- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

আটকে পড়া সৌদি প্রবাসীদের জন্য বিশেষ দুই ফ্লাইট

নিউজ ডেক্স : যেসব প্রবাসী সৌদি থেকে রিটার্ন টিকিটে বাংলাদেশে এসে লকডাউনের কারণে আর ফিরতে পারেননি তাদেরকে সৌদি ফেরাতে আরো দুইটি বিশেষ ফ্লাইট ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

১৬ ও ১৭ মার্চের জেদ্দা ও রিয়াদের বিমানের রিটার্ন টিকিটধারী যাত্রীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা-জেদ্দা ও ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-রিয়াদে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিমান।

জানা গেছে, ১৬ ও ১৭ মার্চের ফিরতি টিকিটধারী যাত্রীদের এই ফ্লাইটে বুকিংয়ের জন্য বিমান সেলস অফিসে টিকেট, পাসপোর্ট, সৌদি আরব নির্ধারিত অ্যাপস ও লিংক থেকে অনুমোদন ইত্যাদিসহ আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছে বিমান। 

এ ছাড়া নতুন ফ্লাইট অনুমোদন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অন্য যাত্রীদেরও বুকিংয়ের জন্য অবহিত করা হবে। অন্য যাত্রীদের এখনই অযথা কাউন্টারে ভিড় না করতে অনুরোধ করেছে বিমান। একই সঙ্গে যাত্রীদের কভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক এবং নমুনা সংগ্রহের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছাতে হবে। ফলে সব যাত্রীকে ঢাকা থেকে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং ঢাকা থেকেই যাত্রা করতে হবে।

এর আগে বিমানের বেশ কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট সৌদি গেলেও সেখানে যাত্রী নেওয়া হয়েছিল নিবন্ধন ও ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে। এবারই প্রথম রিটার্ন টিকিট কাটা যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হলো।

দেশে কখনও রাতে ভোট হয়নি : সিইসি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা নেবে।

আজ বুধবার সকালে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনী আইন শৃংখলা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণতান্ত্রিক ধারবাহিকতা রক্ষার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় করোনাকালে নির্বাচন করছে কমিশন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের নির্বাচন আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে অংশগ্রহণকারীদের দায়িত্বশীল আচরণেরও আহবান জানান তিনি।

দেশে কোনোদিনও রাতের বেলা কোনো ভোট হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, ভোটের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে। আইন শৃংখলা সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আলমগীর কবীর, জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কালের কন্ঠ

অবশেষে সৌদিতে ল্যান্ডিং পারমিশন পেল বিমান, ১ অক্টোবর থেকে ফ্লাইট

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অবশেষে সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ল্যান্ডিং পারমিশন (অবতরণের অনুমতি) পেল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তারা সৌদিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

এর আগে সৌদি সরকার বিমানকে ১ অক্টোবর থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিলেও ল্যান্ডিং পারমিশন দেয়নি। এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে সৌদির সিভিল এভিয়েশনকে চিঠিও দিয়েছিল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র ল্যান্ডিং পারমিশন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিমান সূত্র জানায়, বিমান ১ অক্টোবর থেকে সৌদির তিন শহরে সপ্তাহে আটটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। শহর তিনটি হচ্ছে জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদ। দুই-একদিনের মধ্যে বিমানের ওয়েবসাইটে ১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। জাগো নিউজ

ভিসা ও আকামার মেয়াদ ২৪ দিন বাড়িয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন সৌদি আরব থেকে ছুটি কাটাতে আসা বাংলাদেশীদের ভিসা এবং আকামার মেয়াদ বাড়ানোর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে জানিয়েছে। তিনি জানান সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিমানের সব ফ্লাইটকে অবতরণ করতে দেবে। একই সাথে বাংলাদেশও সৌদি এয়ারলাইন্সের সব ফ্লাইট অবতরণ করতে দেবে বলে আজই এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘রোববার থেকেই তারা ভিসা এক্সটেনশন করে দেবে। আর চলতি মাসে আরও চব্বিশ দিন বাকী আছে তাই এসময়ের জন্য আকামার মেয়াদও তারা বাড়াবে। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো সংবাদ,’ বলছেন মন্ত্রী মোমেন।

