ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের রোহিঙ্গাপ্রীতি বন্ধ করার তাগিদ

ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের রোহিঙ্গাপ্রীতি বন্ধ করার তাগিদ

rohinga-620x330

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের রোহিঙ্গাপ্রীতি বন্ধ করার তাগিদ দিয়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের এখন রোহিঙ্গা নির্যাতন আগের তুলনায় অনেকাংশে হৃাস পেয়েছে। তথাপিও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছেনা তিনি বলেন, বিদেশি টাকা পকেটস্থ করার জন্য কতিপয় এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের এদেশে চলে আসার জন্য উৎসাহ যোগাচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যে সব ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে ওই সব ত্রাণ সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোহিঙ্গা অধ্যূষিত এলাকায় যেসব হতদরিদ্র পরিবার গুলো রয়েছে তারা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা নিয়ে কষ্টের ভিতর দিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অনতি বিলম্বে ওই চিহ্নিত এনজিও গুলোকে তাদের অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আগামীতে এলাকার জনগণ এনজিওর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে বাধ্য হবে। তখন কিন্তু এনজিওরা আর পালাবার পথ খুজে পাবেনা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত এনজিওদের মাসিক সমন্বয় সভায় আরো বলেন, এনজিওরা রোহিঙ্গাদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। ব্যবহার করছে আলিসান নামী-দামী গাড়ী। তিনি দুঃখ এনজিওদের কারণে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা আশংখাজনক ভাবে হৃাস পাওয়ার নেপথ্যে একমাত্র এনজিও সংস্থার চাকুরী। তিনি উখিয়া কলেজে ৭শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ছিল। তৎমধ্যে ৪শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে বাকী ৩শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী এনজিও সংস্থার চাকুরীতে যোগদান করায় তাদের আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এনজিওর কারণে এসব এলাকার লেখাপড়া চরণ ভাবে ব্যহত হচ্ছে উল্লেখ করে হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় যেসমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্টানে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ঘুমাচ্ছে। এলাকার দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণের কোন বালাই নাই। মাসিক সমন্বয় সভায় এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান কল্পে আলোচনা করার জন্য ডাকা হলেও এনজিও কর্মকর্তারা পাত্তা দেয়না। কর্মকর্তারা সমন্বয় সভায় না এসে নি¤œ শ্রেণীর কর্মচারীদের সমন্বয় সভায় পাটায়। এ সমস্ত অনিয়ম, সেচ্ছাসারিতা এনজিওদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না হলে উখিয়া-টেকনাফ তথা কক্সবাজারের সার্বিক পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার আশংখা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করে। অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন, পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!