এলনিউজ২৪ডটকম : মনোয়ারা ও মিনুর পরিচয় জানতে আপনাকে বেশী দূর যেতে হবে না। তারা পদুয়া হাঙ্গরকুলে বসবাস করেন। দু’জনই প্রান্তিক চাষী। বসন্তকালে হাঙ্গরের পানিতে দু’জনের সহায়-সম্বল ভেসে গেছে। যা বর্ষাকালেও কল্পনা করা যায় না। মনোয়ারা ও মিনু অতীব গরীব। তারা স্থানীয় জমির মালিক থেকে হাঙ্গর চরে চাষাবাদ করার জন্য ২০ শতক জমি লাগিয়ত নেন। তাদের চোখে স্বপ্ন ছিল জমিতে রবিশষ্য ফলিয়ে ছেলে- মেয়েদের গ্রাসচ্ছাদন চালিয়ে নিবেন। সে মোতাবেক ধার করে হাইব্রিড মরিচ, বেগুনসহ বিভিন্ন রবিশষ্য লাগিয়েছেন। সে শষ্য বড় হচ্ছে। ফল আসছে। মরিচ গাছে মরিচ ধরছে। তারা অপার স্বপ্নে সেসব গাছের দিকে তাকিয়ে স্বপ্নের ঝাল বুনতেন। কিন্তু বিধিবাম সাবেক মেম্বার আলী নেওয়াজের বাড়ি থেকে সামান্য ভাটিতে তাদের ক্ষেত অবস্থিত। সামান্য ভাটিতে ফরিয়াদিকুল নুনুর মা’র ঘাটায় একটি রাবারড্যাম নির্মিত হয়েছে। কিন্তু কিছু বুঝার আগেই কয়েকদিন আগে পানি পুলে তাদের ক্ষেত ডুবে যায়। স্বপ্ন চুরমার হয়। তারা জানেন না কোথায় এর প্রতিকার চাইবেন। চেয়ারম্যান- মেম্বারগণ তাদেরকে উপদেশ দিয়েছেন অপেক্ষা করতে। উল্লেখ্য, এ চরে মনোয়ারা-মিনুর মতো অসংখ্য কৃষকের দুরাবস্থার করুণ চিত্র চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।