এরআগে সকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর জন্য সৌদি আরব সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে সরকারি ছুটি থাকায় সিদ্ধান্তের জন্য রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত দু’দিন ধরে প্রবাসীদের অনেকে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে প্রবাসী কল্যাণ এবং পররাষ্ট্র সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর একটি বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এই বৈঠকের পর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, এ ধরণের বিক্ষোভ বা আন্দোলন করলে সৌদি আরবের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসে যারা আটকা পড়েছেন, তাদের অনেকে আজ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাছে এবং কারওয়ান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজে ফেরত যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট না পাওয়া এবং ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, সৌদি আরবের সব ধরণের বিমান যেনো ঢাকায় আসে এবং সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের যাওয়ার সুযোগ দেয়, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে সৌদি আরবকে। দু’জন মন্ত্রীই আটকে পড়া প্রবাসীদের দু’দিন ধৈর্য্য ধরার আহবান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর যে বিষয় এসেছে, তা নিয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, ৮০ সালে সৌদি আরব ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছিল। এখন তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনেকের সেখানেই জন্ম এবং তারা আরবিতে কথা বলে।

মন্ত্রী মোমেন বলেছেন, ‘সৌদি সরকার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায়। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করতে বলেছে। আমরা বলেছি, তাদের কাছে যদি বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা কোন কিছু থাকে, তাহলে আমরা ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেবো। কিন্তু অন্য জায়গা থেকে গেলে আমরা দায়িত্ব নেবো না। সেটা তাদের জানিয়েছি।’

তিনি আরো জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে এ বিষয়ে সমাধানের জন্য পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি

লোহাগাড়ায় চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত-সাধারণ সদস্য পদে ১৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ৩১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৩৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (সংযুক্ত) মো. ফয়সাল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৪ জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুচ্ছফা চৌধুরী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খোরশেদ আলম সিকদার, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাব উদ্দিন চৌধুরী ও নুরুল হক নুনু।

আমিরাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৫ জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম ইউনুচ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আবছার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সামশুল ইসলাম, মাহমুদুল হক পেয়ারু ও আবদুল মালেক।

আধুনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল কবির, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু নাছের চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব মিয়া, নাজিম উদ্দিন ও মাহমুদুল হক বাবুল।

উল্লেখ্য, লোহাগাড়ার ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ৪ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

লোহাগাড়ায় বসতঘরে ডাকাতি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে এক বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ২টায় ইউনিয়নের সুফিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকের নাম জসিম উদ্দিন। তিনি ওই এলাকার সৈয়দ নূর সওদাগরের পুত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বাবর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় ২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল রান্না ঘরের দরজা ভেঙ্গে বসতঘরে ঢুকে পড়ে। বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি। খবর পেয়ে চুনতি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া ডাকাতরা চলে যাবার সময় পথে মো. আইয়ুব ও মো. ইলিয়াছকে মারধর করে ও তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং মোবাইলসেট ছিনিয়ে নেয়া বলে জানা গেছে।

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, চুনতিতে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

লোহাগাড়ায় ইয়াবাসহ পাচারকারী গ্রেপ্তার

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ইয়াবাসহ আবদুল করিম (২৫) নামে এক ম্যজিক গাড়ির যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতী ফরেষ্ট রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পূর্ব ডুমখালীর নুরুল হকের পুত্র।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শহরমুখী একটি ম্যাজিক গাড়িতে তল্লাশী করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ হাজার ৩শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চুনতী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত ইয়াবা পাচারকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব পদে পরিবর্তনের গুঞ্জন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ভুগছে নানামুখী সমস্যায়। বিভিন্ন ধরনের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে অযাচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে একসময়ের বেশ জনপ্রিয় দলটি এখন হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে এবার ছড়িয়েছে বিএনপির মহাসচিব পদ নিয়ে গুঞ্জন।

কেউ কেউ বলছেন, খুব দ্রুতই মহাসচিব পদ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ পদে আনা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের একেবারে অনুগত কাউকে। আবার অনেকে এমন গুঞ্জনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসচিব পদে পরিবর্তনের এ গুঞ্জনের ডালপালা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। নতুন মহাসচিব হিসেবে কে আসতে পারেন, এ প্রশ্নে কয়েকটি নামও আলোচিত হচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। মির্জা ফখরুলও তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পদে থাকা, না থাকার বিষয়ে। তাকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তিনি আগেভাগেই পদত্যাগ করবেন কি-না, সে বিষয়েও চলছে আলোচনা।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর কয়েকদিন পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সৌদি আরব সফরে যাওয়ার প্রাক্কালে মির্জা ফখরুলকে দলের মহাসচিবের কাজ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেন। সেসময় দলের সিনিয়র নেতাদের একাংশের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকে প্রকাশ্যেই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব পদে ফখরুলের বিরোধিতা শুরু করেন। দলের গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলতে কোনো পদ না থাকলেও ফখরুল প্রায় পাঁচ বছর সেই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হয়েই দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেসময়ও তাকে যেন মহাসচিব করা না হয় সেজন্য ব্যাপক বিরোধিতা চলে দলের মধ্যে। এমনকি তারেক রহমান নিজেও ফখরুলকে মহাসচিব পদে চাইছিলেন না বলে খবর ছড়ায়। কাউন্সিল হওয়ার ১১ দিন পর ৩০ মার্চ খালেদা জিয়ার একক সিদ্ধান্তে ‘ভারমুক্ত’ হয়ে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিবের পদে আসেন মির্জা ফখরুল।

