেটি পৃথিবীর বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ছিল একসময়। সেই পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে মামলা হয়েছিল। মামলার পর তাদের ওপর বিরাট জরিমানা করেছে আদালত, সেই জরিমানা দিতে না পেরে কোম্পানি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসির পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ইউকে এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপে হরহামেশা ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে পত্রিকা এবং গণমাধ্যমকে জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে সেটি কখনও হয়নি। সংবাদপত্র এ সমস্ত কারণে বন্ধ হয়নি। সেজন্য বলছি, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।’

সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে মাত্র কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, সবগুলো সরকার নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড সরকার নিয়ন্ত্রিত। সেখানে যদি সরকারের অপছন্দনীয় কোনো কন্টেন্ট থাকে সেটা বাদ দেয়া হয়। আমাদের দেশে তা হয় না। কারণ আমরা মনে করি, স্বাধীন মতপ্রকাশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সেটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে।’

তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে গত ৬০ বছর ধরে বাঙালি জাতীয়তাবোধকে ধারণ করে, স্বাধীনতার চেতনা এবং স্বাধীনতার পূর্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দৈনিক আজাদী পত্রিকা নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। সেজন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকা নিশ্চয়ই সমাজ এবং রাষ্ট্রের ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে। এজন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকা পরিবারকে আমিও ধন্যবাদ জানাই।’

স্বাধীনতার প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দৈনিক আজাদী পত্রিকা বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে একটি। ঢাকার অনেক পত্রিকার চেয়ে দৈনিক আজাদী পত্রিকার সার্কুলেশন অনেক বেশি। এই কৃতিত্ব প্রথমত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সাহেবের, তিনি দূরদৃষ্টি নিয়ে এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে যারা এই পত্রিকার হাল ধরেছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই পত্রিকাকে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম যখন অন্য পত্রিকা ছাপেনি তখন দৈনিক আজাদী পত্রিকা ছেপেছে। সেজন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকা পরিবার গর্ব করে বলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা। আজাদী শুধুমাত্র পত্রিকা নয়, একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। একটি পত্রিকা বা একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়।’ জাগো নিউজ

ওসি প্রদীপের অপরাধ কর্মের ‘ইন্ধনদাতা’ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অপরাধ কর্মের ‘ইন্ধনদাতা’ চিহ্নিত করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেছেন কারামুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের ছোট বোন ফাতিমা খানম। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম খান মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলায় অপহরণ, ডাকাতি, জোরপূর্বক স্ট্যাম্প আদায়সহ বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ফুলের ডেইলের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও থানার দালালখ্যাত মৃত তজর মুল্লুকের ছেলে আবুল কালাম প্রকাশ আলম, হ্নীলা নয়া বাজার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মফিজ আহমদ ইকবাল প্রকাশ গুটি মফিজ, ফুলের ডেইলের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে জহিরুল ইসলাম, একই এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে দলিলুর রহমান, পানখালীর মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে সরওয়ার কামাল, ফুলের ডেইলের শরাফত আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও মৃত আবুল বশরের ছেলে র্ফিকুল ইসলাম।

মামলায় বাদী ফাতেমা খানম অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মাদকের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি প্রদীপদের সঙ্গে আতাত করে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে তার বড় ভাই সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে অস্ত্রের মুখে তুলে এনে প্রদীপের সঙ্গে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। এরপর সাজানো মামলা দিয়ে সাংবাদিক ফরিদুলকে কারাগারে পাঠানোর পর তারা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার বসতবাড়িতে ২৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকস্মিকভাবে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে।

এসময় তারা বাদীর অপর এক বোনকে রড দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে ক্ষান্ত হননি, মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দিয়ে মাটিতে ফেলে রাখে। আসামিরা ঘটনার রাতে বাদী এবং তার ছোট বোনের পাঁচ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল সেট ও বাড়ির জরুরি কাগজপত্র লুট করে।

এরপর আসামিরা বাদীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তিনশ টাকার একটি ননজুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পের শিরোভাগে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে ঘটনার বিষয়ে কাউকে বললে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে লুণ্ঠিত মালামালসহ পালিয়ে যায়।

