- Lohagaranews24 - https://lohagaranews24.com -

ডলু খালের ক্রমাগত ভাঙনে আতঙ্কে ১৫ হাজার বাসিন্দা

1502704165

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকায় ডলু খালের ক্রমাগত ভাঙনের কারনে ওই এলাকার ১৫ হাজার বাসিন্দা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। চলতি বছরের পরপর চারবারের বন্যায় সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ডলুখালের তীরে অবস্থিত একাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে আরো শতাধিক ঘরবাড়িসহ বসতভিটে। খরস্রোতা ডলু খালের বেপরোয়া ভাঙনে ১২ ফুট প্রস্থের সেনের হাট-আলুর ঘাট-আমিরাবাদ সড়ক বর্তমানে ৫ ফুটে পরিণত হয়েছে। সড়কটি বিলীন হয়ে গেলে সড়কের অপর পাশের বাড়িঘরগুলো টিকে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সোনাকানিয়ার ১৫ হাজার বাসিন্দা। চলতি বর্ষায় ডলু খালে পুনরায় পাহাড়ি ঢল নামলে কখন কার বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাবে এই ভয়ে এলাবাসীর চোখে ঘুম নেই।

খালে বিলীন হয়ে যাওয়া ভাঙা অংশে গত বছর কিছুটা মেরামত করা হলেও চলতি বছরের বন্যায় পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। ইতোমধ্যে ডলু খালের ভাঙনরোধে এলাকাবাসী সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানে তদবির করলেও কোনো উপকার পায়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের আলুর ঘাট হতে গারাংগিয়া পর্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ বিগত কয়েক বছরের ক্রমাগত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, চরম হুমকির মুখে রয়েছে গারাংগিয়া আলিয়া মাদরাসা, দক্ষিণ গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গারাংগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিজি সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়, হাতিয়ারপুল এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক। অনেকেই ভাঙনের মুখে পড়ে ঘরবাড়ি ভাঙার পূর্বেই পৈতৃক ভিটে ছেড়ে অন্যত্র বসতি স্থাপন করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফ থেকে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও অপরিকল্পিতভাবে কাজ করায় তার কোনো সুফল এলাকাবাসী ভোগ করতে পারছে না। এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এরফানুল করিম চৌধুরী ও সমাজসেবক বেলাল উদ্দীন জানান, ডলুখালের ভাঙন ঠেকানোর জন্য পাথর স্লেব কিংবা সিসি ব্লকের কাজ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া অন্য কোনো ঠুনকো কাজ করে খরস্রোতা ডলুর ভাঙনরোধ সম্ভব নয়। জরুরিভিত্তিতে এ এলাকার ডলু খালের ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না নিলে এলাকার শত শত পরিবার বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে। উপজেলার সোনাকানিয়া ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জাকারিয়া ও আবদুর রহিম জানান, খরস্রোতা ডলুখালের তীব্র ভাঙ্গনের কারণে আলুরঘাট তীরবর্তী অনেক পরিবার পৈতিৃক বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসতি স্থাপন করেছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অচিরেই ডলু খালের ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানাচ্ছি। -সুপ্রভাত বাংলাদেশ