jagonews24
জুস পান করিয়ে মির্জা ফখরুলের অনশন ভাঙছেন খালেদা জিয়া

সেসময় বলা হয়, ফখরুলকে মহাসচিব পদে বসানোর পেছনে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা খালেদা জিয়াকে সম্মত করিয়েছিলেন। তবে ফখরুলের মতো একজন ভদ্র-মার্জিত নেতাকে মহাসচিব করায় খালেদা জিয়া বিরোধীপক্ষের কাছ থেকেও ধন্যবাদ পেয়েছিলেন। সেই ফখরুল এখনও হাল ধরে আছেন দলের।

এর মধ্যে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া কারাগারে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে নির্বাসনে। এমন অবস্থায় ফখরুলকে ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকে বিএনপির নির্দেশনা-কর্মসূচি।

মির্জা ফখরুলের সমালোচকরা মনে করেন, বিএনপির আজকের পরিণতির জন্য মির্জা ফখরুলের ‘অতি নমনীয় ও অতি ভদ্রজনোচিত’ ভাবভঙ্গিই দায়ী। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা, আশার বাণী শুনিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, ফলাফলে ভরাডুবি, কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান, পরে এতে নির্বাচিত কয়েকজনের শপথ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরও শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া, পরবর্তী সময়ে কয়েকটি আসনে উপ-নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকাবস্থায় তার মুক্তির দাবিতে কোনো জোরদার আন্দোলন করতে না পারার পেছনে মহাসচিব হিসেবে ফখরুলের দায়ই বেশি। কোনো যুৎসই সিদ্ধান্ত নিতে না পারা বা কোনো সিদ্ধান্তে অটল থাকতে না পারার ব্যর্থতা নেতৃত্বভাগে থাকা ফখরুলের কাঁধেই বর্তায়।

এর মধ্যে গত মার্চে সরকারের অনুকম্পায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হলেও রয়েছেন রাজনীতির অন্তরালে। অসুস্থতা, করোনা পরিস্থিতি ও সরকারের শর্ত— সবমিলিয়ে খালেদা জিয়ার অল্প সময়ের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ভার্চুয়াল পন্থায় লন্ডন থেকে দলের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

jagonews24
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কবির রিজভী

একটি সূত্র জানায়, ইদানীং দলের বিভিন্ন কমিটি গঠন, অনুমোদন, কার্যক্রম স্থগিত— এমন কোনো কিছুর বিষয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবগত নন। এসব বিষয় মূলত লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদই সেরে ফেলছেন।

আরেক সূত্রের মতে, অনেক কার্যক্রম রিজভী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে ‘বুঝিয়ে’ করে ফেলেন। যার কোনো কিছুই মহাসচিবকে অবহিত করার প্রয়োজন বলে মনে করেন না তিনি। এতে শীর্ষ নেতারাও অনেকটা বিব্রত। মির্জা ফখরুল নিজেও এসব বিষয় নিয়ে কিছুটা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ।

এমন অবস্থায় বলা হচ্ছে, বিএনপিতে নতুন মহাসচিব আসছেন। যেহেতু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সেহেতু তার অনুসারী কেউ একজন এ দায়িত্ব পাবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে সিনিয়র নেতারাও। অনেকেই মনে করেন, ফখরুল বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়ার অনুগত হলেও তারেক রহমানের প্রতি তার আনুগত্য নিয়ে নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। আবার নেতাকর্মীদের একটি অংশ মনে করেন, অবশ্যই ফখরুল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের আনুগত্য মানেন। না হলে এতদিন মহাসচিব পদে থাকতে পারেন না। তবে যেহেতু এ পদে তিনি প্রায় ১০ বছর দায়িত্ব পালন করছেন, সেহেতু অন্য কেউ এ পদে এলে সেটা বিচিত্র কিছু হবে না।

