Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে : সুজন

অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে : সুজন

155756sujon_pic (1)

নিউজ ডেক্স : একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ১৩৬ জনের বছরে আয় কোটি টাকার উপরে। বছরে ৫০ লাখ টাকার ওপরে আয় আছে ২২৩ জনের। আর ৯৫১ জনের বছরে আয় ৫ লাখ টাকার বেশি। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে এতথ্য দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সুজনের প্রধান সমন্বঢকারী দিলীপ কুমার সরকার। ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। হামলা, মামলাসহ একাধিক হয়রানির ঘটনায় অনেক প্রার্থীই নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও ভোট প্রয়োগ নিয়ে সন্দেহ দূর হয়নি। নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্যোগী হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন।

মূল প্রবন্ধে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে ৬৬ জন নারী ৬৭টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে ৯৬১ জন বা ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যবসায়ী। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন ৫৬ জন বা ৮ শতাংশ। এছাড়া ৩১৩ জন বা ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আর ৪২২ জনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।

প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে প্রবন্ধে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের এক হাজার ১৯৫ জন বা ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পর্যায়ের সনদ লাভ করেছেন। মোট প্রার্থীদের মধ্যে ৪২১ জন বা ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ স্বল্পশিক্ষিত বা এসএসসির নিচের পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। আর ২৬৬ জন বা ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও সংলাপ হয়, তবে সমঝোতা হয়নি। তবে সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। কিন্তু প্রচারণায় হামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ঘটনাও ঘটছে।

তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। এই অবস্থায় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। আর ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারলে সেই নির্বাচনকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!