বাদীর মতে, আসামিরা টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক ওসির দালাল, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাদী ও তার পরিবারকে নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি বড় ভাই সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কারাগারে থাকা এবং প্রশাসনিকভাবে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়।

কক্সবাজার থানা পুলিশ জানিয়েছে, সংঘঠিত ঘটনায় বিলম্ব হলেও মামলা রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তবে একটি অসমর্থিত সূত্র অভিযোগ করেছে, এসব আসামিরা বর্তমানে কক্সবাজার ও টেকনাফে নিশ্চিন্তে থানায় দালালি, মাদক ব্যবসাসহ হরেক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ থানার বতর্মান পুলিশ আদৌ তাদের ধরবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

এদিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের সুশীল সমাজ।

তারা বলেন, এদের আটক করলেই সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা ও তার পরিবারের ওপর কেন বর্বর নির্যাতন এবং এতগুলো মিথ্যা মামলা হয়েছে তার আসল রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি প্রদীপের অনেক কুকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসবে।

অপরদিকে, সদ্য কারামুক্ত সাংবাদিক ফরিদ এ ব্যাপারে জানান, ওরাসহ প্রদীপ বাহিনী আমাকে তুলে এনে ৬টি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন আমি কারাগারে ছিলাম। এরপরও মাদক ব্যবসায়ীরা আমার পরিবারের ওপর কি করেছে তা আমি দেখিনি। যাদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে তারা সে মামলা করবেই তো। আমি প্রদীপ গংদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি দ্রুত ন্যায় বিচার পাবো। জাগো নিউজ

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ২২

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে বিভিন্ন দেশের ৩৫ জনকে নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কতজন বাংলাদেশি রয়েছি সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন। ওই নৌকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা ছিলেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এপি এবং ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার জেলেরা বৃহস্পতিবার নৌকাটিকে দেখতে পান। তারা ২২ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও ১৩ জনের কোনো খোঁজ পাননি।

যারা উদ্ধার হয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচ দেশের নাগরিক রয়েছে; বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়া, সোমালিয়া এবং ঘানা। নিখোঁজ ১৩ জনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি লাশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক পুরুষ এবং এক নারীর বাড়ি সিরিয়ায়। ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের এলাকা জিলটেন থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

‘এই দিনগুলোতে অনেক নৌকা লিবিয়া ছেড়ে যাচ্ছে,’ জানিয়ে লিবিয়ার নৌ-কর্মকর্তা মাসউদ আবদাল সামাদ বলেন, ‘শরৎ খুব কঠিন মৌসুম। বাতাস শুরু হলে নদীতে প্রাণঘাতী অবস্থার সৃষ্টি হয়’।

লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের পর এই দেশ দিয়ে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়া শুরু করেন। পাচারকারীরা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় মানুষদের সাগরে ভাসায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে এই অঞ্চলে।

১ অক্টোবর থেকে সিঙ্গাপুর যাবে বিমান

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : আগামী ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে আবারও ফ্লাইট চালু করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

বিমান জানায়, ১ অক্টোবর থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। যাত্রীরা বিমানের মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com [1]), ট্রাভেল এজেন্ট কিংবা বিমানের সেলস কাউন্টার থেকে টিকেট কিনতে পারবেন।

এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এরপর আরেকটি আদেশে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৬ জুন থেকে প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে লন্ডন এবং কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের ফ্লাইটগুলো চালু করা হচ্ছে।

লোহাগাড়ায় ইয়াবা ও চোলাইমদসহ গ্রেপ্তার ৩

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ২ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৫ লিটার চোলাইমদসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা সদর ও চুনতী ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঢাকার ধামরাই শান্তিপুর এলাকার হায়েত আলীর পুত্র মনির হোসেন (৩৫), লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার সরসাই এলাকার আবদুর রশিদের পুত্র রুবেল হোসেন (৩১) ও উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আমিরাবাদ মাস্টার পাড়ার কামাল উদ্দিনের পুত্র শাহাদাৎ হোসাইন ইরফান (৩০)

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কের চুনতী ফরেস্ট রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় মনির ও রুবেলের কাছে ২ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। অপরদিকে, উপজেলা সদরের আলুরঘাট রোডে অভিযান চালিয়ে ১৫ লিটার চোলাইমদসহ ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।