তবে সিনিয়র নেতাদের অনেকে মহাসচিব পদে পরিবর্তনের গুঞ্জনকে ‘অপপ্রচার’ হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, দলের মধ্যে বিভাজন ও বিভক্তি সৃষ্টির জন্যই একটি মহল এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

jagonews24
দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল

মহাসচিব পদে আলোচনায় যারা : মহাসচিব পদে এবার আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিন নেতা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যার নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আবার অনেক সিনিয়রকে ডিঙিয়ে স্থায়ী কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নামও আলোচিত হচ্ছে। তিনি তারেক রহমানের বেশ অনুগত বলে প্রচার আছে। সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এ নেতা বর্তমানে দলের দুটি কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দলের জাতীয় করোনা পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতিতে দলের গঠিত ত্রাণ কমিটিরও আহ্বায়ক করা হয়েছে তাকে।

অপরদিকে গুঞ্জন আছে, মহাসচিব পদটি পাওয়ার জন্য স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন দলের ‘ফুলটাইম’ রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ১/১১-এর সময় থেকে লাইমলাইটে আসা সাবেক এই ছাত্রদল নেতা কখনোই থেমে থাকেননি। চলছেন তো চলছেনই। মামলা, গ্রেফতার কিংবা করোনা, কোনো কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি তাকে। যদিও তার এসব বিষয় নিয়ে দলের মধ্যে রয়েছে নানা রকমের রাসাত্মক আলোচনা।

বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও তার ওপর বিরক্ত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবারই রিজভীকে নিয়ে প্রকাশ্যে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় সেটিও সামলাচ্ছেন রুহুল কবির রিজভী। যদিও সমালোচকরা বলেন, রিজভী দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে কাউকে আসতে দেননি ইচ্ছা করেই। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতেই তিনি এসব করেছেন। সেদিক থেকে তাকে যদি তারেক রহমান মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা দেন তাতে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির সাতজন নেতা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন- প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (১৯৭৮-৮৬), লে. কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান (১৯৮৬-১৯৮৭), কে এম ওবায়দুর রহমান (১৯৮৭-১৯৮৮), ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার (১৯৮৮-১৯৯৬), আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া (১৯৯৬-২০০৭), খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন (২০০৭-২০১১) এবং বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (২০১১- ২৯ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত এবং ৩০ মার্চ ২০১৬ থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত)।

jagonews24
জনসমাবেশে মির্জা ফখরুল

বিএনপির নেতারা যা বলছেন : দলের মহাসচিব পদে পরিবর্তনের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এ ধরনের কোনো আলোচনা নেই। যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কথা বলছেন।’

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে বিশেষ করে ২০১২ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে নেয়ার পর থেকে সংবিধান পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে, তারই ফলশ্রুতিতে আমরা দেখছি, এখানকার সমস্ত রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরিভাবে ইনঅ্যাক্টিভ (অকার্যকর) করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের বিরাজনীতিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কিন্তু আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আমাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ লোকের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা, পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। সত্য কথা বলতে কী, শুধু আমরা নই, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এমনকি মিডিয়া, কেউই এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমার কাজ সফল হচ্ছে, কি হচ্ছে না, এটা বিচার করার দায়িত্ব তো আমার নয়। এটা জনগণ বিচার করবে এবং পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু দল তো এখন পর্যন্ত সে ধরনের কথা বলেনি। দল সে ধরনের সিদ্ধান্ত যদি নেয়, তা কার্যকর হবে।’

গত প্রায় এক দশক ধরে মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন, বিএনপির রাজনীতি নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট, বিএনপি আসলে ঠিক পথে আছে কি-না? জবাবে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি একটি উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বর্তমানে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে, এখানে গণতন্ত্রের কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। সেক্ষেত্রে এখানে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার পরিবেশ নেই এবং স্বাভাবিকভাবে আমরা এখানে যারা দায়িত্বে রয়েছি, কাজ করছি; আমাদের পক্ষে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট (কষ্টকর) হয়ে যাচ্ছে।’ জাগো নিউজ

