নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী ও মোল্লাপাড়া এবং পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া এলাকা থেকে দুই পুরুষ ও অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে।
নিহতদের দুইজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন -মো. মহিউদ্দিন সোহেল (৪০) ও মো. ফারুক (২৮)। নিহত ফারুক পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া এলাকার মৃত খাজা আহমেদের ছেলে। এ ছাড়া সোহেল পাহাড়তলী এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, নিহত সোহেলের বিরুদ্ধে দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। আজ দুপুরে চাঁদাবাজির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়িদের গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় সোহেল। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন জানান, মোল্লাপাড়া এলাকায় জনৈক ইউসুফ মিয়ার বাড়ির সীমানা দেওয়ালের ভেতরে একটি আমগাছের নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি পড়েছিল। বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে লাশটি বস্তায় ভরে এর চারপাশ রশি দিয়ে সেলাই করে দেয়া হয়। ওই নারীর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী ওই নারীকে স্থানীয়রা কেউ চিনতে না পারায় পরিচয় জানা যায়নি।
এ ছাড়া পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আজ ভোরে নগরের দক্ষিণ পতেঙ্গার মাইজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুককে পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফারুক একজন পেশাদার মোবাইল চোর। মোবাইল চুরি নিয়ে বিরোধে তাকে মারধর করা হয়েছে। এর আগেও সে পতেঙ্গা থানায় চোরাই মোবাইলসহ গ্রেফতার হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।