প্রযুক্তিতেই মনোযোগী পুলিশ, অপরাধী শনাক্ত ও মামলার তদন্তে কমছে সোর্সের ব্যবহার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে বাকলিয়ার তুলাতলী আলী মার্কেটের (লিজা বিল্ডিং) ৫ম তলায় একটি ভাড়া ঘর থেকে গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বামী জয়নাল সেদিন থেকেই পলাতক ছিলেন। খুন করার দেড় বছর পর তিনি ধরা পড়েন। বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় জয়নাল কুমিল্লা সদরস্থ কান্দিরপাড় এলাকায় চায়ের দোকানে চাকরি করতেন। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম।

অপরদিকে, ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা প্রাইভেটকার চালক আইয়ুব আলীকে খুনের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের কারণেই আসামিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এ দুটি ঘটনা শুধু নয়, এবার অপরাধী শনাক্ত ও মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে মনোযোগী হচ্ছে পুলিশ। একসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কাজে পাবলিক সোর্স ব্যবহার করতেন। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারে সফলতা আসায় ধীরে-ধীরে কমে আসছে পাবলিক সোর্স ব্যবহার। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তারা এখন আর সোর্স ব্যবহারে আগ্রহী নন। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে পাবলিক সোর্সের দেয়া তথ্যে মামলার তদন্ত ও আসামি শনাক্তে বিলম্ব হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে সোর্সের মাধ্যমে হয়রানির ঘটনাও ঘটে।

কেউ কেউ অবশ্য পাবলিক সোর্স ব্যবহার না করার পেছনে বিশ্বাসঘাতকতাকেও দায়ী করছেন। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন আধুনিক ডিভাইস সংযোজনের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। বিষয়টির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। নিজের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তের মান উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। সিএমপি কমিশনারের কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় থানা মনিটরিং। থানাকে দালালমুক্ত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সিএমপিতে কর্মরতদের পেশাদারিত্বের বাইরে কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সেবার মূল কেন্দ্র হচ্ছে থানা। সেগুলোকে আমরা নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় আনব। ডিজিটালাইজেশন করা হবে। সব না পারলেও কিছু অংশ ডিজিটালাইজ করব। থানার নিয়মিত কর্মকাণ্ড, তদন্ত, দরখাস্ত, জিডি-এসব মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি থানায় গুরুত্বপূর্ণ অংশে চারটি ক্যামেরা থাকবে। আমার অফিস থেকে থানায় কে আসল, কে গেল সেটা মনিটরিং করা হবে। এছাড়া পুলিশের পেট্রোলিংকে আরও বেগবান করার জন্য যা যা দরকার, সেটা করার চেষ্টা করব। আমরা ট্রাফিক ডিভিশনকেও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনব।

নগরীর নিরাপত্তা রক্ষায় সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর বেহাল দশা প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার বলেন, প্রায়োরিটি বেসিস সরকারি এবং বেসরকারি সাহায্য নিয়ে আমরা নগরীকে সিসিটিভির আওতায় আনবো। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেফ সিটি কনসেপ্ট রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেও রয়েছে। এলাকাভিত্তিক এটি চালু রয়েছে। সীমিত জনবল নিয়ে হলেও সিএমপিতেও আমরা এটি শুরু করতে চাই।

এদিকে, প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই অপরাধীরাও। বিশেষ করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকেই প্রযুক্তির ব্যবহারে পারদর্শী। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তারা বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করছে। এসব অ্যাপের কোনোটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জেনে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে নতুন অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে নিজেদের মধ্যে ফের যোগাযোগ স্থাপন করছে তারা। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। এসব ভাবনা দূর করতেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো খুন-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধের রহস্য উদঘাটন ও অপরাধী গ্রেপ্তারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলতা পাচ্ছে। এ কারণে উন্নত দেশের আদলে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিটি বিভাগেই সংযোজন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তবে এসব প্রযুক্তি জনগণকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অভ্যন্তরীণ কাজেও গতি আনছে। এখন কোথাও কোনো অপরাধ ঘটামাত্রই আগে শুরু হয় ওই এলাকায় ব্যবহৃত মুঠোফোনের ওপর নজরদারি। সেই মুঠোফোন মালিকদের থেকে বাছাই করা সন্দেহভাজনদের পরিচয় সম্পর্কে তথ্য নিয়ে খোলা হয় তদন্তের খাতা। কেউ হত্যার শিকার হলে তার মুঠোফোন নম্বর আগেই চলে যায় পুলিশের কাছে। শুরু হয় বিচার-বিশ্লেষণ। এক যুগ ধরে এভাবে কয়েক হাজার মামলার সুরাহা করেছে পুলিশ। মোবাইল ফরেনসিকের সব প্রযুক্তি এখন পিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। একটি মুঠোফোন বা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা তথ্যও তারা বের করতে পারেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আলামত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম।

তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ ঘটামাত্রই এখন এলাকায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তার খোঁজ করেন পুলিশের কর্মকর্তারা। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হয়। আর কোথাও ক্যামেরা না থাকলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন ব্যক্তির চেহারা এঁকে ফেলার প্রযুক্তি রয়েছে পুলিশের কাছে। এখন জনগণের সঙ্গে পুলিশের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯ সহ বিশেষ কিছু অ্যাপের মাধ্যমে। এগুলোর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের ধরতে সুবিধা পাচ্ছে পুলিশ। তদন্ত নির্ভুল করতে উন্নত দেশগুলো থেকে নিত্যনতুন প্রযুক্তি আনা হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের নিয়মিত বিদেশ থেকে ট্রেনিং করিয়ে আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বাহিনীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি ও সাইবার ক্রাইম ট্রেনিং সেন্টার নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে। ফলে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ পুলিশে। দৈনিক আজাদী

হাটহাজারী থেকেই কি হেফাজতের আমির!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : হাটহাজারী আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এবং আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়ার সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে হেফাজতের আমির কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা, আছে গুঞ্জন। এদিকে, কেন্দ্রীয় একজন নেতা বলছেন, আমির হাটহাজারীকেন্দ্রিক হলে ভালো হবে।

২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আহমদ শফী এ সংগঠনের আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মহিবুল্লা বাবুনগরী। নায়েবে আমির নুর হোসেন কাসেমী ও মুফতি ওয়াক্কাস। মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। হেফাজতের পরবর্তী আমির হিসেবে শোনা যাচ্ছে সিনিয়র নায়েবে আমির মহিবুল্লা বাবুনগরী, ঢাকার নুর হোসেন কাসেমী ও বর্তমান মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর নাম। এ বিষয়ে কথা বলতে মহিবুল্লা বাবুনগরী, কাসেমী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর মোবাইলে ফোন করা হয়। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, তাদের একজন ঢাকায় আছেন। গতকাল মাদরাসায় গিয়েও বাকি দুজনের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। এছাড়া আহমদ শফীর পুত্র আনাস মাদানী ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

হেফাজতের মজলিসে শূরা কমিটির সদস্য এবং হাটহাজারী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির বলেন, মাদরাসার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর হেফাজতের কাউন্সিল ডেকে আমির নির্বাচন করা হবে। এ পদের জন্য কারা চেষ্টা করছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আল্লামা শফীর অবর্তমানে হেফাজতের মূল নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে হেফাজতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুফতি জুনায়েদ গোলজার বলেন, সেটা আগ বাড়িয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। হেফাজতের মজলিসে শূরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, হেফাজত যেহেতু চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা থেকে সৃষ্টি, তাই ভবিষ্যৎ ইমারতের দায়িত্ব (আমির) হাটহাজারীকেন্দ্রিক হওয়ায়ই মঙ্গলজনক। জুনায়েদ বাবুনগরী হোক অথবা হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অন্য যে কাউকে নির্বাচন করা হলে তাকেই সবাই মেনে নেবে।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, হেফাজতে ইসলামের সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো আছে। শূরা কমিটি বসে পরামর্শ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে আমির নির্বাচন করা হবে।

নেতৃত্বে আসার মতো সম্ভাব্য কে কে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাব্য অনেকেই আছেন। তাদের মধ্যে যারা যোগ্য, বিজ্ঞ, ক্লিন ইমেজের আছেন, দেশবাসী মেনে নেবে এমন লোক বাছাই করা হবে। শিগগিরই শূরার বৈঠক বসবে এবং সিদ্ধান্ত আসবে।

একটি সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের আমির ও মহাসচিব পদে নিয়োগ নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সিনিয়র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারা আলোচনা করেছেন, আমির যদি সিনিয়র কেউ হন, মহাসচিব হবেন তরুণদের মধ্য থেকে একজন।

অন্য একটি সূত্র জানায়, হেফাজতের একটি অংশ চাচ্ছে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব পদ থেকে আমিরের পদে দিতে। একই সঙ্গে মরহুম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ছেলে মাওলানা মামুনুল হককে মহাসচিব বানাতে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছেন। হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটিতে কে আসবেন তা শিগগিরই জানা যাবে বলে জানান ঢাকা মহানগর হেফাজতের প্রচার সেলের কো-অর্ডিনেটর ওয়ালী উল্লাহ আরমান। দৈনিক আজাদী